মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
‘হিযবুল্লাহ লেবানন’র পর আশির দশকে হিযবুল্লাহ কুয়েতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। শুরুতে সংগঠনটি নতুন নতুন নাম গ্রহণ করে, যেমন: «طلائع تغيير النظام للجمهورية الكويتية» ‘প্রজাতন্ত্র কুয়েতি সরকার পরিবর্তনকারী বাহিনী’। কখনো নাম ধারণ করে «صوت الشعب الكويتي الحر» ‘স্বাধীন কুয়েতি জাতির কণ্ঠ’। কখনো নাম ধারণ করে منظمة الجهاد الإسلامي ‘ইসলামি জিহাদের সংগঠন’। কখনো নাম ধারণ করে «قوات المنظمة الثورية في الكويت» ‘কুয়েত ভিত্তিক বিপ্লবী সংস্থার বাহিনী’ সবক’টি সংগঠনের পশ্চাতে রয়েছে ‘হিযবুল্লাহ কুয়েত’। [দেখুন: ড. ফালাহ মাদিরাস রচিত: الحركة الشيعية في الكويت (পৃ.৩০-৩১)]
ইরানের ধর্মীয় মারকাজ ‘কুম’-এ [উপসাগরীয় দেশসমূহে সক্রিয় হিযবুল্লাহর শাখা-প্রশাখার সদস্যদের প্রথম পরিচয় হয় কুম-এ, যেখানে তারা দীনি ইলম অর্জন করার জন্য প্রস্থান করে।] পড়ুয়া ছাত্ররা এসব শাখা-প্রশাখা তৈরি করেছে, যার অধিকাংশ সদস্যের সম্পর্ক প্রজাতন্ত্র ইরানি বিপ্লবী গার্ডের সাথে, তারা সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে। [দেখুন: الحركة الشيعية في الكويت ফালাহ মুদাইরিসি, (পৃ.৩১)]
তেহরানে অবস্থিত المركز الكويتي للإعلام الإسلامي ! في طهران ‘ইসলাম প্রচারের জন্য তেহরানে অবস্থিত কুয়েতি মারকাজ’ থেকে «النصر» নামে একটি ম্যাগাজিন বের হত, যা হিযবুল্লাহ কুয়েতির চিন্তা ও আদর্শের মুখপাত্র ছিল।
ম্যাগাজিনটি কুয়েতি হিযবুল্লাহকে উসকে দেয়, যেন তারা শিয়াদের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে, সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ও ইরানের আদলে একটি বন্ধু রাষ্ট্র সৃষ্টির জন্য প্রাণ-পণ চেষ্টা করে।
‘হিযবুল্লাহ কুয়েত’ও তাদের প্ররোচনায় দেশের অভ্যন্তরে ফেতনা সৃষ্টি, বোমা বিস্ফোরণ, অপহরণ ও গুমের ন্যায় জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়, দেশের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও ইরানি আদলে আরেকটি শিয়া রাষ্ট্র গঠন করার উদ্দেশ্যে।
“হিযবুল্লাহ কুয়েত’কে ইরানি শিয়া বিপ্লবের একটি অঙ্গ-সংঘটন জ্ঞান করা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনেয়ী। তারা বিশ্বাস করে, আলে-সাবার কুয়েতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই”। [দেখুন: مجلة السياسة الدولية-الصادرة عن صحيفة الإهرام বর্ষ-৩২, সংখ্যা-১২৩, জানুয়ারী ১৯৯৬ই.]
‘হিযবুল্লাহ কুয়েত’ বিভিন্ন প্রকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড লিপ্ত হয়, যেমন: ২৫-৫-১৯৮৫ই. সালে «حزب الدعوة» ‘হিযবুদ দাওয়াহ’ [তখন এ সংগঠনের প্রধান ছিল মুহাম্মদ বাকের আল-হাকিম, ২০০৩ই. সালে ইরাকে তাকে অপহরণ করা হয়। সে কুয়েতের আমিরকে হত্যার ফতোয়া জারি করে। হত্যাকারী শহীদ ও জান্নাতী, হত্যায় অংশ গ্রহণকারীও জান্নাতী।] নামে একটি শিয়া সংগঠন ন্যক্কারজনক যে কাণ্ড করে তারা সেটাকে সমর্থন জানায়। ঘটনাটি ছিল এই যে, যখন আমিরের গাড়ি বহর ‘দাসমান’ মহল থেকে বের হয়ে ‘সাইফ’ মহলে যাচ্ছিল। আমিরের গাড়িবহর দেখে ট্রাফিক সকল রাস্তার সিগন্যাল বন্ধ করে দু’পাশের রাস্তাগুলো খোলা রেখে দেয়, যেন গাড়িবহর থেকে কোনো গাড়ি ডানে-বামে যেতে চাইলে যেতে পারে। এ মুহূর্তে হটাৎ পার্শ্ব থেকে একটি গাড়ি গাড়িবহরের সামনে চলে এলো, সিকিউরিটি গার্ড তাকে থামাতে চেষ্টা করল, কিন্তু গাড়িটি সেখানেই বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হল, ফলে সিকিউরিটির প্রথম গাড়িটি যাত্রীসহ পুড়ে গেল, যাত্রীদের মধ্যে ছিল মুহাম্মদ আনাজি ও হাদি শামরি। বিস্ফোরণটি সিকিউরিটি গার্ডের দ্বিতীয় গাড়িকেও জোড়ে ধাক্কা দিল, ফলে বাম-পাশ থেকে আমিরের গাড়িকে আঘাত করে ফুটপাতে গিয়ে আছড়ে পড়ে, কিছুক্ষণের মধ্যে তাতেও আগুন ধরে।
1২-জুলাই ১৯৮৫ই. সালে কুয়েত সিটিতে দু’টি কফির দোকানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, যার কারণে অনেকের প্রাণহানি ঘটে ও অনেকে জখম হয়।
২৯-এপ্রিল ১৯৮৬ই. সালে কুয়েতের নিরাপত্তা বাহিনী ঘোষণা করে যে, ১২-জন সন্ত্রাসী কুয়েতি এয়ার লাইনের ৭৪৭-বোয়িং বিমান অপহরণ করে পূর্ব এশিয়ার কোনো অঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তারা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এটাও কুয়েতি হিযবুল্লাহর কর্ম ছিল।
১৯৮৮ই. সালের ৫-এপ্রিল আলি আকবর মুহতাশেমী [যেমনটি কুয়েতস্থ আল-কাবস পত্রিকার ৫৭১৭ নং সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়েছে।] ‘হিযবুল্লাহ’ কুয়েতির নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেয় যে, তারা ইমাদ লেবাননির নেতৃত্বে ব্যাংকক থেকে আগত কুয়েতি এয়ার লাইনের ‘আল-জাবেরিয়া’ বিমান অপহরণ করে ইরানের ‘মাশহাদ’ নামক স্থানে পৌঁছে দিবে; আর তা ছিল লিবাননের হিযবুল্লাহ কমাণ্ডার ইমাদ মাগনিয়া’ [ইরানী গবেষক ড. মাসউদ আল্লাহী তার ডক্টরেট ডিগ্রীর থিসিসে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যে, ছিনতাইকারীরা লেবাননী শিয়া সম্প্রদায়ের লোক ছিল; আর তারা হিযবুল্লাহ সংগঠনের অনুসারী ছিল। দেখুন গ্রন্থ: الإسلاميون في مجتمع تعدّدي - حزب الله في لبنان نموذجاً، পৃ. ২৫২-২৫৪.] এর নেতৃত্বে। বর্তমানে এ ইমাদ মাগনিয়াই লেবাননের হিযবুল্লাহর সশস্ত্র চীফ কমাণ্ডার [গত ২০০৬, সালের ১১ ই আগষ্ট মোতাবেক ১৭ই রজব ১৪২৭ হিজরী শুক্রবারের আশ-শারকুল আওসাত্ব পত্রিকায় এসেছে: ইমাদ মাগনিয়াকে দক্ষিন ইরাকের বিভিন্ন শিয়া উপদলের মধ্যে সমন্বয় সাধনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তারপর তাকে দক্ষিন ইরাকে অবস্থিত ইরাকী গোয়েন্দা সংস্থার উপর খবরদারি করার দায়িত্ব প্রদান করা হয়। একই বছর অর্থাৎ ২০০৫ সালে ইমাদ মাগনিয়া সিরিয়ার উপর দিয়ে লেবানন পাড়ি জমায়, তার সাথে রয়েছে বেশ কিছু ইরানী অফিসার। তার নাম হলো, সাইয়্যেদ মাহদী হাশেমী, তার পাসপোর্ট ইরানী, আর কূটনৈতিক পাসপোর্ট। ২০০৬ সালের প্রথমদিকে ইমাদ ফায়েয মাগনিয়াকে ইরাকের বসরায় দেখা গেল। বলা হয়ে থাকে, সে-ই জাইসুল মাহদীকে ইরানে নিয়ে প্রশিক্ষনের দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত এপ্রিলে ইমাদ মাগনিয়া আবার লেবাননে ফিরে এসে হিযবুল্লাহর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্ব গ্রহণ করে। ইরানী নেতৃত্ব এ লোককে ‘শৃগাল’ নামে অভিহিত করে থাকে; আর লেবাননের হিযবুল্লাহ প্রধান ‘হাসান নাসরুল্লাহ’ তাকে ‘আল-হাজ!- হিসেবে সম্বোধন করে থাকে।]।
তারা বিমানটি অপহরণ করতে সক্ষম হয়, বৈরুতে অবতরণ করার অনুমতি চাইলে কর্তৃপক্ষ নিষেধ করে দেয়। অতঃপর সাইপ্রাসের লারনাকা বিমান বন্দরের দিকে রওয়ানা করে, ইতোমধ্যে তারা আবদুল্লাহ আল-খালেদী ও খালেদ আইয়ূব নামীয় দু’জন কুয়েতি নাগরিককে গুলি করে হত্যার পর বিমানের বাইরে ফেলে দেয়। সর্বশেষ বিমানটি আলজেরিয়ায় গিয়ে অবতরণ করে, সেখান থেকে অপহরণকারীদের ছেড়ে দেয়া হয়। [দেখুন: ‘জাবেরিয়া বিমান অপহরণের ঘটনা’ مجلة الكويت সংখ্যা-৭০, জুলাই, ১৯৮৮ই. এবং مجلة المستقبل সংখ্যা-৫৮২, এপ্রিল, ১৯৮৮ই.]
এ ঘটনার মাধ্যমে হিযবুল্লাহ কুয়েত সরকারের নিকট দাবি জানায় যে, তাদের কয়েদিদের ছেড়ে দেওয়া হোক, যাদেরকে ১৯৮৩ই. সালে «الجهاد الإسلامي» সংগঠনের নামে বোমাবাজির কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য তারা একই দিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের মূল কেন্দ্র, কুয়েত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার পোর্ট, আমেরিকান ও ফ্রান্সের দূতাবাস, পেট্রোল শোধনাগার এবং আবাসিক এলাকাসমূহে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, যে কারণে অনেক মানুষ হতাহত হয়। নিহতে সংখ্যা ৭ এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ৬২। তারা সবাই সাধারণ নাগরিক ছিল, কেউ পেট্রোল শোধনাগারের ইঞ্জিনিয়ার এবং কেউ আবাসিক প্রকল্পের শ্রমিক। [দেখুন: حزب الله من الحلم الإيديولوجي إلى الواقعية السياسية (পৃ.৫৮-৬০)]
অনুরূপ তারা ১৯৮৩ই. সালের প্রথমার্ধে একটি কুয়েতি এয়ার লাইন্স অপহরণ করে, যাতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিল, যা নিয়ে তারা ইরানের মাশহাদ নামক এয়ার পোর্টে অবতরণ করে।
কুয়েতি হিযবুল্লাহর সাথে উপসাগরীয় হিযবুল্লাহর সকল গ্রুপের সম্পর্ক ছিল। কুয়েতি হিযবুল্লাহ ইরাকি সেনাবাহিনীর রেখে যাওয়া অস্ত্র ও গোলা-বারুদ হস্তগত করে ১৯৯৬ই. সালে বাহরাইনি হিযবুল্লাহর নিকট হস্তান্তর করে, যেন তারা হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করতে পারে।
১০-জনু ১৯৯৬ই. সালে «الأنباء الكويتية» পত্রিকা প্রকাশ করে যে, ‘হিযবুল্লাহ কুয়েত’ ইরাকি সেনাবাহিনীর রেখে যাওয়া অস্ত্র ‘হিযবুল্লাহ বাহরাইন’ এর নিকট চালান করেছে [১০/জুন/১৯৯৬ ইং।]।
‘হিযবুল্লাহ কুয়েত’ রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয় থেকে কতক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য নব্বইয়ের দশকে আরেকটি কাণ্ড করে, তারা পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে তাকইয়া (তথা মিথ্যাচারের) আড়ালে রাজনৈতিক চুক্তি ও সমঝোতা করে এবং الائتلاف الإسلامي الوطني ‘জাতীয়তাবাদী ইসলামি জোট’ নামে একটি দল গঠন করে, যেন তাদের লক্ষ্য ও কৌশলগত পরিকল্পনা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
এ জোটের কতক প্রতিষ্ঠাতা ও নেতৃবৃন্দ নিম্নরূপ: মুহাম্মদ বাকের মাহরি, আব্বাস ইবনে নাখি, আদনান ইবনে আব্দুস সামাদ, ড. নাসের সারখুহ ও ড. আব্দুল মুহসিন জামাল।
ইরানের শিয়া সরকার নতুনভাবে এ দলের সাথে কর্মকাণ্ড আরম্ভ করে। নিরাপত্তা বাহিনীর রিপোর্টে প্রকাশ [‘আল-ওয়াতানুল আরাবী’ পত্রিকা, সংখ্যা, ১৫৪৫; ১১/১০/২০০৬ ইং।], দক্ষিণ ইরাকে শিয়ারা একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সেটাকে বিপ্লবী বর্ডার গার্ড ও ইরানী গোয়েন্দাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করে, যাদের একমাত্র উদ্দেশ্য কুয়েতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সরকারের পতন ঘটানো এবং একটি শিয়া রাষ্ট্র কায়েম করা। রিপোর্ট থেকে আরো জানা যায় যে, তারা কুয়েতি শিয়াদের নিকট বিভিন্নভাবে অস্ত্র পাচার করছে, যাদের সম্পর্ক ইরানের সাথে।
আল্লাহ তা‘আলা কুয়েত ও অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোকে শিয়াদের ষড়যন্ত্র থেকে হিফাজত করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/15
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।