hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

২৩
হিযবুল্লাহ ও আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ
একটি জিজ্ঞাসা: হিযবুল্লাহ কি দখলকৃত কোনো ইসলামি রাষ্ট্র যেমন ফিলিস্তিন অথবা অধিকৃত অন্য কোনো মুসলিম রাষ্ট্র স্বাধীন করার চেষ্টা করে কিংবা তার জন্য যুদ্ধ করে?

এ প্রশ্নের উত্তর: না, তারা কখনো মুসলিমদের জন্য যুদ্ধ করে না। শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়ার নিকট জিহাদ নেই, যাবত তাদের দ্বাদশ ইমাম [বস্তুত: তাদের দ্বাদশ ইমামের অস্তিত্বই নেই, কারণ তাদের একাদশ ইমাম হাসান আসকারী অবিবাহিত অবস্থায় মারা গেছেন। তার সন্তান হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। সুতরাং দ্বাদশ ইমাম বলে যাকে বলা হয় যে তিনি মুহাম্মাদ ইবন হাসান আসকারী, এমন লোক কখনও দুনিয়াতে আসেন নি। আর যেহেতু তিনি দুনিয়াতে আসেন নি সেহেতু তার গায়েব বা অদৃশ্য হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আর যার অদৃশ্য হওয়ার প্রশ্নই আসে না তার আবার প্রকাশ হওয়ার কি আছে? বস্তুত ইমামিয়া শিয়ারা গাধা, তাদের উপর তাদের তথাকথিত পাগড়িধারী ধর্মীয় নেতারা মিথ্যাচার করে নেতৃত্ব করে যাচ্ছে। তারা মনে করছে এ তথাকথিত দ্বাদশ ইমাম লোকটি পাহাড়ে লুকিয়ে রয়েছে, তাই তারা পাহাড়ের পাদ-দেশে দাঁড়িয়ে সারাক্ষণ বলতে থাকে, “হে আমাদের মাওলা, তুমি বের হয়ে এস” এ জাতীয় হাস্যকর কর্মকাণ্ড কেবল রাফেযী ইমামী শিয়াদের মত গর্দভদের জন্যই উপযোগী। আল্লাহ আমাদেরকে তাদের ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন। [সম্পাদক]] অদৃশ্য জগত থেকে বের না হয়। এটাই তাদের বিশ্বাস। তাদের কিতাবের ভাষা দেখুন: “ইমামের ঝাণ্ডার পূর্বে যে ঝাণ্ডাই উত্তোলন করা হবে, সেই ঝাণ্ডাধারী হবে তাগুত”। [দেখুন: كتاب الغيبة للنعماني (পৃ.৭০)] অদৃশ্য জগত থেকে ইমাম বের হয়ে ইয়াহূদী ও নাসারাদের সাথে সন্ধি করবেন, আলে-দাউদের (ইয়াহূদীদের) বিধান মতে ফয়সালা করবেন, কাবা ধ্বংস করবেন, আহলে-সুন্নাহকে হত্যা করবেন, কারণ তারা শিয়া ইমামিয়াদের দুশমন। তাদের মৌলিক কিতাবসমূহের ভাষা এরূপ! আবু বকর ও ওমরকে বের করে তাদের শূলীতে চড়াবেন, অতঃপর তাদেরকে জ্বালিয়ে দিবেন। [দেখুন: আল-গায়বাহ লিন নুমানি।]

হিযবুল্লাহর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি নাঈম কাসেম এ সম্পর্কে বলেন: [দেখুন: ( حزب الله .. المنهج .. التجربة .. المستقبل ) (পৃ.৫০)] “সামরিক যুদ্ধ যেহেতু শত্রুদের সাথে হয়, যা আমাদের এ কিতাবের মূল বিষয়, তাই বিষয়টি আমরা বিশেষভাবে উল্লেখ করছি। ফকিহগণ জিহাদকে দু’ভাগে ভাগ করেছেন:

১. প্রাথমিক জিহাদ: যেমন মুসলিমরা অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হল ও তাদের ভূমিতে প্রবেশ করল, যার সাথে অধিকৃত ভূমি পুনঃ উদ্ধার করা কিংবা কোনো জুলমের প্রতিশোধ গ্রহণের সম্পর্ক নেই, এটাকে প্রাথমিক জিহাদ বলা হয়। এ জাতীয় যুদ্ধ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা নিষ্পাপ ইমামের সাথে সম্পৃক্ত, এ জমানায় যেহেতু ইমাম মাহদি অদৃশ্য, তাই আমাদের উপর তা জরুরি নয়।

২. প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ: মুসলিমদের ভূমি যদি দখলদারি কিংবা উপনিবেশের স্বীকার হয়, তাহলে নিজের ভূমি ও স্বীয় জাতিকে রক্ষার স্বার্থে জিহাদ করা বৈধ, বরং ওয়াজিব”।

অতঃপর তিনি ৫১-নং পৃষ্ঠায় বলেন: “জ্ঞাতব্য যে, জিহাদের সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান নেতা ফকিহ [বর্তমান ইরানি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা], তিনি প্রতিরক্ষামূলক জিহাদের পরিস্থিতি চিন্তা করবেন। তিনিই প্রতিরোধের নীতি ও তার নিয়ম বাতলে দিবেন। কারণ রক্তের বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ, জিহাদ জরুরি কি-না, কিংবা তার উদ্দেশ্য কি, ইত্যাদি বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে যোদ্ধাদেরকে যুদ্ধের ময়দানে ঠেলে দেওয়া কোনো প্রকার বৈধ নয়”।

অতএব আমাদের নিকট স্পষ্ট হল যে, হিযবুল্লাহ ও তার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ টিভিতে যে শ্লোগান দেয়, যেখানে সে মসজিদে আকসা ও তার পবিত্র ভূমিকে মুক্ত করার দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করে, যেমন সে বলে: ‘হে আকসা আমরা আসছি’, অথবা বলে: ‘চলো চলো কুদস চলো’ ইত্যাদির তার ভ্যালকিবাজি ও সবৈর্ব মিথ্যা। এ কথার প্রমাণ খোদ হাসান নাসরুল্লাহর বাণী, কোনো এক সাক্ষাতকারে তার নিকট ফিলিস্তিন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তখন সে ফিলিস্তিনিদের বলে: “যখন তোমরা আমাদের প্রয়োজন বোধ করবে, আমরা তোমাদের সাথে আছি, এটাই যথেষ্ট”! কারণ, দ্বাদশ ইমামিয়ার আকিদা হচ্ছে, অদৃশ্য ইমামের আগমনের আগে কোনো জিহাদ নেই।

পাঠক লক্ষ্য করুন, তাদের নিকট আত্মরক্ষার জিহাদও নেই, যদি ক্ষমতার কেন্দ্র ফকিহ (খোমেনি/খামেনী) তার অনুমোদন না দেয়! সুতরাং হিযবুল্লাহর কোনো সদস্য কোনো কর্মকাণ্ডই করার ক্ষমতা রাখে না যতক্ষণ না কেন্দ্রীয় ফকীহ (খামেনী) সেটার অনুমতি না দেয়। অতঃপর সামনের বর্ণনাগুলো দেখুন, তাহলে জানতে পারবেন রাফেযী কাকে বলা হয়, তারা সত্যিই কি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে?

আবু আব্দুল্লাহ আলাইহিস সালাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমাদের আহলে বাইত থেকে কেউ বের হয়নি, হবেও না, যতক্ষণ না মাহদি জুলম প্রতিহত অথবা কোনো হক উদ্ধারের জন্য বের হবেন, এর ব্যতিক্রম হলে অবশ্যই তাকে খেসারত দিতে হবে, তার যুদ্ধ আমাদের প্রতি ও আমাদের দলের প্রতি মানুষের বিদ্বেষকে বাড়িয়ে দিবে”। [দেখুন: الصحيفة السجادية الكاملة (পৃ.১৬)]

২০০০ই. সালে ‘বিনতে জাবিল’ এলাকা হতে ইসরাইলিদের হটে যাওয়ার পর হাসান নাসরুল্লাহ ১০০-হাজার দক্ষিনাঞ্চলীয় যোদ্ধার সামনে ঘোষণা দেন যে, হিযবুল্লাহ কখনো কুদসকে মুক্ত করার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না! [দেখুন: সংখ্যা: (৮৬৩০), তারিখ: ২৭/৫/২০০০ই. حزب الله رؤية مغايرة 214 থেকে সংগৃহীত।]

একই সূত্রে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান রুহানি বলেন: “দক্ষিণ লেবাননের শাব‘আ কৃষি ভূমি হতে ইসরাইলের চলে যাওয়ার পর হিযবুল্লাহর প্রতিরোধ আন্দোলন অব্যাহত রাখার কোনো বৈধতা নেই। তার কারণ হিসেবে তিনি বলেন: হিযবুল্লাহর প্রতিরোধ শুধু লেবাননি ভূমির জন্যই নির্দিষ্ট”। [দেখুন: الحياة اللندنية ম্যাগাজিনে দেওয়া হাসান রুহানির সাক্ষাতকার, তারিখ: ১৮/১/২০০৪ই.]

আমাদের প্রশ্ন: ফিলিস্তিনের বিষয়টি কোথায়, হিযবুল্লাহ যা দখলদার ইয়াহূদীদের থেকে মুক্ত করার ঘোষণা দেয়!

অতএব শিয়া মতবাদে এমন কোনো পরিকল্পনা নেই, যার মধ্যে অধিকৃত ভূমি মুক্ত করা কিংবা দখলদার প্রতিরোধ করার কথা রয়েছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমূদ আহমাদীনাজাদ বলেছে: “ইরান কোনো বহিঃরাষ্ট্রের জন্য হুমকি নয়, এমন কি ইয়াহূদী রাষ্ট্রের জন্যও নয়!! [দেখুন: الشرق الأوسط সংখ্যা: (১০১৩৪), তারিখ: ২৭/৮/২০০৬ই. অপর সংখ্যা: (১০১৩৬), তারিখ: ২৯/৮/২০০৬ই. আরো দেখুন وكالات الأنباء العالمية এ তারিখে।]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন