মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেবাননের আহলে সুন্নাত তথা সুন্নীরা জুলুম ও কোণঠাসার জীবন অতিবাহিত করছেন। বিশেষ করে রাফেযী ও নুসাইরিদের কারণে, তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘আহবাশ’ সম্প্রদায়কে উসকে দেয় ও তাদেরকে সাহায্য করে। ‘আহবাশ’দের ধর্ম হচ্ছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ও তাদের ধর্মে সন্দেহ সৃষ্টি করা। এ দিকে ইরানি মদদপুষ্ট হিযবুল্লাহ রাফেযী তো তাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছেই। রাফেযী, আহবাশ ও নুসাইরিরা হাজার হাজার কিতাব ফ্রি বণ্টন করে, যাতে তাদের আকিদা ও ধর্মের দাওয়াত রয়েছে, অথচ আহলে সুন্নাহ নিজেদের ঈমান-আকিদা সুরক্ষার জন্য কিতাব ছাপাতেও ভয় পায়, যার মাধ্যমে তারা অন্যদের উত্তর দিবে। তারা জেলের ভয় করে, বিশেষ করে যদি তাদের কিতাবে রাফেযী আকিদার প্রতিবাদ থাকে, হোক তা ইংগিতে, যেমন «لله ثم للتاريخ» “আল্লাহর জন্য অতঃপর ইতিহাসের জন্য” কিতাবের ক্ষেত্রে ঘটেছে। প্রকাশককে জেলে নিক্ষেপ করা হয়েছে, আর যাবতীয় কপি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অনুরূপ ঘটেছে আলুসি রচিত «صب العذاب على من سبَّ الأصحاب» কিতাব প্রকাশকের ক্ষেত্রে। ছাপাখানার মালিককে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি দ্বিতীয়বার এ কিতাব ছাপানো হয়, তাহলে তারা ছাপাখানা জ্বালিয়ে দিবে। লেবাননে আহলে সুন্নাহর অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে, তারা বলির পাঁঠা, কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, বোমা বাজি অথবা যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটুক, তার জন্য আহলে সুন্নাহকে দায়ী করা হয়, বরং কখনো অপ্রমাণিত ঘটনার কারণে বছরের পর তাদেরকে জেলে রাখা হয়। লেবাননে এখন এরূপই ঘটছে, আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী।
জাবালে লেবানন প্রদেশের মুফতি ড. মুহাম্মদ আলি জুজু «فجر الإسلام» [‘ফাজরুল ইসলাম’] ম্যাগাজিনে আল্লাহর নিকট আহলে সুন্নাহর উপর হিযবুল্লাহর জুলম ও অত্যাচারের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, শিয়ারা আহলে সুন্নাহর মসজিদ পর্যন্ত দখল করে নিচ্ছে। দক্ষিণ লেবাননে হিযবুল্লাহর আধিপত্য উল্লেখ করে বলেন: “তাদের আধিপত্যের কারণে হিযবুল্লাহর কতক যুবক দক্ষিণ লেবানন ও জাবালে লেবাননের অঞ্চলসমূহে আহলে-সুন্নাহর মসজিদ পর্যন্ত দখল করে নিচ্ছে। এ ঘটনা বারবার ঘটছে। সর্বশেষ ‘জিয়াহ’ নামক স্থানে নবী ইউনুসের মসজিদের উপর তারা আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। ‘জিয়াহ’ প্রদেশে হিযবুল্লাহ ও আমাল উভয় মিলে শায়খ আব্দুল আমির কিবলানের নেতৃত্বে আহলে সুন্নাহর ওয়াকফকৃত সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করছে। শিয়াদের সর্বোচ্চ পরিষদ ‘জিয়াহ’ নামক স্থানে শিয়াদের ওয়াকফ জমির জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে। অতঃপর এ কমিটি বৈরুতে অবস্থিত সুন্নী মুসলিমদের ওয়াকফ সংক্রান্ত অফিসে দাবি উত্থাপন করেছে যে, ‘জিয়াহ’ নামক স্থানের ওয়াকফ জমিতে তাদেরও হক রয়েছে। সমুদ্র তীরে অবস্থিত এ জমি চৌদ্দ হাজার বর্গ মিটার ব্যাপ্তি। তাতে একটি মসজিদ, যার নাম মসজিদে ইউনুস, একটি সরকারি মাদ্রাসা, একটি হাই স্কুল এবং কবরস্থান ইত্যাদি রয়েছে।
বর্তমান বিষয়টি লেবাননের আদালতে বিচারাধীন, এ জমিনে একটি সাইন বোর্ডও টাঙ্গিয়ে দিয়েছে তারা। এ সাইন বোর্ডের আড়ালে শিয়া পরিষদের সদস্যরা আহলে সুন্নাহকে তাদের মসজিদ ও ওয়াকফ সম্পত্তিতে সুখে থাকতে দিচ্ছে না। আহলে সুন্নাহ নতুন করে মসজিদ সংস্কার ও মেরামতের কাজে হাত দিয়েছে, কিন্তু তারা মসজিদ খারাপ করছে মর্মে আদালতের গোচরে বিষয়টি নিয়ে যায় এবং তারা মসজিদের কাজের উপর স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে।
এভাবে তারা সাধারণ বিষয়কে সাম্প্রদায়িক বিষয়ে পরিণত করে, মসজিদের ছাদের উপর মাইক রেখে তারা আহলে সুন্নাহকে উসকানি দেয়। তারা সেখান থেকে নিজস্ব আজান প্রকাশ করে, যার মধ্যে ( وأن علياً بالحق ولي الله ) শব্দও রয়েছে। এ শহরে এটাই প্রথম ঘটনা। তারা ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের ধারে না গিয়ে মারকাজে ইফতা ও আওকাফকে পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। তারা খুব খারাপ ভাষায় গালি-গালাজ করে, বাজারি শব্দে তাদের অন্তরের হিংসা ও বিদ্বেষ প্রচার করে, যেন মুসলিমদের উসকে দেওয়া যায় এবং তাদের মাঝে ফেতনার সৃষ্টি হয়।
এ ঝগড়া মিটানোর জন্য একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তি প্রচেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন, কারণ শিয়া সংগঠনসমূহ, যার পশ্চাতে রয়েছে হিযবুল্লাহ, আমাল ও শিয়াদের সর্বোচ্চ পরিষদ শায়খ আব্দুল আমির কিবলানের নেতৃত্বে তারা আস্তে আস্তে আহলে সুন্নাহ অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে, ইতিহাস বিকৃতি করছে, যেন ‘জিয়াহ’র যুবকদের মাঝে হট্টগোল বেঁধে যায়।
এতে সন্দেহ নেই যে, ‘সুন্নী ইসলামি ওয়াকফে’র নেতৃবৃন্দের নিকট জমিনের সকল দলিল ও ঐতিহাসিক কাগজ-পত্র বিদ্যমান, যা প্রমাণ করে ‘জিয়াহ’ নামক স্থানের নবী ইউনুসের ওয়াকফের কর্তৃত্বের হকদার তারাই। কিন্তু তারা চাচ্ছে কারণে বা অকারণে যেভাবে হোক আহলে সুন্নাহ ও হিযবুল্লাহর মাঝে যুদ্ধ বেধে যাক”! [দেখুন: فجر الإسلام ম্যাগাজিনে জাবালে লেবাননের মুফতি মুহাম্মাদ আলি জুযুর সাক্ষাতকার।]
লেবাননে আহলে সুন্নাহর মসজিদ দখলে তারা পায়তারা করছে, কোনটিতে তারা সফলও হয়েছে। শুধু ‘জিয়াহ’র মসজিদই নয়, বালাবাক্কায় তারা الظاهر بيبرس ‘যাহের বিবরস’ মসজিদকেও দখল করে নিয়েছে, প্রথমে তারা মসজিদের সংস্কার কাজ বন্ধ করে, পরবর্তীতে তার নাম দেয় مسجد رأس الحسين রা’সুল হুসাইন মসজিদ। অনুরূপ ‘মাশুক’ প্রদেশে ‘রুউর’ নামক স্থানের নিকট মসজিদে আলি ইবনে আবি তালিবের উপর তারা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, তার নাম দিয়েছে তারা الوحدة الإسلامية মসজিদ, অনুরূপ ‘সুউর’ নামক স্থানের নিকটবর্তী শাবরিহা মসজিদের উপর তারা কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সফল হয়, তার নাম দিয়েছে তারা মসজিদ কাজেম। তবে ‘সুউর’ এর পুরনো মসজিদ, যার নাম মসজিদ ফারুক ওমর, তার ব্যাপারেও তারা বারবার বলছে মসজিদটি শিয়াদের ছিল, খিলাফতে উসমানিয়ার সময় এটা তারা দখল করে নিয়েছে, যা থেকে প্রমাণ হয় যে, এটাও তারা ভবিষ্যতে দখল করার পরিকল্পনা করছে!
বিভিন্নভাবে বুঝা যায় যে, তারা লেবাননের প্রধান প্রধান শহরে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও সেগুলোকে সুন্নী থেকে শিয়া শহরে পরিণত করার লক্ষ্যে ঘৃণ্য ও জঘন্যতম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, এক শতাব্দীরও কম সময়ে তারা ‘সুউর’ শহরে আধিপত্য বিস্তারে সফল হয়েছে, এখন অন্যান্য শহরে এরূপ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখছে, যেমন সায়দা ও বৈরুত ইত্যাদি।
আমরা আরো বলতে চাই যে, আরব লীগ ও অন্যান্য সংগঠনের চোখ-কানের উপর সিরিয়ার সরকার লেবাননে আহলে সুন্নাহকে ক্ষমতাহীন করার পায়তারা করছে, অথচ তারা ঘাড়ের উপর হাত রেখে বসে আছে। সিরিয়া শিয়াদেরকে অর্থ ও অস্ত্র দ্বারা শক্তিশালী করছে। ইতিপূর্বে তারা লাগাতার আহলে-সুন্নাহকে হত্যা করেছে, যার শুরু হচ্ছে ফিলিস্তিনি থেকে। তাদেরকে তারা নির্দিষ্ট শিবিরে জীবন-যাপন করতে বাধ্য করছে। তারা হারকাতুল মুরাবেতিন ও হারাকাতুত তাওহীদকে নিঃশেষ করেছে এবং জামাতে ইসলামিকে ধ্বংস করে দিয়েছে আর তাকে সশস্ত্র সংগঠন থেকে রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/27
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।