মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
হিযবুল্লাহ ও তার প্রতিষ্ঠাতারা শিয়া ইমামিয়া আকিদায় বিশ্বাসী। তারা নিজেদেরকে ‘জাফরি শিয়া’ পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। তাদের কতক ভ্রান্ত আকিদা নিম্নরূপ, যেমন:
ইমামদের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি:
শিয়া রাফেযীরা আহলে বাইতের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করে, তাদেরকে নিষ্পাপ দাবি করে, এবং তারা অবশ্যই গায়েব জানে বিশ্বাস করে। তাদের দাবি, দ্বাদশ ইমামগণ যখন যা জানতে চান জানতে পারেন, তারা জানেন কখন মারা যাবেন। তারা স্বীয় ইচ্ছা ব্যতীত মারা যান না। [উসুলুল কাফি লিল কুলাইনি: (১/২৫৮)]
শিয়া ইমামিয়াদের দাবি তাদের ইমামগণ নবীদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ, তবে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত। মাজলিসি ‘মিরআতুল উকুল’ গ্রন্থে এ কথা স্বীকার করেছেন। [উসুলুল কাফি লিল কুলাইনি: (২/২৯০)] তাদের বিশ্বাস ইমামগণ মৃতদের জীবিত করেন। [দেখুন: مدينة المعاجز لهاشم البحراني এ কিতাবে অনুরূপ আরো অনেক কুসংস্কার রয়েছে।] তারা আরো বিশ্বাস করে যে, আলি ইবনে আবি তালিব কম্পনকারী, তিনি বজ্র, তিনি নদীসমূহ প্রবাহিত করেন, গাছের পাতা বিদীর্ণ করেন, তিনি অন্তর্যামী, তিনি সুন্দর সুন্দর নামের অধিকারী, যার দ্বারা তাকে আহ্বান করা হয়। [দেখুন: ( مشارق أنوار اليقين ) لرجب البرسي (পৃ.২৬৮)] তাদের এসব আকিদা থেকে আমরা আল্লাহর নিকট পানাহ চাই।
কুরআনুল কারিমে তাদের আকিদা:
হাসান নসরুল্লাহসহ শিয়াদের বিশ্বাস সাহাবিগণ কুরআনুল কারিম বিকৃত করেছেন। ইমামগণ ব্যতীত কেউ পূর্ণ কুরআন জমা করতে সক্ষম হয়নি। আল্লাহ তা‘আলার নাযিলকৃত হুবহু কুরআন আলি ইবনে আবি তালিব ও তার পরবর্তী ইমামগণ ব্যতীত কেউ জমা কিংবা হিফজ করতে সক্ষম হয়নি। [কুরআনুল কারিমের বিকৃতির উপর শিয়ারা একাধিক কিতাব রচনা করেছে, তার মধ্যে প্রসিদ্ধ কিতাব হচ্ছে শিয়া মুহাদ্দিস মির্জা হুসাইন নুরি তাবরাসি রচিত فصل الخطاب في إثبات تحريف كتاب ربّ الأرباب এ ছাড়া আরো অনেক গ্রন্থে তারা এ আকিদা প্রকাশ করেছে, যদিও তারা প্রকাশ্যে এ আকিদা অস্বীকার করে, কিন্তু আমরা তাদের কাউকে দেখিনি উক্ত কিতাব ও তার লেখক থেকে সতর্ক করেছেন। তারা এমন কোনো ফতোয়া প্রকাশ করেনি, যেখানে কুরআনে বিকৃতি বিশ্বাসকারীকে কাফের বলা হয়েছে, অথচ কুরআন তাদের নিকট ‘সিকলুল আকবার’। যদিও আলি ও তার পরবর্তী ইমামদের ইমামত অস্বীকারকারীকে তারা কাফির ও গোমরাহ বলে, বরং তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে সামান্য কুণ্ঠাবোধও করে না, অথচ ইমামগণ ‘সিকলুল আসগর’ বা ছোট সিকল। এটা কেমন বৈপরিত্ব!? বড় সিকলকে অস্বীকারকারী কাফির হয় না, কিন্তু ছোট সিকলকে অস্বীকারকারী কাফির হয়?!] তাদের দাবি: অসীগণ ব্যতীত কেউ বলতে পারে না আমার নিকট বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ সকল কুরআন রয়েছে। [উসুলুল কাফি, লিল কুলাইনি: (১/২৫৮)] তারা আরো বলে যে, জিবরীল মুহাম্মদের নিকট যে কুরআন নিয়ে এসেছেন, তার আয়াত সংখ্যা সতেরো হাজার। [দেখুন: উসুলুল কাফি লিল কুলাইনি: (২/৩৬৩)] তাদের প্রখ্যাত আলেম নিয়ামাতুল্লাহ জাযায়েরি বলেন, বর্ণিত আছে যে, ইমামগণ সালাত ও অন্যান্য ইবাদতে নিজ অনুসারীদের প্রচলিত কুরআন পড়া ও তার উপর আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন, যে পর্যন্ত আমাদের সাহেবুজ্জামান [[তাদের তথাকথিত পাহাড়ের গুহায় পলাতক ইমাম] সম্পাদক।] বের না হন। তিনি আসলে এ কুরআন মানুষের হাত থেকে আসমানে চলে যাবে এবং প্রকৃত কুরআন বের হবে, যা আমিরুল মোমেনিন লিখেছেন, অতঃপর তাই পড়া হবে এবং তার উপর আমল করা হবে। [দেখুন: الأنوار النعمانية (পৃ.২/৩৬৩) এসব বর্ণনাকে মজলিসি তার ‘মিরআতুল উকুল’ গ্রন্থে সহি বলেছেন।]
ইমামগণ নিষ্পাপ ও নেতৃত্বের হকদার:
রাফেযীরা তাদের দ্বাদশ ইমামকে নিষ্পাপ, নেতৃত্বের হকদার ও আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত দাবি করে। এ আকিদা যারা পোষণ করে না, তাদের নিকট তারা কাফের, বিশেষ করে প্রথম তিন খলিফা আবু বকর, ওমর ও উসমান রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুম। কারণ, তাদের বর্ণনা মতে তারা আলি ইবনে আবু তালিব থেকে খিলাফত ছিনিয়ে নিয়ে কাফের ও মুরতাদ হয়ে গেছে, (আল্লাহ তার উপর ও তার সকল সাহাবির উপর সন্তুষ্ট হোন।) তাদের দৃষ্টিতে আমল কবুলের পূর্বশর্ত আলি ইবনে আবি তালিবের খিলাফতে বিশ্বাস করা, অন্যথায় কোনো মুসলিমের আমল গ্রহণযোগ্য নয়, যে কেউ হোক। তাই শিয়া আলেম মাজলিসি স্বীয় কিতাব ‘বিহারুল আনওয়ার’ গ্রন্থে স্বতন্ত্র একটি অধ্যায় রচনা করেছেন: ‘বিলায়াত ব্যতীত আমল গ্রহণযোগ্য নয়’ শিরোনামে। [শিয়াদের মূল আটটি হাদিস গ্রন্থের এটা একটা গ্রন্থ।]
সাহাবি ও উম্মুল মোমেনিন সম্পর্কে তাদের আকিদা:
শিয়াদের বিশ্বাস আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার সবচেয়ে বড় উপায় তিন খলিফা আবু বকর, ওমর ও উসমানকে লানত করা। তারা আরো লানত করে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা ও হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে। [দেখুন নুরুল্লাহ মুরআশি রচিত ‘ইহকাকুল হক’: (১/৩৩৭)] উম্মুল মোমেনিন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে তারা জেনার অপবাদ দেয়। [দেখুন জয়নুদ্দিন আমেলি রচতি: الصراط المستقيم إلى مستحقي التقديم (৩/১৬৫)] তারা বলে হাফসা ও আয়েশা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। [দেখুন: নাজাহ তায়ি রচিত কিতাব: من قتل النبي ] তারা সাত অথবা দশজন সাহাবি ব্যতীত সবাইকে লানত করে ও কাফের বলে। তাদের বিশ্বাস নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর সব সাহাবি মুরতাদ হয়ে গেছে। [নাউযুবিল্লাহ]
অন্যান্য মুসলিমদের ব্যাপারে তাদের বিশ্বাস:
শিয়া রাফেযীরা ঢালাও ভাবে মুসলিমদের সকল জমাতকে কাফের বলে। শিয়া আলেম আব্দুল্লাহ শিব্র ‘হাক্কুল ইয়াকিন ফি মারেফাতি উসুলিদ্দিন’ কিতাবে এ মাসআলায় ইমামিয়াদের ঐকমত বর্ণনা করেছেন। শায়খ ‘মুফিদ’ বলেন: ইমামিয়ারা এ ব্যাপারে একমত যে, কোনো ইমামের ইমামত অথবা আল্লাহর ফরযকৃত তাদের আনুগত্য অস্বীকারকারী কাফের, গোমরাহ ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী। অপর জায়গায় তিনি বলেন: ইমামিয়ারা এ ব্যাপারে একমত যে, বিদআতিরা সবাই কাফের, আলি ইবনে আবি তালিব তাদের উপর বিজয়ী হবেন, তাদেরকে দাওয়াত দিবেন, তাদের সামনে প্রমাণ পেশ করবেন এবং তাদের থেকে তওবা তলব করবেন, যদি তারা তওবা করে সত্য গ্রহণ করে ভালো, অন্যথায় মুরতাদ হিসেবে তাদের সবাইকে তিনি হত্যা করবেন। এ অবস্থায় মৃত্যু বরণকারী জাহান্নামী। [দেখুন: حق اليقين في معرفة أصول الدين لعبدالله شبر (২/১৮৯)]
শিয়া আলেম ইউসুফ বাহরানি বলেন: হকপন্থীদের বিরোধীরা কাফের, অন্যান্য কাফেরদের ন্যায় তাদের হুকুম। [দেখুন: الشهاب الثاقب في بيان معنى الناصب (পৃ.৮৫)]
শিয়াদের অপর শায়খ মুহাম্মদ শিরাজি দ্বাদশ ইমামিয়া ব্যতীত সকল শিয়া দল-উপদলকে কাফের বলেছেন এবং খ্রিস্টানদের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন: দ্বাদশ ইমামিয়া ব্যতীত শিয়াদের সকল গ্রুপ কাফির, তার দলিল ‘মুফিদ’ ও ‘বাহরানি’ প্রমুখদের বাণী, যা প্রমাণ করে কোনো এক ইমামকে অস্বীকার করা আল্লাহ তিনজনের একজন বলা সমান। [দেখুন: মাওসুয়াতুল ফিকহ, লি মুহাম্মদ শিরাজি: (৪/২৬৯)] তাদের দৃষ্টিতে অন্যান্য মুসলিমরা কাফির। [দেখুন: ইউসুফ বাহরানি রচিত: ‘শিহাবুস সাকিব ফি বায়ানি মা’নান নাসিব’।] তাই হাসান নাসরুল্লাহ বলেছে: “ওহাবি আন্দোলনকে আমরা কখনো ইসলামি আন্দোলন কিংবা ইসলামের পুনঃজাগরণ মনে করি না”। [দেখুন: «الأمان» পত্রিকা: সংখ্যা (১৪৯), তারিখ: ৩১/০০/১৯৯৫ই. এভাবে সে বিভিন্ন বক্তৃতায় সকল মুসলিমকে কাফির বলে, যার একটা নমুনা এখানে পেশ করেছি।]
শিয়ারা ‘তাকইয়া’ আকিদায় বিশ্বাসী। [দেখুন: «الأدلة الجلية على جواز التقية» জাওয়াদ কাজবিনী রচিত।] তারা আরো বিশ্বাস করে যে, পুনর্জন্ম সত্য, অর্থাৎ কিয়ামতের পূর্বে মৃতরা দুনিয়ায় ফিরে আসে। [দেখুন: হুর আমেলি রচিত: «الإيقاظ من الهجعة بالبرهان على الرجعة» (পৃ.৬৪)]
হিযবুল্লাহ একটি শিয়া সংগঠন, যার একমাত্র লক্ষ্য খোমেনি বিপ্লব ও তার দর্শন ‘বিলায়াতুল ফকিহ’-কে সম্প্রসারিত করা। মুসলিম বিশ্বে এ থিউরি প্রচার করাই তার একমাত্র পণ। তাই সে রসালো বক্তব্য ও চাকচিক্যপূর্ণ বাণী দ্বারা সরলমনা মুসলিমদের শিকার করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/9
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।