hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

৪৫
কে এই হাসান নাসরুল্লাহ?
হাসান নাসরুল্লাহ ২১ আগস্ট, ১৯৬০ই. সালে লেবাননে জন্ম গ্রহণ করেন। অতঃপর শিয়া জাফরি ধর্ম শেখার জন্য ইরাকের ‘নাজাফ’ সফর করেন। ১৯৮২ই. সালে লেবাননের বেক্কা প্রদেশে ‘হরকতে আমালে’র রাজনৈতিক দায়িত্বশীল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচন করা হয় তাকে। অতঃপর অল্প দিনের মাথায় ‘হরকতে আমাল’ থেকে পৃথক হয়ে ১৯৮৫ই. সালে হিযবুল্লাহয় যোগদান করেন ও বৈরুতে তার দায়িত্বশীল নির্বাচিত হন। অতঃপর ১৯৮৭ই. সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সামরিক শাখার নির্বাহী নির্বাচিত হন। অতঃপর ১৯৯২ই. সালে হিযবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস মুসাভিকে অপহরণ করা হলে তিনি পরিপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অতঃপর ১৯৯৩ই. ও ১৯৯৫ই. সালে দু’বার তাকে পুনঃনির্বাচিত করা হয়। [দেখুন: مجلة الشاهد السياسي এর সাথে এক সাক্ষাতকারে তিনি নিজে এ জীবনী উল্লেখ করেছে, সংখ্যা: (১৪৭), তারিখ: ৩/১/১৯৯৯ই.]

হাসান নাসরুল্লাহর সংক্ষিপ্ত জীবনী থেকে আমাদের সামনে কয়েকটি জিনিস স্পষ্ট হয়, সে শিয়া, রাফেযী ও আহলে সুন্নাহর বিদ্বেষ লালনকারী। তার ধর্ম হচ্ছে জাফরি দ্বাদশ ইমামিয়াহ, ইরানে যে ধর্মের প্রাধান্য রয়েছে। সে তার পক্ষাবলম্বন করে ও তার দিকেই দাওয়াত দেয়। তাই তাকে আরবের খোমেনি বলা হয়। কারণ সে আরবের ভূমিতে রাফেযী রাষ্ট্র কায়েম করার স্বপ্ন দেখে, যেরূপ খোমেনি ইরানে কায়েম করেছে। জাবালে লুবনানের সুন্নী মুফতি বলেন: “হিযবুল্লাহ হচ্ছে আরব রাষ্ট্রে প্রবেশ করার ইরানি রাস্তা”।

আমরা যদি জাফরি দ্বাদশ ইমামিয়া মতবাদ সম্পর্কে না জানি, তাহলে তার সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান অসম্পূর্ণ থাকবে, কারণ এটাই হাসান নাসরুল্লাহর দীন, যার প্রচার ও দাওয়াতের জন্য সে জিহাদ করে।

এ মতবাদের ভিত্তি হচ্ছে শির্ক ও কুফরির উপর, যারা তাদের কিতাব ও হাদিস সম্পর্কে জানে, তাদের নিকট এসব স্পষ্ট। অনুরূপ তাদের ওয়েবসাইট এবং হুসাইনি জশনে-জুলুস ও বাৎসরিক প্রোগ্রামগুলো দেখলে তাদের ব্যাপারে সহজেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তাদের কতক আকিদা ও হাসান নাসরুল্লাহর বিশ্বাস নিম্নে পেশ করছি:

১. জাফরি শিয়া দ্বাদশ ইমামিয়াদের বিশ্বাস তাদের ইমামগণ মাসুম ও নিষ্পাপ। ইমামদের ব্যাপারে তারা বাড়াবাড়ি করে, আল্লাহ ব্যতীত তাদের ইবাদতও করে। হজের নিয়তে তারা ইমামদের কবরে যায়, তওয়াফ করে ও তাদের নিকট ফরিয়াদ তলব করে। তাদের বিশ্বাস ইমামগণ গায়েব জানেন এবং পৃথিবীর প্রতিটি অণু তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। [দেখুন: ইমাম খোমেনি রচিত «الحكومة الإسلامية» গ্রন্থ।]

২. তারা বিশ্বাস করে, কুরআনে বিকৃতি ঘটেছে, কুরআন অসম্পূর্ণ, প্রকৃত কুরআন তাদের অদৃশ্য ইমাম মাহদির নিকট আছে। তিনি যখন আসবেন, কুরআনও তখন আসবে। বর্তমান তারা আহলে সুন্নাহর কুরআন তিলাওয়াত করছে, তাদের আলেমদের নির্দেশ তারা এটাই তিলাওয়াত করতে থাকবে, যতক্ষণ না তাদের কুরআন বের হয়।

কেউ হয়তো বলতে পারেন: কুরআনে বিকৃতি ঘটেছে, এ কথা তারা স্বীকার করে না। আমরা বলি: এ আকিদা তাদের মৌলিক কিতাবে বিদ্যমান, যেমন কুলাইনি রচিত “আল-কাফি” এবং তাবরাসি রচিত “ফাসলুল খিতাব”। কুলাইনি ও তাবরাসি তাদের ইমাম। যদি তারা কুরআনে বিকৃতির আকিদা অস্বীকার করে, তাহলে তাদের সাথে তারা সম্পর্ক ছিন্ন করুক, যারা বলে কুরআনে বিকৃতি রয়েছে, যেমন এ দু’টি কিতাবের লেখকসহ অন্যান্য শিয়া আলেম। তাদেরকে তারা কাফের বলুক, কিন্তু এটা তারা কখনো বলেনি, বলবেও না!

তারা সাহাবিদেরকে গালমন্দ করে ও কাফের বলে, বিশেষ করে আবু বকর, ওমর ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীগণ, তাদের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা যিনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সবচেয়ে বেশী প্রিয়। তারা তাকে কাফের বলে ও তাকে অশ্লীলতার অপবাদ দেয়। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন, তারা কিভাবে এতো মিথ্যা রচনা করে!

৪. তাদের পুরাতন ও নতুন ইতিহাস সাক্ষী তারা ইয়াহূদী, খ্রিস্টানদের পক্ষ নেয়, মুসলিমদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করে। মুসলিম দেশে হামলার জন্য তারা যুগে যুগে কাফেরদেরকে উদ্বুদ্ধ করেছে ও তাদেরকে পথ দেখিয়েছে। আব্বাসি খিলাফতের যুগে বাগদাদে হামলার জন্যে শিয়াদের গুরু ইবনে আলকামি তাতারিদের সাথে যোগাযোগ করেছে ও তাদেরকে আক্রমণ করার জন্য প্ররোচিত করেছে। অনুরূপ বর্তমান যুগে ইরাক ও আফগানিস্তান দখল ও তাতে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে আমেরিকান সৈন্যদের সাথে তারা যা করেছে, তাও কোনো সচেতন লোকের নিকট অস্পষ্ট থাকার বিষয় নয়। তারা এখনো আমেরিকার পক্ষে গোয়েন্দাগিরি করে, তাদের নিরাপত্তা দেয় ও তাদের সাথে নিয়ে আহলে-সুন্নাহকে হত্যা ও গুম করে।

তাদের এ সকল কর্মকাণ্ড এখন আর গোপন নয়, পূর্বে যেরূপ গোপন ছিল। এখন তাদের নিজেদের স্বীকৃতিতে তারা লাঞ্ছিত হচ্ছে, অথবা তাদের গোপন চুক্তিগুলো ফাঁস হওয়ার কারণে, কারণ এতে তাদের তাকিয়্যাহ ও মিথ্যা প্রকাশ পেয়ে যাচ্ছে। দ্বাদশ ইমামিয়া শিয়া রাফেযীদের এসব ঘটনা এখন স্পষ্ট, তাদের সাথেই সম্পৃক্ত হাসান নাসরুল্লাহ ও তার লাঞ্ছিত দল। অতএব এ ব্যক্তি ও তার দলের শ্লোগানে ধোঁকা খাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। কখনো সে মুসলিম উম্মার পক্ষে প্রতিরোধ করে না, কখনো সে মুসলিম উম্মার স্বার্থে ইয়াহূদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে না, সে কখনো ইয়াহূদী রাষ্ট্রের জন্য হুমকি নয়, সে কখনো আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে না।

এ ব্যক্তি এসব শির্কি আকিদাসহ যদি সুযোগ পায় –আল্লাহ তাকে সে সুযোগ না দিন- সে অবশ্যই রাফেযী ও শিয়া রাষ্ট্র কায়েম করবে, যার ভিত্তি হবে বড় শির্ক, সাহাবিদের গালমন্দ করা, আহলে-সুন্নাহকে কাফের বলা, তাদের ধ্বংস ও নির্মূল করা, বর্তমান ইরাকে যেরূপ হচ্ছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন:

كَيۡفَ وَإِن يَظۡهَرُواْ عَلَيۡكُمۡ لَا يَرۡقُبُواْ فِيكُمۡ إِلّٗا وَلَا ذِمَّةٗۚ يُرۡضُونَكُم بِأَفۡوَٰهِهِمۡ وَتَأۡبَىٰ قُلُوبُهُمۡ وَأَكۡثَرُهُمۡ فَٰسِقُونَ ٨ [ التوبة : 8].

“কীভাবে থাকবে (মুশরিকদের জন্য অঙ্গীকার)? অথচ তারা যদি তোমাদের উপর জয়ী হয়, তাহলে তারা তোমাদের আত্মীয়তা ও অঙ্গীকারের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখে না, তারা তাদের মুখের (কথা) দ্বারা তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করে, কিন্তু তাদের অন্তর তা অস্বীকার করে। আর তাদের অধিকাংশ ফাসিক”। [সূরা তাওবাহ: (৮)]

এদত সত্যেও মুসলিমদের অনেক সন্তান আছে, যারা তাদেরকে বিশ্বাস করে, তাদের শরণাপন্ন হয় এবং তাদের বিজয়ের কামনা করে!..

আমরা কখন আমাদের অবচেতনা থেকে হুশিয়ার হব? কখন আমরা সম্পর্ক রাখা ও না-রাখা এবং মহব্বত ও বিদ্বেষের ভিত্তি কুরআনকে বানাবো?! কখন আমরা আবেগী শ্লোগান, মিথ্যা প্রোপাগান্ডা, অপপ্রচার ও অসত্য থেকে মুক্ত হবো?!..

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন