hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

৩৬
ইরাকে ক্রুসেডার খ্রিস্টানদের যুদ্ধের সময় হিযবুল্লাহ ও তার অনুসারী ইমামিয়া শিয়ারা কোথায় ছিল?
ড্যানিয়েল সোপলম্যান বলেন: “হিযবুল্লাহ আমেরিকান হামলা ও সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান শুধু গোপন করেনি, বরং একেবারে খামোশ ছিল। সর্বপ্রথম তখন মুখ খোলে, যখন হিযবুল্লাহ বলে যে, আমেরিকান সৈন্যদের মোকাবিলার জন্য ইরাকে আমরা কোনো সাহায্য প্রেরণ করিনি। পরবর্তীতে যখন বাগদাদ থেকে ঘোষণা করা হল যে, ইরাক ও সিরিয়ার বর্ডার থেকে হিযবুল্লাহর ছয়জন সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে, তখন হিযবুল্লাহ সাথে সাথে তার প্রতিবাদ করে বলে, তারা হিযবুল্লাহর সদস্য নয়”। [দেখুন: «قواعد جديدة للعبة : إسرائيل وحزب الله بعد الانسحاب من لبنان» সর্বশেষ পৃষ্ঠায়।]

শিয়াদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আয়াতুল্লাহ উজমা আলি সিসতানির নাজাফের বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, তারা আমেরিকান সৈন্যদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে [সুন্নিদের] চলতি লড়াই প্রতিহত করবে। [দেখুন: صحيفة الوطن الكويتية তারিখ: (২৯/৮/২০০৪ই.] ‘আল-ওয়াতন আল-কুয়েতিয়াহ’ পত্রিকা বলেছে, লেবাননি হিযবুল্লাহ ইরাকে কয়েকটি ক্যাম্প করেছে। সেখানে তারা ৯০-জন সদস্য প্রেরণ করেছে, যারা সিরিয়ার বর্ডার দিয়ে ইরাকে প্রবেশ করবে। [দেখুন : جريدة الوطن الكويتية তারিখ: ২৯/১১/২০০৩ই.] তাদের উদ্দেশ্য যুদ্ধের রসদ সরবরাহ করা এবং শিয়া মতবাদের প্রভাব বিস্তার, বিভিন্ন এলাকায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করা ও সুন্নিদের অস্তিত্ব নিঃশেষ করার লক্ষ্যে শিয়া মিলিশিয়া যেমন ফিলাক বদর ও জায়শে মাহদি ইত্যাদি সংস্থায় সংবাদ আদান-প্রদান করা। [আমরা অনেক শুনি ও দেখি যে, লেবাননের শিয়ারা আমেরিকা ও ইসরাইলকে গালমন্দ করে। আবার আমরা এও দেখি যে, খ্রিস্টান দখলদার আমেরিকা ও শিয়াদের আলেমদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আরো দেখছি যে, শিয়া জনসাধারণ কিভাবে দখলদার আমেরিকার জন্য সেবক ও খাদেম বনে গেল।]

২০০৬ই. সালের অক্টোবর মাসে লেবাননি হিযবুল্লাহর দাওয়াতের প্রেক্ষিতে ৩৫-জন ‘জায়শে মাহদি ইরাকী’র সদস্য লেবাননে যায়, উদ্দেশ্য সামরিক সহযোগিতা ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ হাসিল করা; অতঃপর হিযবুল্লাহ তাদেরকে আহলে সুন্নাহদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি পূর্ণ পরিকল্পনা পেশ করে, কারণ তারা (এ সুন্নিরা) ‘শিয়া হিলাল’ বা ‘নয়া চাঁদের মত’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিরোধিতা করছে! [দেখুন: موقع مفكرة الإسلام الإخباري শাউয়াল, ১৪২৭ইহ. মোতাবেক: ২৫ অক্টোবর, ২০০৬ই.]

লেখক বলেন: হে আমার মুসলিম ভাই, দেখুন আমেরিকার বিরুদ্ধে পরিচালিত [সুন্নিদের] যুদ্ধ কিভাবে তারা প্রতিহত করে, অথচ আমেরিকা কাফের, একটি মুসলিম দেশের দখলদার!!

আমাদের প্রশ্ন: লেবাননের স্বার্থে যোদ্ধারা [হিযবুল্লাহ] জান্নাতে যাবে, আর ইরাকের স্বার্থে যোদ্ধারা [সুন্নিরা] জাহান্নামে যাবে?

ইরাক ও লেবানন কি দু’টি মুসলিম দেশ নয়?

কারণ কি এটাই যে, লেবানন রক্ষার যুদ্ধের সাথে ইরান ও সিরিয়ান স্বার্থ জড়িত, কিন্তু ইরাক রক্ষার যুদ্ধে সাথে তাদের সেই স্বার্থ নেই! এ জন্য হিযবুল্লাহ লেবাননের পক্ষে ও ইরাকের বিপক্ষে যুদ্ধ করে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন