hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

২৪
হিযবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে গোপন চুক্তি
ইসরাইলের গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন: “ইসরাইল ও লেবাননি শিয়াদের মাঝে নিরাপত্তাপূর্ণ অঞ্চলের কোনো শর্ত নেই। তাই ইসরাইল শিয়াদের স্বার্থের প্রতি যত্নশীল, সেখানে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি, যারা মূলত হামাস বা জিহাদ এর সদস্য, তাদের অস্তিত্ব নিঃশেষ করা বিষয়ে হিযবুল্লাহর সাথে ইসরাইলের এক ধরণে চুক্তি হয়ে গেছে”। [দেখুন: معاريف اليهودية তারিখ: ৮/৯/১৯৯৭ই.]

এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, লেবাননি হিযবুল্লাহ ও ইসরাইলের মাঝে গোপন চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, যা স্বীকার করেছে হিযবুল্লাহর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল সুবহি তুফাইলি [সুবহি তুফাইলি হিযবুল্লাহর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিল, যখন সে দেখল যে, হিযবুল্লাহ প্রতিরোধ ত্যাগ করে সিরিয়ান ও ইরানি স্বার্থের শুধু সেবক হয়নি, বরং ইসরাইলি উত্তর প্রান্তের সীমানার নিরাপত্তা প্রহরীও বনে গেছে, আর কোনো মুজাহিদ ইসরাইলে হামলা করার চেষ্টা করলে তাকে তারা বাঁধা দেয় ও গ্রেফতার করে। তখন তিনি হিযবুল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে যান।], তিনি বলেন: “নিশ্চয় হিযবুল্লাহ ইসরাইলের বর্ডার পাহারাদার”। [দেখুন: الشرق الأوسط তারিখ: ২৯-রজব ১৪২৪হি. মোতাবেক: ২৫/ ৯/ ২০০৩ই. সংখ্যা: (৯০৬৭), আরো দেখুন: new tv পরিচালিত «بلارقيب» প্রোগ্রাম, ২০০৩ই. সালের শেষের দিকে।]

সুবহি তুফাইলি আরো বলেন: “নব্বইয়ে দশকে ইরানের রাজনৈতিক ময়দানে ব্যাপক পরিবর্তন আরম্ভ হয়, প্রথমবার হয় জুলাই ১৯৯৩ই. সালে, অতঃপর হয় এপ্রিল ১৯৯৬ই. সালে। তখন ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয় যে, ইয়াহূদীরা ফিলিস্তিনে নির্বিঘ্নে বাস করতে পারবে। তখন থেকে ইয়াহূদীরা লেবাননে অবস্থিত তাদের সৈন্যবাহিনী প্রত্যাহার করা আরম্ভ করে, কারণ এ সমঝোতায় সিদ্ধান্ত হয় যে ফিলিস্তিনি জিহাদি গ্রুপগুলো নিঃশেষ করা হবে, আর হিযবুল্লাহ লেবাননের সীমান্তে অবস্থান করবে।

অতঃপর তিনি বলেন: আমি বলতে চাই যে, এপ্রিলের সমঝোতার ভিত্তিতে (ইসলামি) প্রতিরোধ আন্দোলন (হিযবুল্লাহ) মূলত সীমান্ত প্রহরী বনে গেছে। [দেখুন: new tv পরিচালিত «بلا رقيب» প্রোগ্রামে তার সাক্ষাতকার, যা ২০০৩ই. সালের শেষের দিকে সম্প্রচার করা হয়েছে।]

তাই ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে শিয়াদের স্বার্থ সুরক্ষার জিম্মাদার, যেন তারা ইসরাইলের উপর আক্রমণকারীদের [সুন্নিদের] প্রতিরোধ করে ইসরাইলের উত্তর সীমান্তকে হিফাজত করে।

২৩/৫/১৯৮৫ই. তারিখে ‘জেরুজালেম পোস্ট’ পত্রিকায় এসেছে: দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলের স্বার্থ ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না, যা হিযবুল্লাহ ও ইসরাইলের উপর নির্ভরশীল। অত্র এলাকাকে অবশ্যই ইসরাইল বিরোধী যে কোনো আশঙ্কা থেকে মুক্ত করা জরুরি... এখন সময় এসেছে, ‘আমাল’ সংগঠনের উপর এ দায়িত্ব ন্যস্ত করার এটাই ইসরাইলের মোক্ষম সময়। [দেখুন: أمل والمخيّمات الفلسطينية» (পৃ.১৬২)]

এ কথার স্বীকৃতি স্বরূপ তাওফিক মাদিনি বলেন: “আমাল সংগঠন’ দায়িত্বে নিয়েছে যে, দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে যারা ইসরাইলে সশস্ত্র হামলার জন্য অগ্রসর হবে, কিংবা ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনের উত্তর সীমান্তে স্থাপিত ইসরাইলি কলোনীতে হামলা করবে, তাদেরকে তারা (শিয়ারা) প্রতিরোধ করবে”। [দেখুন: «أمل وحزب الله في حلبة المجابهات» (পৃ.৮৩)]

এ বিষয়টি হিযবুল্লাহর সাবেক আমির সুবহি তুফাইলিও স্বীকার করেছেন, যেমন তিনি বলেন: “হিযবুল্লাহ ইসরাইলি সীমান্তের প্রহরী বনে গেছে। এ কথার সত্যতা যে যাচাই করতে চায়, সে যেন অস্ত্র হাতে সীমান্তের দিকে অগ্রসর হয় এবং ইয়াহূদী শত্রুদের বিপক্ষে দাঁড়ায়, তাহলে অবশ্যই দেখা যাবে যে, হিযবুল্লাহ কিভাবে সশস্ত্র যোদ্ধাদের প্রতিহত করে!

কারণ, যারা সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, তারা এখন জেলেখানায় বন্দি। হিযবুল্লাহ যোদ্ধারা তাদেরকে বন্দি করেছে”। [দেখুন: new tv পরিচালিত «بلا رقيب» প্রোগ্রামে তার সাক্ষাতকার, যা ২০০৩ই. সালের শেষের দিকে সম্প্রচার করা হয়।]

“হিযবুল্লাহর উপর ইসরাইলের হামলা না করার কারণ তার শক্তি ও সামরিক বল নয়, তার পশ্চাতে মূল কারণ হচ্ছে হিযবুল্লাহ যদি দক্ষিণ লেবানন থেকে সরে যায়, তাহলে তার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হবে সুন্নিরা, যা ইসরাইল কখনো চায় না। ইসরাইল-হিযবুল্লাহ সম্পর্কের সুন্দর ব্যাখ্যা: “ইসরাইলের স্বার্থ হচ্ছে হিযবুল্লাহর টিকে থাকা এবং হিযবুল্লাহর স্বার্থ হচ্ছে ইসরাইলের টিকে থাকা”।

[তবে, এ কথাও ঠিক যে, হিযবুল্লাহ একটি সুগঠিত দল এবং তার সাথে মাঝে-সাজে ইসরাইলের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। যা সাধারণত যে কোনো দু’টি ক্ষমতাধর কাছাকাছি থাকলে ঘটেই থাকে।]

সুতরা শিয়াদের কর্মকাণ্ড, যদিও কোনো কোনো সময় ইয়াহূদী-আমেরিকান স্বার্থের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়, তবুও এটি একটি মজবুত সুশৃংখল প্রজেক্ট; যা উভয়ের মধ্যে সহযোগিতা কিংবা সমঝোতাকে অস্বীকার করে না। বরং কখনও কখনও তা সহেযাগিতার প্রতিই বেশি ধাবিত হতে দেখা যায়। যেমনটি ইরান কর্তৃক ঘটেছে ইরাক ও আফগানিস্তানের ব্যাপারে (শিয়ারা সেখানে) আমেরিকাকে সাহায্য করেছে। অনুরূপ দক্ষিণ লেবানন থেকে সুন্নী মুজাহিদদের হটাতে ইসরাইলকে সাহায্য করেছে হিযবুল্লাহ।

তবে এটি সবচেয়ে সত্য যে, সুন্নিদের কর্মকাণ্ড আমেরিকা-ইসরাইলের জন্য অসহ্যকর, তাই সেখানে তাদের সাথে সহযোগিতা বা সমঝোতা অথবা দরকষাকষির বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। তার উদাহরণ অনেক, প্রথম উদাহরণ আফগানিস্তানের তালেবান এবং শেষ উদাহরণ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাগণ, তাদের উভয়ের মাঝে তৃতীয় উদাহরণ হল ইরাকে আমেরিকার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারী সুন্নিরা। আমেরিকা ও ইসরাইল তাদেরকে বরদাশত করতে প্রস্তুত নয়, কারণ সুন্নিরা নাকে খত দিয়ে কোনো বিষয় মেনে নিতে রাজি নয়, তাই শিয়ারা ইরাক, আফগানিস্তান ও ইসরাইল যেখানে সুযোগ পেয়েছে আমেরিকা ও ইসরাইলের হয়ে সুন্নিদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। [দেখুন: مفكرة الإسلام ওয়েব সাইটে ‘ওলিদ নুর’ এর الوعد الصادق ينتهي بوهمٍ كاذب প্রবন্ধ, তারিখ: ১৭/৮/২০০৬ই. আরো দেখুন: রাবি‘ আল-হাফেয এর حزب الله والمساحات الخالية প্রবন্ধ: مفكرة الإسلام ওয়েব সাইটে, তারিখ: ২৬/৮/২০০৬ই.]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন