মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ইরান হিযবুল্লাহর ধমনী, সঞ্জীবনী শক্তি ও মূল কেন্দ্র। ইরান থেকে হিযবুল্লাহ পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা লাভ করে। আর “ইরান ও লেবাননে তার শক্তিসমূহের সাথে এ যোগাযোগের মূলসূত্র হচ্ছে, হাসান নাসরুল্লাহ। [দেখুন: তাওফিক মাদানি রচিত أمل وحزب الله في حلبة المجابهات (পৃ.১৩৯)]”
৫/৩/১৯৮৭ই. সালের এক সভায় হিযবুল্লাহর মুখপাত্র ইবরাহিম আমিন বলেন: “আমরা বলি না যে, আমরা ইরানের একটি অংশ, বরং আমরা ইরানে লেবানন এবং লেবাননে ইরান”। [দেখুন: جريدة النهار ৫/৩/১৯৮৭ই.] হিযবুল্লাহর সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহ বলেন: “আমরা ইরানকেই এমন এক রাষ্ট্র দেখি, যে ইসলাম দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে এবং মুসলিম ও আরবদের সাহায্য করে। ইরানের সাথে আমাদের সম্পর্ক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক। ইরানের নেতৃবৃন্দের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব, আমরা তাদের সাথে সম্পর্ক রাখি। অনুরূপ সেখানকার ধর্মীয় কেন্দ্রসমূহ আমাদের যোদ্ধাদের দীনি ও শরয়ী সকল প্রয়োজন পূরণ করে”। [দেখুন: المقاوم ম্যাগাজিন (পৃ.১৫-১৬), সংখ্যা: (২৭) حزب الله رؤية مغايرة কিাতব থেকে সংগৃহীত (পৃ.৩২)]
ইমাম মাহদি মসজিদের ইমাম শায়খ হাসান তিরাদ বলেন: “নিশ্চয় ইরান ও লেবানন এক জাতি ও এক দেশ। আমাদের কোনো আলেম বলেছেন: “নিশ্চয় আমরা যেরূপ ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠনকে সাহায্য করব, অনুরূপ সাহায্য করব লেবাননকে”। [দেখুন: جريدة النهار اللبنانية (১১/১২/১৯৮৬ই.]
ইবরাহিম আমিন বলেন: “আমরা ইমামের অবর্তমানে বাস করছি, এ যুগে ইমামের নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি হচ্ছে ন্যায়পরায়ণ ফকিহদের নেতৃত্ব।”
“এ হচ্ছে হিযবুল্লাহর বৈশিষ্ট্য, তারা লেবাননি জনগণকে ন্যায়পরায়ণ ‘ফকিহ’র সাথে সম্পৃক্ত করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে হিযবুল্লাহ ন্যায়পরায়ণ ‘ফকিহ’র নির্দেশের ভিত্তিতে স্বীয় আন্দোলন ও সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে”। [দেখুন : الحركات الإسلامية في لبنان (১৪৬-১৪৭)]
‘হিযবুল্লাহ লেবানন’-এর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল নু‘আইম কাসেম বলেন: “হিযবুল্লাহ ও ইরানের মধ্যকার সম্পর্ক হিযবুল্লাহই তৈরি করেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ইরানি বিপ্লব [খোমেনির নেতৃত্বে ইরানে বিলায়াতুল ফকিহর আদলে ঘটিত বিপ্লব।] থেকে উপকৃত হওয়া ও ইসরাইলি দখলদারিত্বের মোকাবেলায় তার সাহায্য হাসিলের উদ্দেশ্যে। এ সম্পর্ক খুব দ্রুত উন্নত হয় এবং প্রথম ধাপেই তার ফলাফল ভোগ করেছি, কয়েকটি কারণে:
১. হিযবুল্লাহ ও ইরান উভয় বিলায়াতুল ‘ফকিহ’র আদর্শে বিশ্বাসী এবং খোমেনি হচ্ছে তাদের নেতা। অতএব তারা উভয় বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় এক নেতার নেতৃত্বে বিশ্বাসী।
২. ইরান রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র গ্রহণ করেছে, তার মৌলিক বিষয়ের সাথে হিযবুল্লাহ একমত, তবে এলাকার ভিন্নতার কারণে আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে।
৩. উভয়ের রাজনৈতিক আদর্শে মিল, কারণ ইরানের মূল উদ্দেশ্য উপনিবেশকে ত্যাগ করে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করা, স্বাধীনতা আন্দোলনকারী সংগঠনসমূহকে অর্থ সাহায্য প্রদান করা এবং ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিপরীত প্রতিরোধ গড়ে তোলা। হুবহু এসব আকিদাই পোষণ করে হিযবুল্লাহ, তার প্রথম লক্ষ্য ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও তার আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
ইরান যেরূপ ইসলাম বাস্তবায়নে জীবন্ত অভিজ্ঞতার অধিকারী[!!], যা বাস্তবায়ন করার স্বপ্ন দেখে প্রত্যেক দ্বীনদার মুসলিম... অনুরূপ হিযবুল্লাহ আধিপত্য রোধে বিরাট অভিজ্ঞতার মালিক, সে ইরান ও তার জনগণের সন্তুষ্টি অর্জন সক্ষম হয়েছে...
যখন হিযবুল্লাহ দক্ষিণ লেবানন ও পূর্ব বেক্কা নগরী ইরানের সাহায্যে মুক্ত করে, তখন সে তার উদ্দেশ্য হাসিল করে, যার ঘোষণা সে দিয়েছিল এবং যার জন্য সে ত্যাগ স্বীকার করেছে। অনুরূপ ইরানও আধিপত্যবাদ প্রতিরোধ ও মুজাহিদদের সাহায্য করে সফল অর্জন করেছে। এটা হিযবুল্লাহর অর্জন, লেবাননের অর্জন এবং ইরানের অর্জন”।
এখানে আমরা ইরানের মুখোশ উন্মোচন করতে চাই, ইয়াহূদীদের সাথে তাদের শত্রুতার দাবী মূলত প্রতারণা, ইসরাইলি রাষ্ট্রের উপর হামলার হুমকি মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার নামান্তর, দেখুন ইয়াহূদী সাংবাদিক ‘ইউসি মালিমান’ কি বলে:
“এটা কোনোভাবে সম্ভব নয় যে, ইসরাইল ইরানের পারমানবিক স্থাপনাসমূহে হামলা করবে, উপরস্থ একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছে যে, ইরান যদিও কথার মাধ্যমে ইসরাইলের উপর হামলা করে, যা থেকে তার সাথে ইরানের শত্রুতা বুঝা যায়, প্রকৃতপক্ষে ইরানি পারমানবিক বোমাগুলো আরব রাষ্ট্রসমূহের দিকে তাক করা”। [দেখুন: جريدة الأنباء সংখ্যা: (৭৯৩১) لوس أنجلس تايمز থেকে সংগৃহীত।]
উল্লেখিত ইয়াহূদীর কথার সত্যতা ড. গাসসানের মন্তব্য থেকেও হয়, তিনি বলেন: হিযবুল্লাহর প্রয়োজন স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দর্শন ও চিন্তামূলক স্পষ্ট উদ্দেশ্য, যা হবে ইরানি দৃষ্টি কোন্ থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এবং এরাবিক ও ইসলামিক বৈশিষ্ট্যের ধারক। হিযবুল্লাহর আরো প্রয়োজন রাজনৈতিক ঐতিহ্যগত অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে থাকবে ইতিহাস ও দেশীয় কালচার। তার আরো প্রয়োজন একটি স্পষ্ট সংগঠন, যার মধ্যে থাকবে প্রচলিত সবধরনের অস্ত্র, যেন সে যাবতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম হয়। [দেখুন: ড. গাসসান রচিত: حزب الله من الحلم الإيديولوجي إلى الواقعية السياسية (পৃ.৯)]
হিযবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ইরান তাতে সর্বাত্মকভাবে অংশ গ্রহণ করে। ‘আমাল’ সংগঠনের সাবেক পরিচালক ও হিযবুল্লাহর প্রতিষ্ঠাতা সায়্যেদ হুসাইন মুসাভি বলেন: ‘আমাল’ সংগঠনের বর্তমান প্রধানের ‘লেবানন উদ্ধার আন্দোলনে’ যোগ দেওয়া ইসলাম সমর্থিত নয়। তিনি বলেন: ইসলামি ও অনৈসলামি বলার অধিকার মূলত ইরানের, কারণ ইসলামি বিপ্লব ঠিক করবে কোনটি ইসলামি ও কোনটি ইসলামি নয়। ‘আমাল’ সংগঠনের ১৯৮২ই. সালের মার্চে অনুষ্ঠিত ৪-র্থ সম্মেলনে আমরা সবাই এ শপথ গ্রহণ করেছি যে, আমরা ইসলামি বিপ্লব ইরানের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ”। [দেখুন: ( الحركات الإسلامية في لبنان ) তারিখ: ১৯৮৪ই. (পৃ.২২২ ও ২২২)]
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ১৮/৩/১৯৯৬ই. সালে جريدة الوسط ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে হাসান নাসরুল্লাহ সত্যের অপলাপ করেছেন। তিনি তাতে বলেন: “হিযবুল্লাহর ভিত্তি লেবাননি, তার সিদ্ধান্ত লেবাননি এবং তার ইচ্ছাও লেবাননি। ইরান বা সিরিয়ান সমর্থন বা সাহায্য এসেছে পরবর্তীতে”।
হিযবুল্লাহ ইরানের সন্তান, এ কথার সত্যতা হিযবুল্লাহর সাবেক প্রধান ‘সুবহি তুফাইলি’র সাক্ষাতকার থেকেও প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন: “আমি ইরানি প্রজাতন্ত্র দেখতে গিয়েছিলাম, তখন লেবাননে একটি প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে ঐকমত্য হই। তারপর থেকে হিযবুল্লাহ তার কার্যক্রম আরম্ভ করে, হাজার হাজার ইরানি এসে তাকে অনুদান দেয় ও তার সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে”। [দেখুন: ২৩/৭/২০০৩ই. সালে আল-জাযীরা টেলিভিশনে দেওয়া তার সাক্ষাতকার।]
ইরান হিযবুল্লাহ প্রতিষ্ঠায় সরাসরি অংশ গ্রহণ করে, তাদেরকে প্রশিক্ষণ দান ও অর্থ সাহায্যের জন্যে নিজস্ব বিপ্লবী গার্ডকে লেবাননে প্রেরণ করে। লেবাননে আগত ইরানি বিপ্লবী গার্ডের সংখ্যা ২০০০-সদস্য। ইরানের বিপ্লবী গার্ড লেবাননে এসে আরো কিছু কাজ করে, যেমন লেবাননের বেক্কা প্রদেশ ও হিযবুল্লাহর কর্তৃত্বাধীন অঞ্চলে শিয়া আকিদা প্রচার করে, হাসপাতাল, বিদ্যালয় ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থা প্রতিষ্ঠা করে। [দেখুন: كينيث كاتزمان রচিত الحرس الثوري الإيراني (পৃ.১৩৯ ও ১৯২)]
তাছাড়া তেহরানে হিযবুল্লাহর একটি বিশেষ অফিস রয়েছে, সেখান থেকে প্রচারপত্র ও বিভিন্ন বই-পুস্তক প্রকাশ করা হয়, তাতে হিযবুল্লাহর পরিচয়, তার কর্ম ও বৈশিষ্ট্যসমূহের উল্লেখ থাকে। অনুরূপ ইরান থেকে যেসব সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ বের হয়, সেগুলো লেবাননে পৌঁছানোর দায়িত্বও সে অফিসের। [দেখুন: মাসউদ আসাদ ইলাহি রচিত الإسلاميون في مجتمع تعددي (পৃ.৩৬)]
হিযবুল্লাহ তাদের গ্রন্থসমূহে স্বীকৃতি দিয়ে লিখে থাকে যে, “কেন্দ্রীয় ফকিহ [ইরানি ধর্মীয় সর্বোচ্চ নেতা] একমাত্র যুদ্ধের সিদ্ধান্ত কিংবা আপোষ করার ক্ষমতা রাখে”। [দেখুন: হিযবুল্লাহর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রচিত حزب الله (পৃ.৭২)]
কেননা স্থানীয় ফকিহর এমন কর্তৃত্ব নেই, যা “বিশ্বের সকল শিয়াদের উপর প্রযোজ্য হয়”। তাই “ইমাম খোমেনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, বিশ্বের সকল জায়গায় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শিয়া মুসলিমদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করেন ও তাদের নেতৃত্ব প্রদান করেন। [দেখুন: হিযবুল্লাহর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি রচিত حزب الله (পৃ.৭৫)]”
তার এ কথা আমাদেরকে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, বিশ্বের শিয়ারা ইরানি বিপ্লবের অনুসারী, ইরানের সাথে তারা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত, ইরানের স্বার্থ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নকরী। বিশেষভাবে সরাসরি ইরানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত সংস্থাসমূহ, যেমন হিযবুল্লাহ, হিযবুল্লাহর অঙ্গ-সংগঠন ও অন্যান্য সংস্থাসমূহ ইরানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/19
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।