মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু ফিলিস্তিন জয় করেছেন, যাদের আকিদা ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু-কে লানত করা, তারা কখনো ফিলিস্তিন স্বাধীন করবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/48
বর্তমান মুসলিম উম্মাহ ক্রান্তিকাল ও ব্যাপক যুদ্ধাবস্থা অতিক্রম করছে, ফলে তার শৃঙ্খলা বিনষ্ট করছে ও ঐক্য টুটে যাচ্ছে। তাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছে পাপাচারী কাফেররা, তারা মুমিনদের ব্যাপারে আত্মীয়তা কিংবা চুক্তির কোনো পরোয়া করে না।
ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি আজ আহত, তার সকাল ও সন্ধ্যা হয় শিশুদের চিৎকার, বন্ধী জীবনের অসহায় ফরিয়াদ, নির্যাতনের আর্তনাদ, সন্তানহারাদের বিলাপ ও ইয়াতিমদের করুন কান্নার তিক্ততার মধ্য দিয়ে।
সকাল-সন্ধ্যায় ফিলিস্তিন আজ প্রত্যক্ষ করছে সারি সারি লাশ, কাঁধের উপর জানাজা, ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘর, সম্মানহানি, আরো অনেক ঘটনা, যা দেখে অন্তর ব্যথিত হয়, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটে ও শরীর শিউরে উঠে।
দাজলা ও ফুরাত তীরের মাটি খ্রিস্টান ও রাফেযীদের যাঁতাকলে আজ পিষ্ট, আল্লাহর নিকট সে ফরিয়াদ করছে। তার বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা হয়েছে, মসজিদগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, তার সম্মান ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে, তার জমিনে উড্ডীন হয়েছে খ্রিস্টানদের পতাকা।
এসব ঘটনাপ্রবাহ মুসলিমদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে ও যুদ্ধের জন্য আহ্বান করছে, চিৎকার করে ডাকছে ও সাহায্য তলব করছে। কেউ কি আছ, এ ডাকে সাড়া দিবে?! কেউ কি আছে আহত ও পঙ্গুদের সাহায্য করবে?
أحلَّ الكفر بالإسلام ضيمــاً يطول به على الدين النحيبُ
فـحقٌّ ضـائع وحمى مُبــــاح وسيف قـاطع ودم صبيبُ
وكـم مـن مسلم أمسى سليباً ومسلمة لهـا حـرم سليبُ
وكـم مـن مسجد جعلوه ديراً على محرابه نُصب الصليبُ
أمـور لـو تأمَّلـهنَّ طـفــــل لـثــارَ في مفارقه المشيب
أتُسبى المسلمـات بكلِّ ثغرٍ وعيش المسلمين إذاً يطيب
أمــا لله والإسـلام حـــــق يـدافع عنه شُبانٌ وشيبُ؟
فقل لذوي البصائر حيثُ كانوا أجيبوا الله ويحكمو أجيبوا
১. কুফর ইসলামের মাঝে পেরেক ঢুকিয়েছে, তার দ্বারা সে ইসলামকে ক্ষতবিক্ষত করছে।
২. অধিকার বলতে কিছু নেই, ঘরগুলোও অরক্ষিত; তলোয়ার কেটে চলছে, রক্তও প্রবাহিত হচ্ছে।
৩. হিসেবে নেই কত মুসলিম গুম হয়েছে, আর কত মুসলিম নারীকে অপহরণ করা হয়েছে।
৪. হিসেবে নেই কত মসজিদ গির্জা বনেছে, আর কত মেহরাবে ক্রুশ উঠেছে।
৫. এমনি ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে, যদি শিশুও চিন্তা করে তার চুল পেকে যাবে।
৬. এভাবে মুসলিম নারীদের পতিতা বানানো হবে, আর মুসলিম আরামে নিদ্রা যাবে?
৭. মনে রেখ, আল্লাহ ও ইসলামেরও হক আছে, সে হক-কি যুবক-বৃদ্ধ আদায় করবে?
৮. প্রত্যেক বিবেকী ও হুশিয়ার ব্যক্তিকে বলে দাও, আল্লাহর ডাকে সাড়া দাও, আল্লাহর ডাকে সাড়া দাও।
এসব রক্তাক্ত ঘটনা, দুঃখজনক ট্রাজেডি, চলমান বিপর্যয়ের মধ্যে মুসলিমরা বেদনাদায়ক বাস্তবতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছে। কোনো মুক্তিদাতা আছে কি, যে উম্মতকে অপমান ও লাঞ্ছনা থেকে মুক্ত করবে, কোনো নেতা আছে কি, যে অত্যাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, শত্রুদের হামলা ও রক্তপাত বন্ধ করবে।
এসব অবস্থায় যখন মুসলিমকে কেউ ডাকে, আবার মুসিবতও তাকে ঘিরে ধরে; তখন সে হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়, কে দোস্ত ও দুশমন পৃথক করতে পারে না। যে সম্মানের উপযুক্ত নয় তাকে সম্মান করে, যে সম্মানের উপযুক্ত তাকে সম্মান করে না। অতঃপর যখন অন্ধকার কেটে যায় ও সম্পূর্ণ আলোকিত হয়, তখন আফসোস করে হাতের আঙ্গুল কাটে, কিন্তু সে কাটায় কোনো ফায়দা নেই।
আমরা আহমদ শাওকির কবিতা ভুলব না, সে কামাল আতাতুর্কের প্রশংসায় কবিতা আবৃতি করেছিল, তাকে আঙ্কারার মুকুট ও আলস্য ত্যাগকারী ঘোষণা করেছিল, যে খেলাফত ও রাজত্ব ধ্বংস করেছিল। কামাল যখন গ্রীসের সাথে যুদ্ধের নাটক করেছিল, তখন আহমদ শাওকি তাকে উদ্বুদ্ধ করে বলেছিল:
الله أكبر كم فـي الفتح من عجبِ يـا خالد الترك جدِّد خـالد العربِ
يـومٌ كبدر فخيلُ الحق راقصـة عـلى الصعيد وخيل الله في السحب
“আল্লাহু আকবার, বিজয়ের মধ্যেও অনেক আশ্চর্য বিষয় আছে, হে তুর্কের খালেদ, তুমি আরবের খালেদ ইবন ওয়ালিদ বনে যাও। বদরের দিনের ন্যায় একটি দিন উপহার দাও, কারণ সত্যের ঘোড়াগুলো ময়দানে ছুটোছুটি করছে, আর আল্লাহর ঘোড়াগুলো ময়দানে প্রস্তুত রয়েছে”।
কিন্তু আহমদ শাওকি মাথায় হাত রেখে বসে পড়ল, যখন জানল যে, কামাল খালেদ ইবনে ওয়ালিদের স্মৃতি চারণের পরিবর্তে তুর্ক-আরবদের সম্মান বিনষ্ট করেছে।
এসব ক্ষেত্রে দুঃখজনক হল, মানুষ সবার কথাই শুনে, প্রত্যেক পতিত ব্যক্তিই জাতীয় বিষয়ে কথা বলে, ফলে নিজে গোমরাহ হয় ও অপরকে গোমরাহ করে, বরং যারা প্রকৃত দা‘ঈ, কিতাব ও সুন্নাহর ইলমের অধিকারী মানুষ তাদের নিয়ে উপহাস করে।
ফেতনা যতই বর্ধিত হোক, মানুষের ব্যাপারগুলো যত ঘোলাটে হোক, বাতিলপন্থীদের আস্ফালন যত বৃদ্ধি পাক, আহলে হককে সত্য বলতেই হবে, ধর্মীয় বাণী মানুষকে শুনাতেই হবে; বাতিল, বাতিলের দা‘ঈ ও তার সাহায্যকারী দ্বারা মানুষ যতই প্রভাবিত হোক। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
“আর এভাবেই আমি আয়াতসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করি। আর যাতে অপরাধীদের পথ স্পষ্ট হয়ে যায়”। [সূরা আন-আম: (৫৫)] অর্থাৎ: আমি আপনাকে তাওহীদের দায়িত্ব, রিসালাতের দায়িত্ব ও আকিদার দায়িত্ব দিয়ে পরীক্ষা করব, যেন মিথ্যা থেকে হক স্পষ্ট হয় এবং বাতিল থেকে হিদায়েত পৃথক হয়। তাই প্রত্যেক দা‘ঈ, ইলম অনুসন্ধিৎসু ও আলেমের দায়িত্ব, মানুষকে তার পানীয় ও খাদ্যস্থান বাতলাতেই হবে।
সন্দেহ নেই, ফিলিস্তিন ও লেবাননে ইয়াহূদীরা যা করছে, তা কোনো শরীয়ত বৈধতা দিতে পারে না, কোনো বিবেক তা সমর্থন করতে পারে না, যার অন্তরে রূহ আছে, সে তার উপর সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারে না। তবুও সত্য বলে যেতে হবে, প্রতারক দা‘ঈদের থেকে সতর্ক করতে হবে, যারা হকপন্থী দা‘ঈদের অনুপস্থিতে চটলাদার শ্লোগান দেয়, কিন্তু তারা অন্তরে হিংসা, বিদ্বেষ ও কুফরি গোপন করে, তাদের থেকে সতর্ক করতে হবে।
একটি ভুল ধারণা হল, কেউ যখন রাফেযী ও তাদের অনিষ্ট থেকে সতর্ক করে, তখন মানুষ মনে করে সে ইয়াহূদীদের পক্ষ নিচ্ছে ও তাদের কাতারে দাঁড়াচ্ছে, অথবা তাদের কৃতকর্মের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে, যারা [ইয়াহূদীরা] যুদ্ধের সময় নারী-শিশু ও বৃদ্ধদের রেহাই দেয় না। সেও তাদের ন্যায় বৃদ্ধ, নারী ও শিশুদের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ ও তাদের রক্ত দেখে বিচলিত হয় না। এটা ভুল ধারণা, কারণ ইসলাম হচ্ছে রহমতের দ্বীন, তার অনুসারী কখনো কোনো দুশমনের সাথে হয়ে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করতে পারে না, কিংবা যারা যুদ্ধ করে না তাদের উপর সীমালঙ্ঘন করতে পারে না।
আবু দাউদ রাহিমাহুল্লাহ আনাস ইবনে মালিক রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
«انطلقوا باسم الله وبالله وعلى ملة رسول الله ولا تقتلوا شيخاً فانياً ولا طفلاً ولا صغيراً ولا امرأة ولا تغلوا وضموا غنائمكم وأصلحوا وأحسنوا إن الله يحب المحسنين» .
“আল্লাহর নামে, আল্লাহর তাওফিক চেয়ে এবং তার রাসূলের ধর্মের উপর রওয়ানা কর, কোনো বৃদ্ধকে হত্যা করবে না, কোনো শিশুকে হত্যা করবে না, কোনো নারীকে হত্যা করবে না, খিয়ানত করবে না, তোমরা তোমাদের গণিমতগুলো জমা কর, নিজেদের সংশোধন ও ইহসান কর, নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের মহব্বত করেন”।
ইমাম আবু দাউদ রাহিমাহুল্লাহ রাবাহ ইবনে রবি‘ সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমরা কোনো যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম, তিনি দেখলেন লোকেরা একটি ঘটনায় একত্রিত হয়েছে। লোক পাঠিয়ে বললেন:
«انظر علام اجتمع هؤلاء» فجاء فقال : على امرأة قتيل فقال : «ما كانت هذه لتقاتل» قال : وعلى المقدمة خالد بن الوليد، فبعث رجلاً فقال : «قل لخالد لا يقتلن امرأة ولا عسيفاً» .
“দেখ, কি জন্য তারা একত্র হয়েছে”? তিনি এসে বলেন: একজন মৃত নারীর উপর, তিনি বললেন: “এই নারী যুদ্ধের জন্য আসেনি”। তিনি বলেন: অগ্রভাগে খালেদ ইবনে ওয়ালিদ ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন ব্যক্তিকে পাঠিয়ে বললেন: “খালেদকে বল, কোনো নারী ও মজদুরকে হত্যা করবে না”।
এ হল উদার ইসলামের শিক্ষা, এ থেকে প্রমাণিত হয় ইসলাম হচ্ছে রহমতের ধর্ম, এমনকি শত্রুর সাথেও। তারা আল্লাহর সাথে কুফরি করে বলেই আমাদের জন্য বৈধ নয় তাদের হত্যা করব, তাদের উপর জুলম করব, অথবা কোনো উপায়ে তাদের উপর সীমালঙ্ঘন করব। অতএব যে আল্লাহ ও তার রাসূলের দুশমন, তার রাস্তা থেকে মানুষদের বিরত রাখে এবং মুমিনদের কষ্ট দেয়, কিন্তু যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে না, তাকে হত্যা করাও বৈধ নয়।
তাওহীদের আকিদা যারা জানে তাদের উপর ওয়াজিব হিযবুল্লাহ ও শিয়া সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহকে সতর্ক করা। বিশেষ করে যখন তাদের দ্বারা সেসব মানুষ ধোঁকা খায়, যারা তাদের আকিদা জানে না; এবং যখন তারা দাবি করে, আমরা ইসলামের সুরক্ষাদানকারী, মুসলিমের পক্ষে প্রতিরোধকারী এবং তাওহীদের আকিদা ও ইসলামের জন্য যুদ্ধ করছি, যেন সত্যের সাথে মিথ্যা মিশে যায়, তখন সতর্ক করা বেশী জরুরি হয়। কারণ, অনেকে তাদের প্রতারণা দ্বারা ধোঁকা খায়, কতক জাহেল তাদের আকিদাকে সহি বলে ও তাদের প্রশংসা করে।
আমাদের এ যুগে সে অকুতোভয় আলেমের কথা স্মরণ করা শ্রেয় হবে, রাফেযীদের পূর্বপুরুষ হাকেম উবাইদির (আল-মুয়িয) সাথে যার তর্ক হয়েছিল। তিনি উবাইদির শ্লোগান, চটলাদার বক্তৃতা ও মিথ্যা আশ্বাসে ধোঁকা খাননি, তিনি সত্য কথা বলেছেন, কোনো লুকোচুরি করেননি, যদিও তার জন্য তাকে জীবন কুরবানি করতে হয়েছে।
হাফেজ ইবনে কাসির রাহিমাহুল্লাহ স্বঘোষিত ফাতেমী হাকেম উবাইদির জীবনীতে বলেন: যখন সে আলেকজান্দ্রিয়ায় অবতরণ করে, মানুষ তাকে দেখতে আসে, তিনি সেখানে বাগ্নিতাপূর্ণ এক বক্তৃতা দেন: তিনি ঘোষণা করেন আমি জালেম ও মজলুমের মাঝে ইনসাফ করব। তিনি নিজেকে ফাতেমী বলে গর্ববোধ করেন। তিনি বলেন: আল্লাহ তা‘আলা তাদের দ্বারা উম্মতের উপর রহম করেছেন, অথচ তার ভেতর-বাহির ছিল রাফেযী আকিদা। যেমনটি কাযী আবু বকর আল-বাকেল্লানি বলেন: তাদের ধর্ম হচ্ছে শুধু কুফরি, তাদের আকিদা হচ্ছে রাফেযী, অনুরূপ তার সরকারের লোক, তার অনুসারী, তার সাহায্যকারী ও তার সাথে বন্ধুত্বকারী সবাই রাফেযী, আল্লাহ তাকে ও তার সাথীদেরকে ধ্বংস করুন।
একদা তার (হাকেম আল-উবাইদী, আল-মুয়েয এর) সামনে ইবাদতগুজার আবু বকর নাবুলসিকে হাজির করা হয়। উবাইদি তাকে বলেন: আপনার সম্পর্কে আমার নিকট সংবাদ এসেছে, আপনি বলেছেন: আমার নিকট যদি দশটি তীর থাকে, তাহলে তার নয়টি দ্বারা রোমের উপর আক্রমণ করব, আর একটি দ্বারা মিসরি তথা উবাইদীদের উপর আক্রমণ করব?
তিনি বলেন: আমি এরূপ বলেনি, তখন সে (মুয়েয) ভাবল তিনি (আবু বকর আন-নাবলুসী) তার কথা থেকে ফিরে গেছেন।
সে বলল: কিভাবে বলেছেন?
তিনি বললেন: আমি বলেছি: তোমাদেরকে নয়টি নিক্ষেপ করা উচিত, অতঃপর দশমটি তাদেরকে নিক্ষেপ কর উচিত, সে বলল: কেন?
তিনি বললেন: কারণ, তোমরা উম্মতের দীনকে পরিবর্তন করেছে, নেককার লোকদের হত্যা করেছ, আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিয়েছ, যা তোমাদের অধিকার নয় তাই তোমরা দাবি করেছ”।
একথা শোনার পর সে (মুয়েয) তাকে (আবুবকর নাবলুসীকে) প্রথম দিন মানুষের সামনে উপস্থিত করার নির্দেশ দিল, অতঃপর দ্বিতীয় দিন কঠিন বেত্রাঘাত করা হল, অতঃপর তৃতীয় দিন তার চামড়া ছিলে ফেলার নির্দেশ দিল। একজন ইয়াহূদীকে নিয়ে আসা হল, সে তার চামড়া ছিলছে আর তিনি কুরআন তিলাওয়াত করছেন: ইয়াহূদী বলেন, তার উপর আমার দয়া চলে আসল, তাই যখন তার কলব বরাবর পৌঁছলাম, ছুরি দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেললাম। আল্লাহ তাঁর উপর রহম করুন।
সেখান থেকে তাকে শহীদ বলা হয়, আর তার দিকেই সম্পৃক্ত করা হয় আজ পর্যন্ত নাবুলসের বনু শহীদকে। এখনো তাদের মাঝে কল্যাণ বিদ্যমান। [দেখুন: বিদায়া ওয়ান নিহায়াহ: (১১/৩২২)]
ফিলিস্তিন জয় করেছে ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু, যারা আকিদা ও দীন হিসেবে ওমরকে লানত করে, দ্বিতীয়বার তাদের হাতে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে তা কখনো সম্ভব নয়।
আমি বলছি: কখনো না।
ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য অধিকৃত মুসলিম ভূমি, একমাত্র ওমরের অনুসারীরাই মুক্ত করবে। যারা তার নামে রাদিয়াল্লাহু আনহু বলে, তার হিদায়েতের অনুসন্ধান করে ও তার অনুসরণ করে।
কিন্তু যারা সাহাবিদের শত্রু এবং যারা ওমরকে লানত করে, আল্লাহর কসম তারা উম্মতে মুসলিমার ধ্বংস ও অনিষ্টই বৃদ্ধি করবে, তাদের থেকে হতাশা ও লাঞ্ছনা ব্যতীত কিছুই আশা করা যায় না। যখন তাদের কর্তৃত্ব হাসিল হবে, তারা উম্মতকে গোস্বার দাঁত দেখাবে, উম্মতের রক্তে তারা তাদের হিংসা ও বিদ্বেষের আগুন নিভাবে, তাদের জমিনকে হালাল মনে করবে, তাদের ইজ্জতকে বিনষ্ট করবে এবং তাদেরকে তাদের বাড়ি-ঘর থেকে বের করবে। এখন যেরূপ ইরাক ও ইরানে হচ্ছে।
তখন ঘুমন্তরা জাগ্রত হবে, অলসরা লজ্জিত হবে, কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পর।
অতএব যে তাওহীদের আকিদা জানে, ‘মুমিনদের সাথে বন্ধুত্ব করা ও কাফেরদের সাথে শত্রুতা করা’ আল্লাহর নির্দেশের উপর যার ঈমান রয়েছে, সে যেন অবশ্যই হিযবুল্লাহ থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাদের কথা ও নেতৃত্ব থেকে ধোঁকা না খায়। বাতিলপন্থীরা তাদের যতই গুণকীর্তন করুক। ইমাম আবু বকর নাবুলসি উবাইদিকে যেরূপ বলেছে, সেরূপ যেন রাফেযী হিযবুল্লাহকে বলে দেয়: আমাদের দায়িত্ব লাতের দলকে (হিযবুল্লাহকে) নয়টি তীর মারব, আর দশম তীরটি মারব ইয়াহূদীদেরকে।
ড. মুহাম্মদ আল-বারাক
[এখানে মূল কিতাবে কিছু প্রামান্য চিত্র ও দলীল রয়েছে তা দেখানো সম্ভব হলো না, প্রয়োজনে মূলগ্রন্থ থেকে দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইল। (সম্পাদক)]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/48
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।