hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

হিযবুল্লাহ সম্পর্কে কী জানেন

লেখকঃ আলী আস-সাদিক

৩৭
দু’জন ইসরাইলি সৈন্য অপহরণের নেপথ্যে হিযবুল্লাহর প্রকৃত উদ্দেশ্য কী?
১. পারমাণবিক স্থাপনা তৈরির কারণে ইরানের উপর থেকে বিশ্বের চাপ লাঘব করা, যেন পুরো বিশ্ব ইরান থেকে দৃষ্টি হটিয়ে লেবানন ও তার জনগণের প্রতি দৃষ্টি দেয়।

২. ইরাকের জায়শে মাহদি ও বদর সংগঠনকে সুযোগ দেওয়া, যেন তারা যেভাবে ইচ্ছা আহলে-সুন্নাহকে হত্যা করে, তাদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে, তাদের রক্ত ও সম্পদকে বৈধ মনে করে, তাদের মসজিদের উপর আধিপত্য লাভ করে ইত্যাদি, ইরাকে এসব হচ্ছে আমেরিকার ছত্রছায়া ও ইরানি শিয়া নেতা আলি সিসতানির নেতৃত্বে।

৩. আমেরিকাকে পারমানবিক অস্ত্র প্রসঙ্গে মেসেজ দেওয়া যে, আমরা [ইরান] ইচ্ছা করলে ইরান ও উপসাগরীয় দেশ থেকে যুদ্ধকে ইসরাইল ও লেবানন পর্যন্ত প্রসারিত করতে পারি।

৪. লেবানন থেকে সিরিয়ার চলে আসা ও সেখানে তার ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার পর লেবাননিদের মাঝে জাতীয়তাবাদ দৃঢ় হয়েছিল। এর মাঝে সিরিয়া এবং তার পশ্চাতে ইরান সেখানে তাদের ক্ষমতা পুনর্বহাল করতে চাইল। তাই তারা নতুন গুটি চালনা আরম্ভ করল। বিশেষ করে যখন বিশ্ব ও লেবাননি সরকার চাপ দিয়েছিল যে, হিযবুল্লাহ তাদের অস্ত্র ছেড়ে জাতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিবে। এটা ইরানের স্বার্থের জন্য বিরাট কাটা হয়ে দাঁড়াল। তাই দু’জন সৈন্য অপহরণ করার নাটক করল, যেন প্রতিরোধের নামে হিযবুল্লাহর হাতে অস্ত্র থাকে। [মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমদ আবুল গাইত্ব ২২/১০/২০০৬ই. সালে আল-জাজিরা ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমকে বলেন: “দু’জন ইসরাইলি সৈন্য অপহরণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে লেবাননের সমঝোতাকে নস্যাৎ করা, কারণ হিযবুল্লাহর অস্ত্র ছেড়ে সরকারী দলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। ইরান তার স্বার্থের জন্য এটা হতে দিল না। ‘শাবআ কৃষি অঞ্চল ও অন্যান্য স্থান যেখানে হিযবুল্লাহ বসবাস করে, যা স্বাধীন করার কথা তারা বলে, তা এখনো ইসরাইলের দখলে আছে। দু’জন সৈন্য অপহরণ করার ফল লেবানন ও হিযবুল্লাহর কিছু হাসিল হয়নি, শুধু ধ্বংস ও লজ্জাকর পরাজয় ব্যতীত।]

৫. ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলন থেকে বিশ্বের দৃষ্টি হটানো। ইসরাইল-ইরান অস্ত্র ক্রয় চুক্তির ফলে অনেকটা কোণঠাসা ছিল শিয়া-ইরান, যা ‘ইরান গেট’ ক্যালেঙ্কারি নামে পরিচিত। অনুরূপ তালেবান ও ইরাক সরকার পতনে শয়তানে আকবরের সাথে ইরানের সহযোগিতা প্রকাশ হওয়া, ইরাকে শিয়া মতবাদ ও তার সম্প্রদায়কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে সুন্নিদেরকে হত্যা করা, বাড়ি-ঘর থেকে তাদেরকে তাড়িয়ে দেওয়া ও তাদের উপর ইরান ও আমেরিকার যৌথ নির্যাতনের চিত্র বিশ্বের জানা-জানির প্রাক্কালে এ ঘটনা রচনা করল হিযবুল্লাহ, যেন সুন্নিরা জানে হিযবুল্লাহ ও ইরান ইসরাইল বিরোধী।

ফিলিস্তিনি লেখক গাজি তাওবা বলেন: “ইয়াহূদীদের সাথে হিযবুল্লাহর যুদ্ধ করার উদ্দেশ্য লেবানন, আরব বিশ্ব ও ইসলামি দুনিয়ায় শিয়া ও ইরানের পক্ষে প্রোপাগান্ডা করা, অপর দিকে ইরাকে সুন্নী মুসলিমের উপর পরিচালিত ইরানি নির্যাতনের উপর পর্দা টেনে দেওয়া। [দেখুন: جريدة الحياة তে গাজি তাওবার প্রবন্ধ, সংখ্যা: (১৫৮৪৮), তারিখ: ২৫/৮/২০০৬ই. (পৃ.১৯)]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন