মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
লেবাননি হিযবুল্লাহর সাবেক সাধারণ সম্পাদক শায়খ সুবহি তুফাইলির সাক্ষাতকারটি বালাবাক্কা জেলার দক্ষিণে বারিতাল নগরীতে অবস্থিত হুসাইনি পুরাতন বিল্ডিংয় থেকে নেওয়া হয়েছে। হিযবুল্লাহ ও লেবাননি সরকারের সাথে তার লাগাতার সমস্যা, অমিল ও ইখতিলাফের কারণে ১৯৯৭ই. সাল থেকে তিনি নেতৃত্বের আড়ালে চলে গেছেন। ইরানের সাথে তার দৃষ্টি-ভঙ্গির ভিন্নতার কারণে হিযবুল্লাহ ত্যাগ করে তার মূল্য দিতে হয়েছে, অথচ তিনি ছিলেন হিযবুল্লাহর একজন প্রতিষ্ঠাতা ও তার প্রথম সেক্রেটারি জেনারেল। এই মতভেদ হামলার রূপ নেয়, যার ফলে এক সেনা অফিসার ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি শায়খ খিদির তালিস মারা যান, যিনি তুফাইলির পক্ষাবলম্বন করে ছিলেন, সাথে আরো কয়েকজন সঙ্গীকে মারা হয় হিযবুল্লাহর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, যেন এই সুবাদে তুফাইলিকে লেবাননি আদালতে তলব করা যায়। ছয় বছর তার ব্যাপারে কখনো উপস্থিত কখনো গায়েব হিসেবে ফয়সালা দেওয়া হয়েছে, যা চিন্তা করলে খুব অবাক করার বিষয়, তবে এটা লেবাননি স্বভাব বনে গেছে। এ ছয় বছর সে দোস্ত-দুশমন সবার জানাশোনা জায়গায় ছিল। তবে কখনো কখনো তাকে কঠিন চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে, যদিও তাকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হয়নি।
আত্মগোপনের দীর্ঘ সময়ে কখনো শায়খ তুফাইলি জনসম্মুখে আসতেন। ২০০০ই. সালে তিনি বেক্কা প্রদেশের নির্বাচনে জোরালো ভূমিকা রাখেন। অনুরূপ ২০০২ই. সালে (এম.টি.বি.) এর পর্দায় হঠাৎ তাকে দেখা যেত, যা পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এসব সাক্ষাতের কারণে আমাকে অপবাদ দেওয়া হয় যে, আমার কারণেই উপনির্বাচনে আমার নির্বাচিত প্রতিনিধি ‘গাবরিয়াল মুর’ জয়ী হন, পরবর্তীতে যার এমপি পদ বাতিল করা হয়েছে। এভাবে সময়ে সময়ে পর্দার সামনে আসার কারণে তুফাইলিকে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে, যা কঠিন থেকে কঠিন হয়েছে, যার সমাপ্তি ঘটে হুসাইনি বিল্ডিংয়ের বন্দি জীবনে অবস্থান করে।
শায়খ তুফাইলি বেক্কা শহরে খুব শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব। তিনি স্বীয় সিদ্ধান্তে অটল থাকার মানুষ, তিনি “আশ-শারকুল আউসাত” পত্রিকার মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন, যদিও তার উপর তখন চাপের সীমা ছিল না।
আমরা এখানে শুধু সাংবাদিক হিসেবে তার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব, কারণ তার মত ব্যক্তিত্বের অভিজ্ঞতা ও জানার পরিধি খুব প্রশস্ত, বিশেষভাবে যিনি হিযবুল্লাহর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি নিজ যুগে লেবাননের জমি থেকে ইসরাইলকে বের করে দিয়েছিলেন।
বিভিন্ন মতভেদ ও ইখতিলাফ সত্যেও তিনি সাংবাদিকের সাথে সাক্ষাতকার দিয়েছেন, যেখানে “আশ-শারকুল আউসাত” পত্রিকার বেক্কার প্রতিনিধি হুসাইন দরবেশ উপস্থিত ছিলেন। এতে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাতকারে তিনি ইরানের কঠোর সমালোচনা করেন, যার ভাষা ছিল এরূপ: “ইরান লেবানন ও অন্যান্য এলাকার শিয়াদের জন্য হুমকি”।
প্রশ্ন: [হিযবুল্লাহর] এখন প্রতিরোধ ও যুদ্ধের কি প্রয়োজন নেই?
উত্তর: এটা কি আলোচনার বিষয়? হিযবুল্লাহর ইসরাইল প্রতিরোধ তখনি শেষ হয়ে গেছে, যখন ১৯৯৪ই. সালের জুলাই ও ১৯৯৬ই. সালের এপ্রিলে ইসরাইলের সাথে হিযবুল্লাহর নেতৃবর্গ চুক্তি স্বাক্ষর করে। ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর উপস্থিতিতে সম্পাদিত এ চুক্তিতে ইসরাইলি আবাসিক এলাকাকে হিযবুল্লাহর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়েছে।
এ চুক্তিকে লেবাননের বিজয় জ্ঞান করা হয়, কারণ তা লেবাননি নাগরিককে সুরক্ষা ও হিযবুল্লাহর প্রতিরোধকে স্বীকৃতি দিয়েছে, যদিও এখনো সময়ে সময়ে ‘শাব‘আ’ কৃষি ভূমিসমূহে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠে, এতে সমস্যা নেই কারণ ইসরাইল খুশি। এ সমঝোতার মূল হচ্ছে হিযবুল্লাহর প্রতিরোধ থেকে পিছু হটে ইসরাইলের সাথে চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া।
ইসরাইল যেরূপ مزارع شبعا [‘মাজারে শাব‘আ’] দখল করেছে, অনুরূপ ফিলিস্তিনি অন্যান্য ভূমিও দখল করেছে, কিন্তু হিযবুল্লাহর শুধু ‘মাযারে‘ শাব‘আ’ নিয়ে মাথা ব্যথ্যা, অন্যান্য ভূমির প্রতি আগ্রহ নেই কেন, উভয়ের মাঝে কোনো পার্থক্য জানেন কি? সন্দেহ নেই, অন্যান্য ভূমির প্রতি হিযবুল্লাহর অনীহা প্রমাণ করে, সেখানে তারা ইসরাইলের দখলদারিত্ব মেনে নিয়েছে। আমার নিকট ‘খিয়াম’ (লেবাননের সীমান্ত শহর) এবং ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরে উক্কা ও হায়ফার মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। উভয় আমার নিকট সমান। আমাকে খুব কষ্ট দেয়, যখন শুনি যে, যারা আমার সাথে ওয়াদা করেছিল এরাবিক অধিকৃত ভূমি মুক্ত করার জন্য মরতে হলে মরবো, তারাই আজ ইসরাইলি সীমান্তে প্রহরীর কাজ করছে। যারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তাদেরকে পাকড়াও করে জেলে দেয় এবং নিকৃষ্টতম শাস্তি প্রদান করা হয়।
প্রশ্ন: কোন জেলে?
উত্তর: আমি এ ব্যাপারে অনেক বলেছি, যারাই ইসরাইলকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে, তাদেরকে লেবাননি সরকারের নিকট সোপর্দ করা হয়, সরকার তাদেরকে কঠিনভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
প্রশ্ন: আপনি কি বিশ্বাস করেন, এ চুক্তির কারণ হচ্ছে লেবানন ও শামের উপর থেকে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাপ কমানো?
উত্তর: আমি সুযোগ সন্ধানের বিপক্ষে নই, এটা একটা হিকমত, কিন্তু যা ঘটছে তা হিকমত নয়। আপনি সুযোগের অপেক্ষার কথা বলবেন, আমি বলি দেশীয়ভাবে এরূপ সুযোগ আসা অসম্ভব, কারণ এসব চাপ কখনো কমবে না, আমাদের সুযোগও কখনো আসবে না। আমি আমাদের প্রতিরোধকারী সন্তানদেরকে বলছি: তোমরা যা করছ তা হারাম, দুশমনের সেবা এবং গাদ্দারি। তোমরা তোমাদের অস্ত্র নিক্ষেপ করে বাড়িতে চলে যাও, অথবা বিদ্রোহী হয়ে দুশমনের দিকে আগুনের গোলা নিক্ষেপ কর। খবরদার! কোনো ফতোয়া অথবা বিলায়াতুল ফকিহর নামে কেউ যেন তোমাদের ধোঁকা না দেয়। দুনিয়ায় এমন কোনো ফকিহ নেই, যে আমাকে দুশমনের সেবার জন্য নির্দেশ দিবে। আমি খুবই দুঃখিত, যে প্রতিরোধ আমরা আমাদের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে গড়ে তুলেছি, তা আজ দুশমনের সেবা করছে।
প্রশ্ন: আপনার প্রতি কখন থেকে ইরান নাখোশ, আপনাকে হিযবুল্লাহর নির্বাহী কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইরানের হাত আছে কি?
উত্তর: আমার সাথে কৃত সকল অন্যায় সত্ত্বেও আমি চেয়েছি, আমার ব্যক্তিগত বিষয়গুলো জাতীয় বিষয় থেকে আলাদা থাক। যেমন বর্তমান কিংবা অতীতে ইরানের সাথে আমার সমস্যার কারণে কখনো ইরানকে দোষারোপ করিনি। আমি জাতীয় কোনো বিষয়কে কখনো ব্যক্তিগত বিষয়ে পরিণত করতে চাইনি। কিন্তু যখন দেখলাম প্রতিরোধ আন্দোলনের মোড় ঘুরে গেছে এবং ইরান আমেরিকার সাথে মিশে গেছে, তখন আমি আমার নীরবতা থেকে বের হয়ে আসছি।
প্রশ্ন: আমরা হিযবুল্লাহর আদর্শ পরিবর্তনের দিকে ফিরে আসছি, আপনারা যখন হিযবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন, তখন হিযবুল্লাহর কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল, যেমন দুশমনের সাথে সমঝোতা না করা, শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা ইত্যাদি, তখন হিযবুল্লাহ কিছু কঠিন কাজও করত, যেমন পাশ্চাত্যদের অপহরণ করা ইত্যাদি।
উত্তর: পশ্চিমাদের অপহরণ করা বিষয়ে অন্য সময় বলব, তবে আমরা বলতে চাই যে, তার সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আর আপনি যে হিযবুল্লাহর আদর্শ পরিবর্তনের কথা বলছেন, তার সারাংশ হচ্ছে দু’টি বিষয়: এক. এখানে ইরানি রাজনীতি কাজ করছে, যার শুরু হয়েছে ইমাম খোমেনির মৃত্যুর পর। তখন থেকে আমরা ধারণা করেছি যে, আমাদের ইসলামি মূল্যবোধের সাথে তাদের টক্কর বাধবে। দুই. ইরানে কিছু লোক আছে, যারা আমাদের নৈকট্য পছন্দ করে না।
প্রশ্ন: আপনি নিজেকে উদ্দেশ্য করছেন?
উত্তর: আমি ইরানিদের বারবার বলেছি, যদি তোমাদের স্বার্থ আমার স্বার্থের বিপরীত হয়, তাহলে অবশ্যই আমি আমার স্বার্থকে প্রাধান্য দিব। আমি কখনো ইরানের রাজনৈতিক এজেন্ট ও তার তাবেদার হব না। আমি তোমাদের ভাই ও অংশীদার, তার চেয়ে বেশী বা কম নয়। তবে এ কথাও ঠিক যে, শক্তিশালীরা অংশীদারিত্ব পছন্দ করে না, তারা এমন দুর্বলকে চায় যারা তাদের অন্ধভাবে অনুসরণ করবে। আমি আমার স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে চাই না। কোনো মুসলিম ফকিহ দুর্বল ও গরিব মুসলিমদের বিপক্ষে সাহায্যের কথা বলতে পারে? অতএব আপনি যখন সরকারের সাথে চলবেন না, আপনাকে সম্ভাব্য সকল পথে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হবে।
প্রশ্ন: আপনার পরবর্তীতে হিযবুল্লাহ শুধু লেবাননের গান গায়?
উত্তর: যে বলে ইরান লেবাননে হস্তক্ষেপ করে না, সে মিথ্যাবাদী, সিদ্ধান্ত বৈরুতে নয়, সিদ্ধান্ত হচ্ছে তেহরানের হাতে।
প্রশ্ন: আপনার সময়েও কি এরূপ ছিল?
উত্তর: হ্যাঁ, আমার সময়েও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল ইরানের হাতে। তবে ইরান আমাদের প্রতি কোনো নির্দেশ বা পরামর্শ দিলে, আমরা সেটাকে আমাদের উপর ওয়াজিব মনে করতাম না, বরং আমাদের ইচ্ছাধীন মনে করতাম। যখন ইমাম খোমেনি অথবা তার কোনো প্রতিনিধির পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশ আসত, যেমন ‘ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ করুন’ সেটাকে আমরা নির্দেশ মনে করতাম না, বরং আমাদেরই বিবেচনাধীন মনে করতাম।
প্রশ্ন: খোমেনির মৃত্যুই কি ইরানের সাথে আপনার বিচ্ছেদের শুরু?
উত্তর: আমি বলছি, তখন থেকেই বৈপরীত্য শুরু।
প্রশ্ন: তখন সিরিয়ার অবস্থান কেমন ছিল?
উত্তর: সিরিয়া যখন দেখল যে, ইসরাইল অবশ্যই লেবাননের জলাশয়ে নামবে, তখন সে ইসরাইলকে ঘিরে ফেলার ইচ্ছা করল, কিন্তু লেবাননি সরকার তাকে ‘জাযিন’ এলাকায় সৈন্য পাঠাতে নিষেধ করে দিল, যা তাদের থেকে হাত ছাড়া হয়ে গেছে। যখন দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইল সৈন্য হটে গেল, তখন ‘শাব‘আ’ কৃষি ভূমি চাপের সম্মুখীন হল। হয়তো সিরিয়া চেয়ে ছিল যেভাবে হোক এপ্রিল চুক্তি মোতাবেক সমঝোতা করে নেওয়া, কিন্তু ইরানের চিন্তা ছিল আরেকটি, আমার মনে পড়ে তখন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আমেরিকার ইচ্ছায় চুক্তি করেন এবং হিযবুল্লাহকে যুদ্ধের ময়দান থেকে হটিয়ে দেন।
প্রশ্ন: আমরা দেখছি আপনি ইরাকি শিয়াদের কর্মকাণ্ডে না-খোশ, তাদের লক্ষ্য কি?
উত্তর: ইরাকে শিয়াদের অবস্থা অন্যান্য এলাকার মতই, সেখানে বিবেকের আগে অন্য কিছু তাদেরকে তাড়িত করে। ফিলিস্তিনি কিছু লোকের কর্মকাণ্ডের কারণে দক্ষিণ লেবাননের শিয়া অধ্যুষিত এলাকার লোকেরা ইসরাইলকে ফুল ও শুভেচ্ছা জানিয়ে অভ্যর্থনা দিয়েছে, যারা দু’বছর না যেতেই প্রতিরোধকারী বনে গেছে। এ জন্য আমি বিশ্বাস করি শিয়াদের অবস্থা পরিবর্তনে বেশী সময় লাগবে না। তবে সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিকদের নিয়ে, কারণ রাজনৈতিক অনেক কর্মকাণ্ড ইরান থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, যার সাথে রয়েছে আমেরিকার গভীর সখ্যতা। সেই শিয়া রাজনীতি নির্দেশ করে তোমরা আমেরিকার সরকার মেনে নাও এবং তার সদস্য বনে যাও।
প্রশ্ন: একদিকে আমেরিকার সাথে ইরানের চুক্তি, অপর দিকে পারমানবিক স্থাপনার কারণে ইরানের উপর আমেরিকান চাপের মাঝে কোনো বৈপরীত্য দেখেন কি?
উত্তর: আমরা আমাদেরকে প্রতারিত না করি। আমি বলি: ইরাক যুদ্ধের পূর্বে ইরান-আমেরিকা সমঝোতা হয়েছে এবং তার জন্যে ইসলামি বিপ্লব ইরানের সর্বোচ্চ পরিষদের একটি কমিটি ওয়াশিংটন সফর করেছে। ইরাকে যেসব কর্মকাণ্ড ইরান করছে, সেগুলো আমেরিকার পরিকল্পনা। ইরানের একজন বড় খতিব ইরানের রাজধানীতে জুমার সালাতে বলেন: যদি ইরান না থাকত, তাহলে আমেরিকা আফগানিস্তানের নর্দমায় ডুবে যেত। ইরান আমেরিকার জন্য আফগানিস্তানের পথ সহজ করেছে এবং বর্তমান পর্যন্ত তাদের থাকার বন্দোবস্ত করেছে। আর বাকি রইল ইরানি রাষ্ট্রদূতকে গ্রেফতার করা, কিংবা ইরানের পারমানবিক স্থাপনার ক্ষেত্রের আমেরিকার বিরোধিতা করা, তার মূল কারণ হচ্ছে যেন ইরান আমেরিকার সাথে কৃত শর্তগুলো যথাযথ আদায় করে, এ জন্যই তাকে চাপে রাখা। আফগানিস্তানে আমেরিকান প্রকল্প বাস্তবায়নে শিয়ারা তাদেরকে সহযোগিতা করছে। এ জন্য বিশ্বের শিয়াদের বলছি, তাদের নামে যা প্রচার করা হচ্ছে, তার সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। ইরানের এসব কর্মকাণ্ডের জন্য শিয়া এবং ইসলাম উভয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। [সাক্ষাতকারটি এখানেই শেষ করছি, তবে আমরা কতক প্রশ্ন বাদ দিয়েছি, যার সাথে কিতাবের সম্পর্ক নেই।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/712/42
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।