hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তরের আমল দ্বীনদারি

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

১২
ইলম ও দ্বীনদারি:
দ্বীনদারি এটি নি:সন্দেহে অন্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল ও মহান কর্ম। যারা দ্বীনদার তাদের মর্যাদা অধিক। তবে ইলম ছাড়া কখনোই দ্বীনদারি অর্জন করা যায় না। সুতরাং, এখানে একটি বিষয় জানা খুবই জরুরি, আর তা হল দ্বীনদারির সাথে ইলমের সম্পর্ক। সত্যিকার নির্ভুল বাস্তবতা হল, ইলম ছাড়া কখনো মুত্তাকী হওয়া বা দ্বীনদারি অর্জন করা সম্ভব নয়।

আল্লামা আবু মাসূদ রহ. বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যা হারাম বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন, তা থেকে বেচে থাকাটা নির্ভর করছে হারাম হালাল সম্পর্কে জ্ঞান থাকার উপর। কোনটি হারাম আর কোনটি হালাল তা জানতে না পারলে হারাম-হালাল বেচে চলা সম্ভব নয়। আর হারাম হালাল সম্পর্কে জানার একমাত্র উৎস হল কুরআন ও সুন্নাহ। সুতরাং, হারাম হালাল সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই কুরআন ও হাদিস সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ, কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান ছাড়া হারাম হালাল সম্পর্কে জানা সম্ভব নয়। সুতরাং, বলা চলে, পরহেজগারি বা দ্বীনদারির জন্য ইলমের কোন বিকল্প হতে পারে না। ইলম ছাড়া দ্বীনদারি কচু পাতার পানির মত। যে কোন সময় তা ছুটে যেতে পারে। যে কোন সময় সে পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে। শয়তানের জন্য একজন আবেদকে গোমরাহ করা কোন কঠিন কাজ নয়। কিন্তু একজন আলেমকে গোমরাহ করা তার জন্য অতি কঠিন কাজ।

মোটকথা, ইলম ছাড়া দ্বীনদারি অর্জন করা যায় না এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর সান্নিধ্য লাভ করা যায় না।

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, দ্বীনদারির পূর্ণতা হল, একজন মানুষ ভালোর ভালোকে জানা এবং খারাপের খারাপকে জানা। আর এ কথা অবশ্যই জানা থাকতে হবে, ইসলামী শরীয়তের ভিত্তি হল, কল্যাণ লাভকে নিশ্চিত করা ও কল্যাণকে পূর্ণতায় পৌঁছানো এবং যাবতীয় সব ধরনের ক্ষতিকে প্রতিহত করা এবং যথাসম্ভব তা ধমিয়ে রাখা। অন্যথায় যে লোক কোন কাজ করা ও না করার মধ্যে ভালো মন্দ তারতম্য করতে পারে না এবং কোনটির মধ্যে শরীয়তে ইসলামী কল্যাণ রেখেছে আর কোনটির মধ্যে ইসলামি শরিয়ত অকল্যাণ বা ক্ষতি রেখেছে তার বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে না, তার অবস্থা এমন হবে সে কখনো সময় যা করা ওয়াজিব তা ছেড়ে দেবে আর যা করা নিষিদ্ধ তার করে বসবে। আবার কখনো সময় কোন কাজকে সে তাকওয়া মনে করবে কিন্তু বাস্তবে তা তাকওয়া নয়, বরং ইসলামী শরিয়তের পরিপন্থী। যেমন- অনেক লোককে দেখা যায় তারা জালিম ও অত্যাচারী বাদশাহর সাথে একত্র হয়ে কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছেড়ে দেয়, তারা মনে করে এটি বুজুর্গি। [কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি কোন বুজুর্গি বা দ্বীনদারি নয়। এটি হল গোঁড়ামি ও মূর্খতা। বর্তমানেও এ ধরনের তথাকথিত বুজুর্গ ও পরহেজগারের অভাব নাই, যারা ঘরের কোণে ও চার দেয়ালের মধ্যে আবদ্ধ থাকাকে দ্বীনদারি বা বুজুর্গি মনে করে। দেয়ালের বাহিরে এসে ইসলাম বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াকে তাকওয়ার খেলাপ বা পরিপন্থী মনে করে। মূলত: এরা ইসলামের দুশমন। তাদের দ্বারা ইসলামের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়ে থাকে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ হতে হেফাজত করুন।]

উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, যেমন- কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাবস্থায় কতক মুসলিম সৈন্য তাদের আমীরের নিকট এসে দেখতে পেল সে কোন শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত, তখন তারা তার অবস্থা দেখে বলল, আমরা এ ফাসেকের সাথে থেকে যুদ্ধ করতে রাজি না। এ বলে তারা যদি যুদ্ধ করা হতে বিরত থাকে তাহলে কি লাভ হবে? এ ধরনের ভ্রান্ত তাকওয়ার কারণে দুশমনরা এসে শহরকে দখল করে নেবে এবং মুসলিমদের বিপর্যয় নেবে আসবে। যার পরিণতি কারোর জন্যই শুভকর হবে না। দ্বীনদারি অবলম্বন করার জন্য সময় সুযোগ বুঝতে হবে। আর এ সব বুঝার জন্য প্রয়োজন জ্ঞান ও দক্ষতা।

ইলম ও জ্ঞানহীন দ্বীনদারির আরেক দৃষ্টান্ত হল, একজন লোকের পিতা মারা যাওয়ার পর তার কিছু সন্দেহযুক্ত সম্পদ আছে, যেগুলো তার পিতা দুনিয়াতে রেখে গেছে। সাথে সাথে তার এমন কতক পাওনাদারও আছে, যারা তার নিকট টাকা পাবে। তারপর লোকেরা যখন তার ছেলের নিকট এসে তাদের পাওনা দাবি করে, তখন সে বলে, আমি সন্দেহযুক্ত মাল হতে আমার পিতার দেনা পরিশোধ করা হতে বিরত থাকতে চাই।

এ ধরনের দ্বীনদারি ফাসেদ ও ভ্রান্ত এবং যারা এ ধরনের দ্বীনদারি অবলম্বন করে তারা মূর্খ। কারণ, সে তার পিতার সম্পদে সন্দেহ আছে এ কথা বলে, মানুষের অধিকার বা পাওনা পরিশোধ করা ছেড়ে দিচ্ছে। অথচ মানুষের পাওনা পরিশোধ করা তার উপর ওয়াজিব।

জ্ঞান না থাকা মানুষকে অনেক ভালো কাজ ও করনীয় কাজ হতে বঞ্চিত করে। কারণ, তারা মনে করে এ ধরনের কাজ না করাই দ্বীনদারি। অথচ, দ্বীনদারি হল, এ ধরনের কাজ করার মধ্যে। কিন্তু তার ইলম না থাকার কারণে সে তা বুঝতে পারে না। এ জন্য বলা বাহুল্য যে, দ্বীনদারি বা তাকওয়ার জন্য ইলম অবশ্যই থাকতে হবে। ইলম ছাড়া তাকওয়া বা দ্বীনদারির চিন্তা করা সম্পূর্ণ অবান্তর ও ভিত্তিহীন।

তারপর ইমাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহ. বলেন, অনেক লোককে দেখা যায়, তারা যে সব ইমামদের মধ্যে কোন প্রকার বিদআত বা অন্যায় দেখতে পায়, তাদের পিছনে জামাতে সালাত আদায় ও জুমার সালাত আদায় করা ছেড়ে দেয়। তারা মনে করে তাদের পিছনে সালাত আদায় করার চেয়ে একা সালাত আদায় করা বুজুর্গি। কিন্তু তাদের এ ধরনের ধারণা কুরআন ও হাদিসের সম্পূর্ণ বিপরীত। অনুরূপভাবে যখন কোন আলেমের মধ্যে কোন বিদআত পরিলক্ষিত হয় বা কোন সত্যি সাক্ষ্য-দাতা তার মধ্যে কোন ত্রুটি দেখা যায়, তখন তাদের থেকে ইলম হাসিল করা ও সাক্ষ্য কবুল করা হতে বিরত থাকে। তারা মনে করে তাদের থেকে হক কথা শোনে কবুল করা ছেড়ে দেয়া হল বুজুর্গি। অথচ হক কথা শোনা ও তা গ্রহণ করা হল ওয়াজিব [মাজমুয়ে ফাতওয়া: ৫১২/১০.]। কিন্তু তার ইলম না থাকার কারণে সে ওয়াজিব ছেড়ে দিচ্ছে। আর মনে করছে এটিই বুঝি তাকওয়া বা দ্বীনদারি।

একজন মুসলিমের আদর্শ হতে হবে, হক যেখানেই পাবে সে তার থেকে হককে কবুল করবে ও সত্যকে গ্রহণ করবে। মানুষ হিসেবে আমরা কেউ ভুল-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। আমাদের সবারই ভুল হয়ে থাকে। সুতরাং, আমরা যেন অন্যের ভুল দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে না উঠি বরং আমাদের দেখতে হবে তার গুণ কি আছে? আমরা যদি সত্যিকার মুসলিম হই তখন আমরা তার গুণ থেকে উপকৃত হব, আর তার ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করব। কিন্তু দু:খের বিষয় হল, আমরা শুধু মানুষের দোষ তালাশ করে বেড়াই, নিজের দোষ দেখতে অভ্যস্ত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন