hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

অন্তরের আমল দ্বীনদারি

লেখকঃ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জেদ

৫৪
ক- দ্বীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ি করা:
কতক লোক আছে যারা দ্বীনদারি অবলম্বনে সীমাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে এবং তারা ইসলামী শরিয়তের মূল উদ্দেশ্য হতে বের হয়ে আসে। এটি নিতান্তই বাড়াবাড়ি ও খারাপ কাজ। কারণ, মনে রাখতে হবে, সব কিছুর একটি সীমা আছে, যখন কোন ব্যক্তি সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সে তার আসল উদ্দেশ্য থেকে বের হয়ে যায় এবং লক্ষ্যচ্যুত হয়। সুতরাং, মনে রাখতে হবে, কোন মানুষের জন্য দ্বীনদারি অবলম্বনে বাড়াবাড়ি করা ও সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়। যে সব মাসলা-মাসায়েল বিষয়ে মানুষ বাড়াবাড়ি করে, তার মধ্য হতে একটি মাসয়ালা; যেমন- অনেকে বলে যখন হারাম মাল হালালের সাথে মিশে, তখন হুবহু হারাম মালকে হালাল থেকে আলাদা করতে হবে। যদি কোন ব্যক্তি একশ রিয়ালের মালিক হয়, তার অর্ধেক হালাল আর বাকি অর্ধেক হারাম। তখন সে যদি অর্ধেক থেকে রেহাই পেল; এ ব্যক্তি সম্পর্কে কেউ কেউ বলে, নির্ধারিত হারাম- অর্ধেক- থেকে দায়মুক্তি দ্বারা সে কোন উপকৃত হতে পারবে না। এটি হল, বাড়াবাড়ি যা তাকওয়ার সীমা থেকে এক ধাপ আগ বাড়িয়ে বাড়তি তাকওয়া অবলম্বন করা হয়, যার কোন ভিত্তি শরীয়তে নাই।

যখন হালাল মাল হারামের সাথ মিশে তার বিধান কি হবে? এ বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। কোন কোন আলেম তা থেকে গ্রহণ করাকে হারাম বলেছেন। কিন্তু যদি হারামের পরিমাণ একেবারে সামান্য হয়ে থাকে, তাতে কোন অসুবিধা নাই। আর ইমাম আহমদ রহ. বলেন, এ ধরনের মাল থেকে বিরত থাকা উচিত, কিন্তু যদি তা সামান্য বস্তু হয় বা উল্লেখযোগ্য কোন বস্তু না হয়ে থাকে, তাতে কোন অসুবিধা নাই [জামেয়ুল উলুম ওয়াল হিকাম :৭০.]।

আর কোন কোন আলেম বলেন, যদি জানা যায় যে, তার মালের মধ্যে হারাম মাল রয়েছে, কিন্তু নির্দিষ্ট করে জানে না, কোন টুকু হালাল আর কোন টুকু হারাম, তাহলে তার জন্য তা হতে খাওয়ার অনুমতি রয়েছে [জামেয়ুল উলুম ওয়াল হিকাম :৭০.]।

ইমাম যুহরী রহ. বলেন, এ ধরনের সম্পদ হতে খাওয়াতে কোন অসুবিধা নাই, যতক্ষণ পর্যন্ত সে জানতে পারবে যে, নিদির্ষ্ট এ মালটি হারাম।

আর কোন কোন আলেম কোন প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়াই, এ ধরনের মাল থেকে দ্বীনদারি অবলম্বন করার কথা বলেন। সুফিয়ান সাওরী রহ. বলেন, এ ধরনের সম্পদ বক্ষণ করা আমার নিকট পছন্দনীয় নয়, আর ছেড়ে দেয়া আমার মতে অধিক প্রিয় [জামেয়ুল উলুম ওয়াল হিকাম ৭০.]।

কিন্তু যখন যে পরিমাণ হারাম তার মধ্যে প্রবেশ করছে, তা বের করে দেয়া হয়, এবং অবশিষ্ট মালকে ব্যবহার বা কাজে লাগানো হয়, তখন তা হতে বক্ষণ করা হালাল [জামেয়ুল উলুম ওয়াল হিকাম ৭০.]।

এ অবস্থার মধ্যে নির্ধারিত হারাম মালকে বের করে আনার পর তার থেকে বেচে থাকা বা সে মালকে কোন প্রকার কাজে না লাগানো উচিত নয়। কেউ যদি একে তাকওয়া মনে করে তবে সে ভুল করবে।

অনেক সময় দেখা যায় কোন কোন মানুষ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয়ে সন্দেহ হয়, কিন্তু এ ধরনের সন্দেহের উপর ভিত্তি করে তার সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা বা তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা করা কোন ক্রমেই উচিত নয়। যেমন তুমি কোন একজন মুসলিম ভাইয়ের ঘরে প্রবেশ করলে যার অবস্থা সম্পর্কে তুমি কিছুই জান না। তারপর যখন তোমার সামনে সে খাওয়ার উপস্থিত করল, তখন তুমি বললে, তুমি যে টাকা দিয়ে বাজার করছ, সে টাকা কোথায় পেয়েছ? এ ধরনের জিজ্ঞাসা কোন ক্রমেই বৈধ নয়।

এ ধরনের প্রশ্ন কি তাকওয়া হতে পারে? এ ধরনের প্রশ্ন করা কোন ক্রমেই তাকওয়ার মানদণ্ডে পড়ে না। বরং এ ধরনের প্রশ্নের মধ্যে একজন মুসলিমকে কষ্ট দেয়া ও লজ্জা দেয়া হয়।

কারণ, এ হল তাকে অপবাদ দেয়া এবং তার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করা। কোন মুসলিমকে কোন প্রকার দলীল প্রমাণ ও আলামত ছাড়া অপবাদ দেয়া এবং তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ। আর এ হল, একজন মুসলিমের প্রতি খারাপ ধারণা করা এবং একজন মুসলিমের জন্য তার অপর মুসলিম ভাইকে কষ্ট দেয়া সম্পূর্ণ হারাম।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন