hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

জামাআতে নামাযের চল্লিশটি উপকারিতা

লেখকঃ জাহিদুল ইসলাম

১৬
উল্লেখিত দুই বর্ণনার মাঝে সামঞ্জস্য বিধানঃ
আলেমগণ নিম্নলিখতভাবে ২৫ গুণ ও ২৭ গুণের বর্ণনার মাঝে সামঞ্জস্য বিধান করেছেনঃ

১- যে ব্যক্তি জামাআতের সাথে নামায আদায় করার জন্য গমণ করেছে সে পাবে ২৭ গুণ ছোয়াব বেশী। আর যে ব্যক্তি নামায আদায়ের জন্য গিয়েছে, কিন্তু ঘটনাক্রমে জামাআত পেয়ে গেছে সে পাবে পঁচিশগুণ।

২- যে ব্যক্তি প্রথম ওয়াক্তে মাসজিদে যাবে সে পাবে ২৭ গুণ বেশী। আর যে পরে যাবে সে পাবে ২৫ গুণ বেশী।

৩- হাদীছের নির্দেশ মোতাবেক আযান শুনে ধীরস্থতার সাথে মাসজিদে গমণ করে জামাআতে শামিল হলে সাতাইশগুণ ছোয়াব বেশী পাবে। আর তাড়াহুড়া করে গমণ করলে পঁচিশগুণ বেশী পাবে।

৪- মাসজিদে প্রবেশের দুআ পাঠ করে মাসজিদে প্রবেশ করলে সাতাইশ গুণ বেশী পাবে। আর দুআ পাঠ বর্জন করলে পঁচিশ গুণ বেশী পাবে।

৫) মাসজিদে প্রবেশ করে দুহরাকাআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করে জামাআতে শামিল হলে সাতাইশ গুণ বেশী পাবে। আর তা আদায় করে জামাআত ধরলে পঁচিশ গুণ বেশী পাবে।

৬) কেউ কেউ বলেছেনঃ বিষয়টি নামাযীর খুশু-খুযুর উপর নির্ভর করে। নামাযে একাগ্রতা কমবেশী হওয়ার কারণেও ছোয়াবে কমবেশী হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে নামায পড়বে সে সাতাইশ গুণ বেশী ছোয়াব পাবে। তার তুলনায় যার একাগ্রতা কম সে পাবে পঁচিশ গুণ বেশী।

৭- কেউ কেউ বলেছেনঃ মাসজিদে জামাআত করলে পাবে সাতাইশ গুণ। আর মাসজিদের বাইরে যে সমস্ত জামাআত হয়, তাতে অংশগ্রহণকারীগণ পাবে পঁচিশ গুণ।

৮- যারা কাতার সোজা করে এবং দুই মুসল্লীর মধ্যকার ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়াবে তারা সাতাইশ গুণ ছোয়াব বেশী পাবে। আর যারা ফাঁক রাখবে তারা পাবে পাঁচিশ গুণ।

৯- কেউ কেউ বলেছেন। জামাআতে লোক কমবেশী হওয়ার উপর ভিত্তি করে ছোয়াবের তারতম্য হবে। বড় জামাআতে অংশ গ্রহণকারীগণ পাবে সাতাইশ গুণ বেশী। ছোট জামাআতে অংশগ্রহণকারীগণ পাবে পঁচিশ গুণ বেশী।

১০- ফজর ও ইশার জামাআতে অংশগ্রহণকারীগণ পাবে সাতাইশ গুণ বেশী। অন্যান্য নামাযে অংশগ্রহণকারীগণ পাবে পঁচিশ গুণ বেশী।

১১- যে সমস্ত নামাযে কেরাআত আওয়াজ করে পড়া হয়, তাতে অংশগ্রহণকারীগণ পাবে সাতাইশ গুণ বেশী। আর যে সমস্ত নামাযে কেরাআত নিঃরবে পড়া হয় তাতে অংশগ্রহণকারীগণ পাবে পঁচিশ গুণ বেশী।

১২- ইমাম ওসামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বললে তার জবাবে যারা ওরব্বানা লাকাল হাম্‌দ বলবে তারা পাবে সাতাইশ গুণ বেশী। আর যারা তা বলবে না, তারা পাবে পঁচিশ গুণ বেশী।

১৩- সম্ভবত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রথমে পঁচিশ গুণের কথা বলেছিলেন। পরে অহীর মাধ্যমে অবগত হয়ে আরেকটু বাড়িয়ে সাতাইশ গুণের কথা বলেছেন।

এ ব্যাপারে আরও অনেক মত রয়েছে। তার মধ্যে হতে ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) জেহরী নামায তথা আওয়াজ করে কেরাআত পঠিতব্য নামাযগুলোতে অংশগ্রহণকারীগণ সাতাইশ গুণ ছোয়াব বেশী পাওয়ার বিষয়টি অধিক প্রাধান্যপ্রাপ্ত। কারণ এতে রয়েছে মুকতাদীর জন্য কেরাআত পাঠের সুযোগ এবং ইমাম ও আকাশের ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে আমীন বলার বিরাট এক সুযোগ। (আল্লাহই ভাল জানেন)

ওলামাগণ উল্লেখিত দু বর্ণনার মাঝে সামাঞ্জস্যতা বর্ণনা করেছেন এবং মর্যাদা বেশী-কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করেছেন।

ইবনু হাজার আসকালানী (রহ:) বলেছেন, কেবলমাত্র জামাআতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়কে উল্লেখ করে আর বাকী জিনিসগুলোকে ছাটাই করেছি। আর তা হল নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলোঃ

১)জামাআতের সাথে ছালাত আদায় করার নিয়তে মুআয্‌িযনের আহবানে সাড়া দান করা।

২) প্রথম ওয়াক্তে মাসজিদে যাওয়া।

৩) ধীরস্থীরতার সাথে মাসজিদে গমণ করা।

৪) দুআ পাঠ করে মাসজিদে প্রবেশ করা।

৫) মাসজিদে প্রবেশ করে দুরাকাআত তাহিয়্যাতুল মাসজিদ আদায় করা।

উল্লেখিত বিষয়গুলো পালনের ক্ষেত্রে জামাআতে নামায পড়ার নিয়ত থাকতে হবে।

৬) জামাআতে নামায পড়ার জন্য অপেক্ষা করা।

৭) জামাআতে নামায আদায় করার লক্ষ্যে অপেক্ষাকারীর জন্যে ফেরেশতাদের দুআ ও রহমত কামনা।

৮) যারা জামাআতে নামায আদায় করে তাদের জন্যে ফেরেশতাদের সাক্ষ্য প্রদান।

৯) নামাযে ইক্বামতের জবাব প্রদান করা।

১০) শয়তান থেকে আশ্রয় লাভ করা, কেননা আযান হলে শয়তান পলায়ন করে।

১১) মাসজিদে প্রবেশ করে ইমামের সাথে তাকবিরাতুল ইহরামের অপেক্ষা করা বা যে অবস্থায় ইমামকে পাওয়া যায় সে অবস্থায়ই ইমামের সাথে নামাযে শরিক হওয়া।

১২) তাকবিরাতুল ইহরাম পাওয়া।

১৩) কাতার সোজা করা এবং ফাঁক বন্ধ করা।

১৪) ইমাম ওসামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বললে তার জবাব প্রদান করা। অর্থাৎ ওরব্বানা লাকাল হাম্‌দ বলা।

১৫) নামাযে ভুল হওয়া থেকে সতর্ক হওয়া এবং ইমাম নামাযে ভুল করলে তাকে ওসুবহানাল্লাহবলে সতর্ক করা। বা কেরাআতে ভুল করলে স্মরণ করিয়ে দেয়া।

১৬) সাধারণতঃ যে সব জিনিস নামাযে অন্যমনস্ক করে সে সব বিষয় থেকে মুক্তি লাভ করা।

১৭) সুন্দর ও পরিপাটি অবস্থা গ্রহণ করা।

১৮) নামাযের কাতারকে ফেরেশতাগণ কর্তৃক পরিবেষ্টন করে রাখা।

১৯) কুরআন পাঠে তাজবীদের অভ্যাস করা এবং নামাযের রুকন, ওয়াজিব ও সুন্নত সম্পর্কে শিক্ষা গ্রহণ করা।

২০) ইসলামের নিদর্শন প্রকাশ করা।

২১) ইবাদতের ক্ষেত্রে একত্রিত হয়ে শয়তানকে প্রতিহত করা, আনুগত্যের কাজে পরস্পরকে সাহায্য করা এবং অলস ব্যক্তিকে কর্মঠ করা।

২২) মুনাফেকের চরিত্র এবং মানুষের এ কুধারণা থেকে মুক্তি লাভ যে, সে একেবারেই নামায ছেড়ে দিয়েছে।

২৩) ইমামের সালামের জবাব প্রদান করা।

২৪) সমবেত মুছল্লিগণের দুআ ও যিকির থেকে উপকারিতা লাভ।

২৫) পাড়া-প্রতিবেশীর মাঝে ভালবাসা ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি হওয়া এবং নামাযের এই সময়গুলোতে একে অপরের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ হয়।

উল্লেখিত ২৫টি বৈশিষ্ট যার প্রতিটিই পালনের ব্যাপারে নির্দেশ রয়েছে বা উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এই পঁচিশটি ছাড়া আরও দুটি রয়েছে যা নামাযে উচ:স্বরে ক্বেরাআত পড়ার সাথে সম্পৃক্ত। তা হল: ১) সূরা ফাতেহা বাদ দিয়ে নামাযে ইমামের ক্বেরাআত পড়ার সময় নিরব থাকা এবং তা শ্রবন করা ২) ইমাম আমীন বলার সময় আমীন বলা, কেননা যার আমীন ফেরেশতার আমীন বলার সাথে মিলে যাবে তার পিছনের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [- সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থ ফাতহুল বারী, দ্বিতীয় খন্ড ১৩৩পৃ:।]

মুহাম্মদ বিন আলী আশ্‌শাওকানী (রহঃ) বলেছেন, কল্যাণ থেকে বঞ্চিত ব্যক্তি হল সে, যে জামাআতের ছোয়াব থেকে বঞ্চিত।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন