hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

১৩
গীবত থেকে বাঁচার উপায়
১. রাগ ও ক্রোধকে সংযত রাখা :

সর্বাবস্থায় রাগ ও ক্রোধকে সংযত রাখতে হবে। কেননা মানুষ যখন কারো প্রতি রাগাম্বিত হয়, তখন তার সম্পর্কে এমন সব কথা বলে থাকে যার অধিকাংশই গীবতের অন্তর্ভুক্ত।

২. হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকা :

হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা হিংসা-বিদ্বেষের কারণেই মানুষ একে অপরকে ঘৃণার চোখে দেখে। আর যখন একে অপরের সাথে খারাপ মনোভাব তৈরি হয়, তখনই মানুষ গীবতে লিপ্ত হয়। অতএব আমাদের উচিত গীবতকে পরিহার করার জন্য হিংসা-বিদ্বেষ থেকে নিজেকে দূরে রাখা।

৩. অহংকার থেকে বিরত থাকা :

অহংকার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। কেননা আগুন যেমনিভাবে কাঠকে খেয়ে ফেলে ঠিক তেমনিভাবে অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। অহংকারের কারণে মানুষ অপরকে তুচ্ছ জ্ঞান করে এবং গীবতে জড়িয়ে পড়ে।

৪. অপরকে তুচ্ছ না ভাবা :

নিজেকে আল্লাহর নগণ্য বান্দা ভাবতে হবে এবং অপরকে বড় হিসেবে দেখতে হবে। কেননা নিজেকে বড় ভাবা এবং অপরকে ছোট ভাবা থেকে অনেক সময় গীবত হয়ে থাকে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘হে ঈমানদারগণ, কেউ যেন অপর কাউকে উপহাস না করে, কেননা সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোন নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে। কেননা সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হতে পারে।’’ (সূরা হুজরাত- ১১)

৫. অহেতুক ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করা :

কারো কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে ঠাট্টা, উপহাস করা থেকে দূরে থাকতে হবে। বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কারো সাথে হাসি-ঠাট্টা করতে গিয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আমি যে বিষয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছি তা গীবতের মধ্যে পড়ছে কি না। যদি তা গীবতের অন্তর্ভুক্ত হয় তবে তা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে এবং যারা এসব করছে তাদেরকেও তা থেকে বিরত থাকার জন্য উপদেশ দিতে হবে। এভাবে নিজেকেও গীবত থেকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে এবং নিজের কর্ণকেও গীবত থেকে বিরত রাখা যাবে। এ রকম চলতে থাকলে একসময় গীবত বা দোষচর্চা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ইন্শা আল্লাহ!

৬. যার দোষ তাকেই বলা :

কারো কোন ভুল-ত্রুটি হতে দেখলে সাহস করে দ্রুত তাকে তা জানাতে হবে যাতে করে সে নিজেকে সংশোধন করে নিতে পারে।

৭. অনর্থক কথা বলা থেকে বিরত থাকা :

বেহুদা কথা ও অযথা সময় নষ্ট করা থেকেই গীবতের সূত্রপাত। তাই গীবত বা পর দোষচর্চার মত মারাত্মক অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য বেহুদা কথা ও অযথা সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে বিরত রাখতে হবে। যে সময়টুকু অবসর পাওয়া যায় সে সময়টুকু আল্লাহর যিকিরে কাটানোর চেষ্টা করতে হবে। তাহলে দেখা যাবে এর দ্বারা একদিকে নিজেকে গীবত থেকে বিরত রাখা যাবে, আবার অপরদিকে আল্লাহর যিকির করার কারণে অসংখ্য সওয়াবও অর্জিত হবে।

৮. গীবত সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা :

কুরআন-হাদীস ও ইসলামী বই-পুস্তক নিয়মিত পাঠ করতে হবে, যাতে করে কোনটা গীবত আর কোনটা গীবত না তা যথাযথভাবে নির্ণয় করা যায় এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর ভয় মনে জাগ্রত করে গীবতের মত বড় অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে সাহায্য পাওয়া যায়।

৯. আত্মপ্রশংসা থেকে বিরত থাকা :

আত্মপ্রশংসা না করে নিজের অসংখ্য ভুলের বা গুনাহের কথা স্মরণ করে বার বার তাওবা করতে হবে।

১০. প্রতিটি কথা রেকর্ড হয় এ কথা মনে রাখা :

মনে রাখতে হবে যে, আমরা যাই বলিনা কেন তা আল্লাহর ফেরেশতারা যথাযথভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আর এ জন্য আমাদেরকে আল্লাহর নিকট হিসাব দিতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

اِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ - مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ

‘‘স্মরণ রেখো! দুই ফেরেশতা তার ডানে ও বামে বসে তার কর্ম লিপিবদ্ধ করে। মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা লিপিবদ্ধ করার জন্য অতন্দ্র প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে।’’ (সূরা কাফ- ১৭, ১৮)

১১. কথা কম বলা ও চিন্তা-গবেষণা বেশি করা :

কথা কম বলে চিন্তা-গবেষণা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং অতিরিক্ত হাসি-তামাশা থেকে দূরে থেকে রাসূলের চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।

সেমাক (রাঃ) বলেন, আমি জাবির বিন সামুরা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি রাসূল ﷺ এর মজলিসে উপস্থিত থাকতেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ! তারপর বললেন, রাসূল ﷺ দীর্ঘক্ষণ চুপ থাকতেন, অল্প হাসতেন, তাঁর সাথীরা কবিতা এবং অন্যান্য আনুসাঙ্গিক বিষয়ে আলোচনাকালীন সময়ে তিনি হাসতেন, তবে মুচকি হাসতেন। (সুনানুলকুবরা লিল বায়হাকী হা : ২১৬৪৮)

সুতরাং যারা রাসূলের উম্মত এবং রাসূল ﷺ কে ভালবাসে ও তাকে অনুসরণ করে তাদের উচিত ভাল কথা বলা, অন্যথায় চুপ থাকা।

১২. কুরআনের সাথে সময় ব্যয় করা :

বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে। প্রতিদিন বুঝে বুঝে কুরআন পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং যতটুকু সম্ভব মুখস্থ করার চেষ্টা করতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন, কুরআন পাঠকারীকে বলা হবে, পড় যেভাবে দুনিয়াতে তারতিলের সাথে পড়তে। তোমার স্থান শেষ আয়াত পর্যন্ত হবে, যা তুমি পড়েছিলে। যখনই কুরআন শুনতে পাওয়া যাবে তখনই কথা না বলে তা শ্রবণ করা উচিত। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَاِذَا قُرِئَ الْقُرْاٰنُ فَاسْتَمِعُوْا لَهٗ وَاَنْصِتُوْا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُوْنَ

‘‘যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা তা মনোযোগসহকারে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক, যাতে করে তোমাদের উপর করুণা বর্ষিত হয়।

(সূরা আরাফ- ২০৪)

১৩. যাচাই বাছাই করে কথা বলা :

আমাদের নিকট শুনা বা লিখিতভাবে যেসব খবর পৌঁছে থাকে তা যথাযথভাবে যাচাই বাছাই করে বৈধ পন্থায় অপরের কাছে বলার এবং পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে। কেননা এতে মিথ্যা কথা হওয়ার আশংকা রয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেন-

كَفٰى بِالْمَرْءِ كَذِبًا اَنْ يُحَدِّثَ بِكُلِّ مَا سَمِعَ

‘‘কোন ব্যক্তির মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তা-ই প্রচার করে।’’ (মুসলিম হা: ৭)

১৪. গীবত প্রতিহত করা এবং তা শুনা থেকে বিরত থাকা :

যখন কোন ব্যক্তি কারো গীবত শুরু করে তখনই শ্রোতার উচিত হল গীবতকারীকে গীবতের পরিণতির কথা জানিয়ে দেয়া এবং এ থেকে বিরত থাকার উপদেশ দেয়া। যাতে করে গীবত শুনার অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচানো যায়। কেননা কিয়ামতের দিন গীবত শ্রবণের অপরাধেও মানুষকে পাকড়াও করা হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন