hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

যেভাবে গীবত হয়ে থাকে
১. যবানের মাধ্যমে গীবত :

যবানই হচ্ছে গীবত করার সবচেয়ে বড় মাধ্যম। বর্তমান সমাজে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গীবত সংঘটিত হয় এ যবান দ্বারাই। এজন্য নিজেদের যবানের হেফাযত করা প্রতিটি মুমিনের একান্ত কর্তব্য। রাসূল ﷺ বলেন-

مَنْ يَّضْمَنْ لِيْ مَا بَيْنَ لِحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ اَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ

‘‘যে ব্যক্তি তার দু’পা ও দু’চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থানের দায়িত্ব নিতে পারবে অর্থাৎ মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের যামিনদার হব।’’ (বুখারী হা: ৬৪৭৪)

অপর হাদীসে তিনি বলেন-

مَنْ صَمَتَ نَجَا

‘‘যে ব্যক্তি চুপ থাকল সে মুক্তি পেল।’’ (তিরমিযী হা: ২৫০১)

অন্য হাদীসে নবী ﷺ বলেন-

مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا اَوْ لِيَصْمُتْ

‘‘যে আল্লাহ এবং পরকালকে বিশ্বাস করে সে যেন উত্তম কথা বলে অথবা নিরবতা পালন করে।’’ (বুখারী হা: ৬০১৮, মুসলিম হা: ৪৭)

২. শারীরিক অভিনয়ের মাধ্যমে গীবত করা :

কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির দোষণীয় অবস্থা বুঝাতে শরীরের কোন অঙ্গ-প্রতঙ্গ ব্যবহার করে, তবে তাও গীবত বলে গণ্য হবে। যেমন কেউ কোন ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে নিজের শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ ব্যবহার করে বলল, অমুক ব্যক্তি এ রকম করে হাঁটে বা এভাবে কথা বলে। এরূপ করাটাও গীবত। রাসূল ﷺ বলেছেন-

مَا يَسُرُّنِيْ اَنِّيْ حَكَيْتُ رَجُلًا وَاَنَّ لِيْ كَذَا وَكَذَا

‘‘আমি এত এত সম্পদের বিনিময়ে হলেও অপরের অনুকরণ পছন্দ করি না।’’ (তিরমিযী হা: ২৫০২)

৩. ইশারা-ইঙ্গিতে গীবত করা :

ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে অন্যের দোষ প্রকাশ করাও গীবত। যে কোন কারণে সরাসরি নাম উল্লেখ না করে যদি এমনভাবে ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি প্রকাশ করা হয় যাতে বুঝা যায় যে, সে অমুক ব্যক্তির সমালোচনা করছে তবে তা গীবত বলে গণ্য হবে। যেমন- কাল তার নিকট এই এই স্বভাবের লোক এসেছিল, আর শ্রবণকারী ব্যক্তিও চিনে নিল যে, সে কোন ব্যক্তি; তখন এটাও ঐ ব্যক্তির জন্য গীবত হয়ে যাবে। কোন মুসলমানের জন্য জায়েয নয় যে, সে তার অন্য ভাইয়ের দিকে এমনভাবে ইঙ্গিত করবে যা তাকে কষ্ট দেয়।

৪. অন্তরের মাধ্যমে গীবত করা :

কোন প্রমাণ ছাড়াই সন্দেহ বা অন্য কোন কিছুর ভিত্তিতে কারো সম্পর্কে অহেতুক খারাপ ধারণা করা ইসলামী শরীয়তে হারাম। আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদেরকে এটা নিষেধ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اجْتَنِبُوْا كَثِيْرًا مِّنَ الظَّنِّ اِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ اِثْمٌ

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিক ধারণা হতে বিরত থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা এমন রয়েছে যা গুনাহ ।’’ (সূরা হুজরাত : ১২)

৫. লেখনীর মাধ্যমে :

মানুষের মনের ভাব প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে লেখনী। অনেক সময় এ লেখনীর দ্বারাও গীবত সংঘটিত হয়ে থাকে। লেখনীর দ্বারা যদি কারো দোষ বর্ণনা করা হয় তবে তা ব্যক্তির মনে বড় ধরণের প্রভাব ফেলে। লেখনীর মাধ্যমে যে গীবত করা হয় তার স্থায়িত্ব অনেক বেশি হয়। কেননা লিখিত বস্তু অনেক দিন টিকে থাকে।

৬. কানের মাধ্যমে গীবত করা :

শুধুমাত্র অন্যের দোষ বলে বেড়ানোকেই গীবত বলে না বরং অন্যের দোষ শুনে প্রতিবাদ না করাটাও এক ধরণের গীবত। গীবত করা যেমন গর্হিত কাজ তেমনি তা শ্রবণ করাও গর্হিত কাজ। কেননা গীবত শ্রবণকারী গীবত না শুনলে পাপ সংঘঠিত হত না। তাই দু’জনেই অপরাধি। মুমিনের উচিত কানের হেফাযত করা। কারণ আল্লাহ বান্দার কান সম্পর্কে কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। মহান আল্লাহ বলেন-

اِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ اُولٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا

‘‘কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর এগুলোর প্রত্যেকটির বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’ (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩৬)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন