hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩৮
যাদেরকে তওবা ছাড়া ক্ষমা করা হয় না
এ কথা সঠিক যে, আল্লাহ তা‘আলা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। যে-ই তাঁর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তাকেই তিনি ক্ষমা করতে পারেন। তবে এটা হয় গুনাহের স্তর অনুযায়ী। যার গুনাহ যত বড় হবে তাকে সেভাবেই তওবা করতে হবে। কতক গুনাহ আছে নেক আমলের মাধ্যমে আপনা-আপনিই ক্ষমা হয়ে যায়। কতক গুনাহ আছে খালিস তওবা ছাড়া সেগুলো ক্ষমা হয় না। আবার এমনও গুনাহ আছে তওবা ছাড়া মারা গেলে পরকালে আল্লাহ তা‘আলা ঐ গুনাহ ক্ষমা করবেন না। যেমন-

শিরকের গুনাহ :

গুনাহের মধ্যে একটি বড় গুনাহ হচ্ছে শিরক। এটা এমন একটি গুনাহ যা আল্লাহ তা‘আলা খালিস তওবা ছাড়া ক্ষমা করেন না। কেননা এর দ্বারা আল্লাহ তা‘আলার একত্বাবাদকে অস্বীকার করা হয়। তাই আল্লাহ তা‘আলা খালিস তওবা ছাড়া এটা ক্ষমা করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

اِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ اَنْ يُّشْرَكَ بِهٖ وَيَغْفِرُ مَا دُوْنَ ذٰلِكَ لِمَن يَّشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرٰى اِثْمًا عَظِيْمًا

‘‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শিরক স্থাপনের পাপ ক্ষমা করবেন না। এটা ব্যতীত অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করে সে এক মহাপাপ করে।’’ (সূরা নিসা- ৪৮)

অত্র আয়াতে আললাহ তা‘আলা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, যারা তওবা না করে মৃত্যুবরণ করবে। তারা যখন শির্কের গুনাহ নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হবে তখন আল্লাহ তা‘আলা এ গুনাহের কারণে তাদের অন্যসব গুনাহ তিনি ক্ষমা করবেন না।

তবে মুশরিক ব্যক্তি যদি দুনিয়াতে অনুতপ্ত হয়ে খালিস নিয়তে তওবা করে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক চলে এবং সৎ আমল করে তবে আল্লাহ তা‘আলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।

যারা মুনাফিকী করে :

سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ اَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ اَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَن يَّغْفِرَ اللهُ لَهُمْ اِنَّ اللهَ لَا يَهْدِيْ الْقَوْمَ الْفَاسِقِيْنَ

‘‘তুমি তাদের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা কর অথবা না কর, উভয়ই তাদের জন্য সমান। আল্লাহ তাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হেদায়াত দান করেন না।’’ (সূরা মুনাফিকূন- ৬)

অত্র আয়াত আল্লাহ তা‘আলা মদীনার সবচেয়ে বড় মুনাফিক আবদুল্লাহ ইবনে উবাই সম্পর্কে অবর্তীন করেছেন। আয়াতটি ব্যক্তি সম্পর্কে অবতীর্ণ হলেও যারাই মুনাফিকী করবে তাদের প্রত্যেকেই এ আয়াতের আওতায় পড়বে। আবদুল্লাহ ইবনে উবাই রাসূল ﷺ ও মুমিনদের সাথে এমন আচরণ করত যে, তার চেয়ে বড় মুমিন আর কেউ নেই। আবার তাদের থেকে একটু আড়াল হলে কাফেরদের সাথে মিলিত হয়ে কুফুরীতে লিপ্ত হয়ে পড়ত। যার দ্বারা প্রমাণ হয় যে, সে মূলত কুফুরীতে লিপ্ত ছিল, আর উপরে উপরে মুমিন বলে পরিচয় দিত। তাই রাসূল ﷺ তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করলে মহান আল্লাহ তার আবেদন নাকচ করে দেন। এমনকি এ কথাও বলে দেন যে, তুমি যদি ৭০ বার তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা কর তবুও তাকে ক্ষমা করা হবে না।

সুতরাং বুঝা গেল যে, আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিকীর গুনাহ ক্ষমা করেন না। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে এ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুন। আমীন!

যারা বিদ‘আত করে :

আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বিদআতীর তওবা স্থগিত করে রেখেছেন, যতক্ষণ না সে তার বিদআতকে পরিত্যাগ করবে। (তাবরানী, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত্তারহীব হা: ৫৪)

এ হাদীস দ্বারা জানা গেল যে, বিদআতী যতক্ষণ পর্যন্ত বিদআত পরিত্যাগ না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার তওবা কবুল হবে না। বিদআত অত্যন্ত মন্দকাজ।

রাসূল ﷺ আমাদেরকে একটি পূর্ণাঙ্গ দ্বীন উপহার দিয়েছেন। সুতরাং এ দ্বীনের মধ্যে কোনকিছু কমানো বা বাড়ানোর অধিকার কারো নেই। যে ব্যক্তি কোন বিদআত প্রচলন করে, সে যেন এটা প্রকাশ করে যে, রাসূল ﷺ আমাদের নিকট পূর্ণাঙ্গ দ্বীন পৌঁছিয়ে যাননি। ইসলামের মধ্যে যে অভাব থেকে গিয়েছিল, এটাকে সে পূর্ণ করছে। (নাউযু বিল্লাহ)। এটা বিরাট গোমরাহী। এ গোমরাহীর মধ্যে অনেক লোকই লিপ্ত রয়েছে। তারা বিদআতের সাথে এমনভাবে জড়িত যে, শত বুঝালেও তারা তা থেকে ফিরে আসে না। যার কারণে তাদের তওবা করারও সুযোগ হয় না। এ জন্য তাদের কোন আমল কাজে আসবে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْاَخْسَرِيْنَ أَعْمَالًا اَلَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُوْنَ اَنَّهُمْ يُحْسِنُوْنَ صُنْعًا

(হে নবী!) আপনি বলে দিন, আমি কি তোমাদেরকে আমলের দিক থেকে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে সংবাদ দেব? (তারা হচ্ছে) যাদের দুনিয়ার জীবনের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে অথচ তারা ধারণা করছে যে, তারা উত্তম কাজ করছে। (সূরা কাহফ- ১০৩, ১০৪)

যারা ঈমান এনেও বারবার কুফরী করে :

যারা ঈমান আনার পরও কুফরী কাজে লিপ্ত হয়, এমনকি বার বার কুফরী করে আর এ অবস্থায়ই মৃত্যু বরণ করে, তাদের তওবা আল্লাহ তা‘আলা কবুল করেন না। তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا بَعْدَ اِيمَانِهِمْ ثُمَّ ازْدَادُوْا كُفْرًا لَّنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ وَاُولٰئِكَ هُمُ الضَّالُوْنَ

নিশ্চয় যারা ঈমান আনার পরও কুফরী করে, এরপর সেই কুফরীকে বৃদ্ধি করে তাদের তওবা কখনো কবুল করা হবে না। আর তারাই হবে পথভ্রষ্ট। (সূরা আলে ইমরান- ৯০)

اِنَّ الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا ثُمَّ اٰمَنُوْا ثُمَّ كَفَرُوْا ثُمَّ ازْدَادُوْا كُفْرًا لَّمْ يَكُنِ اللهُ لِيَغْفِرَ لَهُمْ وَلَا لِيَهْدِيْهُمْ سَبِيْلًا

‘‘নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও পরে কুফরী করে এবং আবার ঈমান আনে, আবার কুফরী করে; অতঃপর তাদের কুফরী বৃদ্ধি পায়, আল্লাহ তাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করবেন না এবং তাদেরকে (ক্ষমার) কোন পথও দেখাবেন না।’’ (সূরা নিসা- ১৩৭)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন