hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৬
কথা বলার আদব
কথা বলার কিছু আদব বা নিয়ম আছে যা মেনে চললে কথার মধ্যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। নিম্নে এসব নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হল :

১. যেসব কথার দ্বারা দ্বীন ও দুনিয়ার কোন লাভ নেই সেসব কথা মুখ দিয়ে বের করা উচিত নয়।

২. সর্বাবস্থায় উত্তেজনামূলক কথা পরিহার করতে হবে।

৩. কথা বলার আগে চিন্তা করে নিতে হবে যে, আমি কী বলছি আর এর প্রভাব কী হবে? কেননা, কোন কোন সময় হালকাভাবে এমন কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে যায়, যার কারণে ফাসাদ সৃষ্টি হয়। সবসময় পরিবেশ ও পরিস্থিতি বুঝে কথা বলতে হবে।

৪. যাচাই বাছাই ও প্রমাণ ব্যতীত কোন কথা বলা উচিত নয়। কেননা এর প্রভাব বহুদূর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছতে পারে।

৫. কোন প্রসঙ্গ বুঝাতে গিয়ে অতিরিক্ত কথা বলা পরিহার করতে হবে।

৬. কথা বলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কথা এত দীর্ঘ না হয়, যাতে শ্রোতা বিরক্ত হয় আবার এত সংক্ষিপ্ত যেন না হয় যে, শ্রোতা কথার অর্থই বুঝবে না।

৭. কথা পরিপূর্ণ ও স্পষ্ট করে বলতে হবে। যাতে অন্যরা সহজে বুঝতে পারে।

৮. কেউ কেউ কিছু কথা খুব জোরে বলে, আবার কিছু কথা আস্তে বলে। এতে কোনটা শুনা যায় আবার কোনটা শুনা যায় না, শ্রোতারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায়। তাই কথার প্রতিটি অংশকেই স্পষ্ট করে বলতে হবে।

আনাস (রাঃ) বলেছেন, রাসূল ﷺ যখন কথা বলতেন তখন তিন বার পুনরাবৃত্তি করতেন (যেন সবাই বুঝতে পারে)। (বুখারী হা: ৯৪)

৯. গীবত, চোগলখোরী ও মুনাফিকী পরিহার করতে হবে।

১০. যদি কেউ গালি দেয় বা কটু কথা বলে তাহলে তার জওয়াব সেভাবে দেয়া যাবে না বরং উত্তম কথায় তার জওয়াব দিতে হবে, যাতে সে আরো উত্তেজিত না হয় এবং নিজের ভুল বুঝতে পারে।

১১. কারো সাথে অহেতুক বিতর্কে জড়ানো যাবে না। যদি প্রতিপক্ষ যুক্তিপ্রমাণ না মানে তাহলে সেখানে চুপ থাকতে হবে।

১২. কেউ কথা বলার সময় তার কথার মাঝখানে কথা বলবে না বরং শ্রবণ করবে, পরে সুন্দর ভাষায় এর উত্তর দেবে।

১৩. আস্তে কথা বলতে হবে। কেননা আস্তে কথা বলা তাকওয়ার পরিচয় বহন করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَاقْصِدْ فِيْ مَشْيِكَ وَاغْضُضْ مِنْ صَوْتِكَ اِنَّ اَنْكَرَ الْاَصْوَاتِ لَصَوْتُ الْحَمِيْرِ

‘‘তোমার চলাফেরায় মধ্যম পন্থা অবলম্বণ কর এবং তোমার স্বরকে নীচু কর। নিশ্চয় স্বরের মধ্যে গাঁধার স্বরই সবচেয়ে অপছন্দনীয়।’’

(সূরা লুকমান- ১৯)

১৪. মেয়েরা পুরুষদের সাথে নরম ভাষায় কথা বলবে না। কারণ এতে ফিতনার আশংকা রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَاءِ اِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِيْ فِيْ قَلْبِه مَرَضٌ وَّقُلْنَ قَوْلًا مَّعْرُوْفًا

‘‘হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা কোন সাধারণ স্ত্রীলোকের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর তবে (পরপুরুষের সাথে) কথা বলার সময় এমনভাবে কোমল কন্ঠে কথা বল না যাতে যার অন্তরে (কু-প্রবৃত্তির) রোগ রয়েছে সে লালায়িত হয়। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে।’’ (সূরা আহযাব- ৩২)

১৫. মন্দ কথা পরিহার করতে হবে। কেননা শয়তান মন্দ কথার উস্কানি দেয়। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَقُلْ لِعِبَادِيْ يَقُوْلُوْا الَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ اِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْزَغُ بَيْنَهُمْ اِنَّ الشَّيْطَانَ كَانَ لِلْاِنْسَانِ عَدُوًّا مُّبِيْنًا

‘‘আমার বান্দাদেরকে উত্তম কথা বলতে বলো। নিশ্চয় শয়তান তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উস্কানি দেয়; শয়তান তো মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।’’

(সূরা বনী ইসরাঈল- ৫৩)

১৬. অশ্লীল কথাবার্তা পরিহার করতে হবে। কেননা অশ্লীল কথাবার্তা বলা মুনাফিকদের কাজ। আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, লজ্জা ও কম কথা বলা ঈমানের দু’টি শাখা। আর অশলীল ও অপ্রয়োজনীয় কথা বলা মুনাফিকীর দু’টি শাখা। ( তিরমিযী হা: ২০২৭)

১৭. সর্বদা সত্য কথা বলতে হবে, কখনও মিথ্যা বলা যাবে না। কেননা সকল পাপের উৎস হচ্ছে মিথ্যা। যে মিথ্যা বলতে পারে পাপের এমন কোন কাজ নেই যা সে করতে পারে না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِ

‘‘সুতরাং তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাক এবং মিথ্যা কথা থেকে দূরে থাক।’’ (সূরা হাজ্জ- ৩০)

সর্বোপরি, কথা বলার পূর্বে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সর্বদা ভাল কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। আর এমনসব কথা বলা থেকে দূরে থাকতে হবে, যা দ্বারা আল্লাহ রাগান্বিত হন।

১৮. কানাকানি করে কথা বলবে না। কানাকানি কু-ধারণার জন্ম দেয়। তাই রাসূল ﷺ এটা নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন-

اِذَا كُنْتُمْ ثَلَاثَةً فَلَا يَتَنَاجٰى رَجُلَانِ دُوْنَ الْاٰخَرِ حَتّٰى تَخْتَلِطُوْا بِالنَّاسِ اَجْلَ اَنْ يُحْزِنَهٗ

‘‘যদি তিনজন লোক একসাথে থাকে, তবে দু’জন যেন অপরজনকে বাদ দিয়ে গোপন আলাপ না করে। তাদের উচিত হবে একত্রে মিলে কথা বলা নতুবা যাকে বিচ্ছিন্ন করা হবে সে চিন্তিত হবে।’’ (বুখারী হা: ৫৮৪৪)

অত্র হাদীসে রাসূল ﷺ কানাকানি করার ব্যাপারে সর্বনিম্ন তিনজন লোক নির্ধারণ করেছেন। সর্বোচ্চের কথা কিছুই বলেননি। তাই তিন বা তিনের অধিক সংখ্যক লোক উপস্থিত থাকা অবস্থায় দু’জন আলাদা হয়ে চুপে চুপে কথা বলা নিষেধ। কারণ, তৃতীয়জন ভাববে তারা হয়ত আমার সম্পর্কে কিছু বলছে। এতে তার কষ্ট হবে এবং তাদের প্রতি বিরূপ ধারণা করার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তৃতীয় জনের অনুমতি নিয়ে কথা বলবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন