hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

যেসব সমালোচনা গীবত নয়
যদি সৎ ও শরীয়তসম্মত উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে কারো অনুপস্থিতিতে তার সমালোচনা করা জরুরী হয়ে যায় তবে তা গীবত হবে না। যেমন :

১. যালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা :

মাযলুম ব্যক্তি যালিমের বিরুদ্ধে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, বিচারক বা এমনসব ব্যক্তির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করতে পারবে যারা যালিমকে দমন করার শক্তি এবং মাযলুমের প্রতি ন্যায়বিচার করার ক্ষমতা রাখেন।

সুবিচার লাভের উদ্দেশ্যে শাসকদের কাছে অধিনস্ত কর্মচারির বিরুদ্ধে অভিযোগ করার অনুমতি রয়েছে। এটা গীবত হবে না। কেননা এরূপ ক্ষেত্রে নিশ্চুপ থেকে যুলুম মেনে নিলে নিজের হক তো নষ্ট হবেই তাছাড়া যালিমকে প্রশ্রয় দেয়ার ফলে যুলুমও বৃদ্ধি পাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

لَا يُحِبُّ اللهُ الْجَهْرَ بِالسُّوءِ مِنَ الْقَوْلِ اِلَّا مَنْ ظُلِمَ وَكَانَ اللهُ سَمِيْعًا عَلِيْمًا

‘‘আল্লাহ কারো দোষ প্রকাশ করে দেয়া পছন্দ করেন না, তবে মাযলুম ব্যক্তি ছাড়া। (সুবিচার লাভের প্রত্যাশায় তার জন্য অত্যাচারের অভিযোগ তুলে ধরার অবকাশ রয়েছে।) আর আল্লাহ সবকিছু দেখেন এবং সবকিছু জানেন।’’(সূরা নিসা- ১৪৮)

২. ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা :

ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ এবং গুনাহের কাজের সুযোগ বন্ধ করার জন্য সহযোগিতা পাওয়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর আলোচনা করা গীবত নয়। যার দ্বারা আল্লাহদ্রোহী কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার আশংকা রয়েছে তার বিরুদ্ধে এভাবে বলা যে, অমুক ব্যক্তি এমন এমন কাজ করছে। তাকে শাসন করা প্রয়োজন। তবে এর উদ্দেশ্য হবে শুধুমাত্র অবৈধ কার্যকলাপ প্রতিরোধ করা।

৩. কোন বিষয়ে ফতওয়া চাওয়া :

যিনি ফতওয়া দেয়ার ক্ষমতা রাখেন তার কাছে কোন বিষয়ের সমাধানের উদ্দেশ্যে কারো দোষ বর্ণনা করা বৈধ। এক্ষেত্রে সর্বোত্তম উপায় হল কারো নাম উল্লেখ না করে এভাবে বলা যে, কোন ব্যক্তি বা কোন স্বামী যদি এমন আচরণ করে তাহলে তার ব্যাপারে ইসলামের সমাধান কী? এভাবে কাউকে নির্দিষ্ট না করেই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। তবে কাউকে চিহ্নিত করা জরুরি হলে সে ব্যক্তির নাম উল্লেখ করাও জায়েয।

৪. মুসলমানকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচানো :

কোন মুসলমানকে ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য কারো প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করা গীবত নয়। যেমন, বিয়ের ব্যাপারে, কোন বিষয়ে অংশীদার হওয়ার ব্যাপারে, আমানত ও লেনদেনের ব্যাপারে কিংবা কাউকে প্রতিবেশী বানানোর ব্যাপারে অন্য পক্ষের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করা হলে তার কর্তব্য হল তাকে সঠিক কথা বলে দেয়া। এক্ষেত্রে যদি সে অন্য পক্ষের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখে তবে অপর মুসলিম ভাই ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ফাতেমা বিনতে কায়েস ؓ নবী ﷺ এর নিকট এসে পরামর্শ চেয়ে বললেন, আবু জাহাম ও মুয়াবিয়া উভয়ে আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে। তখন নবী ﷺ বললেন, নিশ্চয় মুয়াবিয়া তোমাকে কষ্ট দেবে, তার কোন মাল নেই। আর আবু জাহামের হাত থেকে কখনো লাঠি নামে না।

(মুসলিম হা: ৩৭৮৫)

অনুরূপভাবে কোন লোককে কোন বিষয়ের যিম্মাদার বা দায়িত্বশীল বানানো হলে তার কর্তব্য হল সে দায়িত্ব যথাযথ পালন করা। কোন লোক যদি দায়িত্ব পালনে গড়িমসি করে অথবা সে ঐ পদের উপযুক্ত না হয় অথবা সে ফাসিক বা অলস হয় তবে কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি অবহিত করা জরুরি, যাতে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিংবা অন্য কোন যোগ্য লোককে দায়িত্ব দিতে পারে।

৫. হাদীস যাচাই করার জন্য বর্ণনাকারীদের সমালোচনা করা :

হাদীসের রাবী বা বর্ণনাকারীদের যেসব দোষ-ত্রুটি আছে তা যাচাই করা জরুরি। এটা শুধু জায়েযই নয়, বরং বিশেষ প্রয়োজন। কেননা এর মধ্যে মুসলমানদের বৃহত্তম স্বার্থ রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ ۢبِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوْا

‘‘হে ঈমানদারগণ! কোন ফাসিক ব্যক্তি যদি তোমাদের নিকট কোন খবর নিয়ে আসে তবে তার সত্যতা যাচাই করে নাও।’’ (সূরা হুজরাত- ৬)

এ আয়াত দ্বারা এ কথা প্রমাণিত হয় যে, কোন ফাসিক ব্যক্তি যদি কোন সংবাদ নিয়ে আসে তবে তা গ্রহণের পূর্বে সে খবরের সত্যতা কতটুকু তা যাচাই করতে হবে। যেন সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের পর কোন বিপদে না পড়তে হয়। তাই দ্বীনের হেফাযতের উদ্দেশ্যে মুহাদ্দিসগণ হাদীসের রাবীদের দোষ-ত্রুটি পর্যালোচনা করে যয়ীফ ও জাল হাদীস থেকে সহীহ হাদীস বাছাই করে থাকেন।

৬. প্রকাশ্য ফাসিক ও বিদআতীর সমালোচনা করা :

যদি কোন ব্যক্তি প্রকাশ্যে ফাসিকী ও বিদআতী কাজকর্ম করে বেড়ায় যেমন, প্রকাশ্যে মদ পান করে, মানুষের উপর যুলুম করে, কারো ধন-সম্পদ জোরপূর্বক আত্মসাৎ করে বা অবৈধ কার্যকলাপে লিপ্ত হয় তবে ঐ ব্যক্তির কার্যকলাপের সমালোচনা করা যাবে, যাতে লোকজন সতর্ক হতে পারে।

বিদআত ইসলামে একটি হারাম কাজ। রাসূল ﷺ বলেন-

مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ اَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ

‘‘যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে যার উপর আমাদের সমর্থন নেই তা পরিত্যাজ্য।’’ (বুখারী, মুসলিম হা: ৪৫৯০)

অতএব বিদআতীদের ডাকে সাড়া দেয়া উচিত নয়। আর জনসাধারণ যাতে বিদআতীদের দ্বারা প্রতারিত না হয় সেজন্য প্রত্যেক বিদআতীকে চিহ্নিত করে দেয়া উচিত।

৭. পরিচয় দেয়া :

কোন ব্যক্তির বিশেষ উপাধি বা কোন শারীরিক ত্রুটির উল্লেখ করে তার পরিচয় দেয়া জায়েয। তবে অপমান বা অসম্মান করার উদ্দেশ্যে এসব শব্দ ব্যবহার করা হারাম। এসব ত্রুটি উল্লেখ ছাড়া অন্য কোনভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে পারলে সেটাই উত্তম। কিন্তু সম্বোধিত ব্যক্তি যদি মনে কষ্ট না নেয় এবং সে এ নামেই সমাজে পরিচিত হয় তবে তাকে ঐ নামে পরিচয় দেয়া জায়েয রয়েছে।

৮. যালিম সরকারের সমালোচনা করা :

সরকারকে দায়িত্ব দেয়া হয় দেশ সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করার জন্য। কিন্তু সরকার যদি তা সুষ্ঠভাবে পরিচালনা না করে জনসাধারণের উপর যুলুম বা অত্যাচার শুরু করে দেয় তবে সে সরকারের সমালোচনা করাতে দোষ নেই। কারণ সরকারের সাথে সকলের স্বার্থ জড়িত। সরকার যখন জনগণের উপর যুলুম শুরু করে দেয় তখন সরকারের যুলুমের কথা জনগণের মাঝে তুলে ধরা বৈধ।

৯. সংশোধনের উদ্দেশ্যে :

রাসূল ﷺ বলেন-

اَلدِّيْنُ النَّصِيْحَةُ

‘‘দ্বীন হচ্ছে একে অপরের কল্যাণ কামনা করা।’’ (মসলিম হা: ২০৫)

এক মুসলিম অপর মুসলিম ব্যক্তিকে ভুল করতে দেখলে তাকে সংশোধন করার দায়িত্ব তারই। কারো দোষ এমন ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করার অনুমতি রয়েছে যার দ্বারা উক্ত ব্যক্তিকে সংশোধন করা যায়। যেমন, সন্তানের কোন দোষ পিতা-মাতার কর্ণগোচর করা, ছাত্রের দোষ শিক্ষকের কাছে প্রকাশ করা ইত্যাদি। এটা উক্ত ব্যক্তিকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নয় বরং তার কল্যাণ কামনাই মুখ্য উদ্দেশ্য।

এসব ক্ষেত্র ব্যতীত পরনিন্দা করা থেকে প্রত্যেক মুসলিমের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন