hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৩
যবান নিয়ন্ত্রণ করার গুরুত্ব
মানুষের ভাল-মন্দ নির্ভরশীল তার যবানের উপর। সে যদি নিজের যবানকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে, তবে তা তার দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কল্যাণকর হবে। সকল প্রকার ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি-কাটাকাটি ও বিশৃংখলার মূল হচ্ছে এ যবান। আবার সকল প্রকার বন্ধুত্ব ও সহনশীলতার মূলও হচ্ছে যবান।

যারা মুমিন তারা বুঝে-শুনে পরিণতির কথা চিন্তা করে কথা বলবে। কারণ মহাবিচারের দিন মানুষের প্রতিটি কথা ও কাজের হিসাব নেয়া হবে। আর মানুষের কথা রেকর্ড করার জন্য আল্লাহ তা’আলা ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

اِذْ يَتَلَقَّى الْمُتَلَقِّيَانِ عَنِ الْيَمِيْنِ وَعَنِ الشِّمَالِ قَعِيْدٌ مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ

‘‘যখন দুই ফেরেশতা ডানে ও বামে বসে তার আমল গ্রহণ করে। সে যে কথাই উচ্চারণ করে, তা সংরক্ষণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে।’’ (সূরা কাফ- ১৭,১৮)

যবান মানুষের জন্য এমন একটি হাতিয়ার যা তলোওয়ার থেকেও ধারালো। তলোওয়ার দ্বারা আঘাত করলে যতখানি ক্ষতি হয়, কথার দ্বারা আঘাত করলে তার চেয়েও হাজারগুণ বেশি ক্ষতি হয়। তাই রাসূল ﷺ প্রত্যেক মুসলিমকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন-

اَلْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُوْنَ مِنْ لِسَانِه وَيَدِه

‘‘মুসলিম সেই ব্যক্তি যার হাত ও জিহবা থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে।’’ (মুসলিম হা: ১৭১)

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন-

اِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ لَا يُلْقِي لَهَا بَالًا يَرْفَعُ اللهُ بِهَا دَرَجَاتٍ وَاِنَّ الْعَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ لَا يُلْقِي لَهَا بَالًا يَهْوِي بِهَا فِي جَهَنَّمَ

‘‘বান্দা কখনো কখনো এমন কথা বলে যাতে আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি রয়েছে, অথচ সে এর গুরুত্ব জানে না, কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা এর দ্বারা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। পক্ষান্তরে বান্দা কোন কোন সময় এমন কথাও বলে যাতে আল্লাহ তা‘আলার অসন্তুষ্টি রয়েছে, অথচ সে তার অনিষ্টতা সম্পর্কে জানে না। কিন্তু ঐ কথার কারণেই সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।

(বুখারী হা: ৪৬৭৮)

সকল অঙ্গের মধ্যে জিহবা সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর :

সুফিয়ান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে এমন একটি বিষয়ের কথা বলুন যার উপর আমি আমল করব। তিনি বললেন, তুমি বল, আমার রব আল্লাহ, অতঃপর এর উপর অটল থাক। তারপর আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি কোন জিনিসের ভয় করেন? তখন রাসূল ﷺ তার জিহবা ধরে বললেন, এটা। (তিরমিযী হা: ২৪১০)

তাই প্রত্যেক মুসলিমের উচিত, কেবল সেসব কথা বলা যেসব কথার মধ্যে কল্যাণ নিহিত আছে। যদি কোন কথার মধ্যে উপকারিতা না থাকে তবে উত্তম হল সে কথা বলা থেকে বিরত থাকা। কারণ অনেক সময় জায়েয কথার মধ্য দিয়ে হারামের মধ্যে লিপ্ত হতে হয়। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এটাই হয়ে থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন