hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪৫
তওবা কবুলের বিশেষ বিশেষ সময়
তওবার দরজা আল্লাহ তা‘আলা বান্দার জন্য সবসময়ই খোলা রেখেছেন। কাজেই বান্দা যেকোন সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করতে পারবে। তবে বিশেষ কিছু সময় রয়েছে যে সময় আল্লাহ সুব্হানাহু ওয়া তা‘আলা তার বান্দার প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন। সে সময়গুলোতে তওবা ও ইস্তেগফার করলে কবুল হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। যেমন,

১. লাইলাতুল ক্বদরে তওবা করা :

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদরে ইবাদাত বন্দেগী করে, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। (বুখারী হা: ১৯০১)

২. আরাফার দিনে তওবা করা :

রাসূল ﷺ বলেছেন,

مَا مِنْ يَوْمٍ أَكْثَرَ مِنْ أَنْ يُعْتِقَ اللهُ فِيهِ عَبْدًا مِنَ النَّارِ مِنْ يَوْمِ عَرَفَةَ وَإِنَّهٗ لَيَدْنُو ثُمَّ يُبَاهِى بِهِمُ الْمَلاَئِكَةَ فَيَقُولُ مَا أَرَادَ هَؤُلاَءِ

আরাফার দিন আল্লাহ তা‘আলা বান্দাকে সবচেয়ে বেশি জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন এবং ফেরেশতাদের সাথে গর্ব করে বলেন, এ সকল মানুষ (আরাফার মাঠের) কী চায়? অর্থাৎ যা চায় তা-ই প্রদান করা হবে।

(মুসলিম হা: ৩৩৫৪, ইবনে মাজাহ হা: ২৪৫৮)

৩. রাতের শেষ ভাগে তওবা করা :

وَبِالْاَسْحَارِ هُمْ يَسْتَغْفِرُوْنَ

‘‘রাতের শেষাংশে তারা ক্ষমাপ্রার্থনা করত।’’ (সূরা যারিয়াত- ১৮)

আল্লাহ তা‘আলা জান্নাতী ব্যক্তিদের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন,

اَلصَّابِرِيْنَ وَالصَّادِقِيْنَ وَالْقَانِتِيْنَ وَالْمُنْفِقِيْنَ وَالْمُسْتَغْفِرِيْنَ بِالْاَسْحَارِ

‘‘তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অগানুগত্যশীল, (আল্লাহ্র পথে) দানশীল এবং শেষ রাতে ক্ষমাপ্রার্থনাকারী।’’ (সূরা আলে ইমরান : ১৭)

আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল ﷺ বলেছেন-

يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالٰى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِيْنَ يَبْقٰى ثُلُثُ اللَّيْلِ الْاٰخِرُ فَيَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَاَسْتَجِيبَ لَهٗ وَمَنْ يَسْأَلُنِى فَاُعْطِيَهٗ وَمَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ لَهٗ

‘‘প্রত্যেক রাতের যখন এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে, তখন আমাদের মহান প্রতিপালক নিকটবর্তী আসমানে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেন, কে আছে যে আমার নিকট দো’আ করবে, আমি তার দো’আ কবুল করব? কে আছে যে আমার নিকট যা চাইবে, আমি তাকে তা দান করব? কে আছে যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব?’’

(বুখারী হা: ১১৪৫, মুসলিম হা : ১৮০৮)

আলোচ্য হাদীসে রজনীর শেষাংশে দো’আ ও ক্ষমাপ্রার্থনার গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। যারা তাহাজ্জুদ নামায পড়ে থাকেন, তারা তো প্রতি রাতে এ সময়ে দো’আ করার এবং তওবা-ইস্তেগফার করার সুযোগ লাভ করে থাকেন। কিন্তু যারা তাহাজ্জুদের জন্য জাগ্রত হন না, তারাও যদি দো’আ ও তওবার জন্য মাঝে মাঝে উঠে পড়েন তবে কতই না ভাল হয়। যখন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে এ মর্মে আহবান পাওয়া যায় যে, এমন কে আছ যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? তাই সে বিশেষ সময়টি হাতছাড়া করা কোন মুমিনের জন্য উচিত নয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন