মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
যেসব গুনাহ সংঘটিত হয়ে গেছে, সেগুলোর উপর খাঁটি মনে লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে আর কোন গুনাহ না করার দৃঢ় অঙ্গীকার পোষণ করে যদি তওবা করা হয়, তাহলে আশা করা যায়, তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ হবে। তবে যদি কোন নেক আমলের ওসীলা নিয়ে তওবা করা হয়, তাহলে তওবা আরও অধিক কবুলের আশা করা যায়। যেমন বনী ইসরাঈলের তিন ব্যক্তি বিপদে পড়ে নেক আমলের ওসীলা নিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিল। তাই আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। হাদীসে এসেছে-
ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, তোমাদের পূর্বযুগের লোকদের মাঝে তিনজন লোক ছিল। তারা পথ চলতে চলতে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টির মাঝে পড়ে গেল। কোন দিক নির্দেশনা না পেয়ে তারা এক গুহায় আশ্রয় নিল। গুহায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পরই তাদের গুহার মুখ একটি পাথর চাপা পড়ে বন্ধ হয়ে গেল। পাথর চাপা পড়তেই তারা বিপদে পড়ে গেল, এত বড় পাথর তারা কীভাবে সরাবে। তাদের একজন অন্যদেরকে বলল, বন্ধুগণ! আল্লাহর শপথ! এখন সত্য ব্যতীত আর কিছুই তোমাদেরকে রেহাই দিতে পারবে না। কাজেই তোমাদের প্রত্যেকের সে জিনিসের ওসীলায় দো‘আ করা দরকার, যে ব্যাপারে জানা আছে যে, এ কাজটিতে সে সততা বহাল রেখেছে। তখন তাদের একজন এই বলে দো‘আ করতে লাগল, হে আল্লাহ! তুমি ভাল করেই জান যে, আমার একজন চাকর ছিল। সে এক ফারাক (একটি পরিমাপ) চালের বদলে আমার কাজ করে দিয়েছিল। কিন্তু সে মজুরি না নিয়েই চলে গিয়েছিল। তারপর আমি তার মজুরি দিয়ে কিছু একটা করতে ইচ্ছা করলাম এবং কৃষি কাজে লাগালাম। এতে যা উৎপাদন হয়েছে তার বদলে আমি একটি গাভী ক্রয় করলাম। অনেক দিন পর সে চাকরটি আমার কাছে এসে তার মজুরি দাবী করল। আমি তাকে বললাম, এ গাভীগুলোর দিকে তাকাও এবং তা তাড়িয়ে নিয়ে যাও। সে জবাব দিল, ঠাট্টা করবেন না। আমার তো আপনার নিকট মাত্র এক ফারাক চাল পাওনা। আমি তাকে বললাম গাভীগুলো নিয়ে যাও। কারণ তোমার সেই এক ফারাক চাল দ্বারা যা উৎপাদিত হয়েছে, তারই বদলে এটি ক্রয় করা হয়েছে। তখন সে গাভীগুলো তাড়িয়ে নিয়ে গেল। হে আল্লাহ! যদি তুমি মনে কর তা আমি একমাত্র তোমার ভয়েই করেছি, তাহলে আমাদের গুহার মুখ থেকে এ পাথরটি সরিয়ে দাও। অতঃপর পাথরটি কিছুটা সরে গেল।
দ্বিতীয় যুবক দো‘আ করল, হে আল্লাহ! তোমার ভাল করে জানা আছে যে, আমার মা-বাবা খুব বুড়ো ছিলেন। আমি প্রত্যেক রাত্রে তাঁদের জন্য আমার ছাগলের দুধ নিয়ে যেতাম। ঘটনাক্রমে এক রাতে তাদের কাছে (দুধ নিয়ে) যেতে আমি বিলম্ব করে ফেললাম। তারপর এমন সময় গেলাম, যখন তাঁরা উভয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ছিলেন। আর আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে ক্ষুধায় ছটফট করছে। কিন্তু আমি আমার মা-বাবাকে দুধ পান না করানো পর্যন্ত আমার (ক্ষুধায় কাতর) ছেলে মেয়েকে দুধ পান করাইনি। কারণ তাঁদেরকে ঘুম থেকে জাগানোটা আমি ভাল মনে করিনি। অপরদিকে তাঁদেরকে বাদ দিতেও ভাল লাগেনি। কারণ, এ দুধটুকু পান না করালে তাঁরা উভয়েই খুব দুর্বল হয়ে যাবেন। তাই (দুধ হাতে) আমি (সারা রাত) সকাল হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাঁদের জাগ্রত হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। যদি তুমি জেনে থাক যে, আমি এটা করেছি একমাত্র তোমারই ভয়ে তাহলে আমাদের থেকে (পাথরটি) সরিয়ে দাও। অতঃপর পাথরটি তাদের থেকে আরেকটু সরে গেল। এমনকি তারা আকাশ দেখতে পেল।
সর্বশেষ এক যুবক দো‘আ করল, হে আল্লাহ! তুমি জান যে, আমার একটি চাচাত বোন ছিল। সে আমার নিকট সবার চেয়ে প্রিয় ছিল। আমি তার সঙ্গে (যৌন মিলনের) ইচ্ছা করেছিলাম। কিন্তু আমি তাকে একশত দীনার না দেয়া পর্যন্ত সে রাজী হল না। তখন আমি তা সংগ্রহে লেগে গেলাম। শেষ পর্যন্ত তা অর্জনে সক্ষম হলাম। তা নিয়ে তার কাছে আসলাম এবং এ একশ’ দীনার তাকে দিয়ে দিলাম। তখন সে নিজেই নিজেকে আমার কাছে সোপর্দ করল। আমি যখন তার দু’পায়ের মাঝখানে বসলাম, তখনি সে বলে উঠল, আল্লাহকে ভয় কর এবং (শরীয়তের বিধান মতে) অধিকার লাভ করা ব্যতীত আমার সতীত্বকে নষ্ট করো না। আমি তৎক্ষণাৎ উঠে গিয়েছিলাম এবং একশত দীনারও ত্যাগ করেছিলাম। তুমি যদি জান যে, আমি প্রকৃতই তোমার ভয়ে তা করেছি তাহলে তুমি পাথরটি সরিয়ে দাও। তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদের গুহার মুখ থেকে পাথরটি সরিয়ে দিলেন। অতঃপর তারা বেরিয়ে আসল। (বুখারী হা : ৩৪৬৫)
আবু বকর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল ﷺ কে বলতে শুনেছি, ‘‘কোন বান্দা যদি কোন গুনাহের কাজ করে সাথে সাথে ওযূ করে দু’রাকাত নামায আদায় করে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তাকে অবশ্যই ক্ষমা করে দেবেন।’’ (তিরমিযী হা: ৩০০৬)
নামাযের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা গুনাহ ক্ষমা করে দেন :
আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, নবী ﷺ এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ যোগ্য অপরাধ (শাস্তিযোগ্য অপরাধ) করে ফেলেছি, সুতরাং আমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করুন। এ সময় নামাযের ওয়াক্ত হয়ে গেল। রাসূল ﷺ যখন নামায শেষ করলেন, তখন সে দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি হদ্দ এর কাজ করে ফেলেছি। আমার প্রতি আল্লাহর কিতাবে নির্ধারিত শাস্তি প্রয়োগ করুন। উত্তরে রাসূল ﷺ বললেন, তুমি কি আমাদের সাথে নামায পড়নি? সে বলল, হ্যাঁ; তখন রাসূল ﷺ বললেন, আল্লাহ তা‘আলা তোমার গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন।
মু‘য়ায (রাঃ) বললেন, উমার (রাঃ) এর বর্ণনায় আছে, হে আল্লাহর রাসূল! এটি কী শুধু তার জন্যই প্রযোজ্য না সকল মানুষের জন্য? তখন তিনি বললেন, এটি বরং সকল লোকের জন্য। (বুখারী হা : ৬৪২৩, মুসলিম হা : ৭১৮৩)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/208/49
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।