hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

গীবত থেকে বাঁচার উপায়

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৭
কথা বলা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা
১. আল্লাহ তা‘আলা ভাল কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَقُوْلُوْا قَوْلًا سَدِيْدًا يُصْلِحْ لَكُمْ اَعْمَالَكُمْ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوْبَكُمْ وَمَنْ يُّطِعِ اللهَ وَرَسُوْلَهٗ فَقَدْ فَازَ فَوْزًا عَظِيْمًا

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর। আর তোমরা সঠিক কথা বল। তিনি তোমাদের কাজকর্ম সংশোধন করে দেবেন এবং তোমাদের গুনাহসমূহকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুসরণ করল সে মহাসফলতা অর্জন করল।’’ (সূরা আহযাব- ৭০, ৭১)

২. আল্লাহ মন্দ কথা পছন্দ করেন না :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

لَا يُحِبُّ اللهُ الْجَهْرَ بِالسُّوْءِ مِنَ الْقَوْلِ اِلَّا مَنْ ظُلِمَ وَكَانَ اللهُ سَمِيْعًا عَلِيْمًا

‘‘মন্দ কথার প্রচারণা আল্লাহ পছন্দ করেন না; তবে যার উপর জুলুম করা হয়েছে সে ব্যতীত। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।’’ (সূরা নিসা- ১৪৮)

৩. না জেনে কথা বলা নিষেধ :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِه عِلْمٌ اِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ اُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُوْلًا

‘‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার অনুসরণ করো না; কর্ণ, চক্ষু, হৃদয়, তাদের প্রত্যেকটি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।’’ (সূরা বনী ইসরাঈল- ৩৬)

৪. ভাল কথা ছাড়া অন্য কথায় ফায়দা নেই :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

لَا خَيْرَ فِيْ كَثِيْرٍ مِّنْ نَجْوَاهُمْ اِلَّا مَنْ اَمَرَ بِصَدَقَةٍ اَوْ مَعْرُوْفٍ اَوْ اِصْلَاحٍ بَيْنَ النَّاسِ وَمَنْ يَّفْعَلْ ذٰلِكَ ابْتِغَاءَ مَرْضَاتِ اللهِ فَسَوْفَ نُؤْتِيْهِ اَجْرًا عَظِيْمًا

‘‘তাদের অধিকাংশের গোপন পরামর্শে কোন কল্যাণ নেই, তবে কল্যাণ আছে- যে দান-খয়রাতের, সৎকমের্র ও মানুষের মধ্যে শান্তি স্থাপনের নির্দেশ দেয়; আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্ক্ষায় কেউ তা করলে তাকে অবশ্যই আমি মহাপুরস্কার দেব।’’ (সূরা নিসা : ১১৪)

৫. গোপন আলোচনাও আল্লাহ শুনতে পান :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

مَا يَكُوْنُ مِنْ نَجْوٰى ثَلَاثَةٍ اِلَّا هُوَ رَابِعُهُمْ وَلَا خَمْسَةٍ اِلَّا هُوَ سَادِسُهُمْ وَلَا اَدْنٰى مِنْ ذٰلِكَ وَلَا اَكْثَرَ اِلَّا هُوَ مَعَهُمْ اَيْنَ مَا كَانُوْا ثُمَّ يُنَبِّئُهُمْ بِمَا عَمِلُوْا يَوْمَ الْقِيَامَةِ اِنَّ اللهَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ

‘‘তিন জনের এমন কোন পরামর্শ হয় না, যাতে তিনি তাদের চতুর্থজন না হন; আর পাঁচ জনেরও এমন কোন পরামর্শ হয় না, যাতে তিনি তাদের ষষ্ঠজন না হন। অথবা তার চেয়ে কম হোক কিংবা বেশি হোক তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তিনি তাদের সাথে আছেন। অতঃপর কিয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন তারা যা করেছে। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছুই জানেন।’’ (সূরা মুজাদালা- ৭)

৬. মন্দ কাজে কানাকানি করা যাবে না :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اِذَا تَنَاجَيْتُمْ فَلَا تَتَنَاجَوْا بِالْاِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَمَعْصِيَتِ الرَّسُوْلِ وَتَنَاجَوْا بِالْبِرِّ وَالتَّقْوٰى وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِيْ اِلَيْهِ تُحْشَرُوْنَ

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন কানে কানে কথা বল তখন পাপকার্য, উৎপীড়ন ও রাসূলের অবাধ্যতার বিষয়ে কানাকানি করো না বরং সৎকাজ ও তাকওয়া সম্পর্কে কানাকানি করো। আর তোমরা আললাহকে ভয় কর যার কাছে তোমাদের একত্রিত করা হবে।’’ (সূরা মুজাদালা- ৯)

৭. বাজে প্রশ্ন করা নিষেধ :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

يَا اَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لَا تَسْاَلُوْا عَنْ اَشْيَاءَ اِنْ تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَاِنْ تَسْاَلُوْا عَنْهَا حِيْنَ يُنَزَّلُ الْقُرْاٰنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللهُ عَنْهَا وَاللهُ غَفُورٌ حَلِيْمٌ قَدْ سَاَلَهَا قَوْمٌ مِنْ قَبْلِكُمْ ثُمَّ اَصْبَحُوْا بِهَا كَافِرِيْنَ

‘‘হে মুমিনগণ! তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না যা তোমাদের নিকট প্রকাশ হলে তা তোমাদেরকে কষ্ট দেবে। কুরআন নাযিলের সময় তোমরা যদি সেসব বিষয়ে প্রশ্ন কর তবে তা তোমাদের নিকট প্রকাশ করা হবে। আল্লাহ সেসব ক্ষমা করেছেন এবং আল্লাহ ক্ষমাশীল ও সহনশীল। তোমাদের পূর্বেও এক সম্প্রদায় এ ধরণের প্রশ্ন করেছিল; অতঃপর তারা তা প্রত্যাখ্যান করে।’’ (সূরা মায়েদা- ১০১, ১০২)

৮. অনর্থক কথা ও কাজ ছাড়তে হবে :

আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের গুণ বর্ণনা করে বলেন-

وَالَّذِيْنَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُوْنَ

‘‘যারা অনর্থক বিষয় থেকে দূরে থাকে।’’ (সূরা মুমিনূন- ৩)

রাসূল ﷺ বলেন-

مِنْ حُسْنِ اِسْلَامِ الْمَرْءِ تَرْكُهٗ مَالَا يَعْنِيْهِ

‘‘কোন মুসলিমের ইসলামের সৌন্দর্য হল- সে অনর্থক বিষয় থেকে দূরে থাকবে।’’ (তিরমিযী হা: ২৩১৭)

৯. কেউ মন্দ কথা বললে তার উত্তরে ভাল কথা বলতে হবে :

আল্লাহ তা‘আলা বলেন-

وَلَا تَسْتَوِي الْحَسَنَةُ وَلَا السَّيِّئَةُ ادْفَعْ بِالَّتِيْ هِيَ اَحْسَنُ فَاِذَا الَّذِيْ بَيْنَكَ وَبَيْنَهٗ عَدَاوَةٌ كَاَنَّهٗ وَلِيٌّ حَمِيْمٌ

‘‘ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না। মনদকে প্রতিহত কর উত্তম দ্বারা। তাহলে দেখবে তোমার এবং তোমার শত্রুর মাঝে ঘনিষ্টতা সৃষ্টি হয়ে যাবে।’’ (সূরা হা-মীম সিজদা- ৩৪)

১০. জিহবার হেফাযত নাজাতের ওসীলা :

عَنْ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : لَقِيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمًا، فَقُلْتُ : مَا النَّجَاةُ؟ قَالَ :" يَا عُقْبَةُ , اَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ، وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ، وَابْكِ عَلٰى خَطِيْئَتِكَ "

উকবা ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল ﷺ কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! মুক্তির উপায় কী? তখন রাসূল ﷺ বললেন,

১. তুমি তোমার জিহবা নিয়ন্ত্রনে রাখ,

২. ঘরে অবস্থান কর এবং

৩. গুনাহের জন্য কান্না-কাটি কর। (তিরমিযী হা : ২৪০৬)

১১. মানুষকে হাসানোর জন্য কথা বলা ধ্বংস ডেকে আনে :

রাসূল ﷺ বলে-

وَيْلٌ لِلَّذِىْ يُحَدِّثُ بِالْحَدِيْثِ لِيُضْحِكَ بِهِ الْقَوْمَ فَيَكْذِبُ وَيْلٌ لَهٗ وَيْلٌ لَهٗ

ধ্বংস তার জন্য যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলে মানুষকে হাসায়। ধ্বংস তার জন্যই, ধ্বংস তার জন্যই। (তিরমিযী হা: ১৩১৫)

১২. সকালে সকল অঙ্গ মুখের কাছে ফরিয়াদ জানায় :

রাসূল ﷺ বলেন-

اِذَا اَصْبَحَ ابْنُ اٰدَمَ فَاِنَّ الْاَعْضَاءَ كُلَّهَا تُكَفِّرُ اللِّسَانَ فَتَقُوْلُ اِتَّقِ اللهَ فِيْنَا فَاِنَّمَا نَحْنُ بِكَ فَاِنِ اسْتَقَمْتَ اِسْتَقَمْنَا وَاِنِ اعْوَجَجْتَ اِعْوَجَجْنَا

যখন কোন আদমসন্তান সকালে উপণীত হয়, তখন সকল অঙ্গ মুখের কাছে ফরিয়াদ করে বলে, আমাদের ব্যাপারে তুমি আল্লাহকে ভয় কর, কেননা আমরা তোমার উপর নির্ভরশীল। তুমি যদি সঠিক থাক, তবে আমরাও সঠিক থাকব। আর তুমি যদি বক্র হয়ে যাও, তবে আমরাও বক্র হয়ে যাব। (তিরমিযী হা: ২৪০৭)

১৩. মুখের কথা মানুষকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে :

عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ : كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاَصْبَحْتُ قَرِيْبًا مِنْهُ وَنَحْنُ نَسِيْرُ ، فَقُلْتُ : يَا نَبِيَّ اللهِ ، اَخْبِرْنِيْ بِعَمَلٍ يُدْخِلُنِي الْجَنَّةَ ، وَيُبْعِدُنِيْ عَنِ النَّارِ ، قَالَ : لَقَدْ سَاَلْتَ عَنْ عَظِيْمٍ ، وَاِنَّهٗ لَيَسِيْرٌ عَلٰى مَنْ يَسَّرَهُ اللهُ عَلَيْهِ ، تُقِيْمُ الصَّلَاةَ ، وَتُؤْتِي الزَّكَاةَ ، وَتَصُوْمُ رَمَضَانَ ، وَتَحُجُّ الْبَيْتَ , ثُمَّ قَالَ : اَلَا اَدُلُّكَ عَلٰى اَبْوَابِ الْخَيْرِ ؟ اَلصَّوْمُ جُنَّةٌ ، وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الْخَطِيْئَةَ كَمَا يُطْفِئُ الْمَاءُ النَّارَ ، وَصَلَاةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ , ثُمَّ تَلَا { تَتَجَافٰى جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ } حَتّٰى { يَعْمَلُوْنَ } ثُمَّ قَالَ : اَلَا اُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الْاَمْرِ وَعَمُوْدِه وَذِرْوَةِ سَنَامِه ؟ قُلْتُ : بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ ، قَالَ : رَأْسُ الْاَمْرِ اَلْاِسْلَامُ ، وَعَمُوْدُهٗ اَلصَّلَاةُ ، وَذِرْوَةُ سَنَامِه اَلْجِهَادُ , ثُمَّ قَالَ : اَلَا اُخْبِرُكَ بِمِلَاكِ ذٰلِكَ كُلِّه ؟ قُلْتُ : بَلٰى يَا رَسُوْلَ اللهِ ، فَاَخَذَ بِلِسَانِه فَقَالَ : كُفَّ عَلَيْكَ هٰذَا , قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ ، وَاِنَّا لَمُؤَاخَذُوْنَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِه ؟ قَالَ : ثَكِلَتْكَ اُمُّكَ يَا مُعَاذُ ، وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلٰى وُجُوْهِهِمْ ، اَوْ قَالَ : عَلٰى مَنَاخِرِهِمْ ، اِلَّا حَصَائِدُ اَلْسِنَتِهِمْ ؟ .

মুয়াজ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ এর সাথে ছিলাম এবং আমি তার কাছাকাছি অবস্থান করছিলাম। আমরা তখন সফররত অবস্থায় ছিলাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে। তিনি বললেন, তুমি অনেক বড় একটি বিষয়ে প্রশ্ন করেছ। তবে আল্লাহ যার জন্য সহজ করে দেন সেটা তার জন্য খুবই সহজ। তুমি নামায কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রমাযান মাসে রোযা রাখবে, বাইতুল্লায় হজ্জ করবে। অতঃপর তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে কল্যাণের দরজাসমূহের কথা বলে দেব না? তা হল,

১. সিয়াম (রোযা), এটা ঢালস্বরূপ।

২. সাদকা, এটা ঐভাবে গুনাহকে মিটিয়ে দেয় যেভাবে পানি আগুনকে নিভিয়ে দেয়।

৩. রাতের গভীরে নামায পড়া।

অতঃপর তিনি এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন-

تَتَجَافىٰ جُنُوْبُهُمْ عَنِ الْمَضَاجِعِ يَدْعُوْنَ رَبَّهُمْ خَوْفًا وَّطَمَعًا وَّمِمَّا رَزَقْنَاهُمْ يُنْفِقُوْنَ -- فَلَا تَعْلَمُ نَفْسٌ مَّا اُخْفِيَ لَهُمْ مِّنْ قُرَّةِ اَعْيُنٍ جَزَاءً ۢبِمَا كَانُوْا يَعْمَلُوْنَ

‘‘তাদের দেহ-পার্শ্ব বিছানা থেকে এমনভাবে আলাদা হয়ে যায় যে, তারা তাদের প্রতিপালককে আহবান করতে থাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে। কেউই জানে না তাদের জন্য নয়ন জুড়ানো কী কী সামগ্রী লুকিয়ে রাখা হয়েছে তাদের কৃতকর্মের প্রতিদানস্বরূপ?’’ (সূরা সিজদা- ১৫-১৭)

অতঃপর বললেন, আমি কি তোমাকে সকল কাজের মাথা, ভিত্তি এবং চুড়ান্ত শিখরের কথা বলব? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! বলুন। তিনি বললেন,

১. সবকিছুর মূল হচ্ছে ইসলাম।

২. আর তার ভিত্তি হচ্ছে নামায।

৩. আর তার চুড়ান্ত শিখর হচ্ছে জিহাদ।

অতঃপর তিনি বললেন, আমি কি এসব কিছুর সারকথা তোমাকে বলব? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বলুন। অতঃপর তিনি তার জিহবা ধরে বললেন, তুমি এটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যেসব কথা বলি তার জন্যও কি পাকড়াও হব? তিনি বললেন, হে মুয়াজ! তোমার মায়ের সর্বনাশ হোক (এটা আক্ষেপসূচক কথা), মানুষ উপুড় হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে কেবল তার মুখের কথার কারণে।

(নাসাঈ হা: ১১৩৯৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন