hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিরক

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

শিরক কি?
اَلشِّرْكُ (আশ শিরকু) শব্দের আভিধানিক অর্থ- অংশীদারিত্ব, অংশীবাদ, মিলানো, সমকক্ষ করা, অংশীদার স্থির করা, সমান করা, ভাগাভাগি, সম্পৃক্ত করা। ইংরেজীতে এর প্রতিশব্দ হচ্ছে, Poytheism (একাধিক উপাস্যে বিশ্বাস), Share, Partner, Associate. সুতরাং কোন বস্ত্ত বা বিষয় দুই বা ততোধিক ব্যক্তির জন্য সাব্যস্ত হওয়াকেই শিরক বলা হয়। তবে ইসলামী পরিভাষায় শিরক বলতে একটি বড় ধরনের গুনাহকে বুঝানো হয়, যা কোন বিষয়ে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করার মাধ্যমে সাব্যস্ত হয় এবং আল্লাহ তা‘আলা এর গুনাহ একনিষ্ঠ তওবা ছাড়া ক্ষমা করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

﴿لَا تُشْرِكْ بِاللهِ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيْمٌ﴾

আল্লাহর সাথে শরীক করো না; নিশ্চয়ই শিরক চরম যুল্ম।

(সূরা লুক্মান ৩১:১৩)

অপর আয়াতে বলেন,

﴿إِنَّ اللهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللهِ فَقَدِ افْتَرَى إِثْمًا عَظِيمًا ﴾

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করার গুনাহ ক্ষমা করেন না। এটি ছাড়া অন্যান্য অপরাধ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে তো মহাপাপে লিপ্ত হল। (সূরা নিসা ৪:৪৮)

প্রথমোক্ত আয়াতে শিরককে সবচেয়ে বড় জুলুম বলা হয়েছে। আর জুলুম মানে হল, কোন জিনিষ অপাত্রে স্থাপন করা অথবা একজনের জিনিষ অন্যকে দেয়া। অতএব শিরক নামক জুলুমের মানে হল, আল্লাহর জিনিষ আল্লাহকে না দিয়ে অন্যকে দেয়া।

আলেমগণ এর পরিচয় দিতে গিয়ে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমন-

১. আল্লামা রাবি ইবনু হাদী আল-মাদখালী (রহ.) বলেন: শিরক হচ্ছে আল্লাহর এমন কোন সমকক্ষ স্থীর করা, যাকে আল্লাহর মতই ডাকা হয়, ভয় করা হয়, তার কাছে আশা করা হয়, আল্লাহর মতই তাকে ভালোবাসা ও নিবেদন করা হয় এবং তার কোন প্রকারের ইবাদাত করা হয়।

২. ড: ইবরাহীম ইবনু মুহাম্মদ আল-বুরাইকান তাঁর ‘আল-মাদখাল’ নামক গ্রন্থে বলেন, শিরকের দুটো অর্থ রয়েছে। প্রথমত: আম বা সাধারণ অর্থ। আর তা হচ্ছে, আল্লাহর নিজস্ব বৈশিষ্ট্যসমূহ তথা রূবুবিয়্যাত, উলুহিয়্যাত, আসমাউস সিফাত এর মধ্যে গায়রুল্লাহকে আল্লাহর সমান মনে করা। এখানে সমান মনে করা অর্থ হল, গায়রুল্লাহকে যে কোন একটি অংশ- চাই তাতে আল্লাহ গায়রুল্লাহর সমান হন কিংবা তাঁর চেয়ে বড় অংশের অধিকারী হন। দ্বিতীয়ত: খাছ বা নির্দিষ্ট অর্থ। আর তা হচ্ছে আল্লাহর সাথে গায়রুল্লাহকে ইবাদত ও আনুগত্যের উপযুক্ত সাব্যস্ত করা। এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআন-সুন্নাহ ও সালফে-সালেহীনের বক্তব্যের মধ্যে শিরকের এ অর্থটিই সচরাচর উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। শিরক বলতে সাধারণত তারা ইবাদতের শিরককেই বুঝিয়ে থাকেন।

৩. ইমাম কুরতুবী বলেন, শিরক হল আল্লাহর নিরংকুশ প্রভূত্বে কারো অংশীদারিত্বের আক্বীদা পোষণ করা।

৪. কেউ কেউ বলেন, যেসব গুণাবলী কেবল আল্লাহ্র জন্য নির্ধারিত সেসব গুনে অন্য কাউকে গুণান্বিত ভাবা বা এতে অন্য কারো অংশ আছে বলে মনে করাই শিরক।

এক কথায়, শিরক হচ্ছে আল্লাহর সাথে এমন বিষয়ে সমকক্ষ স্থীর করা যেটা আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। যেমন- আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করা, অন্য কারো নিকট আশা করা, আল্লাহর চাইতে অন্য কাউকে বেশী ভালোবাসা, অর্থাৎ আল্লাহর ইবাদতের কোন একটি অন্যের দিকে সম্বোধন করা।

উল্লেখ্য যে, যেহেতু অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দুই শরীকের অংশ সমান হওয়া আবশ্যক নয়, বরং শতভাগের একভাগের অংশীদার হলেও তাকে অংশীদার সাব্যস্ত করা হয়, সুতরাং আল্লাহ তা‘আলা এর হকের সামান্যতম অংশও অন্য কাউকে দিলে তা শিরকে পরিণত হবে। এতে আল্লাহর অংশটি যত বড়ই রাখা হোক না কেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন