hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিরক

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৩১
মিলাদে কি ধরনের শিরক প্রচলিত রয়েছে?
একদল মানুষ নাবী ﷺ এর নামে মিলাদ নামক বিদ‘আত অনুষ্ঠানে হঠাৎ করে দাঁড়িয়ে পড়ে এবং ধারণা করে যে, নাবী ﷺ এর রুহ মোবারক মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত হয়ে থাকে- তাই দাঁড়াতে হয়। অথচ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে,

عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ إِنَّ لِلّٰهِ مَلَائِكَةً سَيَّاحِيْنَ فِي الْأَرْضِ يُبَلِّغُوْنِيْ مِنْ أُمَّتِيْ السَّلَامَ

আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর একদল খাস ফেরেশতা রয়েছে, যারা পৃথিবীময় বিচরণ করে আমার উম্মতের পক্ষ থেকে আমার কাছে সালাম পৌঁছায়। (সুনানে নাসায়ী ১২৮১; সুনানে তিরমিজি ৩৬০০)

এই হাদীস থেকে বুঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ মিলাদ মাহফিলসহ অন্য কোথাও হাজির হন না। কেননা সর্বত্র যিনি তাঁর ইলম ও জ্ঞানের মাধ্যমে হাজির-নাজির তিনি হচ্ছেন শুধুমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। এ ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কেও হাজির-নাজির জ্ঞান করা আল্লাহর সিফাতের ভিতরে শিরক করার অন্তর্ভুক্ত। তাছাড়া সাহাবায়ে কিরাম রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে নিজেদের জান-মাল, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন সব কিছু থেকে ভালোবাসা সত্ত্বেও রাসূলুল্লাহ ﷺ এর জীবদ্দশায় স্বশরীরে কোন মজলিশে আগমন করলেও দাঁড়াতেন না। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ এটা পছন্দ করতেন না। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:

عَنْ أَنَسٍ قَالَ مَا كَانَ شَخْصٌ أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنْ رَسُوْلِ اللهِ وَكَانُوْا إِذَا رَأَوْهُ لَمْ يَّقُوْمُوْا لِمَا يَعْلَمُوْا مِنْ كَرَاهِيَتِهٖ لِذٰلِكَ

আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীদের কাছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর চেয়ে আর বেশী প্রিয় কেউ ছিল না। অথচ তারা যখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কে দেখতেন তখন দাঁড়াতেন না। কেননা তারা জানতেন যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ তা পছন্দ করেন না। (সুনানে তিরমিজি ২৭৫৪; মুসনাদে আহমদ ১২৩৪৫; মেশকাত ৪৬৯৮; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২৫৫৮৩)

সুতরাং প্রচলিত মিলাদ একটি স্বীকৃত বিদ‘আত। আর এতে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্বয়ং বা তার রুহু উপস্থিত হয় বিশ্বাস করা শিরক। কারো সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে থাকা রাসূলুল্লাহ ﷺ একদম পছন্দ করতেন না। এজন্য তিনি কঠোরভাবে হাদীসে ঘোষণা করেছেন:

عَنْ أَبِيْ مِجْلَز قَالَ خَرَجَ مُعَاوِيَة , فَقَامَ عَبْد اللهِ بْن الزُّبَيْر وَابْنِ صَفْوَانَ حِيْنَ رَأَوْهُ فَقَالَ اِجْلِسَا , سَمِعْت رَسُوْل الله يَقُوْلُ مَنْ سَرَّهٗ أَنْ يَّتَمَثَّلَ لَهُ الرِّجَالُ قِيَامًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهٗ مِنْ النَّار

আবু মিজলায (রহ.) হতে বর্ণিত। একদা মুআবিয়া (রাঃ) বের হলে তাঁকে দেখে আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের এবং ইবনে সফওয়ান (রাঃ) দাঁড়িয়ে গেলেন। তখন মুআবিয়া (রাঃ) বললেন, তোমরা বসে পড়ো। আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি চায় তার জন্য লোকেরা মূর্তির মত দাড়িয়ে থাকুক, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল।

(সুনানে তিরমিজি ২৭৫৫; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ২৫৫৮২)

সুতারাং রাসূলের মুহাববাতের নামে মিলাদ নামক শিরক ও বিদআতযুক্ত জঘন্য কাজ থেকে বিরত থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ যে দ্বীন নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন, যে দ্বীন কায়েমের জন্য রক্ত দিয়েছেন সে দ্বীন কায়েমের জন্যই সর্বাত্মক চেষ্টা করে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সত্যিকার মাহাববাতের প্রমাণ দেওয়া উচিত।

মিলাদে রাসূলুল্লাহ ﷺ উপস্থিত হন- এই ধারণার মাধ্যমে আরো একটি জঘন্য শিরক করা হয়। আর তা হলো: ইলমূল গায়েবের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে আল্লাহর অংশীদার বানানো। কেননা মিলাদে হাজির হতে হলে তাকে জানতে হবে পৃথিবীর কোথায় কোথায় মিলাদ হচ্ছে, কখন তথাকথিত তাওয়াল্লুদ পড়া হবে, আর তখনই তাঁকে হাজির হতে হবে। অথচ ইলমুল গায়েবের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা‘আলা। নবী-রাসূল, জ্বীন-ফেরেশতা, ওলী-আওলিয়া কেহই আলেমুল গায়েব নন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:

﴿قُلْ لَا يَعْلَمُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الْغَيْبَ إِلَّا اللهُ ﴾

(হে নবী) বলুন! আসমান ও জমীনে আল্লাহ ব্যতীত কেউ গায়েবের ব্যাপারে জানে না। (সূরা নামল ২৭:৬৫)

অতএব গায়েবের ইলম একমাত্র আল্লাহই জানেন। এ ইলম নবী ﷺ এর সাথে সম্পৃক্ত করলে আল্লাহর সাথে শিরক হবে। নবী-রাসূলগণ শুধুমাত্র ততটুকুই ইলম রাখেন, যতটুকু ইলম আল্লাহ তা‘আলা দান করেন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,

عَالِمُ الْغَيْبِ فَلَا يُظْهِرُ عَلٰى غَيْبِهٖۤ احَدًا اِلَّا مَنِ ارْتَضٰى مِنْ رَّسُوْلٍ

তিনি অদৃশ্য জ্ঞানের অধিকারী, তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো নিকট প্রকাশ করেন না। তবে তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত। (সূরা জিন- ৭২: ২৬, ২৭)

তাই আল্লাহ তা‘আলা যেই অর্থে আলেমুল গায়েব অর্থাৎ নিজের থেকে নিজে সবকিছু জানেন, ** কোন ভায়া-মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না সে অর্থে অন্য কেউ আলেমুল গায়েব হতে পারে না। বরং তাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা যতটুকু জানান ততটুকুই জানেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন