মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে আমরা এখানে শিরকের ৪ টি কারণ উপস্থাপন করছি, যেন সকলে এগুলো জেনে শিরক থেকে বেঁচে থাকতে পারে। কারণগুলো হলো :
১। আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা ও খারাপ মনোবৃত্তি পোষণ করা:
মন্দ ধারণাই শিরকের নেপথ্য কারণ। যে কোন শিরকের পেছনে আল্লাহ সম্পর্কে কোন না কোন দোষ-ত্রুটি ও মন্দ ধারণা কাজ করে। ভালোবাসার বিপরীত এই মন্দ ধারণা পোষণ করার কারণেই মানুষ আল্লাহকে ছেড়ে অন্যের ইবাদত করে। গাইরুল্লাহকে তার জন্য আল্লাহর চেয়ে অধিক দয়ালু ও কল্যাণকামী মনে করে। আল্লাহ সম্পর্কে মন্দ ধারণা পোষণ করা মহা পাপ। এর জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। আল্লাহ বলেন:
আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীদেরকে শাস্তি দেবেন, যারা আল্লাহর সম্পর্কে খারাপ ধারণা রাখে। তারা নিজেরাই মন্দের খপ্পরে পড়ে গেছে। আল্লাহ তাদের ওপর রাগ করেছেন এবং তাদের ওপর লানত বর্ষণ করেছেন। আর তাদের জন্য জাহান্নামের ব্যবস্থা করেছেন, যা বড়ই মন্দ ঠিকানা। (সূরা ফাতাহ ৪৮:৬)
মুশরিকদের এই মন্দ ধারণার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে তাওহীদের ইমাম ইবরাহিম (আঃ) তাঁর চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র ও মূর্তিপূজারী জাতির সামনে একটি ভাষণ দিয়েছিলেন; পবিত্র কুরআনে তা এভাবে উদ্বৃত হয়েছে-
তোমরা কিসের পূজা করছ? তোমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা অলীক মা’বুদগুলোকে চাও? তাহলে বিশ্ব জাহানের রব সম্বন্ধে তোমাদের কি ধারণা? (সূরা সাফফাত ৩৭ : ৮৫-৮৭)
এ কথার মর্ম হলো, তোমরা রাববুল আলামীনের মধ্যে কী ধরনের দোষ ত্রুটি ও মন্দের ধারণা পোষণ করছ? যার ফলে তাঁকে পরিত্যাগ করেছ এবং তাঁর পরিবর্তে এতসব মা‘বুদ ও দেবতা বানিয়ে নিয়েছ? আল্লাহর সত্তা তাঁর গুণাবলী ও কার্যাবলী সম্পর্কে তোমরা কি ধরনের খারাপ মনোবৃত্তি পোষণ করছ? কী ধরনের দোষ-ত্রুটি তাঁর মধ্যে আছে বলে ধারণা করছ? কী ধরনের অক্ষমতা, অপারগতা, করুণার অভাব তাঁর মধ্যে আছে বলে তোমরা মনে করছ? যার ফলে সরাসরি তার ইবাদত না করে মাধ্যমের পূজা করছ? তাদের কাছেই কল্যাণের প্রত্যাশা করছ এবং অকল্যাণ থেকে বাঁচার জন্য তাদের শরণাপন্ন হচ্ছ?
বস্ত্তত মুশরিকরা মনে করে যে, আল্লাহ তাদেরকে দয়া করবেন না। এজন্যই তারা মাধ্যম ও ভায়া মা‘বুদের ইবাদত করে। আল্লাহর নিকট এসব ভায়া মা‘বুদের প্রভাব-প্রতিপত্তি আছে বলে বিশ্বাস করে। আল্লাহ তাদেরকে ভাল না বাসলেও ভায়া মা‘বুদদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের কল্যাণ করতে বাধ্য। ভায়া মা‘বুদদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তাদের কল্যাণ করতে বাধ্য।** ভায়া মা‘বুদরা সুপারিশ করলে সে সুপারিশ আল্লাহ তা‘আলা বাতিল করতে পারেন। এর জবাবে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
হে মানুষ, একটি উপমা পেশ করা হল, মনোযোগ দিয়ে তা শোন, তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদেরকে ডাক তারা কখনো একটি মাছিও সৃষ্টি করতে পারবে না। যদিও তারা এ উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়, তারা তার কাছ থেকে তাও উদ্ধার করতে পারবে না। অন্বেষণকারী ও যার কাছে অন্বেষণ করা হয় উভয়েই দুর্বল। তারা আল্লাহকে যথাযথ মর্যাদা দেয় না। নিশ্চয় আল্লাহ মহাক্ষমতাবান ও মহাপরাক্রমশালী।
(সূরা হজ্জ ২২:৭৩-৭৪)
যারা সম্মিলিত শক্তি দিয়ে একটি মাছি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। মাছি তাদের কিছু ছিনিয়ে নিলে তা উদ্ধার করতেও সক্ষম নয়। তারা তোমাদের জন্য কি কল্যাণ সৃষ্টি করতে পারে অথবা তোমাদের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছ থেকে নিজ ক্ষমতাবলে কিইবা উদ্ধার করে আনতে পারে? মাছির কাছে যারা পরাজিত, মহাশক্তিধর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে তারা কীভাবে বিজয়ী হতে পারে? আল্লাহর কাছ থেকে কিছু উদ্ধার করে আনা তো দূরের কথা, তাঁর সন্তুষ্টি ও অনুমোদন ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করার ক্ষমতাও কারো নেই।
আল্লাহর ‘রহমান’ নামের অর্থ হল- স্বভাবগত দয়ালু, করুণায় পরিপূর্ণ সত্তা। যাঁর দয়া পাবার জন্য কোন ভায়া বা মাধ্যমের সুপারিশের কোনই প্রয়োজন নেই। তিনি স্বভাবগতভাবেই তাঁর সৃষ্টিকে দয়া করেন। পবিত্র কুরআনে তিনি বলেন:
﴿وَرَحْمَتِيْ وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ﴾
আমার অনুগ্রহ প্রত্যেক বস্তুর উপর বিস্তৃত। (সূরা আ‘রাফ ৭:১৫৬)
নবী ও পুন্যবানদের যে সুপারিশ আল্লাহ তাঁর তাওহীদবাদী বান্দাদের জন্য অনুমোদন করেছেন, তা তো নবী ও পুন্যবানদের রহমত ও করুণা নয় বরং কেবলমাত্র তাঁরই করুণার বহি:প্রকাশ। যার মাধ্যমে নবী ও পুন্যবানদের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আল্লাহর ‘ক্বারীব’ নামের অর্থ হল নিকটবর্তী। যিনি জ্ঞান, শ্রবন, দর্শন, হেদায়াত, সাহায্য-সহযোগিতায় বান্দাদের সরাসরি নিকটে। বান্দা ও তাঁর মধ্যে কোন প্রহরী-দারোয়ান ও পরিষদবর্গ দিয়ে অন্তরায় সৃষ্টি করা হয়নি। তিনি তো দুনিয়ার রাজা-বাদশাদের মত নন যে, প্রহরী-দারোয়ান ও পরিষদবর্গের অন্তরায় ডিঙ্গিয়ে তাঁর সান্নিধ্যে যেতে হবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
আর যখন আমার বান্দাগণ আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞেস করে তখন তাদেরকে বলে দাও, নিশ্চয় আমি নিকটেই রয়েছি। কোন আহবানকারী যখনই আমাকে ডাকে, তখনই আমি তার আহবানে সাড়া দেই।
(সূরা বাকারা ২:১৮৬)
ভায়া বা মাধ্যম গ্রহণের কোনই প্রয়োজন নেই। এমনকি তাঁকে ডাকতে বড় শব্দ করে ডাকারও প্রয়োজন নেই। যাকে তোমরা ডাক, তিনি বধির নন, দূরবর্তীও নন। তিনি তো সর্ব শ্রোতা, সন্নিকটবর্তী। আল্লাহকে এমন মনে করা মস্ত বড় মন্দ ধারণা করার শামীল। আর আল্লাহর সাথে কোন মন্দ ধারণা করাই শিরক ও ধ্বংসের নেপথ্য কারণ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
তোমাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদেরকে ধ্বংস করেছে। ফলে তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ। (সূরা ফুসসিলাত ৪১:২৩)
ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন,
আল্লাহর সৃষ্টি ও তাঁর মধ্যে মাধ্যমের অনুপ্রবেশ ঘটানো হল তাঁর একত্ববাদ, মা‘বুদ হওয়ার বৈশিষ্ট্য ও তাঁর প্রতিপালনের অধিকার ক্ষুন্ন করা এবং তাঁর সাথে দোষ-ত্রুটি ও মন্দ ধারণা পোষণ করার নামান্তর। (আল জাওয়াবুল কাফী ১/১৫১)
২। সৃষ্টিকে স্রষ্টার সমতুল্য করা :
আল্লাহর সাথে শিরকের অন্যতম কারণ হচ্ছে, সৃষ্টিকে স্রষ্টার সমতুল্য করা। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে:
কোনকিছুই তাঁর সাদৃশ্য নয়, তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা। (সূরা শুরা ৪২:১১)
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
﴿وَلَمْ يَكُنْ لَّهٗ كُفُوًا اَحَدٌ﴾
তাঁর সমতুল্য কেউ নেই। (সূরা ইখলাস ১১২:৪)
অন্যত্র তিনি বলেন:
﴿فَلَا تَجْعَلُوْا لِلّٰهِ اَنْدَادًا ﴾
তোমরা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না। (সূরা বাকারা ২:২২)
তিনি আরো বলেন:
﴿ هَلْ تَعْلَمُ لَهٗ سَمِيًّا﴾
আপনি কি তাঁর সমমান সম্পন্ন কাউকে জানেন? (সূরা মারইয়াম ১৯:৬৫)
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/283/7
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।