hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিরক

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২৫
প্রচলিত গণতন্ত্র
Democracy এমন একটা পদ্ধতি, যেখানে জনগণ তাদের নিজেদের জন্য আইন তৈরী করে তাদের নিয়োগকৃত স্থানীয় প্রতিনিধিদের দ্বারা। এই কাজটি হয় কোন সভা অথবা সংসদে। আর এই পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে ঐ সকল আইন ও নীতিমালাসমূহ বাস্তবায়ন করার জন্য, যেখানে সংখ্যা গরিষ্ঠের ইচ্ছার পূর্ণ প্রতিফল ঘটে। মানুষকে মানুষের ‘রব’ হিসেবে উপস্থাপন করেছে এই গণতন্ত্র। এটি মানুষকে আইন প্রণয়নকারীর স্তরে পৌঁছে দেয়। অথচ একমাত্র আইন প্রণয়নকারী হলেন আল্লাহ তা‘আলা। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَٱللهُ يَحْكُمُ لَا مُعَقِّبَ لِحُكْمِهٖ وَهُوَ سَرِيْعُ ٱلْحِسَابِ﴾

আল্লাহ্ হুকুম দেন, তাঁর হুকুমকে পশ্চাতে নিক্ষেপকারী কেউ নেই এবং তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহণ করেন। (সূরা রা‘দ ১৩:৪১)

তিনি আরও বলেন:

﴿أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُواْ لَهُمْ مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَن بِهِ ٱللَّهُ﴾

ওদের কি এমন কতগুলো মা‘বুদ আছে, যারা ওদের জন্য বিধান দিয়েছে এমন দ্বীনের, যার অনুমতি আল্লাহ্ দেননি? (সূরা শূরা ৪২:২১)

মুহাম্মদ আল-আমিন আশ-শানক্বিতি (রহ.) বলেন: আর কুরআনের এই আয়াতগুলো যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে তা দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহ তা‘আলা প্রণীত এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ এর মুখ থেকে নিঃসৃত আইনের পরিবর্তে শয়তান ও তার সাহায্যকারীদের মুখ থেকে নিঃসৃত স্বরচিত আইনের আনুগত্য স্পষ্ট কুফর এবং শিরক। এতে কোন সন্দেহ নেই।

(আদ্বওয়া আল-বাইয়ান, ৪র্থ খন্ড, পৃ:৮২-৮৫)

সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির কোন অস্তিত্বই থাকবে না নির্বাচন ব্যতীত। জনগণ যদি নির্বাচন পদ্ধতিতে অংশ গ্রহণ না করে, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।

শা্ইখ আবু বাসির মুস্তফা হালিমাহ বলেন: প্রথমত: যে নীতির উপর গণতন্ত্র স্থাপিত তাহল জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস। এই ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে আইন প্রণয়ন ক্ষমতা, সাধারণ জনগণের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন, যে প্রতিনিধিরা আইন তৈরী ও প্রণয়নের কাজ করবে। অন্য কথায় গণতন্ত্রে যে আইন প্রণয়নকারী এবং যার আনুগত্য করা হয় আসলে সে আল্লাহ্ নয় বরং একজন সাধারণ মানুষ। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে যে, আইন প্রণয়ন ও বৈধ-অবৈধ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যার ইবাদত অথবা আনুগত্য করা হয় সেও একজন জনগণ, একজন মানুষ, একজন সৃষ্টি, সে আল্লাহ্ নয়। এটাই হল কুফর, শিরক এবং পথভ্রষ্টতার মূল অস্তিত্ব এবং দ্বীনের মৌলিক বিষয়সমূহ ও তাওহীদের সাথে সাংঘর্ষিক। এভাবেই দুর্বল এবং অজ্ঞ লোকেরা শাসন-কর্তৃত্ব ও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহ্র একক ইলাহিয়্যাতের সাথে শরীক করে।

(হুকুম আল ইসলাম ফী আদ্-দিমুক্রাতিয়্যাহ আত-তা’দ্দুদিয়্যাহ আল-হিযবিয়্যাহ, পৃ:২৮)

শাইখ আব্দুল কাদির ইবনে আব্দুল আজিজ বলেন: জনসাধারণ ভোট দিয়ে সাংসদ সদস্যদেরকে অনুসরণ করছে। ভোঁটাররা বস্তুত তাদের পক্ষে শিরকের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করছে। কারণ এই প্রতিনিধিরাই আল্লাহ্র পাশাপাশি আইন-প্রণয়নের কাজে হাত দেয়। আর এভাবেই ভোঁটাররা সংসদ সদস্যদেরকে আল্লাহ্র পাশাপাশি আইন প্রণয়নকারী প্রভু হিসেবে গ্রহণ করে।

আমরা যদি একবারের জন্যও ভোঁটারদের কার্যকলাপ এবং যখন কোন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় তার কার্যকলাপকে একত্রিত করি, তাহলে তাদের উভয়ের দ্বারা কৃত কুফর বা শিরকের ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন