hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিরক

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

৪২
তাগুতের কাছে বিচার ফয়সালা চাওয়া শিরক এবং কুফরী
প্রথম প্রমাণ: আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿أَلَمْ تَرَ إِلَى الَّذِيْنَ يَزْعُمُوْنَ أَنَّهُمْ اٰمَنُوْا بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ وَمَا أُنْزِلَ مِنْ قَبْلِكَ يُرِيْدُوْنَ أَنْ يَّتَحَاكَمُوْا إِلَى الطَّاغُوْتِ وَقَدْ أُمِرُوْا أَنْ يَّكْفُرُوْا بِهٖ وَيُرِيْدُ الشَّيْطَانُ أَنْ يُّضِلَّهُمْ ضَلَالًا بَعِيْدًا﴾

আপনি কি তাদেরকে দেখেননি, যারা দাবী করে যে, যা আপনার প্রতি নাযিল হয়েছে, আমরা সে বিষয়ের উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে (তার প্রতিও ঈমান এনেছি) তারা বিবাদপূর্ণ বিষয়কে (মীমাংসার জন্য) তাগুতের দিকে নিয়ে যেতে চায়; অথচ তাদের প্রতি নির্দেশ হয়েছে, যাতে তারা তাকে (তাগুতকে) মান্য না করে। পক্ষান্তরে শয়তান তাদেরকে প্রতারিত করে পথভ্রষ্ট করতে চায়। (সূরা আন নিসা ৬০)

শাইখ সুলাইমান বিন আবদুল্লাহ তাঁর ‘‘তাইসীরুল আজিজিল হামীদ’’ নামক গ্রন্থের ৪১৯ পৃষ্ঠায় বলেন: এ আয়াতটির মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, কুরআন সুন্নাহ বাদ দিয়ে তাগুতের কাছে বিচার ফায়সালা চাওয়ার কাজটি পরিত্যাগ করা ফরজ এবং যে ব্যক্তি তাগুতের কাছে বিচার ফয়সালার জন্য যাবে সে মুমিন তো নয়ই, এমনকি সে মুসলিমও নয়।

আল্লামা জামালউদ্দিন আল-কাসেমী তাঁর বিখ্যাত মাহাসিনুত তাবীল নামক কিতাবে সূরা নিসার ৬০ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে বলেন: আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: ‘‘তারা চায় বিচার ফয়সালা তাগুতের কাছে নিয়ে যেতে, অথচ তাকে অস্বীকার করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ হয়েছে।’’ তাগুতের নিকট বিচার ফয়সালা চাওয়াকে তাগুতের প্রতি ঈমান পোষণ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। আর এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই যে, তাগুতের প্রতি ঈমান আনয়নের অর্থই আল্লাহকে অস্বীকার করা, ঠিক যেমনটি তাগুতকে অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।

শাইখ আবদুর রহমান বিন হাসান فَمَنْ يَكْفُرْ بِالطَّاغُوتِ ...... - আল্লাহর এ বাণী উল্লেখ করে বলেন: তাগুতের কাছে বিচার ফয়সালা চাওয়ার অর্থই হচ্ছে তাগুতের প্রতি ঈমান আনা। (ফাতহুল মাজিদ)

আয়াতের শেষাংশে বর্ণিত ‘‘শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে গোমরাহীর অন্ধকারে নিমজ্জিত করতে চায়’’ আল্লাহ তায়ালা এ আয়াতে বর্ণনা করেছেন যে, বিচার ফায়সালা চাওয়ার কাজটি শিরকে আকবার (বড় শিরক), যা জঘণ্যতম গোমরাহী এবং পথভ্রষ্টতা। যে ব্যক্তি আল্লাহর শরীয়ত (বা বিধান) ছাড়া অন্য কোন বিধানের মধ্যে বিচার ফয়সালা প্রার্থনা করলো, সে মারাত্মক গোমরাহীতে পতিত হলো। কেননা আল্লাহর বিধানকে বাদ দিয়ে বিচার ফয়সালা চাওয়া বড় শিরকের অন্তর্ভুক্ত।

দ্বিতীয় প্রমাণ: আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন:

﴿إِنِ الْحُكْمُ إِلَّا لِلّٰهِ أَمَرَ أَلَّا تَعْبُدُوْا إِلَّا إِيَّاهُ ذٰلِكَ الدِّيْنُ الْقَيِّمُ وَلٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُوْنَ ﴾

বিধান দেয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করো না। এটাই সঠিক দ্বীন; কিন্তু অধিকাংশ লোকই তা জানে না। (সূরা ইউসুফ- ৪০)

আল্লাহই একমাত্র রব এবং তিনিই একমাত্র বিধানদাতা- এ অধিকার শুধুমাত্র তাঁরই। আল্লাহ-ই (সুব:) বিধানদাতা এ বিশ্বাসের অপরিহার্য দাবী হচ্ছে, বিচার ফয়সালা চাওয়া নামক ইবাদতও তাঁরই উদ্দেশ্যে করা। এ ইবাদত যদি আল্লাহর আইন ও শরীয়তকে বাদ দিয়ে করা হয়, তাহলেও এটা হবে শিরকে আকবার বা বড় ধরনের শিরক।

শাইখ আবদুর রহমান আস্ সা‘দী কিতাবুত তাওহীদের উপর লেখা তাঁর বই ‘কাওলুন সাদীদ’ এ সূরা নিসার ৬০ নং আয়াতের ব্যাখা প্রসংগে বলেন: যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে বাদ দিয়ে বিচার ফয়সালা (অন্য কোনো বিধান বা ব্যক্তির কাছে) চায়, তাহলে সে ঐ প্রার্থীত ব্যক্তি বা মতাদর্শকে রব বানিয়ে নিয়েছে এবং তাগুতের কাছে বিচার ফয়সালা চেয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন