hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

শিরক

লেখকঃ শাইখ আবদুর রহমান বিন মুবারক আলী

২২
اٰلِهَةٌ আলিহা কি?
ইলাহ্ শব্দের বহুবচন ‘আলিহা’। আল্লাহই আমাদের একমাত্র ইবাদত যোগ্য ইলাহ। এখন কেউ যদি আল্লাহকে বাদ দিয়ে বা আল্লাহর পাশাপাশি কারও ইবাদত করে তাহলে তাকে সে আলিহা বানাল।

সাধারণভাবে মানুষের মধ্যে আল্লাহর রুবুবিয়্যার ধারণা অনেকটা সঠিক থাকলেও উলুহিয়্যা অর্থাৎ ইবাদাত করার ব্যাপারে সমস্যাটি প্রকট। কেউ কেউ আল্লাহ তা‘আলাকে রব হিসেবে মানলেও ইবাদাত করার ক্ষেত্রে অন্যকে শরীক করে ফেলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, বর্তমান সমাজের অনেক ব্যক্তিই মাযারে গিয়ে মান্নত করে, মৃত ব্যক্তির কাছে সন্তান ইত্যাদি চাওয়ার মত শিরকে লিপ্ত হয়।

জাহেলিয়াত যুগের মুশরিক আরবরাসহ প্রাচীন জাতিসমূহের এসব ধারণা খন্ডন করে আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللهِ آَلِهَةً لِيَكُونُوا لَهُمْ عِزًّا﴾

তারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য সব ইলাহ এজন্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা (আলিহারা), তাদের শক্তির কারণ হতে পারে। (সূরা মারইয়াম ১৯:৮১)

অপর আয়াতে বলা হয়েছে:

﴿وَاتَّخَذُوا مِنْ دُونِ اللهِ آلِهَةً لَعَلَّهُمْ يُنْصَرُونَ﴾

তারা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য সব ইলাহ এজন্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হয়। (সূরা ইয়াসীন ৩৬:৭৪)

উপরোক্ত আয়াতদ্বয়ে আলিহা শব্দ দুটো শক্তির কারণ এবং সাহায্যকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। মক্কার মুশরিকরা মুর্তিগুলোকে সৃষ্টিকর্তার কাছে সুপারিশকারী হিসেবে মনে করতো। অথচ তারা স্রষ্টা হিসেবে আল্লাহকে মানতো।

রুবুবিয়্যার ব্যাপারে অনেকেরই ধারণা থাকলেও সকল সমস্যা দেখা যায় উলুহিয়্যার ব্যাপারে। সূরা ইউসুফের ৪০ নং আয়াত অনুযায়ী বিধান দেওয়ার মালিক শুধুমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলাই। অথচ বাস্তবক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ঈমানের দাবীদার বেশকিছু লোকেরাও জেনে অথবা না জেনে অহরহ মানুষের দেওয়া কুরআন-সুন্নাহ্ বিরোধী বিধান মেনে চলছে। আবার কাউকে বলতে শুনা যে, দেশের আইন মানা ফরজ। অথচ তারা জানে না যে, কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক পরিচালিত দেশের আইন মানা ফরজ। কুফুরি ও মানব রচিত আইন বিধান দিয়ে পরিচালিত দেশের আইন মানা মোটেই ফরজ নয়। আবার ধর্মীয় দিক থেকে তারা কতিপয় পীর, অলী, বুজুর্গ, গাউস, কুতুব, দরবেশদাবীদার, এমনকি কবর, মাজার, গাছ-পাথরকে তাদের ভয়, মানত, সেজদা সহ অনেক ইবাদত নিবেদন করে আলিহা রূপে গ্রহন করছে।

মানুষ তার নফসকেও ইলাহরূপে গ্রহন করতে পারে। কারণ মানুষকে গোমরাহ করার মত যত জিনিস আছে তার মধ্যে মানুষের নফসই হচ্ছে তার সর্বপ্রধান পথভ্রষ্টকারী শক্তি। যে ব্যক্তি নিজের খাহেশাতের দাসত্ব করবে, আল্লাহ্্র বান্দাহ হওয়া তার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। কারণ যে কাজে টাকা পাওয়া যাবে, যে কাজ করলে সুনাম ও সম্মান হবে, যে জিনিসে অধিক স্বাদ ও আনন্দ লাভ করা যাবে, কেবল সে কাজই করতে সে প্রাণ-পণ চেষ্টা করবে। সেসব কাজ করতে যদি আল্লাহ্্ নিষেধও করে থাকেন, তবুও সে সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না। এমতাবস্থায় একথা পরিষ্কার করে বলা যেতে পারে যে, সে আল্লাহ্্ তাআলাকে তার ইলাহ রূপে স্বীকার করেনি বরং তার নফসকেই সে তার একমাত্র ইলাহের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। কাজেই এমন ব্যক্তি কোন প্রকারে আল্লাহ্্র হেদায়াত লাভ করতে পারে না। পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে,

﴿أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلٰهَهٗ هَوَاهُ أَفَأَنْتَ تَكُوْنُ عَلَيْهِ وَكِيْلًا اَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُوْنَ أَوْ يَعْقِلُوْنَ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيْلًا﴾

(হে নবী!) যে ব্যক্তি নিজের নফসের খাহেশাতকে নিজের ইলাহ বানিয়ে নিয়েছে, তুমি কি তার সম্পর্কে ভেবে দেখেছ? তুমি কি এ ধরনের মানুষের পাহারাদারী করতে পার? তুমি কি মনে কর যে, এদের মধ্যে অনেক লোকই (তোমার দাওয়াত) শোনে এবং বুঝে? কখনও নয়। এরা তো একেবারে জন্তু-জানোয়ারের মত বরং এরা তার চেয়েও নিকৃষ্ট। (সূরা ফুরকান ২৫:৪৩-৪৪)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন