hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-ফাতাওয়া আল-মাক্কীয়্যাহ

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ.

১৩
প্রশ্ন (১১): তাওয়াফ ও সা‘ঈর প্রত্যেক চক্করে কোনো নির্দিষ্ট দো‘আ আবশ্যক করে নেয়ার বিধান কি? তাওয়াফের ভেতর কোনো নারী বা পুরুষ উচ্চস্বরে কিছু দো‘আর আবৃত্তি করা যে উচ্চস্বর নামাজী ও তাওয়াফকারী এবং অন্যান্যদের জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এর বিধান কি?
উত্তর (১১): এখানে প্রত্যেক চক্করে নির্দিষ্ট কোনো দো‘আ নেই। বরং প্রত্যেক চক্করের জন্য দো‘আ নির্দিষ্ট করা বিদ‘আত। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এমন বর্ণনা আসে নি। হজরে আসওয়াদ স্পর্শ করার সময় তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলা আর হজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মাঝে

﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ ﴾ [ البقرة : ٢٠١ ]

বলা বর্ণিত আছে। আর অবশিষ্ট স্থানে সাধারণ যিকির ও কুরআন তেলাওয়াত। আর দো‘আ এক চক্করে একটি নির্দিষ্ট করে অন্য চক্করে অপরটি এমন নয়। কোনো ব্যক্তি দো‘আ পড়বে, তার পেছনে অথবা ডানে অথবা বামে অনেক লোক তা অনুসরণ করবে সাহাবীগণের আমল থেকে এমনটির ভিত্তি নেই। অপরদিকে উচ্চস্বরে পড়া যেহেতু এতে তাওয়াফকারীদের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ও কষ্টের কারণ হয় সেহেতু এটা নিষিদ্ধ। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের লক্ষ্য করে বলেছেন, যখন তিনি সাহাবায়ে কিরামের কারও কারও দ্বারা উচ্চস্বরে মসজিদে কুরআন পাঠ করতে শুনতে পেলেন তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা কুরআনের ক্ষেত্রে একে অন্যের উপর উচ্চস্বরে পাঠ করো না।” অথবা তিনি বললেন: “কিরআত পাঠের ক্ষেত্রে।” অনুরূপভাবে আমরা সেসব তাওয়াফকারীদের বলব যে তোমরা মানুষের উপর উচ্চস্বরে বলবে না তাহলে তাদেরকে তোমরা কষ্ট দিবে। বরং প্রত্যেকে পছন্দমত দো‘আ করবে।

এ জন্যই এটা বলা যায় যে, যদি এ সকল তাওয়াফ পরিচালনাকারী মানুষদেরকে এটা বলতে উদ্বুদ্ধ করা যায় যে, তোমরা তাওয়াফ করো আর হাজরে আসওয়াদ স্পর্শের সময় তাকবীর বলো। তোমরা হাজরে আসওয়াদ ও রুকনে ইয়ামানীর মাঝে বলবে:

﴿رَبَّنَآ ءَاتِنَا فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ حَسَنَةٗ وَقِنَا عَذَابَ ٱلنَّارِ ٢٠١ ﴾ [ البقرة : ٢٠١ ]

এবং তাওয়াফের অবশিষ্ট সময়ে তোমরা ইচ্ছামত দো‘আ কর, যিকর কর এবং কুরআন পাঠ কর। আর লোকেরা যদি তাদের অনুসরণ করতো তবে তা কতই না উত্তম ও উপকারী কাজ বলে বিবেচিত হতো। কেননা এভাবে করলে প্রত্যেক মানুষ তার প্রয়োজন অনুযায়ী তার রবের নিকট সে ভাষায় দো‘আ করতে সমর্থ হতো যে ভাষা সে বুঝে। পক্ষান্তরে আজকাল তাওয়াফ পরিচালনাকারীগণ যেসব দো‘আ পড়ে থাকেন সে সব দো‘আ সম্পর্কে তাদের অনুগামীরা কিছুই জানেন না। যদি তাওয়াফ পরিচালনাকারীদের পেছনে যারা চলে তাদেরকে তাদের পরিচালনাকারী কি দো‘আ করেছে সেটা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা তা বলতে সমর্থ হবে না। বস্তুত যে দো‘আর অর্থ মানুষ জানে তা দিয়ে দো‘আ করা তালকীনের (অন্যের মাধ্যমে শুনে পড়া) মাধ্যমে করা দো‘আ থেকে অনেক বেশী উপকারী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন