hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

আল-ফাতাওয়া আল-মাক্কীয়্যাহ

লেখকঃ শাইখ মুহাম্মাদ ইবন সালেহ আল-উসাইমীন রহ.

১৬
প্রশ্ন ১৪: সাফা ও মারওয়ার শরীয়তসম্মত দো‘আ ও যিকির কি? দো‘আ ও তাকবীর বলার সময় কি হাত উঠাতে হবে? আর তার পদ্ধতি কি? সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের উপর আরোহনের বৈধ পরিমাণ কতটুকু? মহিলারা বা তাদের সঙ্গী মহিলার দুটি সবুজ নিদর্শনের মাঝে (সাফা ও মারওয়ার) দ্রুত পথ চলবে কি? সা‘ঈর সময় শরী‘আতসম্মত কোনো দো‘আ আছে কি? দুটি সবুজ নিদর্শনের মাঝে দ্রুত পথ চলার হিকমত কি?
উত্তর ১৪: এ প্রশ্নটি বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত করে। তার উত্তর হলো, কোনো মানুষ যখন সাফা-মারওয়ার সা‘ঈ শুরু করবে তখন তার শুরুতে যখন সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী হবে তখন সে আল্লাহর বাণী পাঠ করবে:

﴿ ۞إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ ﴾ [ البقرة : ١٥٨ ]

আমি শুরু করছি যা দ্বারা আল্লাহ শুরু করেছেন, (অর্থাৎ আল্লাহ সাফা পাহাড়ের কথা আগে বলেছেন তাই আমি আগে সাফা পাহাড়ে উঠব) তারপর সাফা পাহাড়ে আরোহণ করবে যেন কা‘বা দেখতে পায় অতঃপর দু হাত উত্তোলন করবে যেমনিভাবে দো‘আর মধ্যে উত্তোলন করা হয় ও তাকবীর বলবে। আর নিম্নের যিকিরটি পাঠ করবে:

«لا إله إلا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير لا إله إلا الله وحده، أنجز وعده، ونصر عبده، وهزم الأحزاب وحده»

অতঃপর যে যা ইচ্ছা তা দো‘আ করবে, তারপর দ্বিতীয়বার পূর্বের যিকিরটি পড়বে আর ইচ্ছামাফিক দো‘আ করবে, অতঃপর তৃতীয়বারও সে যিকিরটি পাঠ করবে। অতঃপর পদব্রজে চলতে অবতরণ করবে সবুজ চিহ্নিত খুঁটির দিকে। অতঃপর যখন সবুজ নিদর্শনে পৌছাবে তখন অপর নিদর্শনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে দ্রুত হাঁটবে। অতঃপর সাধারণভাবে হাঁটবে; কিন্তু মহিলাগণ ব্যতীত, তারা এখানে দ্রুত পথ চলবে না। অনুরূপভাবে যারা মহিলাদের সঙ্গী সাথী, তারাও মহিলাদের দেখে শুনে রাখা ও হিফাযত করার লক্ষ্যে দু’ নিদর্শনের মাঝে দ্রুত চলবে না। আর যখন মারওয়ায় পৌঁছুবে তখন ( ﴿ ۞إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ﴾ [ البقرة : ١٥٨ ] ) এ আয়াতাংশটি পাঠ করবে না। অনুরূপভাবে দ্বিতীয় বার ও পরবর্তী কোনো বার যখন সাফা পাহাড়ে যাবে তখনও ( ﴿ ۞إِنَّ ٱلصَّفَا وَٱلۡمَرۡوَةَ مِن شَعَآئِرِ ٱللَّهِۖ ﴾ [ البقرة : ١٥٨ ] ) আয়াতটি পাঠ করবে না; কেননা এমনটি বর্ণিত হয়নি। সা‘ঈর মধ্যে হাজী সাহেব যা ইচ্ছা তা আল্লাহ কাছে প্রার্থনা করবে। আর কেউ যদি পছন্দ করে তবে সে যেন কুরআন তিলাওয়াত করে ও আল্লাহর যিকির করবে, তাসবীহ পড়ে, তাহলীল ও তাকবীর বলে। অতঃপর যখন মারওয়াতে পৌঁছাবে এবং তাতে আরোহণ করবে তখন সাফা পাহাড়ের উপর যা করেছে তা করবে।

অপরদিকে সাফা পাহাড়ে আরোহনের পরিমাণ হলো এমন পরিমাণ উপরে উঠা যেন কা‘বা দেখা যায়। আর এটা আরোহনের সর্বনিম্ন পরিমাণ। আরোহণ হওয়া সুন্নাত, ওয়াজিব নয়। ওয়াজিব হলো সাফা ও মারওয়ার মধ্যে (সা‘ঈ) অন্তর্ভুক্ত থাকা। দু’ নিদর্শনের মাঝে সা‘ঈর হিকমত হলো, রাসূলের সুন্নাতের অনুসরণ ও ইসমাঈলের মায়ের উপত্যাকায় অবতরণের অবস্থা স্মরণ করা। আর সেটি ছিল দু’ নিদর্শনের মধ্যবর্তী স্থান। তিনি যখন উপত্যকায় দ্রুত নামতেন তখন তার সন্তান ইসমাইলের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেন। সহীহ বুখারীতে এ সম্পর্কে দীর্ঘ কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন