hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

১১
কতকগুলো মাসআলা যেগুলো সম্পর্কে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু রায় প্রদানের পূর্বে তাঁর নিকট সংশ্লিষ্ট হাদীস পৌঁছে নি
১. অনুমতির জন্য সালামের বিধান সংক্রান্ত হাদীস:

অনুরূপভাবে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু, তিনিও কোনো ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি প্রার্থনার হাদীস সম্পর্কে জ্ঞাত ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত আবূ মুসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে এ বিষয় অবহিত করলেন এবং আনসারদের দ্বারা নিজের বক্তব্যের সপক্ষ্যে প্রমাণ পেশ করলেন [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২০৬২; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২১৫৩।]। অথচ যিনি (আবু মুসা আশ‘আরী রাদিয়াল্লাহু আনহু) উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে এ সুন্নাহ সম্পর্কে অবহিত করলেন, উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু তার থেকে অনেক বেশি জানতেন।

২. স্ত্রীকে স্বামীর দিয়তে অংশিদার করা সংক্রান্ত হাদীস:

তদ্রূপ উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু, স্বামীর দিয়তে (রক্ত বা যখম জনিত জরিমানাস্বরূপ প্রাপ্ত সম্পদে) স্ত্রী অংশীদারী হবে কিনা এ বিষয়ে জ্ঞাত ছিলেন না, বরং তার ধারণা ছিল, দিয়ত ‘আকেলার (ফরায়েযে যারা ‘আসাবা হয় তাদের) প্রাপ্য। অবশেষে দাহ্‌হাক ইবন সুফইয়ান আল-কিলাবী, যিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় কোনো গ্রাম্য এলাকায় আমীর ছিলেন, তিনি উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীসের বর্ণনা দিয়ে বললেন যে,

«أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَّثَ امْرَأَةَ أَشْيَمَ الضِّبَابِيِّ مِنْ دِيَةِ زَوْجِهَا»

“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশইয়াম আদ্‌দিবাবীর স্ত্রীকে স্বামীর দিয়তের ওয়ারিশ করেছেন।” ফলে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু স্বীয় মত পরিত্যাগ করলেন এবং বললেন, যদি আমরা এই হাদীস না শুনতাম তবে এর বিপরীত ফয়সালা দিতাম [মুসনাদে আহমাদ, ৩/৪৫২; আবু দাউদ, হাদীস নং ২৯২৭; তিরমিযী, হাদীস নং ১৪১৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৬৪২।]।”

৩. অগ্নি উপাসকদের থেকে জিযিয়া নেওয়া সংক্রান্ত হাদীস:

অনুরূপভাবে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু অগ্নিপূজকদের নিকট থেকে জিজিয়া কর আদায় করা হবে কিনা এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। অবশেষে আব্দুর রহমান ইবন ‘আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁকে রাসূলের হাদীস শুনালেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

«سُنُّوا بِهِمْ سُنَّةَ أَهْلِ الْكِتَابِ»

“তাদের সাথে জিযিয়ার ব্যাপারে আহলে কিতাবদের ন্যায় আচরণ কর [মুওয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস নং ৪২; মুসনাদে শাফে‘ঈ, পৃ. ২০৯।]।”

৪. মহামারী লাগলে সেখানে না যাওয়া ও সেখান থেকে পলায়ন না করা সংক্রান্ত হাদীস:

তদ্রূপ যখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু সারগ [সিরিয়ার হাজীরা যখন হজের জন্য আসে তখন সিরিয়ার শেষ প্রান্ত ও হিজাযের শুরু এলাকায় অবস্থিত একটি এলাকা, যা আল-মুগীসাহ ও তাবুকের মাঝখানে অবস্থিত একটি জনপদের নাম। কারও কারও মতে, সেটি মদিনা থেকে ১৩ ক্রোশ দূরে অবস্থিত একটি স্থানের নাম।] নামক স্থানে পৌঁছলেন, তখন খবর পেলেন যে, শাম দেশে (সিরিয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকা) প্লেগের (Plague) প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায়, তিনি তার কাছে অবস্থিত মুহাজিরীনে আউয়ালিনের (যারা ইসলামের প্রথম অবস্থায় ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন) নিকট পরামর্শ চাইলেন। তৎপর আনসারদের কাছে পরামর্শ চাইলেন। তৎপর মক্কা বিজয়ের পূর্ববর্তী সময়ের মুসলিমদের মতামত চাইলেন। তারা সকলেই নিজ নিজ অভিমত পেশ করলেন। কেউই এ সম্পর্কে হাদীস বলতে পারলেন না। এ সময় আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু আগমন করলেন এবং মহামারী সংক্রান্ত হাদীসটি বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

«إِذَا كَانَ بِأَرْضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ، وَإِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلا تَقْدَمُوا عَلَيْهِ»

“তোমাদের অবস্থানকালীন কোনো স্থানে মহামারী দেখা দিলে তোমরা ঐ জায়গা হতে পালিয়ে যেও না এবং কোনো স্থানে মহামারীর প্রার্দুভাবের কথা শুনলে সেখানে তোমরা প্রবেশ করো না।” [মুসনাদে আহমাদ ১/১৮২; অনুরূপ সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৪৭৩; সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২২১৮।]।

৫. সালাতে সন্দেহ পোষণের মাসআলা সংক্রান্ত হাদীস:

‘উমার ও আবদুল্লাহ্‌ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সালাতে সন্দেহ পোষণকারী ব্যক্তির হুকুম সম্পর্কে আলোচনা করেন। এ সম্পর্কে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট পূর্বে কোন সহীহ হাদীস পৌঁছে নি। তখন আব্দুর রহমান ইবন আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদীসটি শুনালেন, যাতে এসেছে যে, তোমাদের কেউ যখন সালাতে সন্দেহ করবে এবং বলতে পারবে না কয় রাকাত পড়েছে, তিন নাকি চার, তাহলে সে যেন,

«يَطْرَحِ الشَّكَّ وَلْيَبْنِ عَلَى مَا اسْتَيْقَنَ»

“সন্দেহযুক্ত অংশ দূরে নিক্ষেপ করে এবং দৃঢ় অংশের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকে” [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৫৭১; মুসনাদে আহমাদ, ৩/৮৩।]।

৬. উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এবং ঝড় তুফান সংক্রান্ত হাদীস:

একদা সফরকালে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু ভীষণ ঝড়ের সম্মুখীন হলেন এবং বলতে লাগলেন, “কে আমাদেরকে ঝড় সম্পর্কীয় হাদীস শুনাবে”? তখন আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, যখন আমার নিকট উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর কথাটি পৌঁছলো তখন আমি দলের পশ্চাতে ছিলাম। অতঃপর আমি আমার বাহনকে তাড়াতাড়ি চালালাম এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট পৌঁছলাম। অতঃপর ঝড় প্রবাহের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশিত হাদীস তাঁর নিকট বর্ণনা করলাম [হাদীসটি হচ্ছে, «الرِّيحُ مِنْ رَوْحِ اللَّهِ، تَأْتِي بِالرَّحْمَةِ، وَتَأْتِي بِالْعَذَابِ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهَا، فَلَا تَسُبُّوهَا، وَسَلُوا اللَّهَ خَيْرَهَا، وَاسْتَعِيذُوا بِهِ مِنْ شَرِّهَا» “ঝড় আল্লাহর পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাকে, তখন তা কখনও রহমত বহন করে আবার কখনও আজাব (শাস্তি) বহন করে। অতএব, যখন তোমরা ঝড় প্রবাহিত হতে দেখ, তখন তাকে গালি দিও না, বরং আল্লাহ্‌র নিকট মঙ্গল কামনা কর এবং অমঙ্গল হতে পরিত্রাণ লাভের প্রার্থনা কর)। (মুসনাদে আহমাদ, ২/২৬৭; আবু দাউদ, হাদীস নং ৫০৯৭; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ৩২২৭)অনুরূপ বর্ণনা আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও এসেছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঝড় প্রবাহিত হতো, তখন বলতেন, “হে আল্লাহ আমি কল্যাণসূচক ঝড় কামনা করি এবং এর মধ্যে যা কিছু কল্যাণ তাও চাই, আর এ ঝড় যে কল্যাণসহ প্রেরিত হয়েছে সেটাও পেতে চাই। আর আমি অকল্যাণসূচক ঝড় থেকে আশ্রয় চাই এবং এর মধ্যে যা কিছু অকল্যাণ রয়েছে তা থেকে আশ্রয় চাই, আর এ ঝড় যে অকল্যণসহ প্রেরিত হয়েছে তা থেকেও আশ্রয় চাই।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৮৯৯)]।

উল্লিখিত মাসআলাগুলো এমন মাসআলা যে বিষয়ের হাদীস উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর নিকট পৌঁছে নি, শেষ পর্যন্ত তাঁকে তারা হাদীস পৌঁছিয়েছেন যারা মান-মর্যাদা ও সম্মানে কেউই তার সমকক্ষ নন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন