hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৫৩
যদি প্রশ্ন করা হয়, এমতাবস্থায় শাস্তি কার হবে?
যদি প্রশ্ন করা হয়, তাহলে কে শাস্তিপ্রাপ্ত হবে? কারণ, প্রকৃত হারাম কাজটির আমলকারী, মুজতাহিদ, (Assiduous) হবে অথবা মুকাল্লিদ (Imitator) ব্যক্তি হবে। আর উভয়েই শাস্তির আওতার বাইরে।

আমরা বলব, এর জবাব কয়েকটি উপায়ে দেওয়া যেতে পারে:

১. আমাদের উদ্দেশ্য এটা বর্ণনা করা যে, এই কাজটি ঐ শাস্তির উপযুক্ত। তার আমলকারী পাওয়া যাক বা না যাক।

যদি এটা ধরে নেওয়া হয় যে, যে ব্যক্তিই এ কাজে লিপ্ত হবে, তার মধ্যে শাস্তির শর্তের অনুপস্থিতি থাকবে অথবা শাস্তি প্রযোজ্য হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রতিবন্ধকতা দেখা দিবে। এতদসত্ত্বেও, ঐ কাজটি নি:সন্দেহে হারাম হতে বাধা হয়ে দাড়ায় না। বরং আমরা জানি যে এটা হারাম কাজ, যাতে করে যার কাছে তা হারাম বলে স্পষ্ট হবে সে তা থেকে বেঁচে থাকতে পারে।

আর যারা দ্বারা এ কাজটি অনুষ্ঠিত হবে, তার জন্য আল্লাহর রহমত এই হবে যে, তার পক্ষে কোনো একটি ওযর থাকবে। (যাতে করে সে শাস্তির সম্মুখীন হওয়া থেকে বেঁচে যায়।) এর উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে, সগীরা গুনাহও হারাম। কিন্তু যে ব্যক্তি কবীরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকবে, আল্লাহ তার সগীরা গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (কারণ, আল্লাহ তা‘আলা অসীম ক্ষমাশীল এটা তার রহমতের বহিঃপ্রকাশ)। এই অবস্থা সকল প্রকার মতভেদপূর্ণ হারাম কাজের বেলায় প্রযোজ্য।

সুতরাং যখন কাজটি হারাম হওয়া স্পষ্ট হয়ে যাবে, যদিও কোনো ব্যক্তি ইজতিহাদ কিংবা তাকলিদ করে সে হারাম কাজে লিপ্ত হয়ে যায়, আর তার ওযর গ্রহণযোগ্য হবে, তবুও তা আমাদেরকে ঐ কাজটি হারাম বলে বিশ্বাস করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।

২. কোনো বিষয়ে শরী‘আতী হুকুম বর্ণনা করার উদ্দেশ্য শাস্তির সম্মুখীন হওয়ার পথে যাবতীয় সন্দেহ যা প্রতিবন্ধক হিসেবে আসতে পারে তা দূর করা। কেননা কোনো বিশ্বাসের কারণে সে কাজ করাকে যদিও ওযর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়, তবুও সে ওযর সবসময় ওযর হিসেবে বলবৎ থাকবে এটা কখনও উদ্দেশ্য নয়, বরং সে ওযর যথাসম্ভব অবসানই উদ্দেশ্য। যদি তা না হত, তা হলে ইলম এর বর্ণনা ওয়াজিব করা হত না। আর মানুষকে অজ্ঞতার মধ্যে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয় হত ও সন্দেহযুক্ত মাসআলার দলীলের বর্ণনা না করাই ভাল হত [অথচ তা সবার নিকটই গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং কোনো হারাম কাজ ইজতিহাদ কিংবা তাকলীদের কারণে করা ওযর হিসেবে ধর্তব্য হলেও তা সাময়িক ব্যাপার। তারপর যখনই হক স্পষ্ট হবে, জ্ঞান আসবে, দলীল পাওয়া যাবে, তখনই তাকে দলীলের দিকে ফিরে আসতে হবে। [সম্পাদক]]।

৩. হুকুম ও শাস্তি বর্ণনা করা সে কাজটি পরিত্যাগকারীর জন্য পরিত্যাগের ওপর দৃঢ় থাকার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তা না হলে উক্ত হারাম কাজের আমল ছড়িয়ে পড়ত।

৪. এই ওযর কারও বেলায় গ্রহণযোগ্য নয়। তবে এটা দূরীকরণে অসমর্থ হলে, তার ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা যখন মানুষের পক্ষে সত্যানুসন্ধান সম্ভব হয়, অতঃপর সে এত ইচ্ছাকৃত শিথিলতা করে, তাহলে অপারগ হিসেবে গণ্য করা যাবে না।

৫. কখনও কখনও কাজটি কোনো লোক এমন ইজতিহাদের ওপর ভিত্তি না করেই করে বসল; যে ইজতিহাদ তা বৈধ করত অথবা এমন তাকলীদের ওপর ভিত্তি না করেই করে বসল, যে তাকলীদ তার জন্য তা জায়েয করত। ফলে এ শ্রেণির লোকের ক্ষেত্রে এ বিশেষ প্রতিবন্ধকতা (অর্থাৎ ইজতিহাদ কিংবা তাকলীদ) না থাকা শাস্তির মুখোমুখি হওয়ার কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। ফলে সে শাস্তির সম্মুখীন হবে এবং শাস্তি তাকে পেয়ে বসবে। যদি না অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতা যেমন, তাওবা বা পাপমোছনকারী নেক কাজ ইত্যাদি তার জন্য বাধা না হয়ে দাঁড়ায়।

তাছাড়া বিষয়টি দ্বিধান্বিত বিষয়। কখনও কখনও মানুষ মনে করতে পারে যে, তার ইজতিহাদ অথবা তাকলীদের ফলে ঐ কাজটি তার জন্য বৈধ হবে, এমতাবস্থায় তার এ ধারণাটি যেমন কখনও কখনও সঠিক হতে পারে, তেমনি আবার তা কখনও কখনও ভুলও হতে পারে। কিন্তু এও উল্লেখযোগ্য যে, যখন কোনো ব্যক্তি সত্যানুসন্ধানী হয় এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ তাকে সত্যানুসন্ধান থেকে বাধা না দেয়, তখন আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সাধ্যের বাইরে কষ্ট দেন না। (অর্থাৎ এর পর ভুল করলেও সে ত্রুটি বিচ্যুতির জন্য শাস্তির সম্মুখীন হবে না।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন