hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

২৯
উল্লিখিত কারণগুলোর কোনো কারণে হাদীস পরিত্যাগ করা হলে সে মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম সম্পর্কে খারাপ কথা বলা যাবে না
যখন উল্লিখিত কারণগুলোর কোনো কারণে হাদীস পরিত্যাগ করা হয়, (এমতাবস্থায়) যদি হালাল ও হারাম কিংবা অন্য নির্দেশপূর্ণ সহীহ হাদীস থাকে, তবে এরূপ হাদীসকে বর্ণিত কারণের পরিপ্রেক্ষিতে পরিত্যাগ করলে, তিনি যেহেতু হালালকে হারাম কিংবা হারামকে হালাল অথবা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাবের পরিপন্থী হুকুম দিয়েছেন। সেহেতু সেই আলিম ব্যক্তি শাস্তি প্রাপ্ত হবে, এরূপ বলা উচিৎ নয়।

অনুরূপভাবে যদি হাদীসে কোনো কাজের দরুন ভীতিপ্রদর্শন, অভিশাপ, গজব কিংবা এই প্রকারের কোনো শাস্তির কথা থাকে, তবে এই কথা বলা জায়েয নেই যে, আলিম তাকে বা ঐ কাজকে বৈধ করেছেন বলে তিনি এই শাস্তির মধ্যে শামিল।

বাগদাদের কতিপয় মু‘তাযিলা, যেমন বিশর আল-মাররীসি [তিনি হচ্ছেন, বিশর ইবন গিয়াস ইবন আবী কারীমা আবদুর রহমান আল-মাররীসি, বন্ধুত্ব বা অভিভাবকত্বের সূত্রে তিনি আল-আদ‘ওয়ী গোত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তার কুনিয়াত, আবু আবদির রহমান, মু‘তাযিলা ফিরকার ফকীহ, দর্শন সম্পর্কে অভিজ্ঞ, তিনি আর-মাররীসি গোষ্ঠীর প্রধান, যারা ‘ইরজা’ তথা গুণাহ করলে ক্ষমা পাবে এমন দৃঢ় ধারনায় বিশ্বাসী ছিল। মুরজিয়ারা তার দিকেই সম্পর্কযুক্ত। তিনি জাহম ইবন সাফওয়ানের মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন। তার বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে। ইমাম উসমান ইবন সা‘ঈদ আদ-দারেমী তার মতবাদকে খণ্ডন করে ‘আন-নাকদ্ব ‘আলা বিশর আল-মাররীসি’ নামক গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি ৩১৮ হিজরী সালে মারা যান।] ও তার মত কারও কারও বর্ণনা ছাড়া উপরোক্ত রায়ে উম্মতের মধ্যে কারও ভিন্নমত আছে বলে আমাদের জানা নেই [অর্থাৎ মু‘তাযিলা ব্যতীত সকল সহীহ হকপন্থী ইমামের মতই হচ্ছে যে, ইজতেহাদী ভুলের কারণে শাস্তির মুখোমুখি হবে না। [সম্পাদক]]। তাদের নিকট, মুজতাহিদ ভুল করলে ভুলের প্রায়শ্চিত্ত পেতে হবে।

এটা এজন্য যে, হারাম কাজের জন্য শাস্তি প্রযোজ্য হওয়ার শর্ত হলো, হারাম কাজটি সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়া কিংবা হারাম হওয়া সম্পর্কে দৃঢ়ভাবে জ্ঞাত হওয়ার শক্তি রাখা।

যে ব্যক্তি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে লালিত পালিত কিংবা নব মুসলিম, সে যদি হারাম হওয়ার অজ্ঞাতসারে কোনো হারাম কাজ করে বসে, তাহলে সে অপরাধী বিবেচিত হবে না বা তাকে কোনো শাস্তি দেওয়া যাবে না. যদিও সে বৈধতার জন্য শরিয়তী দলীল তালাশ না করে।

সুতরাং যার কাছে হারাম হওয়ার হাদীস পৌঁছে নি এবং শরিয়তী দলীল দ্বারা মোবাহ্ হওয়ার দলীল গ্রহণ করেছে, তার ওযর তো সর্বাগ্রে গ্রহণযোগ্য হবে।

আর এ জন্যই তার এ কাজটি যথাসাধ্য (ইজতেহাদ বা) প্রচেষ্টামূলক কার্য বিধায় প্রশংসিত ও প্রতিদানের উপযোগী বলে বিবেচিত হবে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন