hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৩৫
হাদীসের জ্ঞান ও আমলের ক্ষেত্রে হাদীসের প্রকারভেদ
তারপর (এটা জানাও আবশ্যক যে,) এ সব হাদীস দু’ভাগে বিভক্ত।

১. প্রথম প্রকার হাদীস, যার দ্বারা অর্জিত জ্ঞান (অকাট্য হওয়া) ও যার ওপর আমল করার ক্ষেত্রে আলিমগণ ঐকমত্য পোষণ করেছেন। যেমন, সনদ ও মতনের দিক থেকে অকাট্য প্রমাণিত হওয়া। আর সেটি হচ্ছে ঐ সব হাদীস, যা সম্পর্কে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা বলেছেন এবং আরও দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে যে হাদীসের দ্বারা তিনি এ অবস্থাটিরই ইচ্ছা করেছেন।

২. অন্যপ্রকার হাদীস, যার দ্বারা উদ্দেশ্য ‘যাহের’ [আমরা আগেই বলেছি যে, যাহের ঐ পরিভাষা, যাতে শব্দের অর্থ স্পষ্ট, কিন্তু তাতে অন্য অর্থের সম্ভাবনা রয়েছে। [সম্পাদক]] বা অকাট্য নয়।

তন্মধ্যে প্রথম প্রকারের হাদীসের চাহিদা তথা চাওয়া-পাওয়া মোতাবেক ইলম অর্জন করা (অকাট্য হিসেবে গ্রহণ করা) ও তার ওপর আমল করা ওয়াজিব বলে বিশ্বাস করতে হবে। মোটামুটিভাবে এতে আলিমদের মধ্যে দ্বিমত নেই।

অবশ্য কোনো কোনো হাদীসের সনদের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়েছে যে, হাদীসটির সনদ কি অকাট্য, নাকি অকাট্য নয়? অথবা হাদীসটির দালালাত বা চাহিদা কি অকাট্য, নাকি অকাট্য নয়?

যেমন, সে সব খবরে ওয়াহেদের বিষয়টি, যেগুলো উম্মাতের লোকেরা গ্রহণযোগ্য ও সত্য বলে মেনে নিয়েছে অথবা সেসব খবরে ওয়াহেদ, যেগুলোর ওপর আমলের ব্যাপারে উম্মতের সবাই একমত হয়েছে। এসব খবরে ওয়াহেদের ব্যাপারে সকল ফকীহ ও অধিকাংশ মুতাকাল্লিম [মুতাকাল্লিম বলতে অভিধানিকভাবে বুঝায়, যে কথা বলে। কিন্তু পারিভাষিকভাবে তাদেরকে বুঝায়, যারা কুরআনকে আল্লাহর কালাম বা কথা হওয়া, সে কথা শব্দের মাধ্যমে হওয়া না হওয়া, সে কথা প্রাচীন হওয়া ইত্যাদি নিয়ে খুব বেশি কথা বলেছে। সংক্ষেপে এ গোষ্ঠী দ্বারা জাহমিয়্যা, শিয়া, মু’তাযিলা, আশা‘য়েরা এবং মাতুরিদীদেরকে বুঝায়। তারা আল্লাহর কালাম নিয়ে অযথা সময়ক্ষেপন করেছে, তর্কযুক্ত চালিয়েছে। অথচ কুরআন আল্লাহর কালাম বা কথা। যা আল্লাহর গুণ। তিনি শব্দ ও অর্থ দু’টির সমন্বয়েই বলেছেন। আল্লাহ তা‘আলা অনাদি কাল থেকেই কথা বলছেন এবং যখন যা ইচ্ছে কথা বলেন। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত তথা ইমাম আবু হানিফা, মালিক, শাফে‘ঈ ও আহমদ ইবন হাম্বলের মত। [সম্পাদক]] একমত যে, এগুলো দ্বারা ইলমে ইয়াকীন বা অকাট্য জ্ঞান অর্জিত হয়। পক্ষান্তরে কোনো কোনো মুতাকাল্লিম মনে করেন যে, এর দ্বারা ইলমে ইয়াকীন বা অকাট্য জ্ঞান অর্জিত হয় না।

অনুরূপভাবে, যে সব খবর বিশেষ বিশেষ লোক কর্তৃক বিভিন্ন পন্থায় বর্ণিত হয়েছে এবং একটি অপরটিকে সত্যায়িত করে, এমতাবস্থায় এই খবরে ওয়াহেদ ঐ ব্যক্তির জন্য দৃঢ় ইলম ( علم يقين ) এর ফায়দা দিবে, যিনি বর্ণিত পন্থা, খবর দাতাগণের অবস্থা এবং খবরের পূর্বাপর ও পরিশিষ্ট সম্পর্কে জ্ঞাত। আর যারা উপরোক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত নয়, তাদের জন্য এই খবর দ্বারা ইল্‌মের ফায়দা হয় না।

এ কারণেই হাদীস শাস্ত্রে ব্যুৎপত্তি সম্পন্ন লোকগণ, যারা শুধু হাদীসের জন্যই নিজেদের জীবনকে নিয়োজিত করেছেন, তারা কিছু ‘খবরে ওয়াহেদ’ দ্বারা পূর্ণ ইলমে ইয়াকীন লাভ করে থাকেন, যদিও অন্যান্য আলিমগণের নিকট সেগুলো দ্বারা ‘সত্য জ্ঞান’ ( العلم بالصدق ) তো দূরের থাক, ‘সত্য ধারণা’ ( الظن بالصدق )ও অর্জিত হয় না।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন