hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৪৮
ষষ্ঠ জবাব
কখনও কখনও শাস্তির ধমক আগত হাদীসগুলো, মতভেদের স্থানে সরাসরি প্রমাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। যেমন, لعنة المحلِّل له বা “হিলা বিবাহের মাধ্যমে যার জন্য হালাল করা হয়েছে, তার ওপর লা‘নত (অভিশাপ)” এর বিষয়টি। আলিমগণের কেউ কেউ বলেন, কোনো অবস্থাতেই সে গুনাহগার হবে না। কেননা সে কোনো অবস্থাতেই প্রথম আকদ এর জন্য মূল অঙ্গ নয়, যাতে বলা হবে যে ‘তাকে লা‘নত করা হয়েছে’। কেননা সে বিশ্বাস করছে যে, হিলা করার মাধ্যমে সে (লোকটি, যে হিলা বিয়ে করে তার জন্য স্ত্রীকে হালাল করেছে, সে তার সাথে কৃত) ওয়াজিব অঙ্গীকারই পালন করছে।

সুতরাং যার বিশ্বাস এটা যে, প্রথম বিবাহ ঠিক, যদিও শর্তটি বাতিল, সে মনে করে যে এর মাধ্যমে দ্বিতীয়জনের জন্য মহিলাটি হালাল হবে, আর এতে করে দ্বিতীয়জনও (যার জন্য হালাল করা হয়েছে) গুণাহমুক্ত হবে।

বরং এভাবে المحلّل বা হিলা বিবাহকারীও। সে হয়ত হিলা করণের কারণে লা‘নতপ্রাপ্ত হবে অথবা কেবল বিবাহ বন্ধনের সাথে সম্পৃক্ত শর্ত পূর্ণ করা ওয়াজিব বলে বিশ্বাস করার কারণে লা‘নত প্রাপ্ত হবে অথবা উভয় কারণেই লা‘নতে পড়বে।

যদি প্রথম ও তৃতীয় কারণে হয়, তা হলে উদ্দেশ্য হাসিল হবে [অর্থাৎ সে মৌলিকভাবে লা‘নতের সম্মুখীন হবে। যদিও কোনো প্রতিবন্ধক কিংবা শর্ত না পাওয়া জনিত কারণে সেটা বাস্তবায়ণ নাও হতে পারে। [সম্পাদক]]।

আর যদি দ্বিতীয়টি হয়, তবে এরূপ বিশ্বাসই তাকে অবশ্যম্ভাবীভাবে লা‘নতের মুখোমুখি করেছে। এমতাবস্থায়, হিলা হাসিল হোক বা না হোক উভয় ক্ষেত্রই সমান।

এই অবস্থায় হাদীসে যা বর্ণিত হয়েছে, তা লা‘নতের কারণ বলেই বিবেচিত হয় না, কিন্তু এটি সম্পূর্ণভাবে বাতিল কথা [কারণ, হাদীসে যা বর্ণিত হয়েছে, তা হচ্ছে, হিলা বিবাহ করা। সেটাই মূলতঃ লা‘নতে পড়ার কারণ। কিন্তু যদি দ্বিতীয় অবস্থা ধরা হয়, তখন হাদীসে উল্লেখিত লা‘নতের কারণটি আর কারণ থাকে না। যা অবশ্যম্ভাবী ভাবে বাতিল বলে স্বীকৃত হবে। [সম্পাদক]]।

অতঃপর হিলা বিবাহকারী, যে ব্যক্তি শর্ত পূরণ করা ওয়াজিব বলে বিশ্বাস করছে, যদি সে জাহেল বা অজ্ঞ হয়, তবে তার ওপর অভিশাপ প্রযোজ্য হবে না। আর যদি ঐ ব্যক্তি জানে যে এটা পূর্ণ করতে সে বাধ্য নয়, তাহলে তার পক্ষে সেটা ওয়াজিব বলে বিশ্বাস করাই অসম্ভব বাপার। তবে হ্যাঁ, যদি সে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে শত্রুতা পোষণ ও বাহানা করার ইচ্ছা করলে সেটা ভিন্ন কথা, কারণ সে তখন কাফির হয়ে যাবে।

তখন হাদীসের অর্থ দাড়াবে, কাফিরদের প্রতি লা‘নত করা। আর এটা জানা কথা যে, এই আংশিক হুকুম অস্বীকারের কারণে যে কুফুরী হবে তার সাথে লা‘নতকে বিশেষায়িত করার কোনো অর্থ হয় না [কারণ, ‘কাফিরকে হিলা বিয়ে সংক্রান্ত রাসূলের বিরোধিতার কারণে কাফির বলা’ কাফিরদের কুফুরীকে সীমিত করার মত। কারণ, সে তো শরী‘আতের অন্যান্য বিধানকেও অস্বীকার করে থাকে। সুতরাং ব্যাপক বিধানকে কোনো ছোট অংশের ওপর নিয়ে সীমাবদ্ধ করা কোনো ক্রমেই সঠিক নয়। [সম্পাদক]]। বরং এ হিসেবে সে যেন বলল, ‘ঐ ব্যক্তির ওপর আল্লাহর অভিশাপ, যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেওয়া বিধান ‘বিবাহে তালাকের শর্ত করা বাতিল’ এ হুকুমে মিথ্যারোপ করে।

তারপরও আরও লক্ষণীয় যে, হাদীসে ব্যবহৃত বাক্য সাধারণ ও ব্যাপক, শব্দ ও অর্থ উভয় দিক দিয়েই, যা ব্যাপকতা দিয়েই শুরু হয়েছে।

এ ধরণের ব্যাপকতাকে কদাচিৎ বা বিরল অর্থ বুঝানো কখনও বৈধ নয়। কারণ, তখন পুরো বাক্যটিই দুর্বোধ্য ও আড়ষ্টবাক হিসেবে বিবেচিত হবে [অথচ কুরআন ও সুন্নাহর কোনো বাক্য এ ধরণের নয়। সুতরাং কোনো সার্বিকভাবে ব্যাপক নির্দেশকে বিরল অর্থে ব্যবহার করার যৌক্তিকতা নেই। [সম্পাদক]]। যেমন কোনো কোনো ব্যাখ্যাদাতা কর্তৃক রাসূলুল্লাহ্‌র সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী,

«أَيُّمَا امْرَأَةٍ نَكَحَتْ بِغَيْرِ إِذْنِ وَلِيِّهَا فَنِكَاحُهَا بَاطِلٌُ»

“যে স্ত্রীলোক তার অলি বা অভিভাবকদের হুকুম ছাড়া বিয়ে করে, তার বিয়ে বাতিল” [মুসনাদে আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবন মাজাহ।]। এ হাদীসটিকে ‘মুকাতাবাহ’ তথা ‘অর্থের বিনিময়ে মুক্তি লাভের শর্তাধীন ক্রীতদাসী’র সাথে সম্পৃক্ত (বিরল) বিষয় হিসেবে ব্যাখ্যা করা [সেটা অনুসারে তাদের নিকট, যে কোনো মহিলা অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত বিয়ে করতে পারবে, তবে কেবল ‘মুকাতাবাহ’ বা ‘অর্থের বিনিময়ে মুক্তি লাভের শর্তাধীন ক্রীতদাসী’ তা করতে পারবে না। সন্দেহ নেই যে, এভাবে হাদীসকে একটি বিরল প্রক্রিয়ায় সীমাবদ্ধ করা হয়ে যায়, যা হাদীস দ্বারা উদ্দেশ্য নয়। [সম্পাদক]]।

আর এ অর্থ বিরল বা কদাচিৎ হওয়ার বর্ণনা এই যে, যে মুসলিম ঐ হাদীসের অর্থ সম্পর্কে অজ্ঞ, সে হাদীসের বিধানের আওতা বহির্ভুত। কিন্তু যে শিক্ষিত মুসলিম জানে যে ঐ শর্ত পূর্ণ করা ওয়াজিব নয়, আর সে এ শর্তটি পূরণ করা ওয়াজিব বলেও বিশ্বাস করে না। যদি না সে কাফের হয়, (তবে সেই তা বিশ্বাস করতে পারে।) আর কোনো কাফির মুসলিমদের মত বিবাহ করে না; কিন্তু যদি সে মুনাফিক হয় (তবে সেই এ ধরণের কাজ করতে পারে)। সুতরাং এ ধরণের বিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়া নিঃসন্দেহে বিরল ও কদাচিৎ।

এমনকি যদি বলা হয় যে, এরূপ (কদাচিৎ বা বিরল) বিয়ের বিষয়টি কথকের স্মৃতিপটে উদিতই হয় না, তবে সে বক্তার বক্তব্য সত্য হিসেবে ধর্তব্য হবে।

আর আমরা অন্যস্থানে [যে গ্রন্থটির দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন সেটি হচ্ছে, إقامة الدليل على إبطال التحليل যা শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যার ‘মাজমু‘ ফাতাওয়া’ এর তৃতীয় খণ্ডে উদ্ধৃত হয়েছে।] এর বহু প্রমাণাদি উল্লেখ করেছি যে, এ হাদীস দ্বারা ঐ ব্যক্তিই উদ্দেশ্য, যে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যের স্ত্রী হালাল করার জন্য বিয়ে করে, যদিও বিয়ের সময় ঐ শর্তের উল্লেখ না থাকে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন