hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৫৪
দশম জবাব [এটি তাদের আপত্তির দশম উত্তর, যারা শাস্তির নির্দেশ বাস্তবায়ণের ব্যাপারে আপত্তি তুলে বলেছিল যে, শাস্তির হাদীসসমূহ শুধু সেখানেই প্রযোজ্য হবে যেখানে সেটি হারাম হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে, যেখানে কোনো প্রকার দ্বিমত পাওয়া যাবে সেখানে সেটার শাস্তি বর্তাবে না, বা সে হাদীসের শাস্তি আপতিত হবে না। বস্তুতঃ তাদের এ কথাটি সঠিক নয়, বরং হাদীস শুদ্ধ হলে তার দাবী সর্বক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। শাইখুল ইসলাম পূর্বে তাদের কথা খণ্ডানোর জন্য নয়টি জওয়াব দিয়েছেন এখানে দশম জওয়াব দিচ্ছেন। [সম্পাদক]]
যদি এসব হাদীস (শাস্তির ধমকি এসেছে এমন হাদীসসমূহ) তার চাহিদার ওপর বর্তমান থাকে, (অর্থাৎ মতভেদ রয়েছে এমন জায়গায় কার্যকর থাকে) আর এর ফলস্বরূপ কোনো কোনো মুজতাহিদ শাস্তির ধমকির অন্তর্ভুক্ত হওয়া আবশ্যক হয়ে যায়; তবে এরূপভাবে হাদীসগুলো তার চাহিদা হতে বের করলেও কোনো কোনো মুজতাহিদকে শাস্তির ধমকির অন্তর্ভুক্ত করা জরুরী হয়ে পড়ে।

আর যখন উভয় অবস্থাতেই শাস্তির ধমকি আসা জরুরী হয়ে পড়ে, তখন হাদীসটি কোনো প্রকার বিরোধিতা থেকে নিরাপদই থেকে গেল। সুতরাং তার ওপর (সর্বস্থানে) আমল করা ওয়াজিব।

এর বিস্তারিত বর্ণনা এই যে, বহু ইমাম পরিস্কারভাবে বর্ণনা করেছেন যে, মতবিরোধ রয়েছে এমন মাসআলার আমলকারী ব্যক্তি অভিশপ্ত। আবদুল্লাহ্ ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এ মত পোষণ করেছেন। তার নিকট প্রশ্ন ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে করা হলো, যে হালাল করার উদ্দেশ্যে বিয়ে করে, অথচ মহিলাটি ও তার স্বামী এই সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। তখন তিনি বললেন: “এটা ব্যভিচার, বিয়ে নয়। আল্লাহ হালালকারী ব্যক্তি ও যার জন্য হালাল করা হয়, উভয়কেই অভিশপ্তদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন”। এ বর্ণনাটি ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বিভিন্নভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। অনুরূপভাবে তা অন্যান্যদের থেকেও এসেছে, তাদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ অন্যতম। তিনি বলেন: “যখন কোনো ব্যক্তি পূর্ণ তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে প্রথম স্বামীর জন্য হালাল করতে চায়, সেই হলো বা হালালকারী। আর ঐ ব্যক্তি অভিশপ্ত।” আর এ কথাই বহু সংখ্যক ইমাম হতে বহু মাসআলা যেমন, মদ ও সুদ ইত্যাদি বহু মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে।

এখন যদি বলা হয় যে, শরী‘আতের লা‘নত সম্বলিত শাস্তির ধমকি আসার হাদীসগুলো শুধু তখনই প্রযোজ্য হবে যেখানে মাসআলাটির ব্যাপারে কোনো প্রকার মতভেদ পাওয়া যাবে না, তাহলে তো এ সব মনীষী এমন লোকদের লা‘নত করলেন যাদের লা‘নত করা জায়েয হয় না, যার ফলে তাদের ওপর সে সব হাদীসের শাস্তি আপতিত হওয়া আবশ্যক হয়, যেখানে যারা লা‘নতের উপযু্ক্ত নয় তাদের লা‘নত করার ব্যাপারে ধমকি এসেছে। যেমন,

রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন মুসলিমকে লা‘নত বা অভিশাপ দেওয়া তাকে হত্যা করার মতই”। (বুখারী, মুসলিম)।

অনুরূপভাবে ইবন মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকী ও তার সাথে যুদ্ধবিগ্রহ করা কুফুরী”। [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম।]

আবুদারদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, তিনি নবীকে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছেন: “লা‘নতকারী ও অভিশাপদাতা কিয়ামত দিবসে সুপারিশকারীও হবে না এবং অন্য উম্মতের ওপর সাক্ষ্যদানকারীও হতে পারবে না”। (মুসলিম)।

অন্যত্র আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোনো সিদ্দীক বা সত্যবাদীর জন্য অভিশাপকারী হওয়া উচিৎ নয়”। [সহীহ মুসলিম।]

অন্যত্র আবদুল্লাহ ইবন মাস’উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ্‌ বলেছেন: “মুমিন ব্যক্তি ভর্ৎসনাকারী, অভিশাপদাতা, কটুবাক্যকারী এবং বদমেজাজী হতে পারে না”। এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী বর্ণনা করেন ও হাসান হাদীস বলেছেন।

অন্য আছার বা হাদীসে মওকুফে (যে হাদীসের সনদের সিলসিলা সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছে, সেখানে) আছে, (যখন কোনো ব্যক্তি কাউকে লা‘নত করে বা অভিশাপ দেয়, আর প্রকৃত পক্ষে ঐ ভ্যক্তি যদি অভিশাপের পাত্র না হয়, তখন ঐ অভিশাপ অভিশাপকারীর ওপর বর্তাবে”। [তিরমিযী, আবু দাউদ।]

তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, এরূপ লা‘নতের ব্যাপারে এত এত মারাত্মক শাস্তির ধমকি এসেছে। এমনকি বলা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি অন্যকে লা‘নত দেয়, অথচ ঐ ব্যক্তি লা‘নতের উপযোগী নয়, তা হলে সেই অভিশাপকারীই অভিশপ্ত হবে; আর লা‘নতের কাজটি ফাসেকী; তা মানুষকে ছিদ্দিকীন, সুপারিশকারী ও স্বাক্ষীদানের মর্যাদা হতে বের করে দেয়। আর এটি তাকে অন্তর্ভুক্ত করে, যে লা‘নতের অনুপযোগী ব্যক্তিকে লা‘নত করে।

অতএব, যদি মতভেদপূর্ণ মাসআলায় কেউ সে কাজটি করল, আর সে ব্যক্তিকে (মতভেদ পাওয়া গেছে এ অজুহাতে) হাদীসের ভাষ্যে বর্ণিত শাস্তির উপযোগী করা হলো না, এমতাবস্থায় (যারা হাদীসের ব্যাপকতার ওপর আমল করে, ঐকমত্য ও মতভেদ সর্বাবস্থায় হাদীসে আগত লা‘নতের শাস্তি প্রযোজ্য হবে বলে বিশ্বাস করে কাউকে লা‘নত করেছে যেমন পূর্ববর্তী বর্ণনায় ইবন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু ও ইমাম আহমদ রাহেমাহুল্লাহ সহ আরও অনেকে কারও কারও মতভেদের বিষয়টি আমলে না নিয়ে হাদীসের ভাষ্য অনুসারে লা‘নত করেছেন, সেসব) লা‘নতকারী ব্যক্তিদেরকেই তো অভিশপ্ত হতে হয়। যার ফল এই দাঁড়ায় যে, যে সকল মুজতাহিদ বিরোধপূর্ণ মাসায়েলকেও হাদীসে বর্ণিত শাস্তির আওতাভুক্ত মনে করেছেন, তাদের জন্য সে শাস্তির ধমকি অবধারিত। (অর্থাৎ তাদেরকেও অভিশপ্ত বলতে হয়; কারণ তারা লা‘নতের উপযুক্ত নয়, এমন লোকদের লা‘নত করেছেন।)

এখন যেহেতু স্পষ্ট হলো যে, সর্বাবস্থায়ই সমস্যাটি বিদ্যমান, অর্থাৎ ভিন্নমত আছে এমন অবস্থা বাদ দেওয়া অথবা তা বাদ না দেওয়া সর্বাবস্থাতেই লা‘নতের বিষয়টি আপতিত হচ্ছে, সেহেতু বুঝা যাচ্ছে যে, আসলে এটি কোনো সমস্যাই নয়; আর হাদীস দ্বারা (ঐকমত্য ও ভিন্নমত) সর্বাবস্থায় দলীল গ্রহণ করাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।

আর যদি উভয় অবস্থা (ঐকমত্য ও ভিন্নমত) এর কোনোটিতেই সমস্যাটি প্রমাণিত না হয়, তবে সেখানে ঐ সব হাদীসের ব্যাপকতার ওপর আমল করাটা মোটেই সমস্যা সঙ্কুল নয়। (অর্থাৎ হাদীসের ভাষ্য অনুসারে সেটার শাস্তির ধমকি ঐকমত্য ও মতভেদপূর্ণ) সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য হবে, যদি না সেথায় কোনো শর্ত অনুপস্থিত কিংবা প্রতিবন্ধক না থাকে)।

এটা এ জন্য যে, যখন (কোনো বিষয়ে) বাধ্যবাধকতা প্রতিষ্ঠা হয় এবং জানা যায় যে, অস্তিত্বের অবস্থায় তাদের প্রবেশ, অস্তিত্বহীন অবস্থার প্রবেশকে বাধ্য করে, তখন দু’টো হুকুমের একটিই প্রতিষ্ঠিত হবে। হয় বাধ্যকতা ও বাধ্যকৃত বস্তুর অস্তিত্ব; আর তা হলো, সব মুজতাহিদের এতে প্রবেশ করা। নতুবা বাধ্যকতা ও বাধ্যকৃত বস্তুর অস্তিত্বহীনতা; আর তা হলো, মুজতাহিদদের সকলের প্রবেশ না করা। কেননা বাধ্যকৃত বস্তু পাওয়া গেলে বাধ্যকতা পাওয়া যায়। আর বাধ্যকতা না থাকলে বাধ্যকৃত বস্তুও থাকে না।

এটুকু বর্ণনাই (উপরোক্ত) প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বাতিলের জন্য যথেষ্ট। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, মুজতাহিদগণ উল্লিখিত যেমনটি সাব্যস্ত হলো, দুই অবস্থার কোনো অবস্থাতেই শাস্তির সম্মুখীন হবেন না। কেননা শাস্তি প্রযোজ্য হবার শর্ত হলো ওযর আপত্তি না থাকা। আর যে ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ওযরসম্পন্ন, সে কখনও শাস্তির অন্তর্ভুক্ত নয়।

আর মুজতাহিদগণ হলেন ওযরসম্পন্ন, তাদের ওযর গৃহীত হবে। শুধু তাই নয়, তারা সাওয়াবও প্রাপ্ত হবেন। সুতরাং তাদের বেলায় শাস্তিতে প্রবেশের শর্ত রহিত হয় এবং তাদের বলায় কখনও শাস্তি প্রযোজ্য হবে না, তাতে হাদীসকে তার যাহের (যা দ্বারা স্বাভাবিকভাবে বুঝা যায়, কিন্তু তাতে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে অন্য অর্থ করার সুযোগ রয়েছে এমন) অর্থে থাকার বিষয়টিই বিশ্বাস করুক বা সেটিকে বিশ্বাস করুক যে, এর অর্থের মধ্যে মতভেদ থাকার কারণে সেখানে ওযর গ্রহণযোগ্য হবে। (অর্থাৎ সর্বাবস্থায়ই তার ওযর গ্রহণযোগ্য হবে)। এটি [এর দ্বারা দশম কারণটিই উদ্দেশ্য। [সম্পাদক]] একটি বিরাট বাধ্য-বাধকতা; যা থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে নিম্নে বর্ণিত এক অবস্থার দিকে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন