hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

২৪
নবম কারণ: ইজমার দাবী
এ ধারণা করা যে, হাদীসটি এমন কিছুর সাথে দ্বন্দ্বযুক্ত, যা সবার নিকটই বিপরীতে দাঁড়ানোর ক্ষমতার রাখে। যেমন, অপর কোনো আয়াত অথবা অপর কোনো হাদীস অথবা ইজমা‘-এর মতো শক্তিশালী প্রমাণ। (যদি এ ধরণের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তখন) তা প্রমাণ করে যে, (যে হাদীসটির ওপর মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম আমল করেন নি সে) হাদীসটি হয় দুর্বল, নয়তো রহিত কিংবা তাতে তাবিল তথা ব্যাখ্যা (Interpretation) রয়েছে; যদি তাতে তাবিল তথা ব্যখ্যা করে ভিন্ন অর্থ করার অবকাশ থাকে।

এ প্রকার কারণ দু’ভাগে বিভক্ত

১. প্রথমত: ধারণা করা যে, এ হাদীসের বিপরীতটি (এ হাদীসের ওপর) মোটামুটিভাবে প্রাধান্য প্রাপ্ত। সুতরাং এ হাদীসটি দুর্বল অথবা রহিত অথবা তাবিল তথা ব্যখ্যা করে ভিন্ন অর্থ করা এ তিনটির কোনো একটি অনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত হবে।

২. দ্বিতীয়ত: উপরোক্ত সম্ভাবনাগুলোর মধ্যকার কোনো একটিকে নির্ধারণ করা। যেমন, এটা বিশ্বাস করা যে, হাদীসটি রহিত অথবা তাবিল তথা ব্যখ্যা করে ভিন্ন অর্থকৃত।

তারপর হয়ত (সে মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম কর্তৃক) হাদীসকে রহিত বলার ক্ষেত্রে (তিনি) ভুল-ত্রুটি করে থাকবেন। যেমন, কখনও পরবর্তী হাদীসকে (যা রহিত হওয়া দরকার সেটাকে ভুলবশতঃ) পূর্ববর্তী হাদীস (যা রহিত হওয়ার উপযুক্ত) বলে মনে করবেন।

আবার কখনও সে মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম হাদীসটির তাবিল তথা ভিন্ন অর্থ করার ক্ষেত্রে ভুল করে বসেন। ফলে হাদীসকে এমন অর্থে ব্যবহার করেন যে অর্থ তার শব্দের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। অথবা হাদীসের মধ্যেই এমন কোনো কিছু পাওয়া যাবে যা হাদীসের এ অর্থ করাকে প্রত্যাখ্যান করে।

তাছাড়া (আরও একটি দিক এখানে প্রণিধানযোগ্য, তা হচ্ছে) যখন কোনো হাদীসের বিপরীতে অন্য হাদীসকে মোটামুটিভাবে দ্বান্দ্বিক বলে ধরে নেওয়া হয়, তখন কখনও কখনও (অবস্থা এমনও হতে পারে যে) বিপরীত হাদীসটিতে এমন ভাবধারা পাওয়া যায় না, যার জন্য তাকে বিপরীতধর্মী (দ্বান্দ্বিক) হাদীস বলা যায়। আবার কখনও কখনও এরূপও হয়ে থাকে যে, হাদীসটি বিপরীতধর্মী হলেও সনদ (Chain of Narration) ও মতনের (Text) দিক দিয়ে এবং সঠিকতার দিক দিয়ে তা প্রথম হাদীসটি [যে হাদীসটির উপর মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম আমল করেন নি এ কারণে যে এর বিপরীতে হাদীস রয়েছে, সে হাদীসটিই মূলতঃ শক্তিশালী, তার বিপরীতটি দুর্বল। অথচ মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম তা বুঝতে পারেন নি। [সম্পাদক]]র চেয়ে নিম্ন স্তরের। আর তাতেই (দ্বিতীয় হাদীসটিতেই) বরং (আমল না করার) সে সকল কারণ ও সম্ভাবনাগুলো আপতিত হয়, যা প্রথম হাদীসে (কোনো ইমাম বা মুজতাহিদ কর্তৃক প্রথমে) আপতিত করা হয়েছিল।

তদ্রুপ (আরও একটি দিক এখানে প্রণিধানযোগ্য, তা হচ্ছে) যে মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম ইজমা‘কে হাদীসের বিপরীত হয়েছে দাবী করে হাদীসের ওপর আমল করা ছেড়ে দিয়েছে, সেটা মূলত ইজমা‘ নয়। বরং তার কথা বা দাবীর ভিত্তি হচ্ছে এই যে, এর বিপরীত মত কারও কাছ থেকে জানা যায় না। নাম করা আলিমগণের অনেকেই এমন কিছু মত গ্রহণ করেছেন, যে মতের সপক্ষে তাদের একমাত্র দলীল হচ্ছে, এর বিপরীত মত কারও কাছ থেকে জানা না থাকা। যদিও তাদের কাছে এ ব্যাপারে এমন প্রকাশ্য দলীর প্রমাণাদি রয়েছে, যা তাদের মতের বিপরীত কথাকেই সাব্যস্ত করছে।

তবে কোনো আলিমের এটা উচিত নয় যে, তিনি কোনো মতের সপক্ষে পূর্বে কোনো প্রবক্তা আছে কি না তা না জেনে একটি মত দিয়ে দিবেন; বিশেষ করে যখন তিনি জানবেন যে, মানুষ এর বিপরীত মতটিই দিয়েছে। আর এজন্যই কোনো কোনো আলিম মত প্রকাশের সময় বলতেন, “যদি এ মাসআলাটির ব্যাপারে ইজমা‘ বা সর্বসম্মত রায় থাকে তবে তা অবশ্যই অনুসরণযোগ্য। অন্যথায় ইজমা‘ না থাকলে তাতে আমার মত হচ্ছে এরূপ বা ওরূপ [এ প্যারাটুকু আগের ও পরের কথা থেকে ভিন্ন করে বর্ণনা করা হয়েছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য, মানুষ যেন নিজে নতুন মত আবিস্কার করতে উদ্বুদ্ধ না হয়। সে যেন কোনো মত দেওয়ার আগে তার মতের সপক্ষে সালফে সালেহীনের কেউ বলেছে কী না সেটা দেখে নিশ্চিত হয়। কারণ হতে পারে সে এমন মত দিচ্ছে, যা আর কেউই কখনও দেয় নি, আর তাতে দ্বীনের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাকে অবশ্যই কোনো বিষয়ে মত দেয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হবে যে, অন্ততঃ তার কথার সপক্ষে সালফে সালেহীনের একজন হলেও বলেছেন। আবার কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে নিজে নিজের পক্ষ থেকে মত দিতে গিয়ে ইজমা‘ এর বিপরীত মত দিয়ে ফেলেছে। আর এ জন্যই আলেমগণ ইজমা না হওয়ার শর্তযুক্ত করে কখনও কখনও মত প্রদান করতেন, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে। [সম্পাদক]]।

এর [এ উদাহরণ পূর্বের প্যারার সাথে সম্পৃক্ত নয়; বরং পূর্বের প্যারার পূর্বের প্যারার সাথে সম্পৃক্ত। অর্থাৎ বিপরীত মত না জানাকে কেউ কেউ কীভাবে ইজমা‘ বলে চালিয়ে দিয়েছে, অথচ সেটা ইজমা নয়, তারই উদাহরণ দেওয়া হচ্ছে। [সম্পাদক]] উদাহরণ: কেউ বললেন, আমি জানি না কেউ ক্রীতদাসের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য মনে করেছেন কী না [এ কথাকেই তিনি হয়ত ইজমা‘ ধরে নিয়েছেন। কারণ, তিনি এর বিপরীত মত জানেন না। বস্তুত: বিষয়টি ইজমা নয়। কারণ, এর বিপরীত মত রয়েছে। যেমনটি উপরে বর্ণিত হয়েছে। [সম্পাদক]]। অথচ তাদের সাক্ষী কবুল হওয়ার ব্যাপারে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ও শুরাইহ রহ. থেকে বর্ণনা রয়েছে [অর্থাৎ তারা এটা জায়েয বলেছেন। সুতরাং তার না জানা ইজমা‘ হিসেবে ধর্তব্য হবে না। আর এটার দোহাই দিয়ে হাদীসের উপর আমল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যদিও কোনো ব্যক্তি বা মুজতাহিদ সেটার কারণে ভুল করে হাদীসের উপর আমল ছেড়ে দিয়ে থাকেন। সেটা তার ইজতেহাদী ভুল হিসেবে বিবেচিত হবে।[সম্পাদক]]।

একইভাবে অন্য কোন আলিম বলেন, আংশিক আযাদকৃত ক্রীতদাসের ওয়ারিশ (উত্তরাধিকার) না হওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্য রয়েছে। পক্ষান্তরে, তাদের ওয়ারিশ হওয়া সম্পর্কে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও ইবন মাস‘উদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা রয়েছে। আর এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও একটি হাসান হাদীস বর্ণিত আছে [হাদীসটির শব্দ হচ্ছে, «الْمُكَاتَبُ يَعْتِقُ بِقَدْرِ مَا أَدَّى، وَيُقَامُ عَلَيْهِ الْحَدُّ بِقَدْرِ مَا عَتَقَ مِنْهُ، وَيَرِثُ بِقَدْرِ مَا عَتَقَ مِنْهُ» অর্থাৎ মুকাতাব বা স্বাধীন হওয়ার জন্য বিনিময় প্রদানে চুক্তিবদ্ধ ক্রীতদাস যতটুকু প্রদান করবে, ততটুকু পরিমাণ স্বাধীন হবে, যতটুকু স্বাধীন হয়েছে, সে পরিমাণে তার ওপর অপরাধের হদ বা শাস্তি প্রযোজ্য হবে, আর যতটুকু স্বাধীন হয়েছে, ততটুকু ওয়ারিশ হবে। (নাসাঈ, হাদীস নং ৪৮১১; অনুরূপ, তিরমিযী, হাদীস নং ১২৫৯; আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৫৮২) হাদীসটি একটি সহীহ হাদীস। যার ওপর ইমাম আবু হানিফাসহ কেউ কেউ আমল করেন নি। কারণ, তাদের মতে, এটি অন্য একটি হাদীসের বিপরীত, যেখানে বলা হয়েছে যে, মুকাতাবের যতক্ষণ একটি দিরহামও বাকী থাকবে, ততক্ষণ সে দাস হিসেবে বিবেচিত হবে। কিন্তু এটি মূলতঃ একটি মাওকূফ হাদীস। যা আয়েশা, যায়েদ ইবন সাবেত, ইবনে উমর সহ একদল সাহাবী থেকে বর্ণিত। [সম্পাদক]]।

অন্য একজন বলেন, আমার জানা নেই যে, সালাতের মধ্যে রাসূলের ওপর দুরূদ ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি কোনো আলিমের মত। অথচ এই দুরূদ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে আবু জা‘ফর বাকের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে সংরক্ষিত বর্ণনা রয়েছে [আর ইমাম শাফে‘ঈ সহ একদল আলেম এ মতটি গ্রহণ করেছেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেখুন, ইবনুল কাইয়্যেম রচিত জালাউল আফহাম ফিস সালাতি আলা খাইরিল আনাম আলাইহিস সালাত ওয়াসালাম। সুতরাং বিপরীত মত না জানাই ইজমা দাবীর করার জন্য যথেষ্ট নয়। [সম্পাদক]]।

সুতরাং এ ধরনের ইজমা দাবী করার বিষয়টি এরূপ হয়ে থাকে যে, কোনো কোনো আলিম তার দেশবাসী আলিমগণের মত জানাই তার জন্য সর্ব্বোচ্চ সীমা মনে করেছে, ফলে সে অন্যান্য দেশীয় আলিমদের মত সম্পর্কে অজ্ঞ রয়ে গেছে [এভাবে তো আর ইজমা‘ হয় না। তাই যখন ইজমা‘ দাবী করা হয়, তখন যদি উদ্দেশ্য হয় যে, আমি এর বিপরীত মত সম্পর্কে জ্ঞাত নই, তখন সেটা ইজমা‘ বলে বিবেচিত হবে না। কারণ, অন্যান্য আলেমদের কাছে হয়ত এর বিপরীত মতটিই রয়েছে। আর হয়ত তাদের মতটিই বেশি শক্তিশালী। [সম্পাদক]]।

যেমনভাবে আমরা পূর্ববর্তী বহু আলিমগণকে দেখতে পাই- তারা শুধু মদিনা ও কুফাবাসী আলিমগণের রায় বা মতামতই জানতেন। এভাবে আমরা পরবর্তী বহু আলিমগণকে দেখি, তারা শুধু দুই তিনজন বিশিষ্ট আলিমের মতামত সম্পর্কে অবহিত। সেসব মতের বাইরে কোনো মত শুনলে তিনি সেটাকে ইজমার পরিপন্থী বলে মনে করতেন; কারণ, তিনি সেটার প্রবক্তা সম্পর্কে জানেন না। অথচ তার কানে ভিন্ন মতের কথা বারবার শোনানো হয় [অর্থাৎ তারপরও তিনি সেটা না শুনে ইজমা‘ হওয়ার দাবীই করে যেতেন। [সম্পাদক]]।

এমনকি কোনো সহীহ হাদীস ঐ ইজমার বিপরীতে পাওয়া গেলেও তিনি সে হাদীসের ওপর আমল করার দিকে মত দিতে পারেন না, এই ভয়ে যেন তা (হাদীসের ওপর আমল করার বিষয়টি) ইজমার বিরোধী না হয়। কেননা ইজমা‘ বড় বা গুরুত্বপূর্ণ দলীল।

হাদীসে আমল না করার ক্ষেত্রে বহু সংখ্যক লোকের ওযর এটাই হয়ে থাকে।

এ ব্যাপারে কতিপয় লোকের ওযর বাস্তবেই গ্রহণীয়, আবার কতিপয় লোকের জন্য তা ওযর বিবেচিত হলেও সেটা প্রকৃতপক্ষে ওযর নয়।

এভাবে হাদীসে আমল না করার আরও বহু ওযর আপত্তি পরিদৃষ্ট হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন