hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

২২
সপ্তম কারণ: হাদীসে আমল না করার কারণ কখনও কখনও এও হয়ে থাকে যে, ব্যক্তি বা ইমাম মনে করেন, উল্লিখিত হাদীসটির মধ্যে আলোচ্য বিষয়টি উদ্দিষ্ট নয়।
এই কারণ ও পূর্ববর্ণিত কারণের মধ্যে পার্থক্য এই যে, প্রথমটির মধ্যে সেই ব্যক্তি বা ইমাম হাদীসের প্রকৃত চাহিদা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অজ্ঞাত থাকবেন। কিন্তু দ্বিতীয়টিতে (অর্থাৎ সপ্তম এই কারণে) সেই ব্যক্তি বা ইমাম হাদীসের চাহিদা ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানবেন বা জ্ঞাত থাকবেন। কিন্তু তার বদ্ধমূল ধারণা যে, (হাদীস থেকে) এই চাহিদা ও উদ্দেশ্য নেওয়া সঠিক নয়। কেননা সেই ব্যক্তি বা ইমামের যে সব সুনির্দিষ্ট উসূল বা মূলনীতি রয়েছে সেগুলোর বিপরীত হওয়ায় এই উদ্দেশ্য বা চাহিদা পরিত্যাজ্য। চাই ইমাম বা ব্যক্তির সে সব মূলনীতি প্রকৃত অর্থে সঠিক হোক অথবা ভ্রান্ত হোক।

যে সব মূলনীতির বিপরীত হলে কখনও কখনও মুজতাহিদ ব্যক্তি ইমাম হাদীসের ওপর আমল করা থেকে বিরত থাকেন, সেসব কিছু মূলনীতির [এসব মূলনীতি শুদ্ধও হতে পারে, আবার অশুদ্ধও হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ইমাম বা মুজতাহিদ ব্যক্তি মনে করছে যে, এগুলো অভ্রান্ত নীতি। সুতরাং এর বিপরীতে হাদীসের কোনো চাহিদা পাওয়া গেলে সেসব হাদীসের উপর আমল করতে হবে মূলনীতির আলোকে, বিপরীতে গিয়ে নয়। তাই প্রয়োজনে তাঁরা সেসব হাদীসের ভিন্ন ব্যাখ্যাও দিয়ে থাকেন। আবার কখনও কখনও আমলের উপযোগীই মনে করেন না। [সম্পাদক]] উদাহরণ:

১. মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম বিশ্বাস করবে যে, কোনো ‘আম’ বা সাধারণ বিধানকে যখন কোনো বিশেষ ক্ষেত্রে নির্ধারিত করে দেওয়া হয়, তখন সে সাধারণ নির্দেশ তার কার্যকারিতা হারায় বিধায় সেটা আর দলীল-প্রমাণ হিসেবে পেশ করা যায় না।

২. কোনো নির্দেশ থেকে (বিপরীত) বোধগম্য বিষয়কে দলীল হিসাবে গ্রহণ করা যায় না [এটি একটি উসূলী পরিভাষা। এটি বুঝতে হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বুঝতে হবে: যে কোনো নস বা ভাষ্য থেকে নির্দেশনা দু’ ধরণের হয়ে থাকে। ১. মানতূক বা কথিত। ২. মাফহূম বা বোধিত। ১- কোনো নির্দেশ সরাসরি যে বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে, সেটাকে বলা হয়, মানতূক। বা কথিত বিষয়। সেটি আবার দু’ প্রকার। এক. সরাসরি কথিত, দুই. কথিত হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।২- কোনো নির্দেশ থেকে বোঝা যায়, সেটাকে বলা হয়, মাফহূম। বা বোধিত বিষয়। এটা আবার দু’ প্রকার। এক. নির্দেশের পক্ষে বোধিত। (যাকে মাফহূমে মুওয়াফিক বলে) দুই. নির্দেশের বিপরীত অংশে যেখানে কোনো বিধান নেই, সেটাতে নির্দেশ থেকে বোধিত বিধানের বিপরীত বিধান প্রদান করে। (যাকে মাফহূমে মুখালিফ বলে)। উপরোক্ত সকল প্রকারই আলেমদের নিকট বিধান হিসেবে গৃহীত। তবেএ দ্বিতীয় বোধিত বিষয়টিতে কোনো কোনো ইমাম মতভেদ করে বলেছেন, যে ব্যপারে শরী‘আত চুপ রয়েছে সেখানে কোনো বিধান দেওয়া যাবে না। ইমাম ইবন তাইমিয়্যা এ মতটিকেই এখানে তুলে ধরেছেন। [সম্পাদক]]।

৩. কোনো কারণের ওপর অর্পিত সাধারণ হুকুম ঐ কারণের ওপরই সীমিত থাকবে।

৪. কোনো প্রকার হেতু উল্লেখমুক্ত নির্দেশ দ্বারা ওয়াজিব হওয়া বুঝাবে না।

৫. কোনো প্রকার হেতু উল্লেখমুক্ত নির্দেশ দ্বারা তাৎক্ষনিক হওয়া বাধ্য করে না।

৬. কোনো শব্দে ‘আলিফ লাম’ যুক্ত করা দ্বারা নির্দিষ্ট’ করা হলে সেটা দ্বারা অনির্দিষ্ট বুঝার সুযোগ থাকে না।

৬. কোনো ‘না’ বোধক ক্রিয়া দ্বারা সে বস্তুর অস্তিত্ব কিংবা তার যাবতীয় হুকুমই না হয়ে যায় না।

৭. কোনো নস বা ভাষ্যের চাহিদাকে সাধারণ করে দেওয়া যাবে না, সুতরাং মর্মার্থ ও অর্থের মধ্যে সাধারণত্ব আনা যাবে না।

ইত্যাদি অন্যান্য মূলনীতিসমূহ, যাতে বিশদ আলোচনা ও মতামতের অবকাশ রয়েছে [অর্থাৎ এ সকল উসূল বা মূলনীতি হয়ত, সে মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমামের কাছে অলঙ্ঘনীয় মূলনীতি। যা তিনি বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসের আলোকে নির্ধারণ করেছেন। অথচ অন্য মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমামের নিকট এগুলোর কোনো কোনোটি ধর্তব্য নয়, অথবা ব্যতিক্রম হতে পারে বলে স্বীকৃত। সুতরাং কোনো কোনো মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমাম কোনো হাদীসের উপর আমল করার সময় হয়ত এসব মূলনীতির বিপরীত দেখতে পেয়ে সেটার উপর আমল করেন নি। অথচ অন্য ইমামের নিকট হাদীস বিশুদ্ধ হওয়ায় সেটা নিজেই একটি মূলনীতি বিবেচিত হওয়ায় সেটার উপর তিনি আমল করেছেন। আর এভাবেই মতপ্রার্থক্যের সূত্রপাত ঘটে। সুতরাং কেউই রাসূলের হাদীসকে আমল না করার ব্যাপারে মত দেন নি; বরং ইজতেহাদগত কারণেই তাদের মধ্যে মত প্রার্থক্য ঘটেছে। [সম্পাদক]]।

বস্ততঃ কোনো হাদীসের ওপর আমল না করার জন্য উক্ত কারণটি এতই ব্যাপক যে, “উসূল-ই-ফিকহ”-এর বিরোধপূর্ণ মাসআলাগুলোর প্রায় অর্ধেকই এর অন্তর্ভুক্ত। যদিও শুধু উছুল বা কায়দা বিরোধপূর্ণ ‘দালালাত তথা চাহিদার সবগুলিকে শামিল করে না।

এ ছাড়াও উক্ত কারণটির মধ্যে কোনো একটি অর্থ ভাষ্যে বর্ণিত বাক্যের চাহিদা (‘দালালাত’) এর শ্রেণীভুক্ত হবে কি না, এটা নির্ধারণ করাও এ কারণটির অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয়। যেমন কোনো ইমাম বিশেষ কোনো হাদীসের ওপর এ জন্য আমল করেন না যে, এর মধ্যস্থিত উদ্দিষ্ট শব্দটি মুজমাল, যার অর্থ ‘মুশতারাক’ বা দ্ব্যর্থবোধক, সেখানে এমন কোনো প্রমাণও নেই যা এর একটি অর্থকে নির্ধারণ করে দিবে। (সুতরাং তিনি সেটা নির্ধারণ না করা জনিত কারণে সেটার ওপর আমল করেন নি) ইত্যাদি। (আরও এ জাতীয় শাখা কারণগুলোও এ মৌলিক সপ্তম কারণের অন্তর্ভুক্ত।)

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন