hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৪৩
প্রথম জবাব:
মতপার্থক্য রয়েছে এমন কোনো বস্তুর হারাম হওয়ার বিষয়টি দু’ অবস্থা থেকে মুক্ত নয়:

ক. মতপার্থক্য রয়েছে এমন বিষয়টি হারাম বলে সাব্যস্ত হবে,

খ. অথবা বিষয়টি হারাম বলে সাব্যস্ত হবে না।

যদি মতপার্থক্য রয়েছে এমন কোনো স্থানেই হারাম সাব্যস্ত না হয়, তাহলে এ কথা অনুসারে কোনো বস্তু কেবল তখনই হারাম হতে পারে, যখন সেটা হারাম হওয়ার ওপর সবাই ঐকমত্য পোষণ করে। সে হিসেবে, যে সকল বিষয় হারাম হওয়ার ব্যাপারে মতপার্থক্য পাওয়া যাবে, সেটা হালাল বিবেচিত হবে।

অথচ এ কথাটি উম্মতের সর্বসম্মত মত (ইজমা‘) এর বিরোধী কথা। দীনে ইসলামে তা নিশ্চিতভাবে বাতিল বলে সবার জানা বিষয়।

কিন্তু যদি অন্তত একটি মতানৈক্যের স্থানে বস্তুটি হারাম বলে সাব্যস্ত হয়, তাহলে মুজতাহিদদের মধ্য থেকে এ হারাম কাজটি যিনি হালাল মনে করেন, তাকে হয় হারাম কাজ করার ও তা হালাল মনে করার নিন্দা ও শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে অথবা হতে হবে না।

এক্ষেত্রে যদি বলা হয় যে, তাকে সে শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে অথবা যদি বলা হয় যে, সম্মুখীন হতে হবে না, তবে সবার ঐক্যমতে অনুরূপই বলা হবে শাস্তির ধমকিসম্বলিত হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হারামের ক্ষেত্রে। (সে অনুসারে) একই সিদ্ধান্ত দিতে হবে দ্বন্দ্বযুক্ত ও মতানৈক্যপূর্ণ বিষয়ে শাস্তির ধমকিসম্বলিত বর্ণনার ব্যাপারে, যেমনটি পূর্বে বিশ্লেষণ করেছি।

বরং শাস্তির ধমকি তো এসেছে সে ব্যক্তির জন্য যে (কোনো প্রকার হারামকে হালাল জ্ঞান না করে) এ কাজটি করবে। কিন্তু যে হারাম কাজকে হালাল বলে বিশ্বাস করবে, তার শাস্তি তার থেকেও বড় (হওয়ার কথা,) যে হারাম কাজটি হালাল মনে না করে করবে।

সুতরাং যখন মতপার্থক্যপূর্ণ স্থানেও হারাম সাব্যস্ত হওয়া সম্ভব, আর যে মুজতাহিদ ব্যক্তি এ হারামকে হালাল মনে করে কাজটি করবে, ওযর থাকার কারণে তার ওপর শাস্তি আপতিত হওয়ার বিষয়টি আসছে না, সেহেতু যে ব্যক্তি এ কাজটি করেছে, (কিন্তু হারামকে হালাল বলে বিশ্বাস করে নি) তার ওপর শাস্তি আপতিত হওয়ার বিষয়টি না আসা আরও বেশি উপযু্ক্ত কথা। যেমনিভাবে মুজতাহিদ ব্যক্তি হারামকে হালাল মনে করার কারণে সেই হারামকে হালাল করার বিধান যেমন নিন্দা, শাস্তি ইত্যাদির আওতাভুক্ত হবে না, তেমনিভাবে যে এ কাজটি করবে সেও শাস্তির হুমকি-ধমকির সম্মুখীন না হওয়ার কথা। কারণ, বস্তুতঃ শাস্তির হুমকি-ধমকি তো নিন্দা ও শাস্তিরই পর্যায়ভুক্ত বিষয়। সুতরাং এর কিছু পর্যায়ের যে উত্তর দেওয়া হবে, বাকী পর্যায়ের জন্যও সেটা উত্তর হিসেবে বিবেচিত হবে।

আর নিন্দার পরিণাম কম বা বেশি হওয়া কিংবা শাস্তির পরিমাণ কঠোর কিংবা হালকা হওয়া দ্বারা এখানে পার্থক্য করার বিষয়টি আসবে না, কারণ, এ স্থানে নিন্দা ও শাস্তি বেশি হওয়া যেমন দোষণীয় তেমনি অল্প হওয়াও সম পরিমাণ দোষণীয়। কারণ মুজতাহিদ ব্যক্তি এর কারণে অল্প কিংবা বেশি সামান্য পরিমাণও নিন্দা বা শাস্তির সম্মুখীন হচ্ছে না, বরং তার বিপরীতে তার জন্য রয়েছে সাওয়াব ও পূণ্য।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন