hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

২৭
আলিমগণের জন্য তাদের মতের সপক্ষে দলীল থাকলেও আমাদের জন্য করণীয়:
কিন্তু আমরা যদিও এটা (কোনো আলিমের কাছে হাদীসের ওপর আমল না করার পক্ষে এমন কোনো যৌক্তিক প্রমাণ থাকা সম্ভব যা আমাদের কাছে পৌঁছে নি, আমরা যদিও এটাকে) জায়েয মনে করি, তবুও আমাদের জন্য, সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, আর যার সপক্ষে আলিম সমাজের একদল মত পোষণ করেছেন এমন কোনো প্রমাণ ত্যাগ করে, এর বিপরীত মত পোষণকারী আলিমের মত গ্রহণ করা জায়েয নয়। এমন সম্ভাবনায় যে হয়ত সে আলিমের কাছে এমন কোনো প্রমাণ রয়েছে যার ভিত্তিতে তিনি হাদীসের সপক্ষের প্রমাণের ওপর আমল করেন নি। যদিও তিনি অন্যান্য আলিমের চেয়েও বড় আলিম হোক না কেন।

কারণ, শরী‘আতের দলীল-প্রমাণাদিতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনার চেয়ে আলিমগণের মতামতে ভুল হওয়ার অবকাশ বেশি।

কেননা শরী‘আতের দলীলসমূহ আল্লাহর সকল বান্দার জন্য আল্লাহর প্রমাণরূপে প্রতিষ্ঠিত। আলিমের মত সেরূপ নয়।

আর শরী‘আতের দলীল অন্য দলীলের সাথে সংঘাতপূর্ণ না হলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আলিমের মত সেরূপ নয়।

যদি এই (অর্থাৎ যে মত দলীল-ভিত্তিক ও যার সপক্ষে সহীহ হাদীস রয়েছে এবং যার পক্ষে আলিমগণের একদল মত দিয়েছেন, সে মতের বিপরীতে এমন কোনো আলিমের মত গ্রহণ করা, যার মতটি হাদীসের বিপরীত, যার মতের সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেওয়া হয় নি, শুধু এটা বলা হয়েছে যে, হয়ত উক্ত ইমামের কাছে এ ব্যাপারে কোনো দলীল-প্রমাণাদি থেকে থাকবে, যদি এই) নীতির ওপর আমল করা বৈধ হতো, তবে আমাদের সামনে অনুরূপ কোনো দলীলই অবশিষ্ট থাকবে না, যে দলীলের বিপরীতে এ ধরণের কিছু বলা সম্ভব হবে [অর্থাৎ তখন অবস্থা এমন দাঁড়াবে যে, যখনই কোনো সহীহ হাদীসভিত্তিক মতের বিপরীতে দলীল-প্রমাণবিহীন মত সম্পর্কে বলা হবে যে, আপনার মতের সপক্ষে দলীল দিন, তখনই হয়ত বলবে যে, আমার ইমামের কাছে এমন কোনো দলীল আছে যা আমাদের কাছে পৌঁছায় নি। এভাবে বললে তো আর দলীল-প্রমাণাদি পেশ করার আবশ্যকতা থাকে না, আর তখন যে যা ইচ্ছে তা বলতে পারবে। সুতরাং এ ধরণের বিষয় ইমাম ও তার অজ্ঞ অনুসারীদের জন্য ওযর হলেও সব সময়ের জন্য ওযর বিবেচিত হবে না। [সম্পাদক]]।

কিন্তু উদ্দেশ্য হলো, এটা বলা যে, হয়ত সে মুজতাহিদ ব্যক্তি বা ইমামের জন্য হাদীসটির ওপর আমল পরিত্যাগ করার বিষয়টি ওযর হিসেবে গণ্য হবে, আর তাঁর পরিত্যাগের কারণে আমাদের জন্যও সেটার ওপর আমল পরিত্যাগ করা ওযর হিসেবে গণ্য হবে [কিন্তু আমল ত্যাগ করার ওযর থাকা ঐ সময় পর্যন্তই গ্রহণযোগ্য, যখন আমাদের কাছে সেই ইমামের দলীল-প্রমাণাদি –তা স্বয়ং শুদ্ধ হোক বা না হোক – সেটা পেশ করা হবে। কিন্তু যখনই বুঝা যাবে যে, সে ইমাম সহীহ হাদীসভিত্তিক প্রমাণের বিপরীতে এমন কোনো দলীল-প্রমাণাদি পেশ করেন নি, তখন শুধুমাত্র, হয়ত তাঁর কাছে এমন কোনো দলীল থেকে থাকবে, যা আমাদের কাছে পৌঁছে নি, এ সম্ভাবনার ভিত্তিতে হাদীসভিত্তিক মতকে পরিত্যাগ করা যাবে না। যদিও ইমামের জন্য সে মতে থাকা জায়েয হবে, আর তার অনুসারীদের জন্যও দলীল স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত সেটার ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা বৈধ। [সম্পাদক]]।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿ تِلۡكَ أُمَّةٞ قَدۡ خَلَتۡۖ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَلَكُم مَّا كَسَبۡتُمۡۖ وَلَا تُسۡ‍َٔلُونَ عَمَّا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٣٤ ﴾ [ البقرة : ١٣٤ ]

“তারা এক সম্প্রদায় যারা চলে গিয়েছে, তারা যা করেছে তার প্রতিদান তারা পাবে। এবং তোমরা যা করেছ তার প্রতিদান তোমরা পাবে। অতীতে লোকেরা যা করেছে, সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না”। [সূরা আল-বাকারা, আয়াত: ১৩৪]

অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ﴾ [ النساء : ٥٩ ]

“অতঃপর যদি তোমরা কোনো বিষয়ে বিবাদের সম্মুখীন হও, তবে তা ফায়সালার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কাছে সমর্পন কর, যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখ”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ৫৯]

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন