hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৫৬
প্রশ্নের জবাব
উল্লিখিত প্রশ্নের জবাবে বলা যেতে পারে যে,

(১) ঐ সব কাজের আমলকারীকে লা‘নত বা অভিশাপ দেওয়া যদি তোমাদের নিকট ইজতেহাদী মাসআলার অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে, তাহলে তো (ইজতিহাদী মাসআলার নিয়ম অনুসারে) দালিলিক ভাষ্যে বর্ণিত যাহের অর্থের দ্বারাই সেটার (লা‘নত করার) ওপর দলীল গ্রহণ করা জায়েয হয়ে যায়। কেননা তখন বিরোধপূর্ণ ক্ষেত্রের জন্য শাস্তির ধমকি আগত হাদীস নিরাপদ নয় (অর্থাৎ বিরোধপূর্ণ স্থানেও তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়)। আর হাদীসের চাহিদা বাস্তবায়ণ উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায়; সুতরাং ঐ হাদীসের ওপর আমল করা ওয়াজিব হয়ে পড়ে।

আর যদি সেটাকে ইজতিহাদী মাসায়েলে শামিল না করা হয়, তা হলে ঐ কাজের আমলকারীকে লা‘নত বা অভিশাপ দেওয়া অকাট্যভাবে হারাম সাব্যস্ত হয়ে যায়।

আর সন্দেহ নেই যে, যদি কোনো ব্যক্তি মুজতাহিদকে অকাট্যভাবে হারাম কোনো লা‘নত দেয়, সে ব্যক্তি অবশ্যই লা‘নতকারী সম্পর্কে বর্ণিত শাস্তির সম্মুখীন হবে, যদিও সে তাবিলপূর্বক কাজটি করে থাকে। তার উদাহরণ সে ব্যক্তির মত যে কোনো সালাফে সালেহীনকে লা‘নত দিল।

এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, (প্রশ্নকারীর) এ কথা অনুসারে (এক কথার) ‘দাওর’ বা পুনরাবৃত্তি বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়ায়। চাই তুমি বিরোধপূর্ণ কাজের আমলকারীর ওপর লা‘নত সুনিশ্চিতভাবে হারাম বল, বা সেখানে মতভেদ করার সুযোগ দাও। আর এই যে বিশ্বাসের কথা তুমি বললে তা উভয় ক্ষেত্রেই শাস্তি সম্পর্কিত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। আর বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্ট।

(২) প্রশ্নকারীকে আরও বলা যেতে পারে, উল্লিখিত বর্ণনা দ্বারা আমাদের উদ্দেশ্য এটা সাব্যস্ত করা নয় যে, বিরোধপূর্ণ ক্ষেত্রকে শাস্তির ধমকি আসা হাদীস শামিল করে; বরং আমাদের উদ্দেশ্য শুধু এটা জেনে নেওয়া যে, শাস্তি সম্পর্কিত হাদীসগুলো দ্বারা বিরোধপূর্ণ ক্ষেত্রে দলীল নেওয়া যাবে কি না? আর এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, (এসব শাস্তির ধমকিসম্পন্ন) হাদীস দ্বারা দু’টি হুকুম সাব্যস্ত হয়:

১. হাদীসে বর্ণিত কাজটি হারাম হওয়া।

২. হারামে লিপ্ত ব্যক্তি শাস্তির সম্মুখীন হওয়া।

আর তুমি যা উল্লেখ করেছ তা তো শুধু এটাকেই আলোচনা করেছে যে, উল্লিখিত হাদীস শাস্তির ধমকির ওপর প্রমাণবহ নয়।

আর এখানে উদ্দেশ্য হচ্ছে, হাদীস দ্বারা বস্তুটি যে হারাম সেটা প্রমাণ করার বর্ণনা দেওয়া। এখন তুমি (প্রশ্নকারী) যদি একথা মেনে নাও যে, অভিশাপকারী সম্পর্কিত শাস্তির হাদীসগুলো বিরোধপূর্ণ মাসআলাগুলোতে লা‘নত করাকে শামিল করে না, তাহলে তো বিরোধপূর্ণ লা‘নতের স্থানে কাজটি হারাম হওয়ার দলীলও অবশিষ্ট থাকে না। আর অত্র অধ্যায়ে আমাদের আলোচ্য বিষয়টি বিরোধপূর্ণ মাসায়েলের অভিশাপ সম্পর্কিত ছিল। যদি ঐ কাজ হারাম না হয়, তাহলে ওটাকে জায়েয ও হালাল বলতে হবে [অথচ কাজটিকে হালালও তো বলা যাচ্ছে না। [সম্পাদক]]।

(৩) অথবা প্রশ্নকারীকে এও বলা যেতে পারে যে, যখন (শাস্তির ধমকি এসেছে এমন কাজ সম্পাদনকারীকে) লা‘নত করার কাজটি হারাম বলে প্রমাণিত হয় নি, তখন ওটা হারাম হওয়ার আকীদা বা দৃঢ় বিশ্বাস রাখাও ঠিক নয়। আর সেটা জায়েয হওয়ার দাবীও প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে, সেটা হচ্ছে ঐ হাদীসগুলো, যাতে (শাস্তির ধমকি আগত কাজের) আমলকারীকে লা‘নত করা হচ্ছে, আর আলিমগণ তাকে লা‘নত করার ব্যাপারে মতভেদ করেছেন, সে হিসেবে তো ঐ অবস্থায় দলীল দ্বারা লা‘নত হারাম হওয়া সাব্যস্ত হয় না। সুতরাং যাতে অভিশাপ জায়েয হওয়া বুঝায়, ঐ সমস্ত দলীলের ওপর আমল অবশ্য করণীয়। বিশেষ করে, যখন বিপক্ষীয় কোনো দলীল পাওয়া যাবে না। আর এতে করে প্রশ্নটিই বাতিল প্রমাণিত হয়ে যায়।

তবে এতে করে বিষয়টি অন্য দিক থেকে প্রশ্নকারীর ওপরও বর্তায়; এই দ্বিতীয় ‘দাওর’ বা পুনরাবৃত্তির বিষয়টি এজন্যই প্রকাশ পাচ্ছে; কারণ সাধারণত যে সব হাদীসে লা‘নতকে হারাম করা হয়েছে, সেসব হাদীসেই শাস্তির ধমকি সম্বলিত।

এখন যদি বিরোধপূর্ণ মাসআলায় শাস্তি সম্পর্কিত হাদীস দ্বারা দলীল নেওয়া জায়েয না হয়, তবে বিরোধপূর্ণ মাসআলায় সেগুলো দ্বারা লা‘নত করাও জায়েয হয় না। যেমনটি পূর্বে গত হয়েছে।

আর যদি প্রশ্নকারী বলে যে, আমি লা‘নত হারাম হওয়া সম্পর্কে ইজমা’ (সম্মলিত রায়) দ্বারা দলীল দিতে পারি।

তবে তাকে উত্তরে বলা হবে ইজমা‘ এ কথার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, বিশিষ্ট কোনো ইমাম বা সালাফে সালেহীনকে লা‘নত দেওয়া হারাম।

তবে উল্লিখিত ব্যক্তিদের প্রতি লা‘নতের বিষয়টি তাতে যে মতভেদ রয়েছে তা ইতোপূর্বেই তুমি জানতে পেরেছ।

ইতোপূর্বে গত হয়েছে যে, যখন কোনো বিশেষ গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিদের লা‘নত করা হয়, তখন সেই লা‘নত ঐগুণে গুণাম্বিত সকল ব্যক্তির ওপর পতিত হওয়া আবশ্যক করে না। যতক্ষণ না সেখানে যাবতীয় শর্ত পাওয়া না যায় এবং প্রতিবন্ধকতাও দূর না হয়। অথচ এখানে ব্যাপারটি এরূপ নয়।

তাকে আরও বলা যায় যে, ইতোপূর্বে ঐ হাদীসগুলোকে শুধু মতৈক্যপূর্ণ মাসআলার ওপর নির্দিষ্ট করা নিষিদ্ধ করে যে সব দলীল পেশ করা হয়েছে সেগুলোও এখানে নিয়ে আসা যাবে (প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তর প্রদানের জন্য) যাতে করে সেগুলো এ প্রশ্নকে বাতিল করে দেয়। যেমনিভাবে পূর্বে বর্ণিত মূল প্রশ্নটিও বাতিল করা হয়েছিল।

এরূপ বর্ণনা দ্বারা দলীলকে অন্য দলীলের ভূমিকাসমূহের একটি ভূমিকা হিসেবে গ্রহণ করা নয়; যে বলা হবে, এ তো দীর্ঘ সূত্রিতার সাথে একটি দলীল মাত্র। (বরং এখানে প্রশ্নের উত্তরে দু’টি দলীল পেশ করা হলো)

কারণ, আমাদের উদ্দেশ্য এটা বর্ণনা করা যে, তারা যে সমস্যার কথা মনে করেছিল তা উভয় অবস্থাতেই সমভাবে আবশ্যক হয়ে পড়ে। সুতরাং সেটি আর সমস্যাই থাকছে না। এভাবে একই দলীল এটা প্রমাণ করছে যে, ১. (শাস্তির ভীতি প্রদর্শিত) হাদীসের ভাষ্যসমূহের মধ্যে মতভেদপূর্ণ স্থানগুলোও সে দলীল দ্বারা উদ্দেশ্য। ২. আর এ উদ্দেশ্য গ্রহণে কোনো সমস্যা নেই।

তাছাড়া এও কোনো অপছন্দনীয় কাজ নয় যে, যা কোনো মাসআলার একটি দলীল হবে, তা অন্য মাসআলার দলীলের ভূমিকা হবে। যদি এদের পরস্পর একে অন্যের সম্পূরক হয়।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন