hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

৫৯
নবীগণ ছাড়া অন্যান্যদের পক্ষ হতে সগীরা ও কবীরা গুনাহের সম্ভাবনা
কেননা নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম ব্যতীত অন্যান্যদের পক্ষ হতে সগীরা ও কবীরা গুনাহ হওয়া সম্ভব, যদিও ঐ ব্যক্তি সিদ্দীক (সত্যবাদী), শহীদ অথবা নেককারদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে।

কেননা পুর্বে বলা হয়েছে যে, তাওবা ইসতেগফার (গুনাহ হতে ক্ষমা প্রার্থনা করা) গুনাহ মোচনকারী নেক কাজ, গুনাহ খণ্ডনকারী, মুসিবত, গৃহীত সুপারিশ অথবা শুধু আল্লাহর ইচ্ছা ও রহমতে গুনাহর শাস্তি হতে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়।

সুতরাং আমরা যখন আল্লাহর বিভিন্ন আয়াত অনুসারে শাস্তির কথা বলব, যেমন আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

﴿إِنَّ ٱلَّذِينَ يَأۡكُلُونَ أَمۡوَٰلَ ٱلۡيَتَٰمَىٰ ظُلۡمًا إِنَّمَا يَأۡكُلُونَ فِي بُطُونِهِمۡ نَارٗاۖ وَسَيَصۡلَوۡنَ سَعِيرٗا ١٠﴾ [ النساء : ١٠ ]

“যারা ইয়াতীমের মাল অত্যাচারপূর্বক ভক্ষণ করে, তারা তাদের পেটে আগুন প্রবেশ করিয়েছে এবং অদূর ভবিষ্যতে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১০]

এবং আল্লাহ তা‘আলার বাণী,

﴿وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُۥ يُدۡخِلۡهُ نَارًا خَٰلِدٗا فِيهَا وَلَهُۥ عَذَابٞ مُّهِينٞ ١٤ ﴾ [ النساء : ١٤ ]

“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচারণ করে এবং প্রদত্ত সীমা লংঘন করে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। আর সেখানে সে চিরস্থায়ী হবে। এবং তাদের জন্য রয়েছে অত্যন্ত অপমানজনক শাস্তি”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১৪]

আল্লাহ তা‘আলার অন্য বাণী,

﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً عَن تَرَاضٖ مِّنكُمۡۚ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا ٢٩ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ عُدۡوَٰنٗا وَظُلۡمٗا فَسَوۡفَ نُصۡلِيهِ نَارٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا ٣٠ ﴾ [ النساء : ٢٩، ٣٠ ]

“তোমরা অসৎ উপায়ে পরস্পরে একে অন্যের সম্পদ ভক্ষণ করো না। তবে হ্যাঁ, উভয় পক্ষের মধ্যে সন্তুষ্টিমূলক ব্যবসা বাণিজ্য করতে পার। আর তোমরা অন্যদের অন্যায়ভাবে কতল করো না। আল্লাহ তোমাদের ওপর দয়াশীল। আর যে ব্যক্তি উল্লিখিত কাজগুলো অন্যায় ও বিরুদ্ধাচরণ পূর্বক করবে তাকে আমি শীঘ্রই জাহান্নামে প্রবেশ করাব। এটা আল্লাহর পক্ষে খুবই সহজ। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ২৯-৩০] এ রকম আরও বহু আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। এ আয়াতসমূহ অনুযায়ী আমরা যখন শাস্তির কথা বলব অথবা যখন আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী অনুসারে শাস্তির কথা বলব, যেমন হাদীসে এসেছে,

“শরাব পানকারী, মাতা পিতার সাথে নাফরমান ও অবাধ্য অথবা জমির সীমানা পরিবর্তনকারীর ওপর আল্লাহ তা‘আলার লা‘নত বা অভিশাপ” [কয়েকটি হাদীসের অংশ। দেখুন, মুসনাদে আহমদ, মুসলিম, নাসাঈ।]।

অথবা “চোরের ওপর আল্লাহর লা‘নত বা অভিশাপ” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম, তবে হাদীসের ভাষ্য এখানে সংক্ষেপ করা হয়েছে।]।

অথবা “সুদখোর, এর স্বাক্ষীদাতা ও এর লেখকের ওপর আল্লাহর অভিশাপ” [সহীহ মুসলিম।]।

অথবা “সদকায় টালবাহানাকারী ও সীমালংঘনকারীর ওপর আল্লাহর অভিশাপ” [মসনদে আহমদ।]।

অথবা “মদীনায় যে নতুন কিছু ঘটায় (বিদ‘আত করে), বা যে কোন বিদা‘আতী ব্যক্তিকে আশ্রয় দেয়, তার ওপর আল্লাহর, মালাইকা ও সকল লোকেরা লা‘নত বা অভিশাপ” [সহীহ মুসলিম।]।

অথবা, “যে ব্যক্তি অহংকারস্বরূপ তার ইজার (পায়জামা) গিরার নীচে ঝুলিয়ে রাখে, কিয়ামতের দিনে আল্লাহ তাদের দিকে তাকাবেন না” [আহমাদ, সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]।

অথবা “যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না” [সহীহ মুসলিম।]।

অথবা “যে ব্যক্তি আমাদেরকে ধোকা দেয়, সে আমাদের মধ্যে গণ্য নয়” [তিরমিযী।]।

অথবা “যে ব্যক্তি অপরকে পিতা বলে দাবী করে কিংবা অন্য মনিবের আনুগত্য দেখায়, তার জন্য জান্নাত হারাম” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]।

অথবা “যে ব্যক্তি মুসলিমদের মাল ভক্ষণ করার জন্য মিথ্যা শপথ করে, সে আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে, যখন তিনি রাগাম্বিত থাকবেন” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]।

অথবা “যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথ দ্বারা অন্য মুসলিমের সম্পদকে হালাল মনে করে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম সুনির্দিষ্ট করেছেন এবং তার ওপর জান্নাত হারাম করেছেন” [সহীহ মুসলিম।]।

অথবা “যে ব্যক্তি আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না” [সহীহ বুখারী ও মুসলিম।]।

অনুরূপ আরও হাদীস যেগুলোতে শাস্তির হুমকি-ধমকি এসেছে, সেগুলোতে কেউ যদি উল্লিখিত কোনো কাজ করে বসে, তাকে নির্দিষ্ট করে এটা বলা জায়েয নেই যে ঐ ব্যক্তি নির্দিষ্ট নিষিদ্ধ কাজ করার ফলে নির্দিষ্ট শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেননা তাওবা ও অন্যান্য শাস্তি মোছনকারী কিছু করে সে উক্ত গুনাহের শাস্তি থেকে ক্ষমা পেতে পারে।

অপর পক্ষে, আমাদের এটাও বলা জায়েয নেই যে, এ হাদীসগুলো ব্যাপকভাবে সকল মুসলিম ও সব উম্মতে মুহাম্মদীর ওপর লা‘নত আবশ্যক করে অথবা ছিদ্দিকীন (সত্যবাদীগণ) এবং সালেহীনদের (নেককারদের) ওপর লা‘নত অপরিহার্য করে দেয়। কেননা এটা বলা যায় যে, নেককার সিদ্দীক, যখন তার কাছ থেকে এ ধরণের কোনো কাজ প্রকাশ পাবে, তখন সেখানে অবশ্যই এমন কোনো প্রতিবন্ধক থাকবে যা শাস্তি পতিত হওয়ার কারণ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও সে শাস্তি আপতিত হতে বাধা হয়ে দাড়াবে।

কারণ, এসব কাজ যারা ইজতিহাদ বা তাকলিদের কারণে মুবাহ বা জায়েয মনে করে সম্পাদন করে থাকেন, তাদের ব্যাপারে মূল কথা এই যে, তারা হয়ত কতিপয় সিদ্দীকীন, যাদের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কারণে এ শাস্তি প্রযোজ্য হবে না; যেমনভাবে তাওবা, নেক কাজ ইত্যাদি তার জন্য শাস্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

জেনে রাখুন, (শাস্তির ধমকি আগত হাদীসের ব্যাপারে উপরে বর্ণিত পথ ও নীতিতে চলাই অবশ্য করণীয়।

উল্লিখিত পথ ছাড়া অন্যগুলো কু-পথ

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন