hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

রাফ‘উল মালাম সম্মানিত ঈমামগণের সমালোচনার জবাব

লেখকঃ শাইখুল ইসলাম আহমাদ ইবন আবদুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ

১৮
তৃতীয় কারণ: ইমামের ইজতিহাদ মোতাবেক হাদীসকে দুর্বল মনে করা…
ইমামের ইজতিহাদ মোতাবেক হাদীসকে দুর্বল মনে করা। যেখানে অন্য আলিমগণ সেটাকে দুর্বল আখ্যায়িত করেন না। এখানে অন্য কোনো পন্থায় সেটি এসেছে কি না সেদিকে দৃষ্টিপাত না দেওয়া সত্ত্বেও এবং এখানে সঠিক মতটি তার (দুর্বল ধারণাকারী মুজতাহিদের) হোক অথবা তার বিপক্ষীয় লোকের (যিনি দুর্বল বলেন নি তার) হোক অথবা উভয়ের কাছেই হোক; বিশেষ করে যারা মনে করে যে, সকল মুজতাহিদই সঠিক পথের উপর আছে; সর্বাবস্থায় একই বিধান। (অর্থাৎ হাদীসকে দুর্বল মনে করা হাদীসের ওপর আমল না করার একটি কারণ)।

এর কতগুলো কারণ রয়েছে

১. হাদীস বর্ণনাকারী মুহাদ্দিসকে তিনি (যিনি হাদীসের ওপর আমল করেন নি এমন ইমাম) দুর্বল বলে বিশ্বাস করেন, পক্ষান্তরে অন্য ইমামের মতে তিনি নির্ভরযোগ্য। আর বর্ণনাকারীদের পরিচয় লাভ সংক্রান্ত রিজাল শাস্ত্র একটি ব্যাপক বিদ্যা। (যেখানে মতভেদ ঘটেই থাকে, সুতরাং সেটা অনুসারে বর্ণনাকারীর ব্যাপারে দু’ ইমামের দু’টি মত থাকা অস্বাভাবাবিক নয়)।

কারণ, কখনও কখনও যে ইমাম হাদীসের বর্ণনাকারীকে দুর্বল মনে করেছেন, তার কথা সঠিক হয়ে যেতে পারে। কেননা তার জানা আছে যে, এ হাদীসের বর্ণনাকারী কোনো অভিযোগে অভিযুক্ত, আবার কখনও অন্য ইমাম হাদীস বর্ণনাকারীকে নির্ভরযোগ্য মনে করেন, তার কথাও সঠিক হতে পারে। কেননা যে কারণে তাকে দুর্বল বা দোষনীয় মনে করা হয়েছে, সেই কারণটি দোষণীয় নয় অথবা এ জাতীয় কিছুই দোষণীয় নয় অথবা সে বর্ণনাকারীর সে কারণটির পিছনে কোনো সুনির্দিষ্ট গ্রহণযোগ্য ওযর ছিল, (ফলে সে বর্ণনাকারীকে দুর্বল বলা চলবে না)। এটাও এক প্রশস্ত অধ্যায়। (যেখানে দৃষ্টিভঙ্গীগত পার্থক্য থাকতেই পারে।)

আর হাদীসের রিজাল শাস্ত্র তথা বর্ণনাকারীদের গ্রহণযোগ্যতা ও অগ্রহণযোগ্যতা সংক্রান্ত বিষয়ে এমন মতৈক্য ও মতভেদ রয়েছে। যেমন, অন্যান্য বিষয়েও আলিমদের মধ্যে তা রয়েছে।

২. (যিনি হাদীসের ওপর আমল করেন নি, তিনি উক্ত হাদীসের বর্ণনাকারী) মুহাদ্দিস শ্রুত হাদীস, বর্ণনাকারী হতে শুনেছেন বলে বিশ্বাস না করা, অথচ অন্যজন (যিনি হাদীসটির ওপর আমল করেছেন, তিনি) মনে করছেন যে মুহাদ্দিস এ হাদীস যার থেকে বর্ণনা করেছেন, তার কাছ থেকে শুনেছেন, আর তার এ দাবীর পিছনে বেশ কিছু জানা কারণ রয়েছে যা তাকে এটা বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছে। (অর্থাৎ হাদীসের বর্ণনাকারী মুহাদ্দিস হাদীসটি তার বর্ণনাকারী থেকে শুনেছেন বলে প্রমাণ হয়)।

৩. মুহাদ্দিসগণের দুই অবস্থা হয়ে থাকে: (ক) দৃঢ় অবস্থা ও (খ) নড়বড়ে অবস্থা। যেমন, বার্ধক্যজনিত কারণ ইত্যাদির জন্য জ্ঞান লোপ পাওয়া অথবা তার পুস্তক পুড়ে নষ্ট হওয়া। সুতরাং যা সে দৃঢ় ও সুস্থ অবস্থায় বর্ণনা করেছে, তা সহীহ (সঠিক) গ্রহণযোগ্য। আর যা অস্থির অবস্থায় বর্ণনা করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং বর্ণিত হাদীসটি কোন অবস্থায় বর্ণিত হয়েছে তা অজানা, কিন্তু অপর ইমাম সেই মুহাদ্দিস বর্ণনাকারীর দৃঢ় ও সুস্থ অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত হয়ে জানালেন যে, এ হাদীসটি তার দৃঢ় ও সুস্থ অবস্থায় বর্ণিত হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।

৪. বর্ণিত হাদীসটি মুহাদ্দিস ভুলে গিয়েছেন। তৎপর তিনি তা স্মরণ করতে পারেন নি। অথবা তিনি উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন বলে অস্বীকার করেন। সুতরাং কোনো ইমাম ঐ হাদীসের ওপর এজন্য আমল করেন নি, যেহেতু তার বর্ণনাকারী ঐ হাদীসের বর্ণনা অস্বীকার করেছেন, আর এটি তার নিকট এমন এক দোষ, যা এ হাদীসের ওপর আমল করতে বাধা প্রদান করে। পক্ষান্তরে অন্য ইমাম মনে করেন যে, এ ধরনের হাদীস দিয়ে দলীল গ্রহণ করা শুদ্ধ। আর এই মাসআলাটি একটি বিখ্যাত মাস‘আলা।

৫. হাদীসে আমল না করার কারণ এও হয়ে থাকে যে, বহু সংখ্যক হিজাযী মুহাদ্দিসের মতে ইরাকী ও শামীদের (সিরীয়) বর্ণিত হাদীস দলীল হিসাবে গ্রহণযোগ্য নয়, যতক্ষন পর্যন্ত ঐ হাদীসের মূল হিজাযে বিদ্যমান না থাকে। এমনকি তাদের কেউ বলেছেন, ইরাকবাসীদের বর্ণিত হাদীস “আহলে কিতাব” এর বর্ণিত হাদীসের সমপর্যায়ভুক্ত, তাতে বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস কোনোটাই করবে না।

আরও বর্ণিত আছে, কোনো মুহাদ্দিসকে প্রশ্ন করা হলো- সুফিয়ান মনসূর হতে, মনসূর ইবরাহীম থেকে, ইবরাহীম আলকামা থেকে, আলকামা আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ থেকে বর্ণিত সনদ গ্রহণযোগ্য কিনা? তদুত্তরে তিনি বলেন, হিজাযে তার আসল মওজুদ না থাকলে তা দলীল হতে পারে না। এর কারণ এই যে, তারা মনে করেন যে, হিজাযবাসীরা দৃঢ়ভাবে হাদীস সংরক্ষণ করেছেন এবং কোনো হাদীসেই তাদের সংরক্ষণ হতে পরিত্যক্ত হয় নি। পক্ষান্তরে, ইরাকবাসীদের হাদীসের মধ্যে অসংরক্ষণতা বা অস্থিরতা বিদ্যমান। সুতরাং এগুলো সম্পর্কে মৌনতা অবলম্বন করা উচিৎ। কোনো কোনো ইরাকবাসীর অভিমত হলো, সিরীয়দের বর্ণিত হাদীস দলীল হতে পারে না।

যদিও অধিকাংশ লোক এ কারণে হাদীসকে দুর্বল গণ্য না করার পক্ষেই মত দিয়েছেন। সুতরাং হাদীস হিজাযী, ইরাকী অথবা শামী কিংবা অন্য যে কোনো দেশীয় হোক না কেন, সনদ (Chain of Narration) ঠিক হলে ঐ হাদীস দলীল হবে।

আবু দাউদ আস-সিজিসতানী রহ. বিভিন্ন অঞ্চলের লোকদের বর্ণিত ভিন্ন ভিন্ন একান্ত যে সকল সুন্নাত রয়েছে (যেগুলো অন্য অঞ্চলের লোকেরা বর্ণনা করে নি) সেগুলোকে গ্রন্থনা করে একটি কিতাব লিখেছেন। উক্ত কিতাবে তিনি প্রতি অঞ্চল যেমন, মদিনা, মক্কা, তায়েফ, দামেস্ক, হিমস, কুফা, বসরা ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকার লোকদের এমন কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন যা অন্য অঞ্চলের লোকদের কাছে সনদসহ বর্ণিত হয় নি। হাদীসের দুর্বল হওয়ার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে আমল না করার এছাড়াও আরও কতগুলো কারণ রয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন