hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

২৮
ইমাম ইবনে কাসির (রহ) ও সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াত
ইমাম ইবনে কাসির (রহ) আয়াতটির তাফসিরে লিখেছেন:

لَما ذكر تعالى أن القرآن بصائر للناس وهدى ورحمة، أمر تعالى بالإنصات عند تلاوته إعظامًا له واحترامًا، لا كما كان يعتمده كفار قريش الْمشركون في قولِهم : لا تَسْمَعُوا لِهَذَا الْقُرْآنِ وَالْغَوْا فِيهِ لَعَلَّكُمْ تَغْلِبُونَ [ فصلت : ٢٦ ] ولكن يتأكد ذلك في الصلاة الْمكتوبة إذا جهر الإمام بالقراءة كما ورد الْحديث الذي رواه مسلم فِي صحيحه، من حديث أبِي موسى الأشعري رضي الله عنه قال : قال رسول الله ﷺ: " إنّما جعل الإمام لِيُؤْتَمَّ به، فإذا كبر فكبّروا، وإذا قرأ فأنصتوا "

‘‘যখন আল্লাহ জানালেন, নিশ্চয় কুরআন মানুষের জন্য উপদেশ, হিদায়েত ও রহমত। তখন আল্লাহ তাআলা-ও নির্দেশ দিলেন যে, কুরআন তিলাওয়াতের সময় এর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার জন্য আনসাত (চুপ) কর।। এরকম হওয়া উচিৎ নয় যেভাবে কুফফারে কুরাইশগণ বলত: ‘‘এই কুরআন শুনবে না এবং পাঠের সময় গোলযোগ সৃষ্টি কর (তাহলে তোমরা বিজয়ী হবে)।’’ [. সূরা হামীম আস-সাজদাহ: ২৬ আয়াত। এটি মুশরিকদের বৈশিষ্ট্য। পক্ষান্তরে মু’মিনদের প্রতি নির্দেশ হল: ‘‘যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন মনোযোগের সাথে শোনো এবং চুপ থাকো। যাতে তোমাদের প্রতি রহমত বর্ষিত হয়।’’ (সূরা আ‘রাফ: ২০৪) সুতরাং মুসলিমদের দায়িত্ব হবে কাফেরদের গোলযোগ করার বিপরীত তথা চুপ থাকা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সহীহ হাদীসের অনুসারী দাবিদার বন্ধুরা কাফেরদের আমলটির ন্যায় চুপচাপ থাকতে নারাজ। যা ইমাম কর্তৃক মুক্তাদিকে ক্বিরাআত শোনানোর দাবিকে অর্থহীন করে।] বরং এই তাক্বিদ বা জোর দেয়া হয়েছে যখন ফরয সালাতে ইমাম জাহরি ক্বিরাআত তিলাওয়াত করেন। যেভাবে ইমাম মুসলিম তাঁর ‘সহীহ মুসলিমে’ আবূ মূসা আশ‘আরি (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন, রসূলূল্লাহ (স) বলেছেন: ‘‘অনুসরণের জন্যেই ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং যখন তিনি তাকবীর বলেন তখন তাকবীর বল। আর যখন তিনি ক্বিরাআত পড়েন তখন চুপ থাকো।’’ [তাফসিরে ইবনে কাসির, আলোচ্য আয়াতের তাফসির দ্র:] [. বাংলাদেশে তাফসিরে ইবনে কাসিরের ‘সংশোধিত সংস্করণে’ ইমাম ইবনে কাসিরের (রহ) উক্ত বক্তব্য ও সহীহ মুসলিমের হাদীসটি বাদ দিয়ে নিম্নোক্ত যঈফ বর্ণনাকে রেখে দেয়া হয়েছে:ইবনে মাসউদ (রা) বলেন: আমরা সালাতের মধ্যে একে অপরকে سلام عليك বলতাম। এ জন্যে এ আয়াত অবর্তীণ হয়। [তাফসিরে ইবনে কাসির, তথ্য ও উপাত্ত সংযোজন: ইউসুফ ইয়াসিন, ৮-১১ খণ্ড-র পৃ. ৫০২]বর্ণনাটি সম্পর্কে হাফেয ইবনে হাজার (রহ) বলেন: এর সনদ মুনক্বাতে। [ফতহুল বারী ৬/৩৬৪]মুহাক্কিক্ব আহমাদ মুহাম্মাদ শাকির (রহ) লিখেছেন: এর সনদ মুনক্বাতে‘। [উমদাতুত তাফসির ২/৯৩]সহীহ হাদীস ছেড়ে যঈফ হাদীসের প্রতি এ ঝোঁক-প্রবণতা কেন?। আল্লাহ এহেন ষড়যন্ত্র থেকে আমাদেরকে হেফাযত করুন, আমিন।]

বুঝা যাচ্ছে, আয়াতটি ফরয সালাতের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রযোজ্য। যা নবী (স), সাহাবী (রা) ও ইমামগণ থেকে প্রমাণিত। যা পুস্তিকাটির লেখকের দাবির বিরোধী।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন