hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৪১
ইমামের সানার স্থানে মুক্তাদির সূরা ফাতিহা পাঠ
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ২৫: (পৃ. ১৪)

  عن ابي هريرة قال : اذا قرأ الإمام بأم القرأن فاقرأ بها واسبقه فإنه اذا قال ولا الضالين قالت الملائكة امين من وافق قمن أن يستجاب لهم

(৭) আবু হুরায়রা (রা) বলেন, ইমাম যখন সূরা ফাতিহা পাঠ করে তখন তুমিও তার সঙ্গে সঙ্গে পাঠ কর এবং তা আগে শেষ কর। কেননা ইমাম যখন “ওয়ালাদ দ্বলীন" বলে তখন ফিরিশতারা আমীন বলে। যার আমীন বলা তাঁদের আমীনের সাথে মিলে যাবে তা কবুল হওয়ার জন্য সহায়ক হবে। (বুখারী জুযউল কিরআত হা/২৩৭) 

পর্যালোচনা - ২৫: লেখকের তরজমাটি গ্রহণ করলে হাদীসটির দাবি হয়, ইমামের সূরা ফাতিহা পাঠের সময় মুক্তাদির সূরা ফাতিহা পাঠ করবে, কিন্তু শেষ করবে ইমামের পূর্বে। যা আবু হুরায়রা (রা)-এর বর্ণিত মারফু‘ হাদীস তথা নবী (স)-এর নির্দেশের বিরোধী হয়। সেখানে নবী (স) বলেছেন:

إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا وَإِذَا قَالَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ فَقُولُوا آمِينَ وَإِذَا رَكَعَ فَارْكَعُوا

‘‘অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং যখন তিনি তাকবীর বলেন, তখন তোমরা তাকবীর বলবে। আর যখন তিনি ক্বিরাআত পাঠ করবেন তখন তোমরা চুপ থাকবে। আর যখন তিনি বলবেন: غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ তখন তোমরা বলবে: ‘‘আমীন’’। আর যখন তিনি রুকু করেন, তখন তোমরা রুকু করবে।.....’’ [শায়খ আলবানী হাদীসটিকে ‘হাসান সহীহ’ বলেছেন (তাহক্বীক্ব ইবনে মাজাহ হা/৮৪৬); শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) বলেছেন: হাদীসটি সহীহ। হাদীসটি আবু দাউদ (হা/৬০৪) বর্ণনা করেছেন। যা আবু খালিদের হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। ইমাম মুসলিম (রহ) এটিকে সহীহ বলেছেন। এই হাদীসটি দ্বারা ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পাঠ বর্জনের দলিল হয় না। (উর্দু তাহক্বীক্বকৃত আবু দাউদ হা/৮৪৬)]

হাদীসটি সুস্পষ্ট করে, সূরা ফাতিহা পাঠের সময় মুক্তাদিকে চুপ থাকতে হবে। আবূ হুরায়রা (রা) আরও বলেন:

اقرؤا اذا سكتوا واسكتوا اذا اقرؤا ـ

‘‘যখন ইমাম চুপ থাকেন তখন তোমরা পড়ো, আর যখন ইমাম ক্বিরাআত করেন তখন তোমরা চুপ থাকো।’’ [বায়হাক্বীর কিতাবুল ক্বিরাআত পৃ. ৬৬, এর সনদ হাসান]

প্রথম হাদীসটির মর্মে আবূ মূসা (রা) থেকে বর্ণনাটি নিম্নরূপ:

রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন,

إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَلْيَؤُمَّكُمْ أَحَدُكُمْ وَإِذَا قَرَأَ الْإِمَامُ فَأَنْصِتُوا

‘‘যখন তোমরা সালাতের জন্য দাঁড়াও তখন তোমাদের একজন ইমাম হবে। যখন সে ক্বিরাআত করে তখন চুপ থাকো।’’ [মুসনাদে আহমাদ, মুহাক্কেক্ব শুআয়েব আরনাউত বলেন: এর সনদটি সহীহ, সবাই সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিমের বর্ণনাকারী কেবল ‘আলী বিন ‘আব্দুল্লাহ ছাড়া। তিনিও সহীহ বুখারীর বর্ণনাকারী। (তাহক্বীক্বকৃত মুসনাদে আহমাদ ৪/৪১০/১৯৭৩৮), শায়খ আলবানী (রহ) হাদীসটির সনদ সহীহ বলেছেন। (আসলি সিফাতে সালাত ১/৩৫২)]

সহীহ মুসলিমে কাতাদার সনদে বর্ণিত হয়েছে: وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ‘‘আর যখন ক্বিরাআত করে তখন চুপ থাকো।’’ [সহীহ মুসলিম - ঐ, মিশকাত ২/৭৬৯]

বুঝা যাচ্ছে, একাধিক সাহাবী নবী (স) থেকে ইমামের সাথে সাথে সূরা ফাতিহা ও ক্বিরাআত পড়া নিষেধ হওয়ার হাদীস বর্ণনা করেছেন। সুতরাং আমাদের নিকট আবু হুরায়রা (রা)-এর আলোচ্য হাদীসটির তরজমা হবে:

إذا قرأ الامام بام القران فاقرأ بِها واسبقه ـ

‘‘যখন ইমাম সূরা ফাতিহা পাঠ করেন তখন তোমরাও সূরা ফাতিহা পাঠ করো আর তার পূর্বে পাঠ কর।’’ [বুখারীর জুযউল ক্বিরআত হা/২৮৩]

শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ তাঁর ‘নাসরুল বারী তাহক্বীক্বে জুযউল ক্বিরআতের’ ২৮১ নং হাদীসে বলেছেন: ২৮৩ নং হাদীসটি সানার সময় সূরা ফাতিহা পড়া সম্পর্কিত। [দ্র: তাহক্বীক্ব জুযউল ক্বিরাআত (বাংলা) ২৮১ নং হাদীসের টীকা, টীকা নং ৪৫৭]

ইমাম আহমাদের ছাত্র ইমাম আবূ দাউদ (রহ) লিখেছেন:

سَمعت احْمد سئل عن القران خلف الامام قال اقرأ فيها ولا تَجهر قيل له ففيها الْجهر قال لا يقرأ الا ان تبتدره فتقرأ بفاتِحة الكتاب قبل ان يقرأ

‘‘আমি ইমাম আহমাদ (রহ) থেকে শুনেছি, তাঁকে ইমামের পিছনে কুরআন পাঠ করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি (রহ) জবাবে বলেন: ‘‘পড়ো, কিন্তু উঁচু আওয়াজে পড়ো না।’’ তাঁকে ইমামের জাহরি সালাতে ক্বিরাআত করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন: ‘‘ পড়ো না, তবে ইমামের পূর্বে সূরা ফাতিহা পড়া ছাড়া।’’ [আল-মাসায়েল, পৃ. ৩১]

সানার সময় সূরা ফাতিহা পাঠ করার সমর্থনে আবু হুরায়রা (রা)-এর অপর একটি হাদীস হলো:

للإمام سكتتان ، فاغتنموا القراءة فيهما بفاتحة الكتاب

‘‘ইমামের জন্য দু’টি সাকতা আছে। ফাতিহাতুল কিতাবকে দু’সাকতার মধ্যে তোমরা গণিমত মনে করো।’’ [ইমাম বুখারীর জুযউল ক্বিরাআত হা/২৭৫, মুহাদ্দিস যুবায়েরআলী যাঈ লিখেছেন, হাদীসটির সনদ হাসান (নাসরুল বারী পৃ. ২৯২)]

আর সামুরাহ (রা)-এর হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নবী (স) তাকবীরের পরে ও রুকুর পূর্বে সাকতা করতেন। হাদীসগুলো পরস্পরের ব্যাখ্যা।

এই অর্থ গ্রহণ করলে আবু হুরায়রা (রা)-এর নিজের বক্তব্যটি গ্রহণযোগ্য হয়। অন্যথা আবু হুরায়রা (রা) থেকে নবী (স)-এর বক্তব্যটি দ্বারা লেখক যে অর্থে হাদীসটি নিয়েছেন, তা মানসুখ বা শায হয়। যেভাবে ইমামের ক্বিরাআত না শুনে মুক্তাদির সূরা ফাতিহা পাঠ সম্পর্কে আলবানী ও ইবনে তাইমিয়া (রহ) দাবি করেছেন।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন