মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান
লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম
৩৪
সাকতার হাদীসের প্রয়োগ
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/97/34
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ১৪: (পৃ. ৯)
সালাতে ইমামের সাকতা বা নীরবতা পালন ও সে সময়ে করণীয়
সালাতে সাকতা বা নীরবতা পালন সম্পর্কিত যে সকল বর্ণনা পাওয়া যায় তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
بين التكبير وبين القراءة إشگاه حدثنا أبو هريرة قال كان رسول الله يشك قال أخيه قال هنية فقلت بأبي وأمي يا رسول الله إشكاك بين التكبير والقراءة ما تقول قال أقول اللهم باعد بيني وبين خطاياي كما باعدت بين المشرق والمغرب اللهم تقي من الخطايا كما ينقى الثوب الأبيض من الدنس اللهم اغسل خطاياي بالماء والثلج والبرد
(১) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকবীরে তাহরীমার পর কিরাআত শুরু করার পূর্বে কিছু সময় চুপ থাকতেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার পিতা-মাতা আপনার প্রতি কুরবান হােন! আপনি তাকবীর ও কিরাআতের মধ্যবর্তী সময়ে চুপ থাকেন তাতে কী বলেন? উত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন; আমি বলি “আল্লাহুম্মা বায়েদ বাইনী,..। (বুখারী হা/৭০৮ ও মুসলিম হা/১২৩০)।
পর্যালোচনা - ১৪: এই হাদীসটিতে মুক্তাদির করণীয় বিষয় সম্পর্কে কিছু বর্ণিত হয়নি। বরং মুনফারেদ (একাকী সালাত আদায়কারী) ও ইমামের করণীয় বিষয় আলোচিত হয়েছে। আবূ হুরায়রা (রা)-এর অপর বর্ণনাতে ঐ সাকতাতে মুক্তাদির করণীয় বিষয় সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে নিঃশব্দে:
للامام سكتتان فاغتنموا القراءة فيهما بفاتِحة الكتاب
‘‘ইমামের দু’টি সাকতা রয়েছে, এতে সূরা ফাতিহা পড়ার সুযোগ গ্রহণ (গণীমত মনে) করো।’’ [জুঝউল ক্বিরাআত, পৃ. ৬২। আলবানী (রহ) আবূ হুরায়রা (রা) পর্যন্ত সনদটিকে হাসান বলেছেন (আয-যঈফাহ ২য় খণ্ড হা/৫৪৬)।]
এই হাদীসটিতে সাকতাতে মুক্তাদির করণীয় বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। তা ছাড়া সহীহ ইবনে হিব্বানে প্রথম সাকতা ছাড়া অপর একটি সাকতা মুস্তাহাব হওয়ার মর্মে অনুচ্ছেদ রয়েছে, যা নিম্নরূপ:
‘‘সামুরাহ (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রসূলুল্লাহ (স) থেকে দু’টি সাকতা হেফয করেছি। এটি ইমরান ইবনে হুসাইনের নিকট উল্লেখ করা হলে, তিনি বলেন: আমি একটি সাকতা হেফয করেছি। তখন আমরা মদীনাতে উবায় ইবনে কা‘বের কাছে লিখলাম। তিনি (রা. জবাবে) লিখলেন: সামুরাহ হেফয করেছে। সাঈদ বলেন। আমরা ক্বাতাদাকে বললাম, সাকতা দু’টি কোথায়। তিনি (রহ) বললেন: যখন সালাতে প্রবেশ করে, আর যখন ক্বিরাআত থেকে ফারেগ হয়।’’ [. সহীহ ইবনে হিব্বান - ذِكْرُ مَا يُسْتَحَبُّ لِلْمَرْءِ أَنْ يَسْكُتَ سَكْتَةً أُخْرَى عِنْدَ فَرَاغِهِ مِنْ قِرَاءَةِ فَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‘‘বিবরণ: ব্যক্তির জন্য মুস্তাহাব অপর একটি সাকতা করা সেটা হলো সূরা ফাতিহা থেকে ফারেগ হওয়ার পর’’। ইবনে হিব্বান ‘সূরা ফাতিহা পাঠের পরে’ অর্থ নিয়েছেন। অথচ হাদীস বর্ণনা করেছেন ‘ক্বিরাআতের শেষে।’ আর অধিকাংশ রাবির বর্ণনা থেকে এটাই প্রসিদ্ধ। এ পর্যায়ে একজন সচেতন মুসলিমের দায়িত্ব হলো, সহীহ হাদীসের মতনের উপর আমল করা।]
বুঝা যাচ্ছে, অনেক সাহাবী (রা) একটি সাকতার কথা জানতেন। কিন্তু অপর সাকতাটিও প্রমাণিত। আর এ প্রশ্নোত্তরের সমাধানটি আসে মদীনাতে অবস্থানরত সাহাবী উবায় ইবনে কা‘ব (রা)-এর সাক্ষ্য থেকে। ফালিল্লাহিল হামদ।
ইমাম বায়হাক্বী (রহ) লিখেছেন:
وقال البخاري : وقال أبو هريرة : كان النبي ﷺ يسكت بين التكبير والقراءة قال الإمام أحمد رحِمه الله وفي حديث سَمرة : كان يسكت قبل القراءة وبعدها قال البخاري : فإذا قرأ في سكتة الإمام لَم يكن مُخالفا لِحديث أبي خالد لأنه يقرأ في سكتات الإمام ، فإذا قرأ أنصت
‘‘ইমাম বুখারী (রহ) বলেন: আবূ হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেছেন, নবী (স) তাকবীর ও ক্বিরাআতের মাঝে সাকতা করতেন। ইমাম আহমাদ (রহ) সামুরার (রা) হাদীসটি সম্পর্কে বলেন: নবী (স) ক্বিরাআতের পূর্বে ও পরে সাকতা করতেন। ইমাম বুখারী (রহ) বলেন: যখন ইমামের সাকতাতে পড়া হবে তখন তা আবূ খালিদের হাদীসের বিরোধী হয় না। কেননা তিনি ইমামের দু’টি সাকতাতে পড়তেন, আর যখন ইমাম পড়তেন তখন চুপ ( أنصت ) থাকতেন।’’ [কিতাবুল ক্বিরাআত পৃ. ৯১]
বুঝা যাচ্ছে মুহাদ্দিসণের নিকট সাকতার হাদীগুলোর দাবি হলো, সাকতা হবে দু’টি এবং তাতে সূরা ফাতিহা পাঠ হাদীসগুলোর বিরোধ নিরসণ করে।
সম্মানিত পাঠক! আমরা সাকতার হাদীস বর্ণনার সাথে সাথে সেটার গ্রহণযোগ্যতা ও আমল সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণের সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেছি। যদি সেটাকে শরিআত হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া হয় - তবে সেটা প্রকারান্তরে শরিআতকে অস্বীকার করা। মু’মিনদের সত্য সাক্ষ্যকে অমান্য করা।
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ১৫: (পৃ. ৯-১০)
عن الحسن أن سمرة بن جندب وعمران بن حصين تذاكرا فحدث سمرة بن جندب أنه حفظ عن رسول الله -صلى الله عليه وسلم - سكتتين سكتة إذا كبر و سكتة إذا فرغ من قراءة ) غير المغضوب عليهم ولا الضالين (
(২) আল-হাসান এল সূত্রে সামুরা ইবনু জুনদুব (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সালাতে দুটি নীরবতার স্থান স্মরণ রেখেছেন। প্রথম নীরবতা তাকবীরে তাহরীমা বাধার পর, এবং দ্বিতীয় নীরবতা হচ্ছে “গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওলাদ্দাল্লীন পাঠের পর (আবু দাউদ হা/৭৭৯-৭৮০)।
عن الحسن قال قال حفظت سكتتين في الصلاة إذا كبر الإمام حتى ځين في الصلاة مره حتى يقرأ وسكتة إذا فرغ من فتحة الكتاب وسورة عند الركوع .
(৩) ইয়কুব ইবনে ইব্রাহীম........আল হাসান হতে বর্ণিত, তিনি বলেন সামুরা (রা) বলেন, সালাতের মধ্যে যে দুই স্থানে চুপ থাকতে হয় তা আমি স্মরণ রেখেছি। প্রথমতঃ ইমাম যখন তাকবীরে তাহরীমা বলে তখন হতে কিরাআত শুরু করা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়তঃ ইমাম সূরা ফাতিহা ও কিরাআত পাঠের পর রুকুতে যাবার পূর্বে। (আবু দাউদ হা/৭৭৭)
পর্যালোচনা - ১৫: সম্মানিত পাঠক! উক্ত ৭৭৯ ও ৭৮০ নং হাদীসের পূর্বে ভিন্ন শব্দে ইমাম আবু দাউদ আরও দু’টি হাদীস (৭৭৭ ও ৭৭৮ নং) উল্লেখ করেছেন। যেখানে দ্বিতীয় নীরবতা বা সাকতা রুকু‘র পূর্বে বা ক্বিরাআতের শেষে বর্ণিত হয়েছে। যার একটি লেখক ৩ নং-এ উল্লেখ করেছেন।
‘কিরাআত শেষে বা রুকুর পূর্বের’ দ্বিতীয় সাকতার (হা/৭৭৭ ও ৭৭৮) বর্ণনাতে ক্বাতাদাহ নেই। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় সাকতাটি ‘গায়রিল মাগযুবি ... ওলাদ্দাল্লীন’ পাঠের পর হওয়ার বর্ণনা দু’টিতে ক্বাতাদাহ আছেন। তিনি মুদাল্লিস।
ক্বাতাদার বর্ণনা দু’টিকে শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) যঈফ বলেছেন। ... (কেননা) ক্বাতাদাহ হাদীসটি আন দ্বারা বর্ণনা করেছেন। [তাহ: উর্দু আবু দাউদ হা/৭৭৯]
পক্ষান্তরে রুকু‘র পূর্বের বা ক্বিরাআতের শেষে দ্বিতীয় সাকতার বর্ণনা দু’টি ইউনুস ও আশআস বর্ণনা করেছেন। তাদের প্রতি তাদলিসের অভিযোগ না থাকায় হাদীস দু’টি শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) সহীহ বলেছেন। [তাহ: উর্দু আবু দাউদ হা/৭৭৭-৭৮]
বুঝা যাচ্ছে, লেখক আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক্ব যঈফ হাদীসকে আগে সাজিয়েছেন এবং সহীহ হাদীসকে পরে রেখেছেন। যা ইমাম আবু দাউদের সাজানোর বিপরীত।
এখন এর জবাব শুনুন পাকিস্তানি আহলে হাদীস মুহাদ্দিস ও রিজালশাস্ত্রবীদ ইরশাদুল হক্ব আসারির লেখা থেকে। তিনি লিখেছেন:
بعض حجرت نے اس پر اعتراض بھی کیا ہے کہ متن میں اعتراض ہے ۔ بعض میں فاتحہ کے بعد اور بعض میں قراءت سورۃ کے بعد سکتہ کا ذکر ہے ۔ لیکن یہ اختلاف صحیح نہیں ۔ جب کہ یہ اختلاف قتادۃ رح کی روایت میں ہے۔ قتدۃ رح کے علاوہ اشعث رح ، یونس رح ، حمید رح الطویل حضرۃ حسن رح سے قراءۃ کے بعد ہی سکتہ کا ذکر کر تے ہیں ۔ لہذا قتادہ رح کی اس روايت کا اعتبار ہوگا جو جماعت موافق ہے ...
‘‘কেউ কেউ সাকতার হাদীসের মতনে ইযতিরাবের (স্ব-বিরোধীতার) অভিযোগ করেছেন। কোনোটিতে সাকতার বর্ণনা সূরা ফাতিহার শেষে এবং কোনোটিতে সম্পূর্ণ ক্বিরাআত শেষে সাকতার কথা বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগও সহীহ নয়। কারণ মতপার্থক্যের কেন্দ্র হল, ক্বাতাদাহ (রহ)-এর বর্ণনা। অথচ ক্বাতাদাহ (রহ) ছাড়াও এটি (হাসান বসরির অন্যান্য ছাত্র) আশ‘আস (রহ), ইউনুস (রহ), হুমায়িদ (রহ) থেকে সম্পূর্ণ ক্বিরাআত শেষে সাকতা করার বর্ণনা আছে। সুতরাং ক্বাতাদাহ’র (রহ) ঐ বর্ণনা গ্রহণযোগ্য হবে যা জামাআতের (অধিকাংশ রাবীর) বর্ণনার পরিপূরক। ...’’ [বিস্তারিত: তাওযিহুল কালাম পৃ. ৫৭৮, অনুরূপ ইউনুসের বর্ণনার স্ববিরোধিতার জবাবও তিনি দিয়েছেন। সেখানেও অধিকাংশ বর্ণনাকারী থেকে ক্বিরাআতের পরের সাকতা করার প্রমাণ দ্বারা সেটাই গ্রহণযোগ্যতা পায়।]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/97/34
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।