মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম, Hadith.one বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে! আমাদের সার্ভারের মেয়াদ ১১ অক্টোবর ২০২৫ এ শেষ হবে, এবং এবং ওয়েবসাইট টি চালানোর জন্য আমাদের কোনো ফান্ড নেই।
🌟 আপনার দান এই প্ল্যাটফর্মকে বাঁচাতে পারে এবং প্রতিটি হাদিস পড়ার মাধ্যমে সদকাহ জারিয়ার অংশীদার হতে পারেন!
🔗 অনুগ্রহ করে আপনার দানের মাধ্যমে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!
এই অংশটি মুহাম্মাদ ইশতিয়াক্বের ‘‘তাহক্বীক্বে সালাত বা জওয়াবে নামাযে মুদাল্লাল’’ (করাচী: জামা‘আতুল মুসলিমীন) পৃ. ১৩১-১৩৮ থেকে উদ্ধৃত হল। (অনুবাদক)
من كان له إمام فقراءته له قراءة ‘‘যার ইমাম আছে, সেক্ষেত্রে ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত’’- বাক্যে বর্ণিত হাদীসটি কয়েকজন সাহাবা থেকে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সমস্ত বর্ণনাই যঈফ। ইমাম শওকানী (রহ) লিখেছেন:
وقد روي مسندا من طرق كلها ضعاف والصحيح أنه مرسل
‘‘(হাদীসটি) বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, যার প্রত্যেকটি যঈফ। তবে সহীহ কথা হল হাদীসটি মুরসাল (সূত্রছিন্ন)।’’ (নায়লুল আওতার ২/২৪৩/৫)
উক্ত বক্তব্যের ব্যাখ্যা নিম্নরূপ:
হাদীস - ১
حدثنا علي بن مُحمد حدثنا عبيد الله بن موسى عن الْحسن بن صالِح عن جابر عن أبي الزبير عن جابر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم .
এই সনদের হাদীসটি ইবনে মাজাহ (হা/৮৫০) বর্ণনা করেছেন। এর একজন রাবী জাবির (আল-জু‘ফী) মিথ্যাবাদী। (তাহযিবুত তাহযিব) সুতরাং হাদীসটি মিথ্যা।
.... ইমাম যায়লাঈ (রহ) বলেছেন:
وقد رواه سفيان الثوري وأبو الأحوص وشعبة وإسرائيل وشريك وأبو خالد الدالاني وسفيان بن عيينة وجرير بن عبد الْحميد وغيرهم عن موسى بن أبي عائشة عن عبد اللّه بن شداد عن النبي ﷺ مرسلاً وهو الصواب
‘‘এই হাদীসটি সুফিয়ান সাওরী, আবূল আহওয়াস, শু‘বাহ, ইসরাঈল, শরীক, আবূ খালিদ আদ-দালানী, সুফিয়ান বিন উয়াইনাহ ও জারীর বিন ‘আব্দুল হামীদ প্রমুখ থেকে মূসা বিন আবী ‘আ‘‘য়শাহ, তিনি ‘আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ থেকে তিনি নবী (স) থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেছেন। আর এটাই (হাদীসটির) সঠিক (মান)।’’ (নাসবুর রায়াহ ২/৯)
অতঃপর যায়লাঈ বলেন, ইমাম বায়হাক্বী ‘আল-মা‘রেফাতে’ বলেছেন:
وقد روى السفيانان هذا الْحديث وأبو عوانة وشعبة وجَماعة من الْحفاظ عن موسى ابن أبي عائشة فلم يسندوه عن جابر، ورواه عبد اللّه بن الْمبارك أيضاً عن أبي حنيفة مرسلاً وقد رواه جابر الْجعفي وهو متروك وليث بن أبي سليم وهو ضعيف عن أبي الزبيْر عن جابر مرفوعاً ولَم يتابعهما عليه إلا من هو أضعف منهما
‘‘নিশ্চয় এই হাদীসটি দুই জন সুফিয়ান (সুফিয়ান সাওরী ও সুফিয়ান বিন ‘উয়াইনাহ), আবূ ‘আওয়ানাহ, শু‘বাহ হাফেযদের একদল থেকে, তিনি মূসা ইবনে আবী আ‘‘য়শাহ থেকে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি জাবের (রা) থেকে (মারফু‘) সনদে বর্ণনা করেন নি। তেমনি ‘আব্দুল্লাহ বিন মুবারক মুরসাল বর্ণনা করেছেন আবূ হানিফা থেকে। জাবির বিন জু‘ফী মাতরুক (প্রত্যাখ্যাত), লাইস বিন আবি সুলাইম - তিনি যঈফ, তিনি আবূ যুবায়ের থেকে, তিনি জাবির (রা)-এর মারফু‘ সূত্রে বর্ণনা করেছেন। (হাদীসটির ব্যাপারে) তাদের উভয়কে কেউ অনুসরণ করেন নি, কেবল তাদের থেকে বেশি যঈফ ঐ দু’জন ছাড়া।’’ (নাসবুর রায়াহ ২/৯)
অতঃপর ইমাম বায়হাক্বী (রহ) লিখেছেন:
أخبرنا أبو عبد اللّه الْحافظ، قال : سَمعت سلمة بن مُحمد الفقيه، يقول : سألت أبا موسى الرازي الْحافظ عن حديث : " من كان له إمام، فقراءة الإِمام له قراءة " فقال : لَم يصح عن النبي ﷺ فيه شيء
‘‘আমাদেরকে খবর দিয়েছেন আবূ ‘আব্দুল্লাহ হাফিয, তিনি বলেন: আমি সালামাহ বিন মুহাম্মাদ আল-ফাক্বীহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: আমি আবূ মূসা আর-রাযী আল-হাফিযকে ‘‘যার ইমাম আছে, তার ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত’’ সম্পর্কীত হাদীসটির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করি। তিনি বলেন: এ ব্যাপারে নবী (স) থেকে কিছুই সহীহ নেই।’’ (নাসবুর রায়াহ ২/৯)
সুতরাং জাবির (রা)-এর সাথে সম্পৃক্ত বর্ণনাটি যঈফ।
হাদীস - ২:
عن سهل ابن العباس الترمذي حدثنا إسْماعيل بن عليه عن أيوب عن أبِي الزبير عن جابر، قال : قال رسول اللّه ﷺ " من كان له إمام، فقراءة الإِمام له قراءة "
‘‘সাহল বিন ‘আব্বাস তিরমিযী থেকে বর্ণিত, আমাদেরকে হাদীস বর্ণনা করেছেন ইসমাঈন বিন আইয়ূব, তিন আবূ যুবায়ের থেকে তিনি জাবির (রা) থেকে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: যার ইমাম আছে, সেক্ষেত্রে ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত।’’ (দারে কুতনী [. দারে কুতনীর (১/৪০২/১) মূল মতনটি হল من صلى خلف الإمام فقراءة الإمام له قراءة ], নাসবুর রায়াহ ১/১০)
ইমাম যায়লাঈ (রহ) লিখেছেন:
قال الدارقطني : هذا حديث منكر، وسهل بن العباس متروك، ليس بثقة وقال الطبراني : لَم يرفعه أحد عن ابن علية إلا سهل بن العباس
‘‘ইমাম দারা কুতনী (রহ) বলেছেন: এই হাদীসটি মুনকার। সাহাল বিন ‘আব্বাস মাতরুক, সে সিক্বাহ নয়। আর তাবারানী (রহ) বলেছেন: ইবনে ‘আলিইয়্যাহ থেকে কেবল সাহল বিন ‘আব্বাস ছাড়া কেউই হাদীসটিকে মারফু‘ সূত্রে উল্লেখ করেন নাই।’’ (নাসবুর রায়াহ ২/১০)
হাদীস - ৩: ইমাম যায়লাঈ (রহ) বলেন:
من طريق مالك عن وهب بن كيسان عن جابر بن عبد اللّه مرفوعاً نَحوه، سواء، قال الدارقطني : هذا باطل لا يصح عن مالك . ولا عن وهب بن كيسان، وفيه عاصم بن عصام لا يعرف
‘‘ইমাম মালিকের (রহ) সূত্রে ওয়াহাব বিন কায়সান বর্ণনা করেছেন, তিনি জাবির বিন ‘আব্দুল্লাহ থেকে মারফু‘ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ইমাম দারা কুতনী (রহ) বলেন: এই সূত্রটিও বাতিল। (হাদীসটি) না মালিক থেকে, আর না ওয়াহাব বিন কায়সান থেকে (প্রমাণিত)। এই সনদটিতে ‘আসিম বিন ‘ইসাম অপরিচিত।’’ (নাসবুর রায়াহ ২/১০, আরো দ্র: জুঝউল ক্বিরাআত পৃ. ১৮ ও ২০)
হাদীস - ৪: ইমাম যায়লাঈ (রহ) বলেন:
عن جابر بن عبد اللّه عن النبي صلى الله عليه وسلم " من كان له إمام، فقراءة الإِمام له قراءة " ، ولكن في إسناده ضعف
‘‘জাবির বিন ‘আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত, তিনি রসূলুল্লাহ (স) থেকে বর্ণনা করেন: ‘যার ইমাম আছে, সেক্ষেত্রে ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত।’ -কিন্তু হাদীসটির সনদ যঈফ।’’ (মালিক, মুসনাদে আহমাদ সূত্রে নাসবুর রায়াহ ২/১০)
হাদীস - ৫: ইমাম যায়লাঈ (রহ) দারা কুতনী থেকে বর্ণনা করেন:
عن محمد بن الفضل بن عطية عن أبيه عن سالِم بن عبد اللّه عن أبيه عبد اللّه بن عمر عن النبي ﷺ قال : " من كان له إمام فقراءته له قراءة " ، انتهى . قال الدارقطني : مُحمد بن الفضل متروك
‘‘মুহাম্মাদ বিন ফাযল বিন ‘আতীয়াহ থেকে বর্ণিত, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি সালিম বিন ‘আব্দুল্লাহ থেকে, তিনি তাঁর পিতা আব্দুল্লাহ বিন উমার থেকে, তিনি নবী (স) থেকে বর্ণনা করেন- তিনি (স) বলেছেন: ‘যার ইমাম আছে, সেক্ষেত্রে ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত।’’ বর্ণনাটি শেষ। ইমাম দারা কুতনী (রহ) বলেন: মুহাম্মাদ বিন ফাযল মাতরুক। (দারা কুতনী ১/৩২৫/৬, নাসবুর রায়াহ ২/১০)
‘‘ইমামের ক্বিরাআত তোমাদের জন্য কাফী (যথেষ্ট), (ক্বিরাআত) গোপনে হোক কিংবা (প্রকাশ্য) পাঠ হোক।’’ (দারা কুতনী ১/৩৩৩/৩৩, নাসবুর রায়াতে (২/১১) আছে: خافَت أو جهر ‘‘গোপন বা প্রকাশ্য’’)
ইমাম দারা কুতনী (রহ) বলেন:
قال أبو موسى قلت لأحْمد بن حنبل في حديث بن عباس هذا في القراءة فقال هكذا منكر
‘‘আবূ মূসা বলেন, আমি আহমাদ বিন হাম্বল (রহ)-কে ইবনে আব্বাস (রা)-এর এই ক্বিরাআত সম্পর্কীত হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: এটি মুনকার।’’ (সূত্রঃ পূর্বোক্ত)
সুতরাং من كان له إمام، فقراءة الإِمام له قراءة ‘‘যার ইমাম আছে, সেক্ষেত্রে ইমামের ক্বিরাআতই তার ক্বিরাআত’’ বাক্যে হাদীসটি রসূলুল্লাহ (স) থেকে প্রমাণিত নয়। সুতরাং তা প্রত্যাখ্যাত। তাছাড়া যদিওবা আমরা হাদীসটি সহীহ হিসাবে মেনে নিই, তাহলেও হাদীসটি ইমামের সাকতাতে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠের বিরোধী হয় না। সাকতার পদ্ধতিতে যখন ইমাম ক্বিরাআত করে, তখন মুক্তাদী চুপ থেকে ইমামের ক্বিরাআত শুনবে। সেক্ষেত্রে ইমামের ক্বিরাআত মুক্তাদীর ক্বিরাআত গণ্য হবে। তাছাড়া وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْانُ فَاسْتَمِعُوْا لَه ‘ وَأَنْصِتُوَا ‘‘যখন কুরআন পাঠ করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগের সাথে শোন ও চুপ থাক’’ (সূরা আ‘রাফ, ২০৪) আয়াতটিরও বিরোধী হয় না।.... [.অতঃপর লেখক ‘ইমামের ক্বিরাআত মুক্তাদীর ক্বিরাআত’ মর্মে কিছু সাহাবীর উক্তি হিসাবে যা উপস্থাপন করা হয়- সেগুলোও খণ্ডন করেছেন। প্রয়োজন সাপেক্ষে আমরা পরবর্তীতে তা প্রকাশ করব। (অনুবাদক)]
সোশ্যাল মিডিয়ায় হাদিস শেয়ার করুন
Or Copy Link
https://hadith.one/bn/book/97/50
রিডিং সেটিংস
Bangla
English
Bangla
Indonesian
Urdu
System
System
Dark
Green
Teal
Purple
Brown
Sepia
আরবি ফন্ট নির্বাচন
Kfgq Hafs
Kfgq Hafs
Qalam
Scheherazade
Kaleel
Madani
Khayma
অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন
Kalpurush
Kalpurush
Rajdip
Bensen
Ekushe
Alinur Nakkhatra
Dhakaiya
Saboj Charulota
Niladri Nur
22
17
সাধারণ সেটিংস
আরবি দেখান
অনুবাদ দেখান
রেফারেন্স দেখান
হাদিস পাশাপাশি দেখান
এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন
মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।