hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

৩৫
সাকতার হাদীসগুলো মুহাদ্দিসগণের নিকট পারস্পরিক ব্যাখ্যা
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ১৬: (পৃ. ১০)

 উপরিউক্ত হাদীসসমূহ পাঠে “প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারলাম যে, সালাতে ইমামের সাকতা রয়েছে তিনটি। যথাক্রমে:

(ক) আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত (১ নং) হাদীস অনুযায়ী শুধুমাত্র তাকবীরে তাহরীমা ও সূরা ফাতিহা পাঠের মধ্যবর্তী সময়ে।

 (খ) সামুরা ইবনু জুনদুব (রা) বর্ণিত (২ নং) হাদীস অনুয়ায়ী দুটি সাকতা অর্থাৎ প্রথমবার তাকবীরে তাহরীমা ও সূরা ফাতিহা পাঠের মধ্যবর্তী সময়ে, দ্বিতীয়বার সূরা ফাতিহা পাঠের পর। 

(গ) সামুরা (রা) বর্ণিত (৩ নং) হাদীস অনুযায়ী দুটি সাকতা অর্থাৎ প্রথমবার তাকবীরে তাহরীমা ও সূরা ফাতিহা পাঠের মধ্যবর্তী সময়ে, দ্বিতীয়বার সূরা ফাতিহা ও অন্য কিরাআত পাঠের পর, রুকুতে যাবার পূর্বে। উল্লেখ্য যে, প্রতিটি বর্ণনাতেই তাকবীরে তাহরীমা ও সূরা ফাতিহা পাঠের মধ্যবর্তী সময়ের সাকতার কথা উল্লেখ রয়েছে। 

হাদীস তিনটির পর্যালোচনা: আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের হওয়ায় তা নিঃসন্দেহে সহীহ। এই হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী সালাতে সাকতা রয়েছে একটি মাত্র সময় তাকবীরে তাহরীমার পর সূরা ফাতিহা পাঠের পূর্বে। করণীয়ঃ “আল্লাহুম্মা বায়েদ বাইনী”...........পাঠ করা। আর সামুরা (রা) বর্ণিত দুই সাকতা সম্পর্কিত হাদীস দুটিই যঈফ। (তাহকীক আলবানী) 

পর্যালোচনা - ১৬: ক) আবু হুরায়রা (রা) থেকেই দু’টি সাকতার হাদীস বর্ণিত হয়েছে। যা স্বয়ং আলবানী (রহ)-এর কাছে হাসান। (আয-যঈফাহ ২য় খণ্ড হা/৫৪৬)

সেখানে আবু হুরায়রা (রা) নিজেই দু’টি সাকতাতে সূরা ফাতিহা পড়তে বলেছেন। সুতরাং লেখকের ১নং আবু হুরায়রা (রা)-এর হাদীস ও তাঁরই দু’টি সাকতার হাদীস পরস্পরের ব্যাখ্যা। তেমনি সামুরা (রা)-এর হাদীসটির দাবিও। এগুলোর সমন্বয়ে মুহাদ্দিসগণ মাসআলা নির্ণয় করেছেন। [দ্র: ‘পর্যালোচনা-১৪’]

লেখকের আবূ হুরায়রা (রা)-এর একটি হাদীস নিয়েছেন অপরটি ছেড়ে দিয়েছেন। যা দলিলহীনভাবে ছেড়ে দেয়াটা কুফর। কেননা অন্যান্য সাহাবীদের থেকে একটি সাকতার থাকার সংশয়টি নিম্নোক্তভাবে দূর হয়:

খ) সূরা ফাতিহার পরের সাকতার হাদীসটি যঈফ।

গ) রুকুর পূর্বের সাকতা স্বয়ং আলবানী (রহ)-এর কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি (রহ) লিখেছেন: দ্বিতীয় সাকতার ব্যাপারে সঠিক হচ্ছে এই যে, সেটি হবে রূকুর পূর্বে সকল কিরাআত হতে মুক্ত হওয়ার পর, সূরা ফাতিহার শেষে নয়। (যঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ ২/পৃ-৯৫) এছাড়াও তিনি (আলবানী রহ.) উক্ত বইয়ের ৪৭৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন ... ‘‘আমি যেটি সঠিকের নিকটবর্তী মনে করি সেটি হচ্ছে এই যে, ইমামের পিছনে সির্রী রাকআত গুলোতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা শরীয়ত সম্মত, জাহরি রাকাআতগুলোতে নয়। তবে যদি ইমামের পক্ষ থেকে সাকতা পাওয়া যায় (নিশ্চুপ থাকেন) তাহলে পড়া যেতে পারে। (যঈফ ও জাল হাদীস সিরিজ, ২য় খণ্ড, পৃ.৪৭৭)

শায়খ আলবানী (রহ) নিজের স্ববিরোধী গবেষণার জবাব নিজেই দিয়েছেন। তিনি তাঁর লিখিত ‘‘তালখিস সিফাতে সালাতুন নাবিয়্যি’’(বৈরুত: আলমাকতাবুল ইসলামি ১৪০৪/১৯৮৪, পৃ. ১৮) -এ লিখেছেন:

قراءة الْمقتدي لَها : ٥٤- ويُجب على الْمقتدي أن يقرأها وراء الإمام في السرية، وفي الْجهرية أيضا إن لَم يسمع قراءة الإمام، أو سكت هذا بعد فراغه منها سكتة ليتمكن فيها الْمقتدي من قراءتِها، وإن كنا نرى أن هذا السكوت لَم يثبت في السنة

‘‘অনুচ্ছেদ: মুক্তাদীর জন্য ক্বিরাআত: ৫৪ - মুক্তাদীর উপর ওয়াজিব হল, ইমামের পিছনে সির্রি (চুপের) সালাতে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াৎ করবে। আর জাহরি সালাতেও অনুরূপ (ক্বিরাআত) করবে - যদি সে ইমামের ক্বিরাআত শুনতে না পায়। কিংবা সাকতাতে (পড়বে), যখন ইমাম তার ক্বিরাআত থেকে ফারেগ (অবসর) হয়ে সাকতা করেন - যেন মুক্তাদী সেখানে তার ক্বিরাআত করতে পারে। যদিও আমি পূর্বে বুঝেছিলাম এই সাকতা সুন্নাত থেকে প্রমাণিত নয়।’’

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন