hadith book logo

HADITH.One

HADITH.One

Bangla

Support
hadith book logo

HADITH.One

Bangla

System

এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন
hadith book logo

সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কের সমাধান

লেখকঃ আশরাফুল ইসলাম

২৯
সূরা মুযযাম্মিলের আয়াতগুলোর সম্মিলিত দাবি সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াতের অনুরূপ
আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ৮: (পৃ. ৫)

অন্যদিকে সালাতে কুরআন পাঠের নির্দেশ সম্বলিত আয়াতে বলা হয়েছে: قاروا ما تيسر من القراني “অতঃপর তোমরা পড় কুরআন থেকে যা সহজ মনে কর”। (সূরা মুয্যাম্মিল-২০) আল্লাহ তাআলার উক্ত নির্দেশটি সালাতের জন্য “খাস”। উক্ত নির্দেশ অনুযায়ী সকলের জন্য সকল প্রকার সালাতে প্রতি রাকাআতে কুরআন পাঠ ফরয।

পর্যালোচনা - ৮: বুঝা গেলো, পুস্তিকাটির লেখকের নিকট সূরা মুযযাম্মিলের ২০ নং আয়াতটি সালাতে কুরআন পাঠের খাস নির্দেশ। পক্ষান্তরে সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াতটি সালাতের জন্য খাস বা সুনির্দিষ্ট নয়। যা তার দলিলবিহীন উপস্থাপনা। পূর্বে প্রমাণিত হয়েছে, খাস না মানার দাবিটি নবী (স), সাহাবী (রা) ও ইমামদের ব্যাখ্যার বিরোধী। [দ্র: ‘পর্যালোচনা-২’]

প্রকৃতপক্ষে সূরা মুযযাম্মিলের আয়াতটির দাবি হলো, কুরআন থেকে অতটুকু পাঠ করা, যতটা তিলাওয়াতকারী ও শ্রোতা উভয়ের জন্য কষ্টকর না হয়। কেননা, দীর্ঘসময় তিলাওয়াত শ্রবণ করা সবার পক্ষে সহজ নয়। এই তাফসির আয়াতটির পরবর্তী অংশে রয়েছে। যা নিম্নরূপ:

فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْآنِ   ۚ عَلِمَ أَن سَيَكُونُ مِنكُم مَّرْضَىٰ   ۙ وَآخَرُونَ يَضْرِبُونَ فِي الْأَرْضِ يَبْتَغُونَ مِن فَضْلِ اللَّهِ   ۙ وَآخَرُونَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ   ۖ فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ

‘‘কাজেই কুরআনের যতুটুকু তোমাদের জন্য সহজ ততটুকু পাঠ করো। তিনি জানেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়বে, আর কেউ কেউ আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করবে, আর কেউ কেউ আল্লাহর পথে লড়াইয়ে লিপ্ত হবে। কাজেই তোমরা কুরআন হতে যতটুকু সহজসাধ্য ততটুকু পড়।’’ [সূরা মুযযাম্মিল: ২০]

আয়াতটি শুরুর অংশসহ পড়লে আরও জানা যায়, উক্ত হুকুমটি বিশেষভাবে রাতের বিভিন্ন অংশে (তাহাজ্জুদ সালাতে) দীর্ঘ ক্বিরাআত, সালাতের আদব ও সহজীকরণ প্রসঙ্গে নির্দেশনা। আবার সূরাটির শুরুতে তাহাজ্জুদ সালাতে তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে: [সূরা মুযযাম্মিল: ৬]

إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْئًا وَأَقْوَمُ قِيلًا

‘‘নিশ্চয় রাতে ওঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।’’

সাহাবী ইবনে আব্বাস (রা) বলেন:

وِطَاءً قَالَ مُوَاطَأَةَ الْقُرْآنِ أَشَدُّ مُوَافَقَةً لِسَمْعِهِ وَبَصَرِهِ وَقَلْبِهِ

‘‘ وَطْئًا শব্দের অর্থ হলো - কুরআনের অনুকূল। অর্থাৎ তার কান, চোখ এবং হৃদয়ের অধিক অনুকূল এবং তা কুরআনের মর্ম অনুধাবনে অধিকতর উপযোগী।’’ [সহীহ বুখারী - তাহজ্জুদের বিবরণ بَاب قِيَامِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِاللَّيْلِ وَنَوْمِهِ وَمَا نُسِخَ مِنْ قِيَامِ اللَّيْلِ ; হা/১১৪১ নং-এর পূর্বের অনুচ্ছেদ]

অন্যত্র ইবনে আব্বাস (রা) সূরা মুযযামিলের ৬ নং আয়াতটির শেষাংশ وَأَقْوَمُ قِيلًا সম্পর্কে বলেন: هُوَ أَجْدَرُ أَنْ يُفْقَهَ فِى الْقُرْآنِ ‘‘গভীর চিন্তা-ভাবনা ও মনোনিবেশসহ কুরআন পাঠের জন্য এটা অপেক্ষাকৃত উপযুক্ত সময়।’’ [আবু দাউদ হা/১৩০৪ ; শায়খ আলবানী ও যুবায়ের আলী যাঈ (রহ) তাঁদের স্ব স্ব তাহক্বীকে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।]

সম্মানিত পাঠক! এখন পুনরায় সূরা মুযযাম্মিলের ১ নং থেকে ৫ নং আয়াতগুলো তরজমাসহ পড়ুন। এ পর্যায়ে ২০ নং আয়াতটির তাফসির সুস্পষ্ট হবে যে, আয়াতটির সাথে সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াতের দাবি ‘কুরআন পাঠের সময় চুপ থেকে মনোযোগের সাথে শোনার’ কোনো বিরোধ নেই। আয়াতগুলোর দাবি ও দাওয়াত একই। অর্থাৎ সূরা আ‘রাফের ২০৪ নং আয়াত ও সূরা মুযযাম্মিলের আয়াতগুলো পরস্পরের ব্যাখ্যা।

আবু আব্দিল্লাহ আব্দুর রাজ্জাক - ৯: (পৃ. ৫)

এ অবস্থায় “কুরআন পাঠের সময় মনোযোগ দিয়ে শোনা ও চুপ থাকার” নির্দেশটি ইমামের পিছনের মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধক স্বরূপ কি না তা বুঝতে হবে “ওহীয়ে গায়ের মাতলু” অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের আলোকে। কেননা কুরআন নাযিল হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ওপর। তিনিই কুরআনের ব্যাখ্যাকারী। (সূরা নাহল-৪৪)

পর্যালোচনা - ৯: আমরা এ সম্পর্কিত আয়াতগুলোর তাফসির সম্পর্কে একই ধরনের শব্দ ও বাক্য সম্বলিত হাদীস দ্বারা প্রমাণ করেছি, নবী (স), সাহাবী (রা) এবং ইমাম ও মুহাদ্দিসগণ আলোচ্য আয়াত ও হাদীসের কী দাবি বুঝেছিলেন। যেমন - কুরআন বলা হয়েছে: فاستمعوا له وأنصتوا ‘‘মনোযোগের সাথে শোনে ও চুপ থাকো’’ (সূরা আ‘রাফ: ২০৪)। তেমনি সহীহ হাদীসে নবী (স) মুক্তাদিকে খাসভাবে বলেছেন: وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا ‘‘যখন ইমাম পাঠ করেন, তখন চুপ থাকো।’’ [বিস্তারিত কিছুপূর্বে গত হয়েছে।]

কিন্তু লেখকের উপস্থাপিত পরবর্তী একটি হাদীসেও এই ‘আনসাত বা চুপ থাকার’ কোনো বর্ণনা বা ব্যাখ্যা নেই। বরং বাহ্যিক দৃষ্টিতে বুঝা যায় বিরোধিতা আছে। এখন আমরা লেখকের দলিলগুলোর তুলামূলক পর্যালোচনা উপস্থাপন করব, ইনঁশাআল্লাহ:

আবু আব্দুল্লাহ আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থাপিত দলিল (পৃ. ৬):

সালাতে ইমামের উচ্চস্বরে কুরআন পাঠ অবস্থায় মুক্তাদির করণীয় সম্পর্কে আনাস (রা) হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন:

عن أنس بن مالك : أنَّ النَّبيَّ صلَّى بأصحابِه فلمَّا قضى صلاتَه أقبَل عليهم بوجهِه فقال :( أتقرَؤونَ   في   صلاتِكم خَلْفَ الإمامِ والإمامُ يقرَأُ ؟ ) فسكَتوا فقالها ثلاثَ مرَّاتٍ فقال قائلٌ أو قائِلونَ : إنَّا لَنفعَلُ قال : ( فلا تفعَلوا ولْيقرَأْ   أحَدُكم   بفاتحةِالكِتابِ   في   نفسِه  )

‘‘তোমরা কি ইমামের ক্বিরাআত অবস্থায় কিছু পাঠ করে থাকো। বরং কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা চুপে চুপে পড়বে... (সংক্ষেপিত অনুবাদ)। (সহীহ ইবনে হিব্বান হা/১৮৪৪, বুখারী জুযউল ক্বিরআত হা/২৫৫)

ইমামের উচ্চস্বরে কিরআত পাঠ অবস্থায় মুক্তাদিকে চুপে চুপে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠের অনুমতি সংক্রান্ত রসূলুল্লাহ (স)-এর উক্ত নির্দেশ নিঃসন্দেহে ওহী দ্বারা প্রত্যাদিষ্ট তাঁর নিজের থেকে নয়। (সূরা নজম: ৩-৪)

পর্যালোচনা: পূর্বোক্ত আরবি উদ্ধৃতির দাগানো অংশগুলোর অনুবাদ হলো: নবী (স) প্রশ্ন করেছিলেন:

‘‘তোমরা তোমাদের সালাতে ইমামের পিছনে পাঠ করো কি, আর ইমামও তখন পড়েন?... এমনটি কোরো না। তোমাদের কেউ ফাতিহাতুল কিতাব মনে মনে পড়বে।’’

বুঝা যাচ্ছে, ইমামের সাথে সাথে ক্বিরাআত করা যাবে না। অথচ লেখক তার বিপরীত বুঝেছেন। এখানে ফাতিহা মনে মনে পড়া ও ফাতিহা ক্বিরাআত করার মধ্যে পার্থক্য করা হয়েছে।

রিডিং সেটিংস

Bangla

System

আরবি ফন্ট নির্বাচন

Kfgq Hafs

অনুবাদ ফন্ট নির্বাচন

Kalpurush

22
17

সাধারণ সেটিংস

আরবি দেখান

অনুবাদ দেখান

রেফারেন্স দেখান

হাদিস পাশাপাশি দেখান


এই সদাকা জারিয়ায় অংশীদার হোন

মুসলিম উম্মাহর জন্য বিজ্ঞাপনমুক্ত মডার্ন ইসলামিক এপ্লিকেশন উপহার দিতে আমাদের সাহায্য করুন। আপনার এই দান সদাকায়ে জারিয়া হিসেবে আমল নামায় যুক্ত হবে ইন শা আল্লাহ।

সাপোর্ট করুন